হার্ট ভালো রাখার উপায়: সমগ্র মানুষের মধ্যে মস্তিষ্ক এবং হৃৎপিণ্ড বা হার্টের বিষয়ের উপর চিন্তা-ভাবনা বেশি হয়ে থাকে। শরীরের এই অঙ্গগুলির মধ্যে যেকোনো একটি অঙ্গ অকেজো হয়ে পড়লে মানুষের জীবন খুব বিপন্ন হয়ে পড়ে। নানা ধরনের গবেষণায় রোগ বিবেচনার মধ্যে দিয়ে হার্টকে সুস্থ রাখার পদ্ধতির পরিকল্পনা করা চলছে। তবে গবেষণার মাধ্যমে শত শত বছর ধরে অনেক উপায় জানা গেছে,এর মধ্যে মেনস হেলথ ডটকম প্রায় বেশ কিছু উপায়-এর উপর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
হার্ট ভালো রাখার উপায়
দূষিত বায়ুকে এড়িয়ে চলা উচিত:-
এখনকার সময়ে তুলনামূলক ভাবে বলা যায়,বিশ্বে দূষিত বায়ুর পরিমাণ আগের সময়ের তুলনায় বেড়েছে। আগের সময়ের তুলনায় আবহাওয়াবিদদের মতে,শীতকালে সকালের বাতাসে দূষিত পদার্থ বেশি পরিমানে থাকে। সেজন্যেই বলা হয় দূষিত বায়ুকে এড়িয়ে চলার জন্যে মাস্ক ব্যবহার করা খুবই জরুরি।
শিম ও বরবটির উপকারিতা:-
কলাই অথবা আলু-এই ধরণের শস্য জাতীয় খাবারের চেয়ে গুটি যুক্ত ফসল,যেমন- শিম ও বরবটির মতো বিভিন্ন ধরণের ফসল খেয়ে রাখার প্রয়োজন প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে রয়েছে কারণ,গুটি যুক্ত ফসল রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
দুর্বল হার্ট সবল করার উপায়
মুঠোর ব্যায়াম-এর উপকারিতা:-
এই মুঠোর ব্যায়ামের মাধ্যমে মানব দেহের রক্ত সঞ্চালন পক্রিয়া স্বতঃস্ফূর্ত হয়। এমনকি একটানা এক মাস ধরে এই মুঠো সঞ্চালন-প্রসারণ ব্যায়াম করে থাকলে রক্তচাপ কমে থাকে। তবে এই প্রসঙ্গে,হাইপারটেনশন জার্নাল জানিয়েছে,এই মুঠোর ব্যায়ামের মাধ্যমে রক্তচাপের সমস্যায় ভুক্ত রোগী তার শরীরের রক্তের ঊর্ধ্বচাপ প্রায় ১০ শতাংশ কমিয়ে আনতে পারেন।
কি খেলে হার্টের রোগ ভালো হয় ?
আখরোট-এর কার্যকারিতা:-
আখরোট হল একধরণের ফল,যার মধ্যে অনেক কার্যকরী গুনাগুন রয়েছে। এজন্যে বলা হয়ে থাকে,সর্বত্র মানুষ যদি প্রতিনিয়ত কিছুটা পরিমান আখরোট-জাতীয় ফল খেয়ে থাকেন তাহলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে ওঠে। এছাড়া আখরোট-জাতীয় ফলে রয়েছে ওমেগা-৩ নামের চর্বি,যা মানব দেহে বিভিন্ন ধরনের প্রদাহের বিরুদ্ধে ক্ষমতা সম্পন্ন হয়ে শরীরের দূষিত রক্ত নিয়মিত পরিসঞ্চালিত করে হার্টের গতি স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
হার্ট ভালো রাখার ঘরোয়া উপায়
ডিম্ খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা:-
ডিম্ খেলে মানুষের শরীরে অনেক উপকার হয়,কিন্তু কখনোই কোনো কিছু খাবার একসঙ্গে অতিরিক্ত পরিমানে খাওয়া উচিত নয়,কারণ একসঙ্গে অতিরিক্ত পরিমানে ভিটামিনের ফলে মানুষের শরীরে কোনো রকম ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। যেমন- বেশি পরিমান ডিম্ খাওয়ার ফলে শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যায়।
হার্ট ভালো রাখার ব্যায়াম
নিয়মিত ব্যায়াম:-
প্রতিনিয়ত ব্যায়াম করা হল যেকোনো মানুষের হার্টের সমস্যার ক্ষেত্রে খুবই উপকারী একটা দিক। প্রত্যেক হার্টের রোগীদের জন্যে চিকিৎসকরা উপদেশ দিয়ে থাকেন,প্রত্যেকদিন নিয়মকরে কমপক্ষে তিন কিলোমিটার করে পথ যদি জোরে হাঁটা যায় অথবা দৌড়ানো যায়,তাহলে হার্ট সুস্থ থাকার সম্ভাবনা থাকে। তবে দৌড়ানোর আগে এবং শেষে হার্ট রেটের সংখ্যা লিপিবদ্ধ করার উপদেশ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
Nutrition Balanced Diet: ব্যালেন্স ডায়েট কি? জানুন সুষম খাদ্যতালিকা ও ডায়েট চার্ট
অবসাদ থেকে দূরে থাকা:-
বিশেষ করে হার্টের রোগীদের ক্ষেত্রে অবসাদ অর্থাৎ ক্লান্তির অনুভবকে দূরে করা উচিত।এজন্যে ক্লান্তির সময় মাঝেমধ্যে নিজের কোনো পছন্দের কাজের উপর গুরুত্ব দেওয়া দরকার। সুইজারল্যান্ডের এক গবেষণা জানিয়েছে,অবসাদ দূর করার মাধ্যম হৃদযন্ত্রের সংকট থেকে মানুষকে প্রায় ৫৭ শতাংশ রক্ষা করতে সক্ষম হয়।
নীরব পরিবেশে থাকুন:-
হার্টের রোগীদের সমস্যার সঙ্গে যেকোনো উচ্চ ডেসিবেলের শব্দের যথেষ্ট সংযোগ রয়েছে। হার্টের সমস্যার দিক থেকে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন,বাড়ি থেকে দূরত্বে প্রায় প্রতি ১০ ডেসিবেল শব্দের মাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রায় রোগীদের হার্ট এটাকের পরিমাণও প্রায় ১২ শতাংশ হারে বৃদ্ধির পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
মসলা হিসাবে দারুচিনির ব্যবহার:-
মানুষের শরীরের হার্টের সমস্যার পক্ষে দারুচিনির ব্যবহার অতুলনীয়। দারুচিনির গুনাগুন হৃৎপিণ্ডকে সতেজ করে তুলতে যথেষ্ট সাহায্য করে। সারাদিনে দুইবেলা যদি দুই চা চামচ দারুচিনি খাওয়া হয় তবে,মানুষের শরীরের রক্তে শর্করার পরিমাণ কমতে থাকে। ফলে হার্ট সুস্থ থাকার সম্ভাবনা থাকে।
আরো পড়ুন,
সিজার নাকি নরমাল ডেলিভারি কোনটা ভালো মা ও বাচ্চার জন্য ? জেনে নিন সবকিছু
7 দিনে চুলের খুশকির সমস্যা দূর করুন চিরতরে, জেনে নিন সহজ ঘরোয়া টিপস