– কেমন আছো অবনি? ব্যস্ত শহরে ব্যস্ত মানুষের মাঝে হঠাৎ করেই চেনা পরিচিত কণ্ঠে নিজের নাম শুনে পিছন ফিরে তাকায় অবনি। চেনা কণ্ঠের মানুষটাও চেনা। এতোটাই চেনা যে নিজেকে হারিয়ে ফেলে অবনি। যার সাথে নিজেকে হারিয়েছে বহুবার, সেই তার সময়ের দোষারোপ হারিয়ে যাওয়া প্রিয় কণ্ঠের প্রিয় মানুষ রুদ্র।
দুঃখের গল্প কাহিনী
– যেমনটা আশা করো, ঠিক ততটাই ভালো আছি। তুমি কেমন আছো রুদ্র ?
– সময়ের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছি।
চেনা মানুষ অপরিচিত হলে, শব্দের সীমাবদ্ধতা তৈরি হয়। এই পৃথিবীতে এতো শব্দ থাকার পরও মনে হয় গুটিকয়েক শব্দই কেবল জানা। বাকী সব শব্দগুলো এই বিশাল আকাশের মতো অজানা।
শব্দের সীমাবদ্ধতায় আটকে গিয়ে রুদ্র জিজ্ঞেস করে- আচ্ছা অবনি,তোমার সাথে আমার লাস্ট কবে দেখা হয়েছিলো?
– মনে নেই, আজকাল অনেক কিছুই ভুলে যাই।
– ভুলে যাও, নাকি ভুলের যাওয়ার অভ্যাস তৈরি করো?
– হয়তো অভ্যাস তৈরি করি, মানুষ তো অভ্যাসে বাঁচে। বাঁচার তাগিদে হয়তো অভ্যাস গড়ি।
– তাহলে আমার সাথে স্মৃতির অভ্যাস তৈরি হয়নি?
– ছায়ার সাথে মানুষের স্মৃতি তৈরি হয় আলোতে, অন্ধকারে ছায়ার সাথে কেনো স্মৃতি তৈরি হয় না।
– আমি কি কেবলই ছায়া ছিলাম, মায়ায় পড়োনি আমার?
-ভুলে যাওয়ার অভ্যাসে অনেক মায়াই বিসর্জন দিতে হয় কেবলই ছায়ার টানে। তুমি আমার জীবনে আলোতে ছিলে, অন্ধকারে তোমাকে পাইনি। তাই হয়তো তোমার সাথে আমার কেবলই ছায়া তৈরি হয়েছে, মায়া তৈরি হয়নি।
ভালবাসার দুঃখের ছোট গল্প
– ছায়া কিংবা মায়া আমি দুটোতেই থাকতে চেয়েছিলাম। সময় আর পরিস্থিতি আমাকে অনেক দূরে সরিয়ে রেখেছে।
– সময় আর পরিস্থিতি আমাকে নতুন করে বাঁচার শিক্ষা দিয়েছে। বেশ কিছুদিন পূর্বেও আমি শুধু মাত্র বাঁচার জন্য বেঁচে ছিলাম। আর আজ আমি আমার জন্য বাঁচি।
তবে আজকে চলি, হয়তো বেঁচে থাকলে আবার দেখা হবে, ছায়ার টানে কিংবা মায়ার টানে।
দু’জন একই রাস্তায় দুই কিনারায় হেঁটে যাচ্ছে নিজেদের গন্তব্যে। বেঁচে থাকার আশে। নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার আশে।
– পি ডি রাজ…
আরো পড়ুন,
প্রাক্তন নিয়ে গল্প – মন ভাঙার গল্প