ভাইফোঁটা বা ভাতৃদ্বিতিয়া কি ? জানুন ভাইফোঁটার ইতিহাস, কিভাবে শুরু হয়েছিল ভাতৃদ্বিতীয়া?

sudiproy877
2 Min Read

ভাইফোঁটা কেন পালন করা হয়?

কাহিনী অনুসারে শ্রীকৃষ্ণ ও সুভদ্রা এবং যমুনা ও যম এর কাহিনী অনুকরণে পৃথিবীবাসী হিন্দু ধর্মের মানুষেরা ভাই-বোন এদের বন্ধন এর পবিত্র উৎসব ভাইফোঁটা পালন করে।

তবে শ্রীকৃষ্ণ ও সুভদ্রার তুলনায় যম ও যমুনার তুলনামূলকভাবে বেশি গুরুত্ব পাওয়া যায়, ও যমুনার ভাইফোঁটার কাহিনীতে যমুনাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুসারে প্রতি বছর কার্তিক মাসের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ভাতৃদ্বিতীয়ার দিন যমুনার কাছ থেকে ভাইফোঁটা নেওয়ার জন্য যম যমুনার বাড়িতে আসেন।

ভাইফোঁটার ইতিহাস :

তাছাড়া যম পুরীর মৃত্যুর দেবতা তিনি পৃথিবী থেকে জীবের প্রাণ হরণ করে নিয়ে যান। তাই ভাতৃদ্বিতীয়ার দিন বোনেরা ভাইদের কপালে ভাইফোঁটা (Bhai Phonta) দিয়ে ভাই ফোটার মন্ত্র পড়ে এই বলে যে,

আরো পড়ুন, ভাইফোঁটার শুভেচ্ছাবার্তা, মেসেজ

ভাইফোঁটার মন্ত্র

Loading...

“ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা,
যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা।
যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা,
আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা॥
যমুনার হাতে ফোঁটা খেয়ে যম হল অমর।
আমার হাতে ফোঁটা খেয়ে আমার ভাই হোক অমর॥”

ভাইফোঁটার তাৎপর্য

ভাইফোঁটার মধ্যে তাৎপর্য এইযে ভাইফোঁটার দিন যম যমুনার বাড়ি ভাইফোঁটা নিতে আসে। তখন পৃথিবীতে বসবাসকারী বোনেরা তাদের ভাইদের মঙ্গলকামনায় যমের দুয়ারে কাঁটা দিয়ে দেয়। যাতে করে যমরাজ যমলোকে জীবকুল থেকে ভাইদের প্রাণ হরণ করে নিয়ে যেতে না পারে।

এভাবেই বহুদিন ধরে বোনেরা তাদের দাদা ও ভাইদের মঙ্গলকামনায় ভাতৃদ্বিতীয়ার দিন যম দুয়ারে কাঁটা বিছিয়ে ভাইদের প্রান নিয়ে যেতে না পারে তার জন্য যম দুয়ারে যমপুরীর প্রবেশ দ্বার বন্ধ করে দেয়।

আরো পড়ুন, ভাইফোঁটা কবিতা

Bhai Phota SMS, Wishes, Images In Bengali

Share This Article