কনকনে শীতে নলেন গুড়ের পায়েশ। ক্লাসিক। সেই ছোটোবেলা থেকেই খেয়ে আসছি কিন্তু এখনো স্বাদ একই রয়ে গেল। এই গল্পটাও এমন। যখনই রাঁধুন জিভে থুড়ি মননে রেশটা রয়েই যাবে। কবিগুরুর গল্পে ফাটিয়ে পারফরম্যান্স দিয়েছেন মহাগুরু। হাফপ্যান্ট ফাটাকেষ্ট তাঁর জলঢোড়ার খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে এসে যে খেলাটা দেখালেন সেটা ক্লাসিক হয়ে থাকবে। বাঙালীর মনে আরেকখানি কাবুলীওয়ালা যে জায়গা করে নেবেই এটা বলাই বাহুল্য।
Kabuliwala Movie Review
মিনির ভূমিকায় যে ছোট্ট কন্যাটি তার কথা আর কি বলি। প্রাণবন্ত একদম। কোনোরকম নেকামো নেই, নেই মেকী পাকামো। ও যেন প্রত্যেকটি বাড়ির ছোট্ট ফুটফুটে চঞ্চল সন্তানের প্রতিমূর্তি। শুধু ওর জন্যই যেন সিনেমাটি বার বার দেখা যায়। মিনির বাপ মা ব্যোমকেশ সত্যবতী, মানে আবির সোহিনী বেশ মিষ্টি। মেয়ের প্রতি চিন্তা, হারিয়ে যাওয়ার ভয় যেভাবে সোহিনী মুখে ফুটিয়েছেন সেটা এখনো চোখে লেগে আছে। আর আবির তো বরাবরই আমার ফেভারিট। স্ক্রীনে পেলেই গুছিয়ে বসি। এখানেও তিনি নিরাশ করেননি।
Kabuliwala Bengali Movie Cast
- Mithun Chakraborty
- Sohini Sarkar
- Abir Chatterjee
- Rupam Bag
একজন বাবার চরিত্র চিরকালীন। দেশ কাল পাত্র ভেদে তার রূপ একই। এই বয়সে এসেও মিঠুন যা করে দেখালেন অনায়াসেই। চোখে মুখে স্নেহের আকুতি, মেয়েকে ছেড়ে থাকার যন্ত্রণা যেভাবে তিনি চোখে মুখে ফুটিয়েছেন তা দেখে চোখে জল আসতে বাধ্য। প্রতিমুহূর্তে একজন বাবা হিসেবে নিজেকে খুঁজে পাওয়া যায়। এবার বড়দিনে যেসব সিনেমা রিলিজ করেছে তারমধ্যে এটাকেই আমি এগিয়ে রাখবো সবার আগে। গানের ব্যবহারও যথাযথ। লাষ্টে অরিজিতের গান ক্রেডিট সিনেও সিটে আটকে রাখে।
⭐ Rating (রেটিং):- সব সিনেমার রেটিং হয়না। এটা ক্লাসিক। এই প্রজেক্টে হয়তো সব পারফেক্ট নয়। কিন্তু থাকনা সেসব। ভোগপ্রসাদের মত এটাও মোটের ওপর টেষ্টি। ভুল ধরতে নেই। মাত্র ১ঘন্টা৪৬ মিনিটের সিনেমা। একটু সময় বের করে দেখেই আসুন। ভালো লাগবে। ❤️
Kabuliwala Bengali Movie Watch Online
Performence
এই মুহূর্তে শেষ চার পাঁচটি হিন্দি সিনেমা এমন ঝর তুলেছে যে সেখানে বাংলা সিনেমার হারিয়ে যাবারই কথা।
সাকুল্যে দুটোর বেশি রিভিউ দেখিনি কাবুলিওয়ালার …
হলে দশ – পনের জনের বেশি দর্শক নেই (আমি যে শো টি দেখলাম) ভালো বাংলা সিনেমা – হ্যা ভীষণ ভালো বাংলা সিনেমা … না দেখলে বিরাট মিস হবে – এরকম সিনেমা এটি।
গল্পে আলাদা কিছু বলার নেই, সবাই জানেন।
এর আগে এই গল্পে দুজন প্রবাদ প্রতিম অভিনেতা অভিনয় করে গেছেন – অসামান্য অভিনয় বলার অপেক্ষা রাখেনা। মিঠুন দাদা একটা নতুন মাত্রা যোগ করেছেন ।
কাহিনী স্বয়ং গুরুদেবের – কাজেই বলাই বাহুল্য তার বলিষ্ঠতা বা প্রাসঙ্গিকতা।
সময়ের প্রয়োজনে সামান্য কিছু বদল – পরিবেশনের ভাবনায় কিছু নতুনত্ব – না কোথাও কিছু খাপছাড়া লাগেনি, বরং বেশ ভালো কাজ মনে হয়েছে।
অভিনেতারা সবাই মিলে দারুন কাজ করেছেন।
মিঠুন চক্রবর্তী র প্রথম পাঁচটি চরিত্রের মধ্যে অবশ্যই এটি থাকবে।
ভয়েস মডুলেশন, ইমোশন, স্মাইল, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ…. চোখ ফেরানো যায়না, এমন কাজ।
গান একটি ব্যাবহার হয়েছে, না হলে ক্ষতি ছিলনা। আবহে দুটি গান ব্যাবহার হয়েছে – ভালো গান, তবে একটা অন্তত রবীন্দ্র সংগীত থাকলে বোধহয় ভালো হতো।
আরো পড়ুন,
Dunki Movie: দর্শকদের কেন অপছন্দ হলো শাহরুখ-হিরানি জুটির ‘ডাঙ্কি’ ? জানুন আসল তথ্য
58 বছর বয়সে তৃতীয়বার বিয়ে করলেন অভিনেতা রণিত রায়, ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়