প্রাপ্তমনস্কদের গল্প (শেষের শোধ) | বড়দের গল্প | Prapto Boyoskoder Golpo

sudiproy877
3 Min Read

(প্রাপ্তমনষ্ক গল্প)

প্রাপ্তমনস্কদের গল্প

শ্রীময়ীকে জাপটে ধরে,কয়েক মুহূর্ত নড়ন-চড়ন করেই,পাশ ফিরে চিত্‍ হয়ে; লম্বা-লম্বা নিঃশ্বাস ফেলতে লাগলেন মাঝবয়সী প্রমোদ’বাবু ।
তাঁর লোমশ বুকে পেজা-পেজা ঘাম ছিলো স্পষ্ট । শিথিল শক্তিহীন পেশীতে পরিশ্রান্ত তাঁর আপাদমস্তক।
পাশে শায়িত অর্ধনগ্ন শ্রীময়ীর মাথায় তখন আগ্নেয়গিরীর লাভা খেলা করছে। চিত্কার করে সে বলে উঠলো:
-“কী হলো’টা কী তোমার? আমি কোথায় যাবো এখন? লজ্জা করেনা? নপুংসক কোথাকার!”
হীনমন্যতার চাদরে মুখ ঢাকলেন প্রমোদ’বাবু। রাতে খাওয়া-দাওয়া সেরে তিনি এই ভয়েতেই ঘুমিয়ে থাকার ভান করে পড়ে থাকতেন শান্ত বিছানায় । কিন্তু স্বামীকে লাঞ্ছিত করার লক্ষ্যে, বোধয় প্রতিবার প্রত্যয়পূর্ণ থাকতো শ্রীময়ী ।
পাথরের মত পড়ে থাকা প্রমোদ’বাবুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে দেহের পরশ দিয়ে, তাঁকে মুহূর্তের মধ্যেই অধীর করে তুলতো শ্রীময়ী । বয়স বাড়ার সাথে-সাথে প্রমোদবাবুর অন্তরের আশাকে কিছুতেই সমান তালে আর সমর্থন দিতে পারেনা তার দেহ। যার ফলস্বরূপ, ফুটন্ত শ্রীময়ীর সাথে মিলনযুদ্ধে, প্রবল ভাবে হার মানতে হয় তাঁকে ।
বাধ্য হয়ে একবার চিকিত্‍সার দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি বটে…. তবে সেভাবে ধারাবাহিক ভাবে উপকার পাননি মানুষটি। বরং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগে,সেই পন্থা থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন তিনি ।

বড়দের জন্য গল্প

Loading...

কিছুদিনের বিরতির পর, প্রমোদবাবুর জীবনে যথারীতি এসেছিল আরও একটি হতাশজনক রাত।
ক্ষিপ্ত শ্রীময়ী প্রকাশ করল তার অবাধ অতৃপ্ততা; প্রবল ক্রোধ । নখের আঁচড়ে ক্ষত’র স্তবক বসালো মেয়েটি, প্রমোদবাবুর বুকে । তারপর ককিয়ে ওঠা ক্লান্ত হারমানা মানুষটিকে তিরস্কার করে সে বললো:
-“আমি অন্য ব্যবস্থা নেবো,এভাবে ক্ষিদে নিয়ে তোমার সাথে থাকতে পারবোনা !“
জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়’এ, পাশে থাকার একমাত্র সঙ্গীকে কার্যত করজোড়ে অনুনয় করে, তার মানভঞ্জন করার আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন প্রমোদবাবু ।
অপর প্রান্তে অনড় ছিল, শ্রীময়ী ।

আরো পড়ুন, প্রতিশোধের শারীরিক সম্পর্ক রোমান্টিক গল্প


স্বামীকে একলা ছেড়ে পাশের ঘরে চলে এলো মেয়েটি। ভিতর থেকে বন্ধ করলো দরজা । খোলা চুলে আলুথালু হয়ে অদ্ভুত ভাবে হাসতে- হাসতে বিছানায় শুয়ে পড়ল সে ।
ভাগ্যের নিঠুর পরিহাসে খুব অল্প বয়সেই, বাপ-মা হারা মেয়েটিকে আশ্রয় দিয়েছিলো, তার এক দূরের সম্পর্কের কাকামশাই । বছর আঠারোর চৌকাঠ সম্পূর্ণ ভাবে অতিক্রম করার আগেই, দুর্ভাগ্যবশতঃ তাকে বৈবাহিক সম্পর্কে বাঁধা পড়তে হয়, অকালে বিপত্নীক হওয়া বছর আটত্রিশের, প্রমোদ নাথের সাথে ।
চরম শারিরীক আদরের জন্য মানসিক’ভাবে মোটেও তৈরি ছিলনা সেদিনের মেয়েটি । রীতিমতো জোর করে সোনার সিন্দুক ভেঙে,সময় নিয়ে যাবতীয় লুণ্ঠন করেছিল সেদিনের সমর্থ পুরুষটি । স্বাভাবিক যৌনসহবাসের নামে মেয়েটি শুধুই পেয়েছিল শারিরীক অত্যাচার ও কান্না ভেজা আক্ষেপ। তারপর দিনের পর দিন,শুধু সঙ্গ দিয়ে গিয়েছে সে প্রমোদবাবুর ভালোলাগাকে টিকিয়ে রাখতে।
অপর প্রান্তে প্রমোদবাবু ইচ্ছেমত; দাউ-দাউ করে জ্বলা তার কামনার আগুন নিভিয়ে গিয়েছেন, শ্রীময়ীর নরম-কাঁচা শরীরটা দখল করে।

শরীরের গল্প

আজ বছর সতেরো পর..
চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত । প্রমোদ’বাবুর ফিকে হয়ে আসা উষ্ণতা কিছুতেই যেন শান্ত করতে পারেনা শ্রীময়ীর মধ্যগগনে উপবিষ্ট যৌন ইচ্ছের দিবাকর’কে ।


হয়ে এসেছে ভোর..
বন্ধ ঘরে একলা বিছানায়,এখনো সেভাবেই এলোমেলো আনন্দে বিভোর হয়ে আছে মেয়েটি ।
‘সমর্থ পুরুষ-মানুষ’ বলে, কখনও নিজেকে প্রশংসিত করা আহাম্মক মানুষটিকে সে ইদানিং ব্যাপক ভাবে অপদস্থ করতে পারছে যে!

আরো পড়ুন, বড়দের রোমান্টিক গল্প

শরীরী প্রেমের গল্প

Share This Article