Tirandaj Shabor Movie Review ( তীরন্দাজ শবর রিভিউ) – Saswata
Chatterjee
Tirandaj Shabor Movie Review
আজকে দেখলাম তীরন্দাজ শবর। ফেলু মিত্তির আর ব্যোমকেশ বাবুর গোয়েন্দাগিরির এক
ঘেয়ে চলচ্চিত্রায়নের মধ্যে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের সৃষ্টি শবর চরিত্রটি
গোয়েন্দা সিনেমাতে একটা নতুন প্রান সঞ্চার করেছিলো সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।
অরিন্দম শীলের নিপুন পরিচালনায় এবং শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের বলিষ্ঠ অভিনয়ে বাংলা
সাহিত্যের অ-কুলীন শবর চরিত্রটি বর্তমান দর্শক মহলে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। ২০১৫
থেকে পরপর তিনটি ছবিতেই শবর দর্শকমনে বেশ ছাপ ফেলেছিলো। সেই মনে রাখা ছাপের
অভিজ্ঞতা নিয়েই আজ চলে গিয়েছিলাম আজই মুক্তিপ্রাপ্ত তীরন্দাজ শবর দেখতে। তবে
ভীষন হতাশ হলাম।
ঘেয়ে চলচ্চিত্রায়নের মধ্যে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের সৃষ্টি শবর চরিত্রটি
গোয়েন্দা সিনেমাতে একটা নতুন প্রান সঞ্চার করেছিলো সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।
অরিন্দম শীলের নিপুন পরিচালনায় এবং শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের বলিষ্ঠ অভিনয়ে বাংলা
সাহিত্যের অ-কুলীন শবর চরিত্রটি বর্তমান দর্শক মহলে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। ২০১৫
থেকে পরপর তিনটি ছবিতেই শবর দর্শকমনে বেশ ছাপ ফেলেছিলো। সেই মনে রাখা ছাপের
অভিজ্ঞতা নিয়েই আজ চলে গিয়েছিলাম আজই মুক্তিপ্রাপ্ত তীরন্দাজ শবর দেখতে। তবে
ভীষন হতাশ হলাম।
Tirandaj Shabor Movie Cast
Saswata Chatterjee, Subhrajit Dutta, Nigel Akkara, Debjani Chatterjee, Saranya Kar, Poulomi
Das,
Arindam Sil
& others.
Das,
Arindam Sil
& others.
Rating – 6.5/10
শবরের মুখে চোখা চোখা সংলাপ শুনতে মন্দ লাগেনি। কিন্তু গল্পের শুরুতেই শবর রূপী
শ্বাশতর গুন্ডাদের ধাওয়া করা দৃশ্যটি ভীষন চক্ষু পীড়াদায়ক। তার পর গল্পের বুনোট
ভীষনই আলগা। বিশেষত ক্লাইমেক্সে পৌছানোটা অনেকটা সেই মোহন সিরিজের ” কোথা থেকে
কি হইয়া গেলো, বোঝা গেলোনা ” টাইপের মনে হলো। অভিনয়ের দিক থেকে শাশ্বত আগের
শবরের মতই স্মার্ট, তবে একটু ভেরিয়েশন থাকলে ভাল হতো। শবরের সহকারী নন্দ হিসাবে
শুভ্রজিৎ দত্ত আগের মতই। কয়েকটি দৃশ্যে দুজনের যুগলবন্দী হলে হাততালি পেয়েছে।
নাইজেল আকারা আর দেবযানী চ্যাটার্জি যতটুকু দরকার ততটুকু ভাল ভাবে পর্দায়
এনেছেন। চন্দন সেনের অভিনয়ের প্রশংসা অবশ্যই করতে হবে।
শ্বাশতর গুন্ডাদের ধাওয়া করা দৃশ্যটি ভীষন চক্ষু পীড়াদায়ক। তার পর গল্পের বুনোট
ভীষনই আলগা। বিশেষত ক্লাইমেক্সে পৌছানোটা অনেকটা সেই মোহন সিরিজের ” কোথা থেকে
কি হইয়া গেলো, বোঝা গেলোনা ” টাইপের মনে হলো। অভিনয়ের দিক থেকে শাশ্বত আগের
শবরের মতই স্মার্ট, তবে একটু ভেরিয়েশন থাকলে ভাল হতো। শবরের সহকারী নন্দ হিসাবে
শুভ্রজিৎ দত্ত আগের মতই। কয়েকটি দৃশ্যে দুজনের যুগলবন্দী হলে হাততালি পেয়েছে।
নাইজেল আকারা আর দেবযানী চ্যাটার্জি যতটুকু দরকার ততটুকু ভাল ভাবে পর্দায়
এনেছেন। চন্দন সেনের অভিনয়ের প্রশংসা অবশ্যই করতে হবে।
একজন রক্ত মাংসের মানুষের বিভিন্ন অভিব্যক্তি অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন
উনি। বরং দেবলীনা কুমারের অভিনয় ভীষন আড়ষ্ট লাগলো। অভিনয়ের যে সুযোগ এখানে উনি
পেয়েছেন সেটা কাজে লাগাতে পারেননি। আর ক্যামিও চরিত্রের বদলে পরিচালক অরিন্দম
শীল এই ছবিতে অনেকটা অংশ জুড়ে ছিলেন এবং ভালভাবেই। নবাগতা রম্যানী চেষ্টার
খামতি রাখেনি। সব মিলিয়ে তীরন্দাজ শবর একটা এভারেজ মুভি হিসাবেই আমার মনে
হলো। তবে ওই একটা কথাই বলবো – ফেলুদা আর ব্যোমকেশের পুনঃ পুনঃ পুনঃ নির্মানের
মধ্যে গোয়েন্দা শবর একটু অন্য রকম স্বাদ এনে দিচ্ছে। তাই একবার চেখে দেখা যেতেই
পারে।…..
উনি। বরং দেবলীনা কুমারের অভিনয় ভীষন আড়ষ্ট লাগলো। অভিনয়ের যে সুযোগ এখানে উনি
পেয়েছেন সেটা কাজে লাগাতে পারেননি। আর ক্যামিও চরিত্রের বদলে পরিচালক অরিন্দম
শীল এই ছবিতে অনেকটা অংশ জুড়ে ছিলেন এবং ভালভাবেই। নবাগতা রম্যানী চেষ্টার
খামতি রাখেনি। সব মিলিয়ে তীরন্দাজ শবর একটা এভারেজ মুভি হিসাবেই আমার মনে
হলো। তবে ওই একটা কথাই বলবো – ফেলুদা আর ব্যোমকেশের পুনঃ পুনঃ পুনঃ নির্মানের
মধ্যে গোয়েন্দা শবর একটু অন্য রকম স্বাদ এনে দিচ্ছে। তাই একবার চেখে দেখা যেতেই
পারে।…..