গত দুমাস আগেও যে সন্দেশখালির নাম অনেকেরই অজানা ছিলো সেই সন্দেশখালি এখন দেশের সংবাদ শিরোনামে । শুরু হয়েছিলো শেখ শাজাহান নামক এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে ইডির তল্লাশিকে কেন্দ্র করে । কিন্তু কেঁচো খুঁড়তেই যেন কেউটের সন্ধান মিলেছে ।
সন্দেশখালি যেতেই শঙ্খধ্বনি দিয়ে শুভেন্দুকে স্বাগত
গত কয়েক সপ্তাহে সন্দেশ খালিতে ঘটে গেছে একের পর এক নজিরবিহীন ঘটনা । মা মাটি মানুষের রাজ্যে সন্দেশখালির একের পর এক মহিলা অভিযোগ করেছেন তাদের ওপর পাশবিক অত্যাচারের হারহিম করা কাহিনী । সেই কথা শুনে শিউরে উঠছে গোটা দেশ, তথা গোটা মানব জাতি । এই একবিংশ শতাব্দীতে ও নারীদের যে যেভাবে ভোগের পণ্য হিসেবে ব্যাবহার করা হয়েছে তা ভাবনার অতীত ।
বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, যেখানেই ঘটনা সেখানেই নাকি রাজনীতি । সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করতে গত সপ্তাহেই সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন বিরোধি দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । কিন্তু সন্দেশখালির যাওয়ার আগেই তাকে আটকে দেয় রাজ্য পুলিশ । সেখানে এক প্রকার বচসা করেও লাভ হয়নি। ফিরে যেতে হয় শুভেন্দু অধিকারীকে ।
অবশেষে গতকাল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ শুভেন্দুকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দেয় । আজ সকালেই শুভেন্দু অধিকারি ও বিধায়ক শংকর ঘোষ সন্দেশ খালি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন । কিন্তু ধামাখালির কাছাকাছি আসতেই ফের একবার শুভেন্দুকে আটকে দেয় পুলিশ । বিচারপতির আদেশ অমান্য করেই কিছুক্ষণ রাস্তায় শুভেন্ধুকে আটকে রাখে রাজ্য পুলিশ ।
অবশেষে হাই কোর্টের হস্তক্ষেপে সন্দেশখালিতে প্রবেশ করেন বিরোধী দলনেতা । শুভেন্ধু গ্রামে প্রবেশ করতেই রাস্তায় মহিলারা শঙ্খধ্বনির মাধ্যমে তাকে শুভেচ্ছা জানায় । আপাতত গ্রামের বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে কথা বলে শুভেন্দু জানান, যেভাবে সন্দেশখালির মা – বোনের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে, তাতে শেখ শাহাজানের ফাঁসি হওয়া উচিত ।
আগামী ৭ ই মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভা হওয়ার কথা সন্দেশখালিতে ।
Sourav Ganguly: সুকান্তকে দেখতে হাসপাতালে সৌরভ, রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে
R Ashwin: 500 উইকেট তুলে টেস্ট ক্রিকেটে নজির গড়লেন অশ্বিন