শরীর – Valobashar Golpo – Valobashar Romantic Premer Golpo Bangla – Bengali Love Story

sudiproy877
4 Min Read

           ( প্রাপ্ত মনস্কদের জন্য)

ভর দুপুর…
নির্মাল্য’বাবু,নিজের ইচ্ছেমতো সকল আঙ্গিকে,মনের মতো মুদ্রায়,অফিসের ব্যক্তিগত সহকারী শ্রাবন্তী’কে, কুড়ে কুড়ে উপভোগ করছিলেন নিজের ফার্মহাউসের নিরিবিলি নিঃসঙ্গ ঘরটাতে..
হৃদয়ের অন্তস্থলে,বেশ কিছুদিনের জমিয়ে রাখা বাসনা চরিতার্থ করার তৃষ্ণা যেন পেয়ে বসেছিল ওনাকে আজকের দিনটার জন্য চরম তৎপরতায় এতদিন অপেক্ষারত ছিলেন মানুষটি।

Valobashar Golpo

তবে প্রগাঢ় আদরের মুহূর্তেও উনি তৃপ্ত হচ্ছিলেন’না বিন্দুমাত্র.. কারণ,নরম বিছানায় নির্বিকার পড়ে ছিল শ্রাবন্তী…নিছক শবের ন্যায়, প্রতিক্রিয়া বিহীন ভাবাবেগ’বিলুপ্ত পদার্থের মতন.

চরম বিরক্তি প্রকাশ করলেন নির্মাল্য’বাবু..
অসঙ্গত হোক বা সঙ্গত, ন্যূনতম মানসিক সহযোগিতা ছাড়া শারীরিক তৃপ্তি পাওয়া বোধয় অসম্ভব।  নির্মাল্য’বাবু বিবিধ’রূপে মেয়েটিকে আপাদমস্তক স্পর্শের আঁচে উত্তপ্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন,কিন্তু অসফল হচ্ছিলেন বারংবার.

কোনো সুফল না পেয়ে, কথায় আক্রমণ শানালেন শেষমেশ..
–“কি ব্যাপার ? কোনো সমস্যা হচ্ছে তোমার? ”
নগ্ন মেয়েটি’র চোখের পাতা ভিজে যাচ্ছিলো অপ্রকাশিত যন্ত্রনায়..
কম্পিত স্বরে সে বললো :
–“আপনাকে তো আমি বাধা দিই’নি স্যার !,তবে কেনো এতো উত্তেজিত হচ্ছেন আপনি?”
প্রতিউত্তর দিলেন নির্মাল্য সেন:
–“না ! এটা’কে বাধা দেওয়াই বলে…
হতে পারে আমি শঠ,তবে অমানবিক নই ”
আস্তে আস্তে বক্ষ’দেশে ওড়না নিয়ে বিছানায় উঠে বসলো শ্রাবন্তী I
কিছুক্ষনের স্তব্ধতা গ্রাস করলো গোটা কক্ষ’টিকে..
****************************************************

খাটের এককোনে অসহায় পড়ে থাকা মসৃন চাদর’খানি দিয়ে,যত্ন সহকারে শ্রাবন্তীর উন্মুক্ত শরীর’টা ঢেকে দিলেন তার অফিসের বস.
তারপর পরিধান করলেন নিজের পোশাক..
এক’ই অবস্থায় নত মস্তক বসে রইলো শ্রাবন্তী..

মেয়েটির দিকে তাকিয়ে নির্মাল্য’বাবু মৃদু হেসে বললেন…
–“কোনো চিন্তা করোনা শ্রাবন্তী ! অপূর্ব’বাবু সুস্থ হয়ে উঠবেন,আমার মন বলছে..তোমার ভালোবাসা ষোলো’আনা খাঁটি..তাই তুমি শূন্য হাতে ফিরবেনা”..
-“আজকের পর থেকে যা আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন,তার দায়িত্ব আমি নেবো..তার বিনিময়ে কিছুই দাবি করবোনা ”

মুখ ঢেকে বাঁধভাঙা অশ্রুধারায় ডুবে গেলো মেয়েটি..

সেরা ভালোবাসার গল্প

Loading...

****************************************************
জীবন্ত ভালোবাসার এইরূপ উদাহরণ দেখে প্রাণ’টা ত্বরতাজা হয়ে উঠেছিল প্রাচুর্যের সিংহাসনে বসা হেরে যাওয়া মানুষটির..I
তিনি বোঝেন সহজাত প্রেমের পরিভাষা, তিনি বোঝেন অনিচ্ছাকৃত মিলনের ভঙ্গিমা I
যন্ত্রণাদায়ক এক নিশীথে,আপন স্ত্রীর সাথে আন্তরিক মিলনের মুহূর্তে, ঠিক এইরূপ ভঙ্গিমার সাক্ষী থেকেছিলেন তিনি..
সেদিন তিনি বুঝেছিলেন,তিনি যা সন্দেহ করছেন ,তা সবটাই ঠিক..
বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে দুজনার..
তার স্বল্পদিনের মধ্যেই নির্মাল্য সেন বার্তা পেয়েছিলেন নিজের পছন্দের পুরুষের সাথে ওনার স্ত্রী ,পরমানন্দে ঘর বেঁধেছে..
****************************************************
গল্পের শেষ প্রেক্ষাপট ………….

সন্ধ্যা নেমেছে…
পিচ রাস্তা অতিক্রম করে একটি মেরুন রংয়ের ফোর’হুইলার এসে থামলো একটি গলির প্রান্তে I
ধীর পায়ে গাড়ি থেকে নেমে পড়লো শ্রাবন্তী I
আর মাত্র মিনিট সাতেকের হাঁটাপথে তার বাড়ি, সেখানে অপেক্ষারত তার মুমুর্ষ স্বামী অপূর্ব’বাবু I
গাড়ি থেকে নেমে ঘাড় ঘুরিয়ে দুচোখ ভরে দেখছিলো শ্রাবন্তী ,আবিষ্কৃত মানুষটিকে I
দৃঢ়তার সাথে নির্মাল্য’বাবু বলে উঠলেন :
— “আমার বন্ধু হবে?’
বেশ কিছুক্ষন মূর্তিমান দাঁড়িয়ে থাকার পর, রুমালের খুঁট দিয়ে চোখের জল মুছে,
মাথা দুলিয়ে মুখটিপে হেসে, মেয়েটি সম্মতি জানিয়েছিল .
****************************************************
সন্ধ্যের আলো আধারির মাঝে মেয়েটি হেটে এগিয়ে যাচ্ছে তার বাড়ির উদ্দেশ্যে , যেখানে তার অসুস্থ স্বামী অপূর্ব অধীর আগ্রহে তার অপেক্ষায় হয়তো বসে আছে ।
নির্মাল্য’বাবু বেশ কিছুক্ষণ শ্রাবন্তীর হেটে চলে যাওয়ার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকলেন । হঠাৎ তিনি এক গভীর দীর্ঘশ্বাস ফেললেন । সেই দীর্ঘশ্বাসের মধ্য দিয়েই ফুঁটে উঠলো অপনহারা এক নিশ্বব্দ চিৎকার …
সন্ধ্যের হালকা অন্ধকারে রাস্তার লাইটগুলো কেমন যেন পেঁচার মতো তাকিয়ে আছে , গাড়ি ঘুরিয়ে ছুটে চললেন তিনি । কি জানি কোথায় ….

Share This Article