Mahanayak Uttam Kumar Biography, Awards, Movies List, Wife – মহানায়ক উত্তম
কুমার
“জিম নয়, দাড়ি ছাড়া প্রথম বং ক্রাশ”…☘️
এক ডাক্তারের চরিত্রে অভিনয়। খুব দুরুদুরু বুকে উত্তমকুমার (Uttam Kumar) পা রাখলেন স্টুডিও ফ্লোরে। পরিচালক শট বুঝিয়ে দিলেন। চারপাশ থেকে আলো জ্বলে
উঠল। এই প্রথম নবাগত অভিনেতা দেখলেন তাঁর সামনের অভিনেত্রীর মুখ। সেই সময়কার
বিখ্যাত প্রভা দেবী। পাশের ভিড় থেকে কে যেন বলে উঠল, ‘এ কলির ভীমকে কোত্থেকে
আনলেন? পায়ে শেকল বেঁধে রাখুন। নইলে যে ঝড় উঠলে উড়ে যাবে।’ তখন উত্তমকুমার
সত্যিই রোগা ছিলেন। প্রচণ্ড অপমানিত হলেন ফ্লোরের মধ্যে শুটিং দেখতে আসা
লোকজনের সামনে। তবুও গায়ে মাখলেন না কিছু। পরিচালক স্টার্ট ক্যামেরা বলার সঙ্গে
সঙ্গেই এক কদম এগিয়ে গেলেন অভিনেত্রীর দিকে। কিন্তু পরিচালকের অ্যাকশন বলার
আগেই প্রভা দেবী নায়কের হাতটা আচমকা ধরে ফেললেন। ‘আরে এই ছেলে আমার ডাক্তারি
পরীক্ষা করবে কী? ওর নিজেরই তো হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গেছে।’ চারপাশ থেকে সবাই হো
হো করে হেসে উঠল। পরিচালক সেদিন আর দৃশ্যটি ধারণ করেননি।
উঠল। এই প্রথম নবাগত অভিনেতা দেখলেন তাঁর সামনের অভিনেত্রীর মুখ। সেই সময়কার
বিখ্যাত প্রভা দেবী। পাশের ভিড় থেকে কে যেন বলে উঠল, ‘এ কলির ভীমকে কোত্থেকে
আনলেন? পায়ে শেকল বেঁধে রাখুন। নইলে যে ঝড় উঠলে উড়ে যাবে।’ তখন উত্তমকুমার
সত্যিই রোগা ছিলেন। প্রচণ্ড অপমানিত হলেন ফ্লোরের মধ্যে শুটিং দেখতে আসা
লোকজনের সামনে। তবুও গায়ে মাখলেন না কিছু। পরিচালক স্টার্ট ক্যামেরা বলার সঙ্গে
সঙ্গেই এক কদম এগিয়ে গেলেন অভিনেত্রীর দিকে। কিন্তু পরিচালকের অ্যাকশন বলার
আগেই প্রভা দেবী নায়কের হাতটা আচমকা ধরে ফেললেন। ‘আরে এই ছেলে আমার ডাক্তারি
পরীক্ষা করবে কী? ওর নিজেরই তো হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গেছে।’ চারপাশ থেকে সবাই হো
হো করে হেসে উঠল। পরিচালক সেদিন আর দৃশ্যটি ধারণ করেননি।
Uttam Kumar Biography
অভাবের সংসার… নুন আনতে পান্তা ফুরায়…পড়াশোনা শেষ না করেই টাকা রোজগারের
তাগিদে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টে ক্লার্কের কাজে যোগ দিলেন উত্তম কুমার। তখনই
আহিরীটোলায় নিজেদের থিয়েটার গ্রুপ ‘সুহৃদ সমাজ’-এ নিয়মিত অভিনয় শুরু করেন !
থিয়েটার করতে করতেই টালিগঞ্জে ডাক পেলেন! অরবিন্দ মুখোপাধ্যায় তখন নিউ
থিয়েটার্সের মাইনে করা সহকারী পরিচালক। উত্তমকুমার অডিশন দিতে গেলেন, কিন্তু
ভাগ্যের দশায় মশা! ছবিটা পেলেন না! কিন্তু অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে একটা
বন্ধুত্ব হয়ে গেল। এরপর প্রায় প্রতিদিনই টালিগঞ্জ যেতে শুরু করলেন উত্তমকুমার।
ততদিনে অনেকের সঙ্গেই সখ্যতা গড়ে উঠেছে কমবেশি, এর তার সঙ্গে গল্পগুজবের ফাঁকে
খোঁজ নিতেন, কোনও ছবির খবর আছে কিনা…
তাগিদে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টে ক্লার্কের কাজে যোগ দিলেন উত্তম কুমার। তখনই
আহিরীটোলায় নিজেদের থিয়েটার গ্রুপ ‘সুহৃদ সমাজ’-এ নিয়মিত অভিনয় শুরু করেন !
থিয়েটার করতে করতেই টালিগঞ্জে ডাক পেলেন! অরবিন্দ মুখোপাধ্যায় তখন নিউ
থিয়েটার্সের মাইনে করা সহকারী পরিচালক। উত্তমকুমার অডিশন দিতে গেলেন, কিন্তু
ভাগ্যের দশায় মশা! ছবিটা পেলেন না! কিন্তু অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে একটা
বন্ধুত্ব হয়ে গেল। এরপর প্রায় প্রতিদিনই টালিগঞ্জ যেতে শুরু করলেন উত্তমকুমার।
ততদিনে অনেকের সঙ্গেই সখ্যতা গড়ে উঠেছে কমবেশি, এর তার সঙ্গে গল্পগুজবের ফাঁকে
খোঁজ নিতেন, কোনও ছবির খবর আছে কিনা…
ছবির প্রতি এক অদম্য আগ্রহ ছিল উত্তমকুমারের! কোনও বাছবিচার ছিল না, যে-কোনও
চরিত্রেই অভিনয় করতে রাজি হয়ে যেতেন, অভিনয়ের এক চূড়ান্ত খিদে তাকে কুড়েকুড়ে
খেত! নিউ থিয়েটার্সের দিলীপ সরকার বলেছিলেন, “উত্তম ছবিতে অভিনয় করার ব্যাপারে
ভীষণ আগ্রহী ছিলেন। একবার উনি এসেছেন, তখন নিউ থিয়েটার্সে একটা ছবির শুটিং
চলছিল। পরের দিন বিয়েবাড়ির একটা দৃশ্যের শুটিং হবে, তার জন্য বরযাত্রীর লোক
লাগবে। তাঁকে বলতেই রাজি হয়ে গেলেন। পরের দিন ধুতি-পাঞ্জাবি পরে তৈরি। এই ছিলেন
উত্তম।”
চরিত্রেই অভিনয় করতে রাজি হয়ে যেতেন, অভিনয়ের এক চূড়ান্ত খিদে তাকে কুড়েকুড়ে
খেত! নিউ থিয়েটার্সের দিলীপ সরকার বলেছিলেন, “উত্তম ছবিতে অভিনয় করার ব্যাপারে
ভীষণ আগ্রহী ছিলেন। একবার উনি এসেছেন, তখন নিউ থিয়েটার্সে একটা ছবির শুটিং
চলছিল। পরের দিন বিয়েবাড়ির একটা দৃশ্যের শুটিং হবে, তার জন্য বরযাত্রীর লোক
লাগবে। তাঁকে বলতেই রাজি হয়ে গেলেন। পরের দিন ধুতি-পাঞ্জাবি পরে তৈরি। এই ছিলেন
উত্তম।”
uttam kumar biography in bengali
১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত একের পর এক সিনেমা করলেও সব কটাই ফ্লপ হয়। তার
মধ্যে ‘বসু পরিবার’ ছবিটি তাও যা একটু চলেছিল। সেইসময় উত্তমকুমারকে দেখলেই
টালিগঞ্জের লোকজন মুখ ফিরিয়ে নিতেন। উত্তমের নাম-ই হয়ে উঠল ফ্লপমাস্টার
জেনারেল। এমনকী তখনকার হিট নায়ক-অভিনেতারা প্রযোজক-পরিচালকদের বলতেন, ‘কেন ওকে
নিচ্ছেন ছবিতে! টাকাটা জলে ফেলবেন কেন?’ সেইসব কথা কানে যেত উত্তমের, কিন্তু
তিনি দমে যাননি! তিনি যে মহানায়ক হতে এসেছিলেন… অল্পসল্পতে হাল ছেড়ে দেওয়া কি
আর তাঁকে মানায় ? মুখ বুজে সব সহ্য করতেন , কাউকে একটা কথাও বলেননি, উপরন্তু
সেই সমস্ত লোকের সঙ্গে পরবর্তী কালে, যখন তিনি সাফল্যের শীর্ষে, তখনও হেসে কথা
বলেছেন।
মধ্যে ‘বসু পরিবার’ ছবিটি তাও যা একটু চলেছিল। সেইসময় উত্তমকুমারকে দেখলেই
টালিগঞ্জের লোকজন মুখ ফিরিয়ে নিতেন। উত্তমের নাম-ই হয়ে উঠল ফ্লপমাস্টার
জেনারেল। এমনকী তখনকার হিট নায়ক-অভিনেতারা প্রযোজক-পরিচালকদের বলতেন, ‘কেন ওকে
নিচ্ছেন ছবিতে! টাকাটা জলে ফেলবেন কেন?’ সেইসব কথা কানে যেত উত্তমের, কিন্তু
তিনি দমে যাননি! তিনি যে মহানায়ক হতে এসেছিলেন… অল্পসল্পতে হাল ছেড়ে দেওয়া কি
আর তাঁকে মানায় ? মুখ বুজে সব সহ্য করতেন , কাউকে একটা কথাও বলেননি, উপরন্তু
সেই সমস্ত লোকের সঙ্গে পরবর্তী কালে, যখন তিনি সাফল্যের শীর্ষে, তখনও হেসে কথা
বলেছেন।
Uttam Kumar Best Movies
১৯৫৩-তে উত্তমের কামব্যাক নির্মল দের ছবি ‘সাড়ে চুয়াত্তর’-এর হাত ধরে!
সুপার ডুপার হিট! তখনকার ভাষায় যাকে বলে কিনা বাম্পার হিট ছবি! এই ছবিই জন্ম
দিল বাংলা ছবির হিট জুটি ‘উত্তম-সুচিত্রা‘র।
সুপার ডুপার হিট! তখনকার ভাষায় যাকে বলে কিনা বাম্পার হিট ছবি! এই ছবিই জন্ম
দিল বাংলা ছবির হিট জুটি ‘উত্তম-সুচিত্রা‘র।
সত্যজিৎ রায়ও (Satyajit Roy) উত্তমকুমারকে নিয়ে ছবি করেছেন। তাঁর কথা মাথায় রেখেই ‘নায়ক’ ছবি করার কথা
ভেবেছিলেন সত্যজিৎ রায়। ‘নায়ক’ উত্তমের কেরিয়ারের ১১০তম ছবি। সত্যজিৎ রায় তাঁকে
নেওয়ার পর বুদ্ধিজীবী মহলে কলকে পেয়েছিলেন তিনি। তার আগে উত্তমকুমারকে অভিনেতা
বলেই স্বীকৃতি দিত না বুদ্ধিজীবী মহল, তিনি ছিলেন শুধুমাত্র ‘ম্যাটিনি আইডল‘! হলিউডের বিখ্যাত অভিনেত্রী এলিজাবেথ টেলর ( Elizabeth Taylor) নায়ক’ দেখে উচ্ছ্বসিত, উত্তমের সঙ্গে দেখাও করতে চেয়েছিলেন।
ভেবেছিলেন সত্যজিৎ রায়। ‘নায়ক’ উত্তমের কেরিয়ারের ১১০তম ছবি। সত্যজিৎ রায় তাঁকে
নেওয়ার পর বুদ্ধিজীবী মহলে কলকে পেয়েছিলেন তিনি। তার আগে উত্তমকুমারকে অভিনেতা
বলেই স্বীকৃতি দিত না বুদ্ধিজীবী মহল, তিনি ছিলেন শুধুমাত্র ‘ম্যাটিনি আইডল‘! হলিউডের বিখ্যাত অভিনেত্রী এলিজাবেথ টেলর ( Elizabeth Taylor) নায়ক’ দেখে উচ্ছ্বসিত, উত্তমের সঙ্গে দেখাও করতে চেয়েছিলেন।
মহানায়ক। শুনলেই বাঙালি মনে দোলা দিয়ে যায় একটি নাম। সেই নামের ওজনেই ওজনদার
ছিল টলিউড ইন্ড্রাস্ট্রি। শুধু টলিউড বললে ভুল হবে, বলিউডেও ছিল তাঁর সমান
যাতায়াত। তাঁর সিনেমা মুক্তি পাওয়া মানে হলে উপচে পড়া ভিড়। তিল ফেলার জায়গার
থাকত না। তাঁর নামেই অর্ধেক টিকিট বিক্রি হয়ে যেত নিমেষে। হ্যাঁ নামটাও সেই
অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায় (Arun Kumar Chattopadhyay)। থুড়ি উত্তম কুমার।
ছিল টলিউড ইন্ড্রাস্ট্রি। শুধু টলিউড বললে ভুল হবে, বলিউডেও ছিল তাঁর সমান
যাতায়াত। তাঁর সিনেমা মুক্তি পাওয়া মানে হলে উপচে পড়া ভিড়। তিল ফেলার জায়গার
থাকত না। তাঁর নামেই অর্ধেক টিকিট বিক্রি হয়ে যেত নিমেষে। হ্যাঁ নামটাও সেই
অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায় (Arun Kumar Chattopadhyay)। থুড়ি উত্তম কুমার।
নারীর মনে উত্তাল করতে এই নাম যথেষ্ট। শুধু নারী কেন পুরুষদের মধ্যে ছিল উত্তম
কুমারের মতো হওয়ার বাসনা। তাঁর ব্যক্তিত্বের প্রতিফলনে আলোকিত হতে চান সকলে।
১৯৭০-এর পর নায়ক উত্তম থেকে হয়ে গেলেন মহানায়ক। অনাবিল হাসি, অকৃত্রিম চাহনি আর
অভিনয় গুণে কয়েক প্রজন্ম পেরিয়ে আজও বাঙালির চেতনায় উত্তম জীবন্ত।
কুমারের মতো হওয়ার বাসনা। তাঁর ব্যক্তিত্বের প্রতিফলনে আলোকিত হতে চান সকলে।
১৯৭০-এর পর নায়ক উত্তম থেকে হয়ে গেলেন মহানায়ক। অনাবিল হাসি, অকৃত্রিম চাহনি আর
অভিনয় গুণে কয়েক প্রজন্ম পেরিয়ে আজও বাঙালির চেতনায় উত্তম জীবন্ত।