Bhuter Golpo Bengali (ভূতের গল্প) – জ্যান্ত ভূত দর্শন – True Horror Story

sudiproy877
13 Min Read

Bhuter Golpo Bengali

জ্যান্ত ভূত দর্শন
খগেন আজ মাস খানেক পর কয়েক দিনের ছুটিতে বাড়িতে আসছে। কোলকাতায় চাকরি করে।
বৌ ছেলে মেয়ে সবাই গ্ৰামের বাড়িতেই থাকে। গ্ৰামে কিছু জমি জায়গাও আছে।
চাকরির সঙ্গে চাষ আবাদও চালিয়ে যায়। স্বচ্ছল পরিবার। খগেন এর আগে প্রতি
শনিবারে বাড়ি এসে জমিজমা দেখাশোনা করে সোমবার সকালে কোলকাতায় অফিসে চলে
আসত।


প্রতি শনিবারে আসা যাওয়া এত ধকল শরীরে আর সইলো না। তাই এখন মাসে অন্তত একবার
শনি, রবিবারের সঙ্গে আরো দু – একদিন ছুটি নিয়ে সুযোগ সুবিধা বুঝে খগেন বাড়ি
চলে আসে।
বাড়িতে চাষ আবাদ দেখাশোনা ও সংসারের বাজার হাট করার জন্য দুজন বিস্বস্ত লোক
ভোলা ও সদা ( ভালো নাম সদানন্দ) আছে। খগেনের বাড়ির আশেপাশেই সদা আর ভোলা থাকে।
ভোলা আর সদার দিন মজুরের কাজ করেই ওদের সংসার চলে। ওদের সংসারে অভাব অনটন লেগেই
থাকে। সময় – অসময়ে খগেন ওদের পাশে এসে দাঁড়ায়। ভোলা ও সদার কাজে কোনো ফাঁকি
নেই। ওরাও খগেনের চাষের ও বাড়ির সংসারের যাবতীয় কাজ নিজের মত করে দেখাশোনা
করে।

Bangla Bhayankar Bhuter Golpo

Loading...
আজ শনিবার খগেন অফিসের হাফডে ডিউটি সেরে, সোমবারটা এক্সট্রা একটা দিন ছুটি
নিয়ে ছেলে মেয়ে বৌ এর জন্য দুব্যাগ ভর্তি সংসারের টুকিটাকি জিনিষ কিনে বাড়ির
দিকে রওনা হয়। শিয়ালদহ ষ্টেশনে এসে পৌঁছাতেই আকাশটা ঘন কালো মেঘে ছেয়ে গেল।
 মাঝে মধ্যে মেঘের গর্জন আর বিদ্যুতের ঝলকানিতে ষ্টেশনটা যেন কেঁপে উঠছে।
ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি পড়তে শুরু করেছে। ট্রেনটা ঠিক সময়েই ষ্টেশন থেকে ছাড়ল।
খগেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচে। ভাবল,যাক বাঁচা গেল, বিকেল পাঁচটার মধ্যেই বাড়িতে
পৌঁছে যাব। ট্রেন চলতে শুরু করল,ট্রেন যত বাড়ির দিকে এগিয়ে চলে বৃষ্টিটা যেন
আরো বাড়তে থাকে। বৃষ্টিটা আর কমছে না, বরং বেড়েই চলেছে। দূর্যোগ যখন আসে, এই
ভাবেই…….!
নাহঃ! বৃষ্টি আর থামালো না। এর অনেকক্ষন পর অতি ভারী বৃষ্টিটা কমে গেল। কিন্তু
টিপ টিপ করে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। ট্রেনটা রানাঘাট ষ্টেশনে এসে থামতেই ট্রেনের
বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ট্রেনটা থেমে যায়। খগেন চিন্তায় পড়ে
যায়। আস্তে আস্তে বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যে নেমে আসে, কিন্তু ট্রেন আর ছাড়ে
না।রানাঘাট ষ্টেশন থেকে ট্রেন যখন ছাড়ল তখন রাত দশটা। তারক নগর ষ্টেশনে
ট্রেনটা যখন এসে থামলো তখন রাত সাড়ে এগারোটা।
এখন বৃষ্টিটা থেমে গেছে। ট্রেন থেকে নেমে খগেন এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখে ষ্টেশনে
কোন লোকই নেই।
 একদম সুনসান, জনশূন্য। ষ্টেশনের আলো গুলো জ্বলছে না। এখানেও কারেন্ট চলে
গেছে। কোনো লোকজন নেই। চারিদিকে শুধু অন্ধকার আর অন্ধকার। কোথাও কোন সাড়া শব্দ
নেই। ভেবেছিল গ্ৰামের দু- একজন কে সঙ্গে পাবে। কিন্তু নাহঃ! গ্ৰামের কাউকে
দেখতে না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ে খগেন। ট্রেন থেকে অচেনা আরো দুচার জন যাত্রী
নামলো বটে, কিন্তু ওরা অন্য গ্ৰামে যাবে। ঘুরঘুট্টে অন্ধকার। আশেপাশের জিনিস
কিছু দেখা যায় না। দুর থেকে দেখা যায় ষ্টেশন মাষ্টারের ঘরে শুধু টিম টিম করে
একটা হ্যারিকেন জ্বলছে।


আরো পড়ুন,
খগেন অনেকক্ষন চিন্তা করলো কি করা যায়। চিন্তা করে দেখলো, এখন আর কিছু করার
নেই, এই ঘন অন্ধকারে তিন কিলোমিটার পথ পেরোতে হবে, বেশ ভয় ভয়ও লাগছে, ভয় ও
আতঙ্কে ভরা মনটা নিয়ে ভগবানের নাম করে বাড়ির দিকে হাঁটতে শুরু করে দেয় খগেন।
ভাবে, ভাগ্যে যা আছে,তাই-ই হবে। রাস্তার দুধারে ঘন জঙ্গল। এই দূর্যোগ অন্ধকারের
মধ্যেই এখন তিন কিলোমিটার পথ…..। আবার ঝিরঝির করে বৃষ্টি শুরু হলো।
ঘন অন্ধকারে খগেন একা একা গ্ৰামের দিকে হেঁটে এগিয়ে চলেছে।

Real Bhuter Golpo

রাস্তার ধারে খাল ডোবা গুলো বৃষ্টির জলে ভর্তি হয়ে গেছে। ব্যাঙ গুলো ওদের সঙ্গ
সাথীদের কে নিয়ে মনের আনন্দে ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ…ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ…. আওয়াজ তুলে
খেলা শুরু করেছে। ঠান্ডা শির শিরে হাওয়া বইছে, গাছের পাতা গুলো থেকে টুপটাপ
বৃষ্টির জল ঝরে পড়ার আওয়াজ ভেসে আসছে। মাঝে মধ্যে হালকা হাওয়াতে গাছ গুলো গা
ঝাড়া দিচ্ছে। তাতে খগেনের গাটা কেমন যেন ছম ছম করে ওঠে। খগেনের সারা শরীরে
শিহরন খেলে যায়। শরীরটাও ভয়ে মাঝে মধ্যে কেঁপে উঠছে।
বিপদ! বিপদ! বড় বিপদ! এমন বিপদ খগেনের জীবনে আগে আসেনি কখনো। রাস্তায় কিছুদূর
এগুতেই ঘগেন দূর থেকে দেখতে পায় জলন্ত বাঘের চোখের মত দূটো চোখ যেন খগেনের
দিকে এগিয়ে আসছে। তাই দেখে খগেন চমকে ওঠে। ভয় পেয়ে কাঁপতে শুরু করে।
গা-দিয়ে ঘাম ঝরতে শুরু করেছে। এখন এই অসময়ে এখানে বাঘ এলো কোত্থেকে…..?
খগেন ওখানেই কিছুক্ষনের জন্য থমকে চুপচাপ দাঁড়িয়ে যায়। তারপরও দেখে আগুনের
মত চোখ দুটো খগেনের দিকেই এগিয়ে আসছে। যত এগিয়ে আসছে চোখ দুটো থেকে গনগনে লাল
আগুন যেন টিকরে বেরুচ্ছে।
 তাই দেখে খগেন ভাবে আর বোধহয় আমার বাড়ি ফেরা হবে না। আজকেই আমার জীবনের
শেষ দিন।
আর একটু অপেক্ষা করতেই দেখে বাড়ির কাজের লোক ভোলা এগিয়ে আসছে। আরে! ভোলা? তুই
এতরাতে কোথায়…..?
 ভোলাকে দেখে খগেন আনন্দে আত্মহারা।
 – ভোলা বলে – আমি-ত ষ্টেশনে আপনাকে আনতে যাচ্ছিলাম। বৌদি বলল – তোর দাদার
আজকে আসার ছিল। এখনো- ত এলো না? বৌদি তোমার জন্য খুব চিন্তা করেছে। তাই
তাড়াহুড়ো করে চলে এলাম। বাড়ি থেকে ছাতা আর টর্চ লাইট টা- ত আনতে পারতিস?
– তাড়াহুড়ো করে ছাতা টর্চ লাইট-টা আনতে ভুলে গেলাম।
– যাক! এখন বৃষ্টি থেমে গেছে, তোকে পেয়ে আমার ভয়টা কাটল। এখন আমার কত আনন্দ
লাগছে, তোকে বোঝাতে পারবো না। তুই সত্যিকারের  আমার অসময়ের বন্ধু।
 বাড়ির সব খবর ভালো – ত?

ভয়ের গল্প

 – হাঁ! দাদা! বাড়ির সব খবর ভালো। আসুন! আমি আগে আগে হাঁটি। আপনি আমার
পিছনে পিছনে আসুন। রাস্তায় অনেক গর্ত গেঁড়ে আছে-ত ! তাই আপনি আমাকে দেখে
পিছনে পিছনে……!!
– খগেন ভোলাকে অনুসরণ করে পিছনে পিছনে হাটতে শুরু করে। দুজনেই কথা বলতে বলতে
বাড়ির দিকে এগিয়ে চলে।
 – খগেন জিজ্ঞেস করে – ভোলা? তোর কথা গুলো এত ভাড় ভাড় লাগছে কেন? গলার
আওয়াজটাও কেমন যেন জরিয়ে যাচ্ছে। সর্দি কাশি হয়েছে নাকি?
 – না!না! ঐ একটু…..!
 – যাইহোক! কালকে ডাক্তার দেখিয়ে আসবি। যা পয়সা খরচ হয় আমি দেব।
 – আপনি – ত ভগবান তুল্য মানুষ। সে জন্যেই-ত আমি তাড়াহুড়ো করে আপনাকে
এগিয়ে নিতে চলে এলাম। যাইহোক আমার ছেলে বৌটাকে একটু দেখবেন, যেন দুবেলা দুমুঠো
খেতে পায়।
 –  আমি যতদিন আছি তুই চিন্তা করিস না। আমি সবসময়ই তোদের পাশে
আছি।
 – ঐ জন্যই-ত  আমি ছুটে চলে এলাম যাতে আপনার কেউ কোন ক্ষতি করতে না
পারে।
আজকের দিনটা যে একদমই ভালো না। তাই আমি…..!!
 – কেন! কি হলো?
 – ঐ দেখছেন না? কেমন দূর্যোগের রাত?
 – তা – যা বলেছিস!
 কথা বলতে বলতে একটু এগিয়ে আসতেই খগেন দেখে এক ঝাঁক জলন্ত চোখ ওদের দিকে
এগিয়ে আসছে। ভোলা…! ঐ দেখ…! কত গুলো জলন্ত চোখ আমাদের দিকে এগিয়ে
আসছে।

True Bhuter Golpo

ভোলা হাঁটতে হাঁটতে বলে – ও কিছু না,” শিয়াল গুলো দল বেঁধে রাস্তা পার হচ্ছে।”
রাতে ওদের চোখগুলো লাইটের মত জ্বলে।  তাই দেখে খগেন চমকে উঠে বলে –
বাপরে! বাপ….! একলা পেলে-ত আমাকে ছিঁড়ে খেত?
 – দেখছেন-ত? গভীর রাতে কত রকমের জন্তু জানোয়ার…..!! আমি থাকতে আপনাকে
বিপদে পড়তে দেব না।
 – খগেন বলে – আজকে তুই আমাকে বড় বিপদ থেকে বাঁচালি। কথা বলতে বলতে
বাড়ির কাছাকাছি আসতেই, ভোলা বলে – অনেক রাত হয়ে গেল আপনি বাড়িতে ঢুকে
যান।
 – তুই ভিতরে আয়। বৌদির সঙ্গে একটু দেখা করে যা? এখন আর যাব না, কাল
সকালেই চলে আসব।
অনেক রাত হয়ে গেল, বাড়িতে ছেলে বৌ আমার অপেক্ষায় আছে। তাহলে, তুই একটু
দাঁড়া আমি টর্চ লাইট -টা এনে দিই।
আরো পড়ুন,
 
খগেনকে বাড়িতে আসতে দেখেই স্ত্রী – গৌরী দেবী একটু এগিয়ে এসে বলেন – আরে…!
তুমি এই দূর্যোগ রাতে ঐ ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে একা একা এলে কি করে?
 – কেন? ভোলা -ত আমাকে আনতে ষ্টেশনে গেছিল।
 – ভোলা…..?
– খগেনের কথা শুনে গৌরী দেবীর বাক স্তব্দ হয়ে যায়। গৌরী কিছু কথা বলতে যাবে,
এমন সময় খগেন গৌরীর মুখটা থামিয়ে বলে – কথা না বাড়িয়ে, টর্চ লাইট -টা একটু
তাড়াতাড়ি এনে দাও।
– কেন? এখন টর্চ লাইট-টা নিয়ে তুমি কি করবে? ঐ-যে ভোলা বাইরে দাঁড়িয়ে
আছে।
 – ভোলা বাইরে দাঁড়িয়ে আছে শুনে গৌরী দেবী ভয়ে কাঁপতে থাকে, গায়ের লোম
গুলো খাঁড়া হয়ে যায়।
গৌরী ভয় কাটিয়ে কিছু বলতে যাবে, এমন সময় খগেন গৌরীকে আবার ধমক দিয়ে বলে,
দাও! দাও! তাড়াতাড়ি টর্চ লাইট-টা দাও। ভোলা এই রাতে একা একা অন্ধকারে বাড়ি
যাবে কি করে?
তাই টর্চ লাইট – টা….! টর্চ লাইট-টা নিয়ে বাইরে বেড়িয়ে দেখে, ভোলা সেখানে
আর নেই। আরে…..! ভোলা গেল কোথায়? ভোলাকে দেখতে না পেয়ে খগেন হতাশ হয়ে ফিরে
আসে।
 – গৌরীদেবী এগিয়ে এসে বলেন – তুমি কি জানো না? আজ শনিবার,ঘোর অমাবষ্যা।
ঐ ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে একলা একলা….? তাছাড়া এদিকে একটা বড় অঘটন ঘটে
গেছে।
–  বড় অঘটন?
–  হ্যাঁ! গত পরশু ভোলা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমি অনেকক্ষন
থেকে তোমাকে এই কথাটাই বোঝানোর চেষ্টা করছি, কিন্তু তুমি শুনতে চাইছো- না।
– সে-কি….? ভোলা তাহলে….? খগেন মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ে, কিছুক্ষনের জন্য
বাক শক্তি হারিয়ে ফেলে। তারপর খগেন নিজেকে সামলে নিয়ে বলে – তা- হলে! ভোলার
অশরীরী আত্মাই কি…..? স্ত্রীর গৌরী দেবীর মুখে টাটকা কথা গুলো শুনে, খগেনের
শরীরে একটা শিহরণের ঢেউ খেলে যায়। শরীরের লোম গুলো খাঁড়া হয়ে যায়, শরীরটা
থরথর করে কেঁপে ওঠে।
ঝর ঝর করে ঘাম ঝরছে শুরু করে। খগেনের এই অবস্থা দেখে স্ত্রী- গৌরী দেবী সঙ্গে
সঙ্গে এক গ্লাস জল এগিয়ে দেয়। রাতে কিছু না খেয়ে, জলটা খেয়ে ক্লান্ত শরীর
নিয়ে খগেন বিছানায় শুয়ে পড়ে। ভোর রাতে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর। জ্বর আর থামতে
চায় না। পরের দিন ডাক্তার বাবু এসে ওষুধ দিয়ে গেলেন।
 – ডাক্তার বাবু বললেন ভয়ের কিছু নেই। ওষুধ গুলো সময় মতো খাওয়াবেন,দিন
তিনেক পর সব ঠিক হয়ে যাবে।
দু- দিন পর খগেনের জ্বর কমে গেল। খগেন, স্ত্রী গৌরী দেবীকে বলে – তাহলে কি
ভোলার অশরীরী আত্মাই…..!!
 – হ্যাঁ! হ্যাঁ! শনিবার ঐ ঘোর অমাবস্যার রাতে ভোলার অশরীরী আত্মা ছাড়া
আর কিছু নয়।
 – জান- ত ভোলার স্পষ্ট অনুরূপ প্রতিকৃতি।ছায়া মূর্তি বলে মনে হয় নি।
ভোলা সেই লুঙ্গি আর সাদা হাত কাটা ফতুয়া টাও পড়ে ছিল। অশরীরী আত্মার কোন
উপসর্গ দেখা যায় নি, ভোলার ঐ ছায়ার মূর্তিতে।
এখন বুঝতে পারছি, স্বাভাবিক মানুষের চোখ ঐ রকম গনগনে লাল হয় না, কথা গুলোর
মধ্যেও আরষ্টতার ভাব ছিল, ভাবলাম সর্দি কাশি….তাছাড়া ও জানলো কি করে?
আমি আজ বাড়িতে আসছি। আজকের দিনটা ভালো না, সেটাও ভোলার আত্মা আমাকে মনে করিয়ে
দেয়।
বলে – বৌদি আপনার জন্য খুব চিন্তা করেছে, আপনার বিপদ আছে বুঝে চলে এলাম।
রাস্তায় যে এক ঝাঁক গনগনে লাল জলন্ত চোখ দেখলাম ওগুলো অশরীরী আত্মার জ্বলন্ত
চোখ। ওগুলো অশরীরী আত্মার ছায়া।
অশরীরী আত্মা গুলো অমাবর্ষ্যা রাতে ওঁরা কেউ বাড়িতে থাকেন না। ওঁরা অমাবস্যা
রাতে ঝাঁকে ঝাঁকে এক জায়গায় মিলিত হয়ে আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন। ঐ সময় মানুষ
যদি বাধা হয়ে দাঁড়ায় বা কেউ সামনে পড়ে যায় তাহলে তার আর রক্ষে নেই।
তাহলে কি! ঐ অমাবস্যা রাতে ঝাঁকে ঝাঁকে অশরীরী আত্মা গুলো,”আমার ক্ষতি করতে
আসছিল?”
– হ্যাঁ! হ্যাঁ! ভোলার আত্মা-ত তাই-ই বলে। তোমার এই ঘোর বিপদ দেখে, ভোলার ঐ
অশরীরী আত্মা তোমাকে রক্ষা করতে ছূটে চলে এসেছিল ষ্টেশনে। ভোলার আত্মায় তোমাকে
রক্ষা করেছে।
সমাপ্ত।

Share This Article