ভালোবাসার রোমান্টিক গল্প (ফুলশয্যার রাত) | Valobashar Romantic Golpo Bangla

Samaresh Halder
13 Min Read

ফুলশয্যার রাত
– সুপ্রিয় ভট্টাচার্য্য

বিয়ের দিন ঠিক হওয়া থেকে নানা রকম বাধা বিপত্তি আসছিল। সর্বশেষ বাধা এসেছিল বিয়ের ঠিক দেড় মাস আগে। হঠাৎই মা ঘরের মেঝেতে স্লিপ কেটে পড়ে হাঁটু মুচকে গিয়েছিল। যদিও আমরা ভেবেছিলাম হাঁটুটা বোধহয় ভেঙেই গেছে। শেষ পর্যন্ত এক্সরে করে দেখা গেল ভাঙ্গেনি তবে যথেষ্ট চোট লেগেছে। প্রায় এক মাস ধরে রেস্ট আর ফিজিওথেরাপি করে এখন মা ঠিক আছেন। তবে মাঝেমধ্যেই হাঁটুতে ব্যথা অনুভব করেন।

ভালোবাসার রোমান্টিক গল্প

শেষ পর্যন্ত অনেক টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে বিয়েটা আমার হয়ে গেল। আজ আমাদের ফুলশয্যা। মধ্যরাত্রি অতিক্রান্ত, নিমন্ত্রিত অতিথিরা সব চলে গেছেন। আমি ‘মনোজ’, ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে তাকিয়ে দেখি নতুন বউ ‘শিবানী’ ফুল দিয়ে সাজানো খাটের এককোনে বসে একমনে তার মোবাইলের দিকে তাকিয়ে আছে। শিবানী এতোটাই অন্যমনস্ক ছিল, আমার ঘরে আসা এবং দরজা বন্ধ করাটাও সে টের পাইনি। একটু কাছে গিয়ে দেখলাম মোবাইল স্ক্রীনে ওর সাথে একটা ছেলের ছবি, আর সেই ছবিটার দিকে সে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আর ওর চোখ দিয়ে সমানে জল পড়ছে। হঠাৎ ঘাড় ঘুরিয়ে আমাকে দেখেই শিবানী কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে গিয়ে নিজের চোখের জল মুছে মোবাইলটা বালিশের নিচে রাখলো।
সম্পূর্ণ বিষয়টা আমার কাছে জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গেলো।
আমি কোনরকম ভনিতা না করে সরাসরি জিজ্ঞাসা করলাম ‘কে ছেলেটি’ ? আমার প্রশ্ন শুনে শিবানী কিছুসময় চুপ করে থেকে উত্তর দিল, ‘ওর নাম সুব্রত, আমরা একে অপরকে ভালোবাসি’।

ভালোবাসার রোমান্টিক গল্প কাহিনী

Loading...


আমার সেরকমই মনে হয়েছিল তবু যেন একটা ঝটকা খেলাম, সারা শরীর কাঁপতে লাগলো, হঠাৎ মনে হল গলাটা একদম শুকিয়ে গেছে। টেবিলে রাখা বোতলটা নিয়ে ঢকঢক করে খানিকটা জল খেয়ে ঘরের মধ্যে দুএকবার পায়চারি করে শিবানীকে বললাম, এই কথাগুলো আপনি আমাদের বিয়ের আগে কেনো বলেননি ? আমি আপনাকে বিয়ের আগে সামনা-সামনি অনেকবার জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তখন আপনি সত্যিটা বলতে পারতেন, তা না করে আপনি সেটা গোপন করে গিয়েছিলেন। আপনি জানেন, প্রতিটা মানুষের এই বিশেষ দিনটা নিয়ে অনেক স্বপ্ন থাকে। আপনি এরকমটা কেনো করলেন আমার সাথে ? আপনি আমাকে সামনাসামনি বলতে না পারলেও ফোন করে তো বলতে পারতেন ! যেভাবেই হোক আমি নিজে সম্পর্কটা ভেঙে দিতাম তাতে অন্তত আমার স্বপ্নটা ভেঙে চুরমার হয়ে যেত না !! এটা আপনি ঠিক কাজ করেননি।
শিবানী উত্তরে বললো, আমি অনেকবার বাবা-মা কে বলেছি সুব্রতর কথা। ওরা আমার কোনো কথা শোনেনি। ওদের কথায় আমি বাধ্য হয়ে এ বিয়েতে মত দিয়েছি।
কথাটা শুনে রাগে জলের বোতলটা টেবিলের উপরে দুম করে রেখে বললাম, এটা একটা কথা ? আপনি বিয়েতে মত দিয়েছেন আর আপনিই ফুলশয্যার রাতে প্রেমিকের ছবির দিকে তাকিয়ে বসে আছেন ! আমার যে এখন কি করা উচিত সেটাই বুঝতে পারছি না, মনে হচ্ছে দরজাটা খুলে কোথাও বেরিয়ে যাই। একটু দম নিয়ে বললাম, একবার ভেবে দেখেছেন নিজের বাবা মায়ের কথা রাখতে গিয়ে তাদের উপর রাগ দেখাতে গিয়ে একসাথে তিন তিনটে জীবনকে নষ্ট করে দিতে যাচ্ছিলেন। আমার কথা ছেড়েই দিন, আপনি সারাজীবন এই মিথ্যে সম্পর্কটাকে বয়ে নিয়ে যেতে যেতে জীবন্ত লাশ হয়ে যেতেন, আর সুব্রত মানে আপনার ভালোবাসার মানুষটি কোনোদিনও পারতো আপনাকে ক্ষমা করতে। আপনি পারতেন সুব্রতকে ভুলে থাকতে। তাকে ভুলে থাকতে পারছেন না বলে ফুলশয্যার রাতে মোবাইল স্ক্রিনে তার ছবির দিকে তাকিয়ে আছেন ! আপনিই বলুন আমার কি করা উচিত !! শিবানী আমার দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইল চোখে তার জল, মেজাজটাকে ঠান্ডা করে বললাম দেখুন শিবানী, মনে একজন আর পাশে একজনকে নিয়ে আর যাই হোক জীবনে সুখী হওয়া যায় না।
বিছানা থেকে মাথার বালিশটা টেনে নিয়ে বললাম, আপনি শুয়ে পড়ুন আমি সোফায় আমার ব্যবস্থা করে নিচ্ছি।
শুধু একটা অনুরোধ, বিয়ের প্রথম দেখাশোনার দিন থেকে যে অভিনয়টা শুরু করেছেন সেটা দয়া করে আরো কিছুদিন করে চলুন। ভয় নেই ততদিন আপনার উপর কোনোরকম স্বামীর অধিকার দেখাতে যাবো না। কথা দিচ্ছি যত তাড়াতাড়ি পারি আপনাকে এই মিথ্যে সম্পর্ক থেকে মুক্তি দিয়ে দেবো।
আশা করবো সেইকটা দিন আপনি আমায় সময় দেবেন। একটু দম নিয়ে আবার বললাম, আমার মা-কে দয়া করে কিছু জানাবেন না। মা জানতে পারলে খুব কষ্ট পাবেন, কারণ মা আপনাকে প্রথম দিন দেখার পরই পছন্দ করেছিলেন আর আমি সেই পছন্দ টাকে প্রাধান্য দিয়েছিলাম।

Valobashar Romantic Golpo Bangla

পরদিন সকাল থেকে শুরু হল বিয়ে করা বউয়ের সাথে অভিনয় করা। দুটো দিন যেতে না যেতেই বুঝতে পারলাম এই অভিনয় করাটা কতটা কঠিন তাও আবার শিবানীর মত অভিনেত্রীর পাশে। তার অভিনয় ছিল ন্যাচারাল এবং প্রাণবন্ত সেই তুলনায় আমি মাঝেমধ্যে অভিনয় ভুলে স্বামীর ক্যারেক্টারের মধ্যেই ঢুকে পড়ে কষ্ট পেতাম। সে যখন স্নান করে এসে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল আঁচড়ায় তখন মনে হয় পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে তার খোলা পিঠের উপর আমার মুখটা রাখি, মায়ের সামনে যখন সে আমার পাশে এসে দাঁড়িয়ে কোন কিছু বলে তখন মনে হয় তাকে বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরি, রাতে যখন সে বিছানায় ঘুমিয়ে থাকে আমি সোফা থেকে উঠে তার সেই ঘুমন্ত মুখটার দিকে তাকিয়ে থাকি।
এখনো পর্যন্ত মনে মনে যেটা ভাবতাম যদিও সেটা ঠিক না কিন্তু অসুবিধাটা হলো দ্বিরাগমনে শিবানীর বাড়িতে গিয়ে এক বিছানায় তার পাশে শুয়ে। ঘুমানোর আগে দুজন দুই দিকে ফিরে শুয়েছিলাম ঠিকই কিন্তু শেষ রাতের দিকে যখন ঘুম ভাঙ্গলো তখন নিজেকে আবিষ্কার করলাম শিবানীর গায়ের উপর হাত রেখে তার বুকের মধ্যে মুখ দিয়ে আমি শুয়ে আছি ! প্রথমে মনে হলো আমি স্বপ্ন দেখছি, পরে যখন বুঝতে পারলাম স্বপ্ন না রক্তমাংসের শিবানীর স্পর্শে আমার সারা শরীর কাঁপতে লাগলো তখন আস্তে আস্তে নিজেকে ছাড়িয়ে অনেক কষ্টে সংযত হয়ে ঘরের দরজা খুলে বাইরে পায়চারি করতে করতে ভেবে নিলাম, এইভাবে চললে আমি বেশিদিন নিজেকে সংযত রাখতে পারব না, তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডিভোর্স পেপারটা অন্তত তৈরি করা।

আরো পড়ুন, ছোট গল্প বড়দের জন্য

বাংলা হাসির গল্প

প্রায় সতেরো দিনের মাথায় মা দিদির বাড়ি যাওয়াতে একটা সুযোগ সামনে এসে গেল। বন্ধু উকিলের সাহায্যে পেপারস পত্র তৈরি করে শিবানীর কাছে গিয়ে বললাম, এই নিন আপনার মুক্তির কাগজ। আমাদের দু’জনের এই মিথ্যে সম্পর্কের অবসান, মিউচুয়াল ডিভোর্স পেপার আমি সই করে দিয়েছি। আর এই আপনার আগামী কালকের ট্রেনের টিকিট মালদা যাওয়ার। আমার সাথে আপনার দিদি জামাইবাবুর কথা হয়ে গেছে, আপনার দিদি কাল দুপুর একটার সময় আপনার জন্য শিয়ালদা স্টেশনে অপেক্ষা করবে। আপনাকে কাল ওনার হাতে তুলে দিয়ে আমার ছুটি। কাল একটু তাড়াতাড়ি উঠে রেডি হয়ে নেবেন, আপনাকে পৌঁছে দিয়ে সেকেন্ড হাফে একবার অফিসে যাবো। এখন তাড়াতাড়ি ব্যাগপত্র গুছিয়ে রাতের খাওয়া খেয়ে শুয়ে পড়ুন।
শিবানী কাগজটা হাতে নিয়ে একবারও সেটা না দেখে আমার মুখের দিকে কিছু সময় তাকিয়ে পরে বললো, এতো তাড়া আমাকে এই বাড়ি থেকে বার করার জন্য ! বললাম আপনিইতো চেয়েছিলেন !! সে সামান্য হেসে মাথাটা নীচু করে হাতের কাগজ আর টিকিটের দিকে তাকিয়ে বলল, মিউচুয়াল ডিভোর্স পেপার, ট্রেনের টিকিট, দিদিকে ফোন, সবটা সেরে রেখেছেন। মাথাটা তুলে আমার দিকে সরাসরি তাকিয়ে বলল, মা-কে কি বলবেন ? দেখলাম তার চোখের কোনায় জল। আমতা আমতা করে বললাম, কি করবো বলুন আপনার কাছাকাছি থাকলে আমি যে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারবো না তাই ভালোলাগা আর ভালোবাসা না বাড়ানোই ভালো। আপনি চলে যাওয়ার পর প্রথম প্রথম কয়েকদিন হয়তো একটু অসুবিধা হবে কিন্তু আপনি আরো কিছুদিন থেকে গেলে সবথেকে কষ্ট পাবেন আমার মা। মা দিন দিন আমাদের মিথ্যে সম্পর্কটা আকড়ে ধরে আপনাকে নিজের মেয়ের মতো ভালোবেসে একটা মিথ্যের সাথে জড়িয়ে পড়বে। যতদিন যাবে মা-র কষ্টটা আরও বেশি হবে, শিবানী আমার দিকে তাকিয়ে বলল, আপনার হবে না ! আমি কিছু না বলে শিবানীর দিকে পিছন ফিরে ঘুরে দাঁড়ালাম। সে আমার সামনে এসে বলল, আপনি এত ভালো কেন ? কেন আপনি জোর করতে জানেন না ?? দ্বিরাগমনে গিয়ে ঘুমের ঘোরে আমাকে জড়িয়ে ধরে আমার বুকের মধ্যে মাথাটা রেখে যখন অঘোরে ঘুমাচ্ছিলেন তখন একবারও আপনাকে সরিয়ে দিতে মন চায় নি, বরং আমি চেয়েছিলাম আপনি অভিনয় ভুলে সত্যি সত্যি স্বামীর ভূমিকায় অবতরণ করুন, কিন্তু আপনার ঘুম ভাঙতেই বুঝলাম আপনি মানুষটাই অন্যরকম। বললাম কি যে বলেন আপনি ! আসলে আমি সেই ছোটোবেলা থেকে কারো ইচ্ছের বিরুদ্ধে কখনো জোর করিনি, সেইজন্যই বলতে পারেন আমার তাড়াটাই বেশি। তাছাড়া মা বাড়িতে থাকলে কিভাবে কি করতাম নিজেই জানিনা, মা’র এই দিদির বাড়ি যাওয়ার সুযোগটা আমি কিছুতেই হাতছাড়া করতে চাইনা। মা ফিরলে পরে সবটা তাকে বুঝিয়ে সুজিয়ে বলবো, জানি মার কষ্ট হবে, কিন্তু সত্যিটা তো মানতেই হবে।

গভীর ভালোবাসার গল্প

পরদিন সকালে শিবানী মা-কে ফোন করে জানালো, মা আমি দু’দিনের জন্য বাবা-মায়ের কাছে যাচ্ছি। তুমি ভালো থেকো, সময় করে ওষুধ খেয়ে নেবে। আর তোমার ব্যথার তেলটা যেমন করে বলেছি ঠিক সেরকমভাবে ব্যবহার করো দেখবে ব্যথা অনেক কমে যাবে, রাখছি।
আমি বললাম, যাওয়ার সময়ও মাকে মিথ্যে বললেন। শিবানীর চোখটা ছলছল করে উঠলো। সে বললো, কি করবো বলুন আমি একটা মিথ্যে দিয়ে সম্পর্কটা শুরু করেছিলাম আর আজ মিথ্যে দিয়েই সম্পর্কটা শেষ করলাম।

শিবানীকে নিয়ে বেলা পৌনে বারোটার মধ্যে শিয়ালদা স্টেশনে পৌঁছিয়ে ওর দিদির জন্য অপেক্ষা করছি। ও আমাকে বললো, মা-র দিকে একটু খেয়াল রাখবেন আর নিজের যত্ন নেবেন। নতুন করে নিজের জীবনটা শুরু করুন আর পারলে আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।
একটু হেসে বললাম, এই সতেরো দিনে আপনার উপর একটা ভালোলাগা জন্মে গিয়েছিল, কেমন যেন আপনি একটা অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন। আস্তে আস্তে আবার একা থাকার অভ্যাসটা করতে হবে। যাই হোক আপনিও ভালো থাকবেন, নিজের ভালোবাসার মানুষের সাথে জীবনটা শুরু করুন। আর পারলে গত কয়েকটা দিন একটা দুঃস্বপ্ন ভেবে ভুলে যাবেন।
আমাদের কথার মাঝে শিবানীর দিদি উপস্থিত হওয়ার পর ট্রেনের খবর হল, বললাম চলুন দিদি আপনাদের ট্রেনে তুলে দিই। দিদি শিবানীর দিকে তাকিয়ে বলল, একবার তুই ভুল করেছিস, আবার কিন্তু ভুল করতে যাচ্ছিস ! শিবানী সে কথার কোন উত্তর দিল না।

বউ এর সাথে রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প

দিদি ব্যাগ নিয়ে ট্রেনে উঠে গেছে, শিবানী নিচে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল। মনে হল ঠোঁট দুটো তার থর থর করে কাঁপছে চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ছে সেটা আড়াল করার জন্য আমার দিকে পিছন ফিরে ট্রেনে উঠতে গিয়ে আবার ঘুরে আমার দিকে কিছু সময় তাকিয়ে রইলো। কিছু একটা হয়তো আমাকে বলতে চাইছিল, বা হয়তো আমার ভুল ছিলো। ট্রেনটা চলতে শুরু করলো, শিবানী তখনো আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি চেঁচিয়ে বললাম শিবানী আপনার ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে আপনি উঠে পড়ুন। শিবানীর সেদিকে খেয়াল নেই, সে আমার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো, ট্রেন দিদিকে নিয়ে স্পিড বাড়িয়ে প্লাটফর্ম ছেড়ে বেরিয়ে গেল।
আমি শিবানীকে বললাম আপনি ট্রেনটা ছেড়ে দিলেন ? শিবানী সে কথার উত্তর না দিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলতে লাগলো, আমি তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাবনা। যে মানুষটা নিরবে আমার ভালবাসার মানুষের কাছে ফেরত দেওয়ার জন্য এত কিছু করতে পারে সে না জানি নিজে কতটা ভালোবাসতে পারে বলে জলভরা চোখে আমার দিকে তাকিয়ে সে বলল, তোমাকে আমি অনেক কষ্ট দিয়েছি আর কষ্ট দিতে চাইনা, অনেক অনেক ভালোবাসব তোমায়।
আজ আর অফিস যাওয়ার দরকার নেই, চলো আমরা বাড়িতে যাই, তুমি মাকে ফোন করে বলে দাও আমি আমার বাবা-মায়ের কাছে যাচ্ছি না। বাড়িতে যাওয়ার পথে কিছু ফুল কিনে নিতে পারো ! আজ আমাদের ফুলশয্যাটা হলে কেমন হয় ?
ফাঁকা প্লাটফর্মে দাড়িয়ে আমি শিবানীর চোখের জল মুছে দিয়ে দু’হাতের তালুতে মুখটা ধরে সেই মুখটার দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতে ঘাড় নাড়াতে লাগলাম, পকেটে শিবানীর দিদির করা ফোনটা বেজেই চলেছে…

আরো পড়ুন,

সেরা ভালোবাসার গল্প

বড়দের রোমান্টিক গল্প

Share This Article