এতদিনে আমরা প্রায় সবাই 12th Fail দেখে ফেলেছি হয় OTT তে, নইলে হল এ (এই সংখ্যা টা unfortunately খুব কম) আর নইলে রিসেন্টলি দেওয়া Youtube এ।
সিনেমাটা প্রত্যেকের দেখা উচিত শুধু তাই নয়, আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে ছবিটি থেকে। আমি অভিনয়, গল্প, পরিচালনা কিছু নিয়ে কথা বলবো না, কারণ আমার কাছে এই সমস্ত ফিল্ড এই সবাই ১০/১০। আমি কথা বলবো এই সিনেমার একটা চরিত্র নিয়ে। গৌরী ভাইয়া!
12th Fail Movie Motivation
চম্বলের মনোজের এই যুদ্ধটা কিন্তু গৌরী – ভাইয়া না থাকলে জেতাই হতো না। জীবনে যেমন একটা শ্রদ্ধার দরকার, তেমনি একটা গৌরী ভাইয়ারও দরকার এমন যুদ্ধ জেতার জন্য।
শ্রদ্ধা অত্যন্ত সুন্দর একটা চরিত্র। সেও টাকা দিয়ে হেল্প করতে চেয়েছে মনোজ কে, নিজে চাকরি পাওয়ার পর; নিজের লক্ষ্যে স্থির থেকে সেও স্টেট সিভিল সার্ভিস উত্তীর্ণ হয়েছে, শুরু থেকে লেগে থেকেছে মনোজ এর পেছনে, কখনো বিশ্বাস হারায়নি নিজের ভালোবাসার ওপর, মনোজের ওপর, ১০ বছরের প্রশ্নপত্র দিতে এসে পড়ার সময় নষ্ট না করে দুটি কথা বলেই চলে গেছে। আরো অনেক অপূর্ব সিন রয়েছে ভালোবাসার, বিশ্বাস আর স্বার্থত্যাগের। ছোট ছোট বিষয় জাস্ট দারুন। কিন্তু তবু বলছি, শ্রদ্ধা কে ছোট না করেই। মনোজ শ্রদ্ধার প্রেমিক। সে তাকে বিয়ে করতে চায়, খুব ভালোবাসে!
কিন্তু গৌরী ভাইয়ার কি স্বার্থ? নিজের সামান্য টি স্টল চালিয়ে এক অনাত্মীয় ছেলেকে নিজের ঘরে দিনের পর দিন রেখে , তার পড়াশোনার সব দরকার মিটিয়ে, নিজের সাধ্যমত তাকে পড়িয়ে। (১ পয়সা না নিয়ে) নিজের উপার্জনের টাকা ছেলেটির বাড়িতে গোটা একটা বছর ধরে পাঠানোর? কি দরকার মনোজ কে আটার কলে কাজ করতে কিছুতেই দেবে না বলে জোর করা? নিজে ৬ বার অকৃতকার্য হয়েও মনোজ কে ছোট ভাই এর মত স্নেহ দিয়ে, মাথার ওপর ছাদ দিয়ে, খাবার দিয়ে, তার বাড়িতে টাকা পাঠিয়ে এত উপকার করার? আর লাস্ট এর ওই Pep talk টা? গলার কাছে কান্না দলা পাকিয়ে উঠছে যেটার কথা ভেবে?
TVF Aspirant এর কথা বারবার মনে পড়ছিল, আর সন্দীপ ভাইয়ার করুণ মুখটা চোখের সামনে ভেসে উঠছিল।
বিধু বিনোদ কে ১০/১০। পরিচালনা, প্রযোজনা, ওমন নিপুণ মুন্সিয়ানায় গল্প বলা আর হ্যাঁ, খুব গুরুত্বপূর্ণ: গালাগালির বন্যা না বওয়ানোর জন্য (যেটা আজকালকার টিভি সিরিজ এ মাস্ট হয়ে গেছে।)
নিউ ইয়ার রেজোলিউশন
নতুন বছরে পারলে আমরা মনোজ এর মত positively জেদ দেখাই, শ্রদ্ধার মত ভালোবাসি, পাশে থাকি, মনোজের গ্রামের ছোট্ট দোকানের দোকানি, মনোজের পাড়ার বন্ধুর মত অন্যের খুশি তে স্বার্থহীন ভাবে খুশি হই, দাদীর মত ফলের আশা না করে নিজের সবটুকু বিলিয়ে দিয়ে স্নেহ করি, আর …
পারলে অন্তত একজনের জীবনের গৌরী ভাইয়া হই.. কোনো অনাত্মীয় কে পরমাত্মীয় বানিয়ে নিই!
জেতার আনন্দ তাতেও কিছু কম না, সে তো চোখের জলই বলে দেয়…
আরো পড়ুন,
বুদ্ধদেব গুহর উপন্যাস অবলম্বনে ভালোবাসার ছবি ‘বাবলি’ নিয়ে আসছে রাজ – শুভশ্রী
বাংলা পাচ্ছে প্রথম অমৃত ভারত এক্সপ্রেস, ভাড়া মাত্র ৯২৫ টাকা, জানুন বিস্তারিত