রান্নার অপরিহার্য উপকরণ হলুদ৷ হলুদের সাথে পরিচিত নেই এমন কেউই হয়তো নেই। কিন্তু হলুদের ভেষজগুন সম্পর্কে অনেকেরই হয়তো জানার কৌতুহল আছে৷ হলুদ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো এই অধ্যায়ে।
আমাদের দৈনন্দিন জীবন বিশেষত রান্নায় হলুদ ব্যবহার বহুল। তাছাড়াও হলুদের বিশেষ কিছু উপকারি গুন আমাদের জেনে নেওয়া খুবই প্রযোজন। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। হলুদের উপকারী গুন যদি আপনার জানা থাকে তাহলে রোগভোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সাধারণত গ্রামাঞ্চলে হলুদের চাষ প্রায়শই চোখে পড়ে। প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে হলুদের ব্যবহার চলে আসছে। রূপচর্চা থেকে শুরু করে রান্না এবং ওষুধ হিসেবেও হলুদ দারুণ কার্যকরী। এছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হলুদের ব্যবহার আমরা সকলেই জানি। নিম্নে হলুদের ব্যবহার তুলে ধরা হলো।
মুখে হলুদের উপকারিতা
রূপচর্চায় দুধ ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার
*রূপচর্চায় হলুদের ব্যবহার*
গায়ের রঙ উজ্জ্বল করতে হলুদের ব্যবহার খুবই প্রাসঙ্গিক। যাদের ব্রণের সমস্যা রয়েছে, সকালে খালি পেটে ২ টুকরো হলুদ আখের গুড় সহ মিশিয়ে সেবন করলে ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন ভাবে হলুদ ব্যবহার করা হয়। কাঁচা হলুদের মিশ্রনের সাথে দুধ সর মিশিয়ে মুখে লাগালে বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের জেল্লা বাড়াতে কাঁচা হলুদের সাথে শুকনো কমলার খোসা বেঁটে ত্বকে ব্যবহার করা যেতে। এই মিশ্রন স্ক্রাবারের কাজ করে। হলুদ ব্যবহারে ত্বকের উজ্বলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ইনফেকশন জনিত সমস্যার থেকে সমাধান মেলে। ত্বকের ট্যান দূর করতে হলুদ ব্যবহার করা যেতে পারে। এমনকি হলুদ ব্যবহারে ত্বকের পোড়া ভাব দূর হয়।
ত্বকে হলুদ ব্যবহারের উপকারিতা
*মেদ ঝরাতে হলুদের ব্যবহার*
হলুদের বিভিন্ন উপকারী উপাদান মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। যার দরুন অতিরিক্ত ওজন জনিত সমস্যার লাঘব
ঘটে।
*সর্দিকাশি নিরাময়ে*
ঋতু পরিবর্তনের সময় প্রায়শই সর্দি-কাশি হয়ে থাকে। কাঁচা হলুদ সর্দিকাশির অব্যর্থ ওষুধ। গরম দুধের সাথে হলুদের গুড়ো মিশিয়ে খেলে অনেকটাই আরাম মেলে।
*ব্যাকটেরিয়া নিধনে*
শরীরের কোনো স্থানে আঘাতের দরুন ক্ষত সৃষ্টি হলে সেখানে হলুদের প্রলেপ লাগিয়ে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা করে এবং ব্যাকটেরিয়ার বংশবিস্তারে বাঁধা দান করে।
হলুদের উপকারিতা জানতে চাই
*চর্মরোগ দূর করতে*
চর্মরোগে হলুদের ব্যবহার খুবই কার্যকরী। হলুদ রক্তকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। যার দরুন বিভিন্ন চর্মরোগ
থেকে মুক্তি মেলে।
*কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে*
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে হলুদ খুবই উপকারী উপাদান। যাদের কোলেস্টেরল আছে সকালে খালি পেটে দু-টুকরো হলুদ সেবনে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়।
তবে পরিমাণ মতো হলুদ খেতে হবে। একটানা না খেয়ে মাঝে মাঝে বিরতি দিন। যাদের দুরারোগ্য ব্যধি এবং লিভারের সমস্যা রয়েছে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হলুদ খাবেন।