বড়দের গল্প (নিষিদ্ধ ঘর সংসার) | Boroder Golpo | Bengali Story

Samaresh Halder
4 Min Read

নিষিদ্ধ ঘর সংসার (পর্ব ১)

প্রতিরাতে আমি ধ/র্ষি/ত হয়েছি আমার স্বামীর কাছে। ইচ্ছের বিরুদ্ধে আমাকে মিলিত হতে হয়েছে। প্রয়োজনেই হতে হয়েছে। তবে, সেটা শরীরের প্রয়োজনে না, ঐ সংসারটিতে টিকে থাকার প্রয়োজনে।

পরিতৃপ্ত মিলনের পর সুনীলের বুকে মাথা রেখে কথাগুলো বলছিলো শর্মিলা। তিন বছর প্রবাস জীবনের পর অবশেষে তাদের মিলন ঘটলো।

বড়দের গল্প

এই তিন বছরে তাদের জীবন বদলে গিয়েছিলো অনেক। সুখের জীবন ছেড়ে শর্মিলাকে পাড়ি দিতে হয়েছিলো দূরদেশে, স্বামীর সংসারে। আর, সুনীলকে থেকে যেতে হয়েছিলো স্মৃতি জর্জরিত শহরটিতে। প্রতি মুহুর্তে সুনীলের মনে পড়তো শর্মিলার কথা। আর, শর্মিলার কর্মব্যস্ততা শেষে মনে পড়তো সুনীলের কথা। কিন্তু উপায় ছিলোনা একে অপরের কাছে ফিরে আসার।

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর শর্মিলার বিয়ে হয়ে যায় লন্ডনে বসবাসরত এক টাকার কুমিরের সাথে। ছেলে ইংল্যান্ডের নাগরিক, ব্যবসা করে অঢেল টাকা পায়, মা-বাবা সবাই সেখানেই থাকে- সুতরাং, শর্মিলার না করার কোন উপায় ছিলোনা। ধুম ধাম করে তাদের বিবাহ হয়। তারপর, ফুলশয্যায় প্রথম স্বামীর সাথে পরিচয়। আবেগহীন, দেশীয় ঐতিহ্য সম্পর্কে অবুঝ, লজ্জাহীন এক মানুষ। সে ফুলশয্যার রাতে আকার ইঙ্গিতে বাংলা-ইংরেজি মিশ্রিত টুকটাক কথাবার্তা বলে ঝাপিয়ে পড়ে শর্মিলার উপর।

জীবনে প্রথম যৌ ন মিলনের সময় প্রতিটা মানুষ’ই একটু দ্বিধায় ভুগে। আদর, ভালোবাসা দিয়ে বুঝিয়ে তারপর মিলিত হতে হয়। এতে মস্তিষ্কের চাপ কমে, নতুন এক অভিজ্ঞতা হয়। কিন্তু, শর্মিলার স্বামী সেরকম কিছুই শর্মিলাকে বোঝাতা পারেনি। যার ফলাফল ভয়-আনন্দ মিশ্রিত এক যৌ ন মিলনের স্বাদ পায় শর্মিলা।

তারপর, ফুলশয্যার পরের দিন শর্মিলা ঘর থেকে বের হলো, শর্মিলার শ্বাশুড়ি তাদের ঘরে এসে বিছানার সাদা চাদরটি খুঁটিয়ে দেখলো। তারপর, বিছানার চাদর পাল্টিয়ে দিয়ে রুম পরিষ্কার করার ই ঙ্গিত দিলো কাজের লোকটিকে।

প্রথমদিন থেকে শর্মিলার শ্বশুরবাড়ি শর্মিলার কাছে হয়ে উঠেছিলো খুব কাছের মানুষ। অবুঝ এক স্বামী, আদর যত্ন করা শ্বাশুড়ি- সব মিলিয়ে যেন স্বর্গ। পুরো এক মাস শর্মিলা প্রেমে পড়ে গিয়েছিলো ঐ পরিবারের। এতোটাই মোহাচ্ছন্ন হয়ে গিয়েছিলো যে স্বামী-শ্বশুর-শ্বাশুড়ীর সব ভুলও ঠিক মনে হতে লাগলো।

বড়দের রোমান্টিক গল্প

Loading...

একমাস পর তারা যখন বিদেশে চলে গেলো তখন খুব কেঁদেছিলো শর্মিলা। বারবার বুকের মধ্যে একটি বেদনার অনুভূতি হচ্ছিলো, বারবার মনে হচ্ছিলো কি যেন একটা চলে গেলো। তারপর, শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে নিজের ঘরে আগমন।

প্রথম ক’দিন খুব কষ্ট হতো, লুকিয়ে লুকিয়ে চোখের জল ফেলতো শ্বশুরবাড়ির জন্য। কেউ জিজ্ঞেস করলে বলতো, এতো উদার একটি পরিবার পেয়েছি, এতো ভালো শ্বশুড়-শ্বাশুড়ি, এতো ভালো জামাই, কোন কিছুতে বাঁধা দেয়না- এরকম একটি পরিবারে আসতে পারাটা আমার সাত জন্মের ভাগ্য। তারপর, আস্তে আস্তে কেটে গেলো ২-৩ মাস। শ্বশুরবাড়ির প্রতি দুঃখবোধ কমতে লাগলো। এবং ঠিক আগের মতো নিজের বাড়িতে নিজের মতো করে সময় কাটতে লাগলো।

প্রতিরাতে স্বামীর সাথে টুকটাক কথাবার্তা, শ্বশুর-শ্বাশুড়ির উপদেশ, এভাবেই কেটে যাচ্ছিলো। তারপর, সময় যেতে যেতে আস্তে আস্তে মুগ্ধতা কমতে লাগলো। রুটিন করে স্বামীর সেই একই কথা, আর শ্বাশুড়ির উপদেশ- আর কত ভালো লাগে। এর মধ্যে শ্বাশুড়ির উদারতা কমতে লাগলো। খোলস ছেড়ে বের হলেন তিনি। শর্মিলা কি পোশাক পড়বে, কিভাবে চলবে, কিভাবে কথা বলবে- সব নিয়ে শুরু হলো উপদেশ। এবার, শর্মিলার বিরক্ত লাগা শুরু করলো। যেই মহিলা কিছুদিন আগে বলতেন তুমি এখানে এসে পড়ালেখা করবা; সেই মহিলা এখন বলছেন সংসার সামলাবা, আমার ঘরকে দেখে রাখবা, তোমার উপর সব দায়িত্ব।

সবকিছু মিলিয়ে শর্মিলার নিজেকে কেমন যেন অসহায় লাগলো। তারপর, একদিন ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হলো সুনীলের সাথে। টুকটাক কথাবার্তা হতো। কথাবার্তার পরিমান কিছুদিন পর বেড়ে গেলো। বাড়তে বাড়তে একসময় সুনীলের শর্মিলাকে ছাড়া চলেনা, আবার শর্মিলারও সুনীলকে ছাড়া করেনা। তারপর, একদিন বৃষ্টিভেজা স্নিগ্ধ বিকেলে শর্মিলার সাথে সুনীলের দেখা হলো। সম্ভবত, সেই দেখাটিই ছিলো শর্মিলার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট।

চলবে…..

নিষিদ্ধ ঘর সংসার

… সঙ্গে থাকুন। ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
আর কেমন লাগলো নিচের কমেন্ট সেকশনে লিখে জানান।

পরের পর্ব পড়ুন 

আরো পড়ুন,

একটি মিষ্টি প্রেমের গল্প

বড়দের রোমান্টিক গল্প

Share This Article