প্রতিশোধের শারীরিক সম্পর্ক রোমান্টিক গল্প – Bengali Story

sudiproy877
17 Min Read

প্রতিশোধের শারীরিক সম্পর্ক রোমান্টিক গল্প

ভাবির চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়ছে।ভাবি আমার হাতে অনেক গুলো টাকা দিয়ে বলে টাকার দরকার পড়লে যেন ভাবিকে জানাই।।।ভাবি চোখ মুছে আমার রুম থেকে বের হয়। কিন্তু আমার চোখের পানি জোরায় না।রুমটার প্রতি মায়া লাগছিল।।আম্মুর পায়ে একবার সালাম করতে মন চাচ্ছিল কিন্তু সেই সাহস আজ আমার নেই।সবাই আমার চলে যাওয়া দেখছে।ভাবি সবার চোখের আরালে বার বার চোখ মুছছে?

আগের পর্ব পড়ুন,>>

বড়দের রোমান্টিক গল্প

১২টার বাসে রওনা দিলাম ঢাকার উদ্দেশ্যে,,,
কিন্তু কোথায় গিয়ে উঠবো,,ঢাকা গিয়ে কি করবো?খুব চিন্তা হচ্ছিল।কারন ঢাকা আমি ভালো করে চিনি না।আর কোনো আত্মীয় স্বজন নাই যে সেখানে গিয়ে উঠবো। ভাবির দেওয়া টাকা গুলো গুনলাম ৫০০০ টাকা আছে এখানে।আর আমার পকেটে ৭৮০টাকা।ভাবি যদি টাকা না দিতো তাহলে ত ২ দিন বেচে থাকা কষ্টকর হয়ে যেত।।এমনে কোনো কাজও জানি না।

সবে মাত্র কলেজে পা দিয়েছি।আব্বুর টাকার অভাব নাই।যার জন্য লেখাপড়াটাই করেছি মন দিয়ে। পরিবারের সবাই আমাকে অনেক ভালোবাসতো।আমার কোনো দুষ ছিল না।শুধু একটাই দুষ আমি মিথিলাকে পাগলের মতো ভালোবাসতাম।। যখন থেকে বুজতে শিখেছি তখন থেকেই মিথিলাকে ভালোবাসতাম আমি।একসাথে স্কুলে যাওয়া খেলাধুলা করা।আমরা ছিলাম বেস্ট ফ্রেন্ডের মতই।কিন্তু যখন মিথিলাকে স্কুলের এক বড়ভাই ফলো করতে শুরু করে।আর মিথিলা যদি সম্পর্কের জড়িয়ে যায় সেই ভয়ে সুমি আপুর বিয়ের দিনই প্রপোজ করি মিথিলাকে।

কিন্তু মিথিলা সাথে সাথে এই কথা আমার আব্বুকে এসে বলে দেয়। আব্বু আমাকে সেদিন অনেক মারে।।
তখন নবম শ্রেনীতে উঠেছি মাত্র।।আমার আর বিয়ে খাওয়া হলো না।।আব্বুর হাতের মাইর সেদিন প্রথম খেয়েছিলাম।আব্বু বলেছিল মিথিলাকে যেন নিজের বোনের মতই দেখি।।আমার মাইর দেখে মিথিলা অনেক হেসেছিল। কিন্তু মিথিলার প্রতি রাগ আসে নি আমার।,,

শারীরিক প্রেমের গল্প

বিয়ের দিন সুমি আপুর সাথে যাওয়ার জন্য বলেছিল আপু।আমিও প্রিপেরেশন নিয়ে রেখেছিলাম।কিন্তু আমার আর যাওয়া হলো না।।মিথিলাই গেলো।আব্বক আমাকে মাইরের কারন টা শুধু ভাবিই জানতো।আর সবাই জেনেছে দুস্টুমির জন্য মেরেছে।অনেকে আব্বুকে রাগ দেখিয়ে বলেছিল। দুষ্টুমির জন্য কেউ এমনে মারে।আর বিয়ের দিন ফাইজলামি করবে না তো কবে করবে?

আপুকে আনার জন্য গিয়েছিলাম,,।আপু না যাওয়ার কারন কি জানতে চেয়েছিল কিন্তু কিছু বলি নাই।।।তবে মিথিলার মনে যেন আনন্দের জোয়ার বইছে।নতুন দুলাভাইয়ের সাথে ভালোই খাতিল জমেছে।।আমার খুব ভালো লাগলো বড় ভাইয়ের অভাবটা দুলাভাইকে দিয়েই পুরন করুক।

শরীরের গল্প

Loading...

আপুকে নিয়ে বাসায় আসলাম,,,দুলাভাইয়ের সাথে আমারও ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠে।।খুব ভালোভাবেই যাচ্ছিল দিনগুলো।

কিন্তু বার বার মিথিলাকে আমার মনের কথা বলার চেস্টা করেছি।মিথিলা বলতো আমি তোকে শুধুই ভাইয়ের মত দেখি।।।দুলাভাইকে দিয়েও বলেছিলাম অনেক বার কাজ হয় নি।।

তবে দুলাভাই আর মিথিলাকে অনেক বার একান্তে দেখেছি।মনে হচ্ছিল প্রেমিক প্রেমিকা বসে প্রেম করছে।। কিন্তু আমি তখন এইসব নিয়ে ভাবি নাই।।কারন মিথিলা,,দুলাভাই এমন না।।পরবর্তিতে এমনই হলো।।

হঠাৎ মোবাইলে মেসেজ টিউন বেজে উঠে,,,কল্পনা থেকে বাস্তবে ফিরে আসি।।মিথিলার নাম্বার থেকে মেসেজ।।কি লিখেছে?

— আমার রুপ বের করতে গিয়ে নিজেই ধরা খেলি কেমন অভিনয় টা করলাম?(মিথিলার লেখাটা পরে চোখের কোনে জমে থাকা কষ্ট গুলো বের হতে চাচ্ছিল)

— আমি জানি না তুই এমনটা কেন করেছিস।।তবে আমি চাইলে আমি তোদের রুপটা বের করে দিতে পারতাম।কিন্তু তোর সম্মান আর আপুর সংসারের কথা ভেবে কাউকে কিছু বলি নাই(আমি)

— তাই নাকি,,,তর কাছে কি প্রমান আছে নিজেকে সাধু বানানোর জন্য?তবে কেন তোকে বাসা থেকে বের করেছি জানিস।যেন আমাদের সম্পর্ক আর কেউ না জানে।আর তোর কাছে যেন ছোট হয়ে না থাকতে হয়।(মিথিলা)

— ভালো করেছিস,,,এতে আমার কোনো দুঃখ নাই।শুধু বলবো আপুর সংসারটা নষ্ট করিস না প্লিজ।।তোদের এই অবৈধ সম্পর্ক নষ্ট করে।সবাই যেমন ভাবতো তোকে সেইরকম ভাবে চল।।

— তুই আমাকে বলবি আমি কি করবো?আমি দুলাভাইকে বিয়ে করবো?(মিথিলা)

তার পর আমি রিপ্লে দিলাম,,,কিন্তু মেসেজ সেন্ড হচ্ছে না।।।বুজতে বাকি নেই এই সিম টা নষ্ট করে ফেলেছে।।

কিন্তু আমার মনে খুব ভয় জন্মাচ্ছিল,,,আপুর সংসায় টা কি মিথিলা ধংশ করে দিবে।

তাই আমি সাথে সাথে দুলাভাইকে,,,ভিডিওটা পাঠিয়ে ছোট করে লিখে দিলাম।।

— আমি চাইলে এই ভিডিওটা সবাইকে দেখাতে পারতাম।এতে করে আপনাদের সম্মান কোথায় যেত একবার ভেবে দেখেন। কিন্তু আমি তা করি নি।আমি না হয় এই অপবাদে ভালোভাবেই বেচে থাকতে পারবো। কিন্তু মিথিলা?মিথিলার আব্বু নাই,,আমার আব্বু নিজের মেয়ের মতো আদর করে।সেই আদর টা থাকতো না।আর মিথিলার সম্মান টা কোথায় থাকতো।
আর আপনার?আপুর চোখে সারাজিবন ধর্ষক হয়ে বেচে থাকতেন।হতে পারতো আপনাদের সংসার টা ভেংগে গেছে।আর আমাদের বাড়িতে যেই সম্মানে আছেই সেই সম্মানটা ঘৃনায় পরিনত হতো।।।।

প্রতিশোধ গল্পের লিংক

— তাই আপনাদের একটা সুযোগ দিলাম,,,আপনাদের এই অবৈধ সম্পর্ক থেকে সরে আসুন।।সম্মান আর আপুর ভালোবাসা নিয়ে বেচে থাকুন।মনে রাখবেন আপনার একটা ফুটফুটে বাচ্চাও আছে।(আমি মেসেজ টা দিয়ে বসে রইলাম)

বাস একটা স্টেশনে এসে থামলো।।বাস থেকে নেমে পেটে খুব ক্ষুধা লাগছিল। তাই হোটেলে গিয়ে খাবার খেয়ে নেই।। রাস্তার পাশ ধরে হাটছি।।কিন্তু এখন আমি কোথায় যাবো?কি করবো ভেবে পাচ্ছি না। আব্বু আম্মুর কথা গুলো কানে বাজছিল।।(তুই আমার ছেলে না।।তোকে কোন পাপে পেটে ধরেছি।)মাগো তুমিও তোমার ছেলেকে চিনলে না।।চোখ থেকে অনবরত পানি ঝরছিল।।,, অন্যমনস্ক হয়ে রাস্তা দিয়ে হাটতেছি।।দুপুর গড়িয়ে বিকেল।

হঠাৎ ই রাস্তার মাঝখানে একটা বাচ্চাকে দেখলাম।যেকোনো মুহুর্তে গাড়িতে চাপা পরতে পারে।।আমি কোনো কিছু না ভেবে ব্যস্ত রাস্তায় নেমে গিয়ে আব্বাটাকে কোলে করে রাস্তার পাশে নিয়ে যাই।।কিন্তু শেষের দিয়ে একটা গাড়ি এসে আমার পায়ের উপড় দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেয়।।আমি ব্যথায় কাতরাচ্ছি,,,, বাচ্চাটির,,,মা এসে আমাকে হাসপাতাল নিয়ে গেলো।আর একদিক দিয়ে আমাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে অন্যদিক দিয়ে নিজের বেখেয়ালির জন্য বাচ্চাকে বাচাতে গিয়ে আমার এমন অবস্থার জন্য নিজেকে দুষারুপ করছে।

ডাক্তার এসে আমাকে কি যেন একটা ইঞ্জেকশন দিলো।আস্তে আস্তে আমার চোখ বন্ধ হয়ে আসলো।।
চোখ খুলে দেখি পায়ে ভেন্টিস,,,বাচ্চাটি ও বাচ্চাটির মা আরেকটা আমাদেরই সমবয়সী মেয়ে পাশে দাড়িয়ে আছে। ডাক্তার এসে বললেন,,,

— পা টা খুব ভালোভাবেই ভেংগেছে,,,,আমি উষুধ লিখে দিচ্ছি নিয়মিত খাওয়াবেন।।আর রোগীকে ১ মাস রেস্ট নিতে হবে।খেলাধুলা কোনো কাজ করতে পারবে না।১৫ দিন পর আবার দেখিয়ে যাবেন?(ডাক্তার প্রেস্কিপশন ধরিয়ে দিলেন।)

— আমার জন্য আজ তোমার এত বড় ক্ষতি হলো,,,?(বাচ্চার মা)

— না না আন্টি নিজেকে দুষারুপ করবেন না। এটা শুধু একটা এক্সিডেন্ট।। (আমি)

— আচ্ছা তোমার বাসা কোথায়? তোমার ফেমিলির কারো নাম্বার থাকলে দেও,,।আমি তোমার মা,,বাবাকে আসতে বলি?(আন্টি)

— আমার মোবাইলটা? (মোবাইলটা খুজে পাচ্ছিলাম না)

— তোমার মোবাইল রাস্তায় পরে ভেংগে গেছে,,,?(মোবাইল্টা আমার হাতে দিয়ে।।)

এটা ত একেবারে গেছে,,,মোবাইলটা হাতে রেখে,,,
পকেট থেকে ভাবির দেওয়া টাকাটা বের করে..

— আন্টি হাসপাতালে কত টালা বিল এসেছে জানি না।আমার কাছে এই কয়েকটা টাকা আছে।গ্রাম থেকে আসার সময় নিয়ে এসেছিলাম।এটা রাখেন প্লিজ(টাকাটা বাড়িয়ে)

— কি করছো তুমি এইসব?আমার ছেলেকে বাচাতে গিয়ে তোমার এই অবস্থা আর তুমি আমাকে চিকিৎসার খরচ দিচ্ছ।।(আন্টি টাকাটা পকেটে ডুকিয়ে দিয়ে)

— তোমার,,পরিবারে কেউ নেই,,তাদের ত খবর দিতে হবে?(আন্টি)

— আছে,,আব্বু, আম্মু,ভাই,ভাবি,চাচি,চাচাতো বোন,,।কিন্তু এখন আমি ওদের কেউ না। (বলতেই চোখ দিয়ে পানি বেরিয়ে আসলো)

— তাহলে আপনি যাবেন কোথায়?(মেয়েটি)

— জানি না,,আজ সকালেই বাসা থেকে বের করে দিয়েছে আমাকে।একটা মিথ্যা পাপের অপরাধে।।(আমি কান্না করছিলাম)

— আচ্ছা তাহলে তুমি আমাদের বাসায় আসো?তোমার এখন রেস্টের দরকার।(আন্টি)

— না আন্টি এটা কি করে হয়,,,উপকার করেছি বলে আপনাদের বাসায় গিয়ে উঠবো। আপনাদের বাড়তি ঝামেলা হবে?(আমি চোখ মুছে বললাম)

— চুপ করেন?এত ভালো মানুষ সাজার দরকার নাই।আমার ভাইকে বাচিয়েছেন।এখন আপনাকে বাচানোর দায়ীত্ব আমাদের চলুন?(মেয়েটি)

— হুম চলো উঠো,,,(আন্টি আমার এক হাত ধরে তুললেন)

— আন্টি আমার ব্যাগটা কই?(আমার কাপড়ের ব্যাগ)

— আমরা ত তোমার ব্যাগ দেখি নাই।মনে হয় কেউ নিয়ে গেছে।(আন্টি)

আন্টি এক হাতে,,আর মেয়েটি আমার আরেক হাতে ধরে হাটার জন্য বললো।কিন্তু আমি পা ফেলতে পারছি না।।খুব কষ্ট হচ্ছে।।প্রথম পা ফেলেই চিৎকার দিয়ে উঠলাম।।


পড়ুন,

এক বেশ্যার গল্প

— আস্তে আস্তে পা ফেলো,,,,(আন্টি)

ভালোবাসার প্রতিশোধ গল্প

পর্ব_৩

আন্টি এক হাতে,,আর মেয়েটি আমার আরেক হাতে ধরে হাটার জন্য বললো।কিন্তু আমি পা ফেলতে পারছি না।।খুব কষ্ট হচ্ছে।।প্রথম পা ফেলেই চিৎকার দিয়ে উঠলাম।।

— আস্তে আস্তে পা ফেলো,,,,(আন্টি)

— জ্বি আন্টি,,,

হাসপাতালের গেইটে এসে দেখে একটা প্রাইভেট কার দাড়িয়ে আছে।,,গাড়িতে করে একটা বড় বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হলো,,।বাড়ি দেখে আমি ত অবাক প্রায়।।এই বাড়িটা কি আন্টির।।এরকম বড়লোক গন ত এই রকম সমস্যা যত টাকা লাগে শেষ করে দেয়।আর ওরা আমাকে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে আসলো।শুধু মাত্র মানুষের প্রতি ভালোবাসা আছে বলেই সম্ভব।

— আন্টি এই বাড়ি কি আপনাদের?(হা করে তাকিয়ে বললাম)

— হুম এটাই আমাদের বাড়ি,,,,চলো ভিতরে,,,(আন্টি)

আমাকে নিয়ে একটা রুমে সুয়ে দিলো,,,।

— আচ্ছা বাবা তুমি এখন রেস্ট নেও? আমরা পরে তোমার সম্পর্কে জানবো না হয়?(আন্টি)

— জ্বি আন্টি?(আন্টি ও তার মেয়ে রুম থেকে চলে গেলো।)

রুমটা অনেক সুন্দর,,ওরা মানুষ যেমন ভালো মনের।রুচি ও সুন্দর। খুব ক্লান্ত লাগছে,,।সুয়ে সুয়ে ভাবছি,,
আজ যদি, ওনারা আমাকে না নিয়ে আসতো।আমি কোথায় থাকতাম?পা ভাংগা নিয়ে রাস্তায় ভিক্ষা করা ছাড়া উপায় ছিল না।।

জানি না বাড়ির কি অবস্থা,,,আম্মু কি আমার কথা ভাবছে।।আম্মু কি বলছে,,,ছেলেটা এমন ভুলে শাস্তিটা বেশি হয়ে গেলো?আমি ত আম্মুর চোখের মনি ছিলাম।
নাকি তার জন্যই আম্মু সেই কষ্ট সহ্য করতে পারেনি,,,আম্মুর মনে আমার জন্য ঘৃনা জন্মে গেছে।আম্মু যদি জানতে পারতো তার ছেলে পা ভেংগে ফেলছে।আম্মু কি এখনো রাগ করে থাকবে নাকি ছুয়ে আসবে। ।আম্মুকে দেখতে খুব মন চাচ্ছে?কিভাবে দেখবো।মোবাইলটা যে ভাংগে গেছে।।আম্মু আমি তোমাকে ভালোবাসি,,,ক্ষমা করে দিও বলতে পারি নাই সত্য কথাটা।।।

আর মনে হয় চাইলেও বলতে পারবো না,,,,মোবাইলের সাথে হয়ত ভিডিওটা হারিয়ে ফেলেছি।

খুব জানতে ইচ্ছে করছে,,,,আব্বু কি আমার কথা ভাবছে নাকি আমাকে তার মনে কবর দিয়ে ফেলেছে।
আর সুমি আপু,,হয়ত বলছে বিশ্বাস টা ভেংগে দিয়েছি।
আর মিথিলাতো বললোই দুলাভাইকে বিয়ে করে ফেলবে।।। তবে দুলাভাই কি এই ভুলটা আবার করবে?আমি ত ভিডিওটা দেখিয়েছি।হয়ত ভিডিও দেখে থমকে গেছে এতক্ষনে মিথিলাকে জানিয়ে দিয়েছে।

ভাবি হয়ত এখনো নিরবে কাদছে।বলছে বিনা দুষে আজ আমি ঘর ছাড়া। আমার খবর নেওয়ার জন্য হয়তো মোবাইলে ফোন দিচ্ছে কিন্তু বন্ধ পেয়ে হয়তো ভাবছে।ছেলেটার কি কিছু হয়ে গেলো।????

ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে যাই।।হঠাৎ ই ঘুমের মধ্যে কে যেন এসে ডাকছিল?

— এই যে?এই যে উঠুন?(মেয়েলী কন্ঠ)

— কে,,?(চোখ বন্ধ রেখেই)

— আমি রিমি?(চোখ মেলে দেখি আন্টির মেয়েটা)

— অহ আপনি?আপনার নাম রিমি?(আমি)

— হুম ইয়া জাহান রিমি।।আপনার নামটা ত জানা হলো না।আপনার নাম কি?(রিমি)

— আসিফুল ইসলাম।(উঠে বসলাম)

–সুন্দর নাম আম্মু আপনার জন্য খাবার পাঠিয়েছে খেয়ে নিন?(রিমি)

— আপনার নাম টাও সুন্দর,,,(আমি)

— হুম ঠিক আছে খেয়ে নিন আমি আপনার মেডিসিন গুলো নিয়ে আসছি?(রিমি)

— আচ্ছা,,,(আমি বিছানা থেকে নামতে যাবো)

— এই এই কি করছেন?আপনাকে ১ সাপ্তাহ হাটাহাটি করতে মানা করছে।কি লাগবে আমাকে বলুন? (রিমি)

— ওয়াশরুমে যাবো?(আস্তে করে বললাম)

— ধরুন আমি নিয়ে যাচ্ছি।।(রিমি আমার হাত ধরে ওয়াশরুম পর্যন্ত নিয়ে আসলো)

আমি ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে দেখি রিমি দরজার সামনে দাড়িয়ে?

— ধরে আসুন?(মেয়েটাকে যত দেখছি অবাক হচ্ছি শহরের মেয়ে আর এত ধনী ঘরের মেয়ে হয়েও মনে কোনো হিংসা নাই)

বিছানায় বসে,,,

— আমার জন্য আপনাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। আমি আপনাদের এই ঋন শোধ করতে পারবো না?(চোখের কোনে আটকে গেলো পানি)

— ঋনের কথা বলে লজ্জা দিবেন নানা প্লিজ,,,আপনি আমার ভাইকে বাচিয়েছেন। আমরা আপনার ঋন শোধ করতে পারবো না।।(রিমি)

বাসর রাতের গল্প রোমান্টিক

— এটা তুমি কি বলছো বাবা,,,আমরা ত শুধু আমাদের কর্তব্য পালন করছি?(আন্টি তার ছেলেকে নিয়ে আসছে)

— আসলে আন্টি এই শহরে আমার কেউ ছিল না,,।বাসা থেকে বের করে দেওয়ার পর কোথায় যাবো।এটাই ছিল আমার বড় চিন্তা।তার উপর যখন পা ভেংগে গেলো।তখন ত রাস্তায় বসে ভিক্ষা করা ছাড়া আর কিছু করার ছিল না।।আপনারা আমাকে থাকার জন্য জায়গা দিলেন। আমার সেবা করছেন।।( বলতে বলতে চোখ বেয়ে পানি পড়ছিল)

তিক্ত প্রতিশোধ গল্পের লিংক

— কেদো না বাবা,,,জানি না তোমার সাথে কি হয়েছে।।এখন খাবার টা খেয়ে মেডিসিন খেয়ে নেও।।পরে সুনবো তোমাকে দেওয়া অপবাদের কথা(আন্টি আমার চোখের পানি মুছে দিয়ে)

খাবার টা খেয়ে,,নিলাম। রিমি আমাকে মেডিসিন দেখিয়ে দিল।মেডিসিন খেয়ে নিলাম।পেটে অনেক ক্ষুধা ছিল।।আন্টি চলে গেছে।।

— আচ্ছা একটা কথা বলবো?(রিমিকে বললাম)

— হুম বলেন?(রিমি)

— আপনাদের বাসায় আর কে কে থাকে?(আমি আসলে রিমির আব্বুর কথা জানতে চাচ্ছিলাম)

— আম্মু,,আব্বু,,আমি,আর আমার ভাই।,,আর বিভিন্ন কাজে হেল্প করার জন্য কয়েক্টা কাজের লোক।।(রিমি)

— অহ আচ্ছা আপনার আব্বুকে ত দেখলাম না?(আমি)

— আব্বু ব্যবসার কাজে বাহিরে গেছে আসতে ১০,,১২ দিন লাগবে?(রিমি)

— আপনার আব্বু যদি দেখে আমাকে বাসায় তুলেছেন রাগ করবে না?(আমি)

— না,,কারন আব্বু যখন সুনেছে আমার ভাইকে বাচাতে গিয়ে আপনার পে ভেংগে গেছে।আব্বু বলেছে আপনাকে বাচাতে যা করতে হয় তাই করার জন্য।।(রিমির কথা সুনে মনে হলো এই পরিবারের সবাই একেক্টা রত্ন)

— আচ্ছা আপনি ঘুমান পরে কথা হবে?(রিমি)

— আচ্ছা,, ঠিক আছে।।।

তার পর ঘুমানোর চেস্টা করলাম, রাত তখন প্রায় ১১ টা বেজে গেছে।কিন্তু চোখে ঘুম আসছে না।শুধু সকালে হয়ে যাওয়া ঘটনা গুলো মনে পড়ছে।,,,,মিথিলা কি করে পারলো এমন টা করতে।।মিথিলা ত আমাকে বেস্ট ফ্রেন্ড বলতো।
অনেক রাত হয়ে যায় ঘুম হয় না।।।কখন ঘুমিয়ে যাই জানি না।।।সকালে ঘুম থেকে উঠি,,রিমির ডাকে?

— এই যে উঠেন ১০ টা বাজে,,,নাস্তা খেয়ে মেডিসিন খেতে হবে।।(মনে হচ্ছে ওরা আমার সুস্থতার জন্য সর্বোচ্চ সেবা দিচ্ছে)

— অহ,,,কেমন আছেন?(আমি)

— আলহামদুলিল্লাহ,,, আপনার,,,পায়ে ব্যাথা কমেছে?(রিমি)

— মনে হয় কমেছে?

— আসুন ওয়াশরুমে এগিয়ে দিয়ে আসি?(রিমি)

— ধন্যবাদ,, (আমাকে ধরে ওয়াশরুমে নিয়ে যায়।।ফ্রেশ হবার পর নিয়ে আসে।)

নাস্তা খেয়ে,,মেডিসিন খেয়ে নেই।।

— আচ্ছা আপুনার সাথে কি হয়েছিল?(রিমি)

— সুনতে চান,,,নিজেকে হয়ত কন্ট্রোল করতে পারবেন না।।তাহলে সুনুন,,

আজ সকালে কলেজে যাবার জন্য আমার চাচাতো বোন মিথিলাকে ডাকতে যাই।।কিন্তু মিথিলার রুমে গিয়ে দেখি,,মিথিলা,,তার দুলাভাইয়ের সাথেই অবৈধ মেলামেশা করছে।আমি বাকরুদ্ধ হয়ে যাই।মোবাইলে ভিডিও করতে থাকি তাদের আরালে।আমাকে দেখে ওরা থমকে যায়।(১ম পর্বের ঘঠনা টা সবটা বললাম)

রিমি আমার মিথ্যা অপবাদ সুনে চোখের পানি ফেলছে।।

— আপনি প্রমান থাকা সত্ত্বেও কাউকে কিছু বলেন নি?শুধু আপনার আপুর সংসার।আর যে আপনাকে ধর্ষক বানালো তার সম্মানের জন্য।নিজেই সম্মান হারিয়ে আসলেন।।(রিমি কান্না করছে আর বলছে)

— আমার সম্মান হয়ত তাদের কাছে কমে গেছে কিন্তু নিজের ভিতর নিজেকে নিয়ে গর্ব হচ্ছে। অন্যের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিলাম।হয়ত কোনো একদিন ওরা বুজতে পারবে?(আমি)

— আল্লাহ তাদের সহিহ বুজ দান করুক।।

— আমি এটাই চাই,,,আমি হয়ত যেকোনো ভাবে চলে যেতে পারতাম।কিন্তু ওরা হারাতো ওদের অর্জন করা সম্মান গুলো।

— আপনার ভাবি ত অনেক ভালো মানুষ আপনার উপর বিশ্বাস ছিল,,,তাই ত আবার আপনাকে জিজ্ঞাস করেছে।।(রিমি)

— হুম ভাবি আমাকে নিজের ভাইয়ের মতো ভালোবাসে।।ভাবিকে ভিডিও দেখিয়ে প্রমান করেছি আমি নির্দোষ। ভাবি সবাইকে বলতে বলেছে কিন্তু বলার হলে ত আমিই বলতাম( আমি)

— হুম তাই।।(রিমি)

— আপনার মোবাইলটা দেওয়া যাবে,,,ভাবির সাথে একটু কথা বলবো?হয়ত আমাকে ফোনে না পেয়ে চিন্তা করছে।।।(আমি)

— হুম নিন।। (রিমি আমার হাতে মোবাইল টা দিল)

আমি ভাবির নাম্বারে ফোন দিলাম।কিন্তু রিসিভ করেছে ভাইয়া,,,,

চলবে,,,…

এটিও পড়ুন, সুন্দর একটি মিষ্টি প্রেমের গল্প 

Share This Article