Nutrition Balanced Diet Chart – সুস্বাস্থ্যের জন্য খাদ্য তালিকা
প্রত্যেক বাঙালিরা খেতে খুব ভালোবাসে,,, এটা তো অস্বীকার করার উপায় নেই…. সুস্বাদু খাবার সামনে পেলে আমরা ভুলে যাই সুষম খাদ্যের বিষয়টি। জানেন কি পরিশ্রম এবং বয়সের ওপর নির্ভর করে আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা,,,
আসুন সপ্তাহের সাত দিনের একটি খাদ্য তালিকা তৈরি করি আপনাদের সুবিার্থে…আগে জেনে নিন সুষম খাদ্য কি বা কাকে বলে.?.?.?
ব্যালেন্স ডায়েট চার্ট
সুষম খাদ্য (Balance diet)
যে খাদ্যের মধ্যে মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় সকল খাদ্য উপাদান পরিমাণমত বর্তমান থাকে, তাকেই এক কথায় সুষম খাদ্য বলা হয়। মানবদেহের প্রয়োজণীয় ও পরিমাণমত ছয়টি উপাদানযুক্ত খাবারকেই সুষম খাদ্য হিসেবে ধরা হয়। এটি দেহের চাহিদা অনুযায়ী পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের যোগান দেয়। এটা ব্যক্তির দেহে প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানের অভাব মেটায়।
সুস্থ থাকার প্রধান নিয়ামক সুষম খাবার। খাবারে শর্করা, আমিষ, চর্বি, ভিটামিন ও খনিজ লবণ পরিমাণমতো থাকলে সেই খাবারকে সুষম খাবার বলা হয়।
সুষম খাদ্য তালিকা
দিনে তিনবার—সকাল, দুপুর ও রাতে পরিমাণমতো খাবার খেতে হবে।
Importance Of Balanced Diet
সকালের খাবার
দিনের শুরুর জন্য সকালের খাবার খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিনতু অনেকে এটি স্কিপ করা যায়…সারা রাত ঘুমিয়ে থাকার পর সকালে পাকস্থলী খালি থাকে। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে তাই খাবার খেতে হবে। খালি পেটে থাকা যাবে না। নয়তো আমাদের শরীর এ বিভিন্ন রোগের বাসা বাদতে থাকে।। খেতে পারেন রুটি, পরোটা, খিচুড়ি, পাউরুটি কিংবা মুড়ি।
পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা
দুপুরের খাবার
সকালের খাবার ৯/১০ টার মধ্যে খেয়ে নিলে দুপুরের খাবার ২টার মধ্যে খেয়ে নেওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। দুপুরে এক কাপ ভাত সঙ্গে ডাল, ডিম কিংবা এক থেকে দুই টুকরা মাছ অথবা মাংস ও সবজি খেতে হবে। এতেই শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে।
তার ১ ঘণ্টা পর ফল খেতে পারেন।।
রাতের খাবার
রাতে অনেকের মধ্যে খাবার কম খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। রাত ৮- ৯ টার মধ্যে রাতের খাবার খেতে হবে। রাতের খাবারে এক কাপ ভাত কিংবা রুটির সঙ্গে ডাল, ডিম কিংবা এক থেকে দুই টুকরা মাছ অথবা মাংস ও সবজি খেতে হবে। অনেকে দিনের পর দিন মাছ-মাংস থেকে দূরে থাকে এতে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যায়। শরীরে শক্তি কমতে শুরু করে।
গর্ভবতী মায়ের সুষম খাদ্য
খাদ্য সামগ্রী পরিমাণ
১। ভাত/রুটি ২৬০ গ্রাম
২। টাটকা শাক ১২০ গ্রাম
৩। সবজি ৮০ গ্রাম
৪। ডাল (মসুর) ৪০ গ্রাম
৫। ছোট মাছ/মাংস
৬। মৌসুমী ফল
৭। দুধ
৮। ডিম
কিশোরীদের সুষম খাদ্য তালিকা
১! প্রোটিন জাতীয় খাদ্য শ্রেনীঃ মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ডাল, সীমের বীজ, বাদাম ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তির মাথাপিছু দৈনিক ৫০ থেকে ৭০ গ্রাম প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। তবে বিশেষ করে বাড়ন্ত ছেলে-মেয়ে, গর্ভবতী মহিলা এবং স্তন্যদায়ী মায়ের খাদ্যে প্রতিদিন অবশ্যই কিছু প্রাণিজ প্রোটিন থাকা উচিত।
সুস্বাস্থ্যের জন্য খাদ্য তালিকা
২। শস্য জাতীয় খাদ্যঃ চাল, গম, ভুট্টা, আলু, এবং চাউল ও গম থেকে তৈরি ভাত রুটি, চিড়া, মুড়ি, খই ইত্যাদি এই শ্রেনীর অন্তর্ভূক্ত। দেহের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালরির অর্ধেকেরও বেশি শস্য জাতীয় খাদ্য থেকে পাওয়া যায়।।
৩। শাক-সবজি ও ফল জাতীয় খাদ্য শ্রেনীঃ শাক-সবজি ও ফলমূল আমাদের দেহে ভিটামিন ও ধাতব লবণের চাহিদা পূরণ করে থাকে। উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে প্রাপ্ত যাবতীয় শাক-সবজী অন্তর্ভূক্ত থাকতে হবে।।।দেহকে সুস্থ্য ও কর্মক্ষম রাখার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কিছু পরিমাণ সবজি ও ফলমূল থাকা উচিত।
আরো পড়ুন,
Healthy Diet: হেলথি ডায়েট আসলে কি? কোন খাবারে রয়েছে স্বাস্থ্যকর পুষ্টি?