গরু সোনা পাঁচার এখন অতীত, ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে পাঁচার হচ্ছে বস্তাবন্দী এই জিনিস!

sudiproy877
4 Min Read

ভারত – বাংলাদেশ বর্ডার চিরকালই পাচার চক্রের আঁতুড়ঘর। বিভিন্ন সময়ে গরু কিংবা অন্যান্য জিনিসকে কেন্দ্র করে পাচারের কথা বারংবার উঠে এসেছে । প্রশ্নের মুখে পড়েছে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (BSF) এর কার্যকারিতা নিয়ে ও।
বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে কে না চেনেন ? গরু পাচার চক্রে তিনি আজ জেলে ।
সে গরু পাচার চক্র এখন অতীত । এখন কাঁটাতারের ওপারে বস্তা বস্তা পাচার হচ্ছে অন্য জিনিস । সন্ধ্যে নামলেই সীমান্ত প্রহরীদের নজর এড়িয়ে কখনো সাইকেলের পেছনে কখনো আবার মাথায় করেই বস্তায় বস্তায় পাঁচার হচ্ছে । এক বস্তা পাচার করতে পারলেই 2 থেকে 3 হাজার টাকা পকেটে । ব্যাস, আর কি চাই ? সন্ধ্যে নামলেই ভির জমছে এই ব্যাবসায়ীদের ।

ভাবছেন, কি এত পাচার হচ্ছে তাও আবার বস্তাবন্দী হয়ে ?
নাহ, আপনি এতক্ষণ যা যা ভাবছেন তার একটাও নয়।
বস্তাবন্দী হয়ে পাচার হচ্ছে পেঁয়াজ । হ্যাঁ, ঠিক পড়েছেন গরু – সোনা এখন অতীত বস্তায় বস্তায় এখন ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার হচ্ছে সোনা ।
বর্তমানে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম আকাশ ছোঁয়া । 150 থেকে 200 টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে বাংলাদেশ বাসীকে । আর এই সুযোগকে ই কাজে লাগাচ্ছেন ভারতের সীমান্তবর্তি বেশ কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী । গরু পাচার করাটা বেশ ঝুঁকিপূর্ন । একে তো গরু পাচার করতে সময় লাগে অনেক, তাছাড়া বিএসএফ দের হাতে ধরা পড়লে…বাকিটা ইতিহাস ।
সেই তুলনায় পেঁয়াজের পাচার কিন্তু অনেক কম ঝুঁকিপূর্ন ।
অল্প সময়ে পেঁয়াজের বস্তা পাচার করা সম্ভব । তাছাড়া ধরা পড়লেও আইনি জটিলতা কিংবা আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ তুলনায় অনেক কম।

একেতো শীতকাল, তাই সন্ধ্যে নামলেই চারিদিক থেকে ধেয়ে আসে কুয়াশার ঘেরাটোপ । সেই সময়ে দূর থেকে কিছুই দেখতে পারছেন না ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর জাওয়ানরা। এই সুযোগ কেই কাজে লাগিয়ে হাত বদল হচ্ছে পেঁয়াজের বস্তা ।

আরো পড়ুন, মন ভালো করার গল্প, অসাধারণ অভিনয়ে অ্যানিমাল ঝড়েও দর্শকমহলে প্রশংসিত Nani – Mrunal

চোখ ধাঁধানো লুক, দূর্দান্ত ফিচারের এই বাইকগুলো পাওয়া যাচ্ছে কম দামে!

বাংলাদেশে যখনই কোন জিনিসের অভাব দেখে যায়, তখনই ভারত থেকে সেই জিনিস পাচারের চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে । বস্তুত, ভারতীয় Director General Of Foreign Trade (DGFT) কিছুদিন আগেই এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, ভারত থেকে আগামী বছরের 31 সে মার্চ পর্যন্ত কোন পেঁয়াজ রপ্তানি করা যাবে না।
কার্যত, সেই বিজ্ঞপ্তি কে বুড়ো আগুল দেখিয়ে পেঁয়াজ পাচার চলছে পুরোদমে ।
মুর্শিদাবাদ থেকে নদীয়া কিংবা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গার পেঁয়াজ ব্যাবসায়ীরা জানিয়েছেন, সন্ধ্যে হলেই দেখতে পাচ্ছি কিছু অচেনা মানুষজন বস্তায় বস্তায় পেঁয়াজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন আমাদের থেকে । কিন্তু এই ব্যাপারে আমরা কোন জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন মনে করিনি, কারণ এতে আমাদের লোকসান হওয়ার আশঙ্কা । ব্যাবসা ভালো হচ্ছে এতে ই খুশি আমরা ।
এই পেঁয়াজ পাচারের কথা জানে শুল্ক দফতর ও। তাই তাদের পক্ষ থেকেও সক্রিয়তা বাড়ানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর । কিন্তু ওই যে কথায় আছে না, যে সর্ষের মধ্যেই তো ভূত। যতদিন এই ভূত না ওঝা দিয়ে তাড়ানো হচ্ছে ততদিন পেঁয়াজ হোক কিংবা সোনা অথবা গরু । পাচার চক্র সক্রিয় থাকবেই ।

আরো পড়ুন,

73 তম জন্মদিন সেলিব্রেট করলেন রজনীকান্ত, কেক কাটলেন পুরো পরিবারের সাথে, রইলো ছবি

রাতারাতি জাতীয় ক্রাশ তৃপ্তি, অ্যানিমালের বোল্ড সিন কিভাবে বদলে দিয়েছে তার জীবন? রইলো তার তথ্য

Share This Article