Eternals Honest Positive Review & Rating – IMDb, Rotten tomatoes
Eternals Review
প্রমাণিত হলো যে শুধুমাত্র রিভিউ এর ওপর বেস করে কোন সিনেমাকে বিচার করা উচিত
নয়।
সৃষ্টির শুরুর দিকে সেলেস্টিয়াল রা জগত সংসার সৃষ্টি করে। তারপর তাদেরই কোন এক
সৃষ্টির সামান্য ত্রুটির ফলে সৃষ্টি হয় ডেভিয়েন্টদের। এরা কোন একটি গ্রহের যত
বুদ্ধিমান প্রাণী আছে তাদের মেরে শেষ করতে থাকে। ফলে সেলেস্টিয়াল রা তাদের
নিকেশ করতে পাঠায় ইটারনালস দের। তারাও যথারীতি ওদের মেরে জগত সংসারে ভারসাম্য
বজায় রাখে। এছাড়াও তাদের একটা অন্য মিশন আছে, যেটা বললে হয়তো পুরো গল্পটাই
বলে দেওয়া হয়ে যাবে। এই পর্যন্ত সব ঠিক ঠাকই চলছিলো। কিন্তু প্রাইম ইটারনাল
এজাক এর নেতৃত্বে পৃথিবীতে ডেভিয়েন্টদের শেষ করতে এসে সব গড়বড় হতে শুরু করে।
মানুষদের সঙ্গে থাকতে থাকতে তাদের কেউ কেউ মানুষের সঙ্গে বড্ড বেশি ইমোশনালি
এটাচট হয়ে যায়। আবার অন্যদিকে কেউ কেউ এমন ও আছে যে সেলেস্টিয়াল দের কথা
অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, তাতে তাদের সঙ্গীদের মারতে হলেও তাও
আচ্ছা। এর পর কি কি হয় তা আপনি ডিজনি প্লাসে দেখে নিন।
Eternals Cast
Eternals Plot Explained
সিনেমাটা ফ্ল অবশ্যই আছে। যেমন, ক্যারেক্টার ডেভলপমেন্ট বড়ই কম। তবে এটাও তো
দেখতে হবে যে দশ দশ জন এটার্নালস কে একটা সিনেমায় সমান টাইমিং দিতে গেলে
গল্পটাই ঠিকঠাক করে বলা হবে না। তারপর চিত্রনাট্যের উপর আরো একটু কাজ করলে
হয়তো ভালো হতো। এছাড়াও মার্ভেলের আরেকটা সমস্যা তারা নতুন কোন সুপারহিরো
ইন্ট্রোডিউস করার আগে তাকে বেশ শক্তিশালী বলে চালিয়ে দেয়। কিন্তু তার কোনো
পূর্ব উল্লেখ দেয় না। যে সমস্যাটা ক্যাপ্টেন মার্ভেল এর ক্ষেত্রে হয়েছিল।
কিন্তু এটার্নালস এর ক্ষেত্রে এটা হওয়ার কোন প্রশ্ন নেই কারণ তারা মানুষের
মধ্যেই বাস করছে। নেহাত যখন দরকার পড়েছে তখন তারা উঠে যুদ্ধ করেছে। কিন্তু
অনেকেই বলবেন তাহলে থানোস যখন আক্রমণ করেছিল তখন এরা কি করছিল? সোজা উত্তর
সিনেমাতেই আছে। ডেভিয়েন্টরা ইনভলব না থাকলে তারা নাক গলাবে না। কারণ এতে করে
মানুষের যে স্বাভাবিক বিকাশ তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিছুটা মহাভারতের শ্রীকৃষ্ণের
মত। তিনি চাইলে মহাভারতের যুদ্ধ এক মিনিটে শেষ করে দিতে পারতেন। কিন্তু তাতে কত
লক্ষ লক্ষ মানুষের ভবিষ্যৎ যা পূর্ব নির্ধারিত আছে তা ক্ষতিগ্রস্ত হত। এতে
ইতিহাসেরও ক্ষতি হতো। এরা চাইলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কখনো হতো না। কিন্তু তার
ফলে পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার থেকে মানুষ আরো হয়তো কয়েক বছর পিছিয়ে যেত। এটা
এরা হতে দিতে পারেনা। কারণ মানুষের জ্ঞান লাভ করে বিকাশ হলে তবে এদের আরেকটি
মিশন ঠিকঠাক দিকে এগোবে।
ইটার্নালস রিভিউ
জোলিকে আমার চিরকালই ভালো লাগে, তবে আমার মনে হয়েছে ওনাকে আরো একটু দেখাতে
পারলে হয়তো ভালো হতো। আইম্যাক্স ক্যামেরায় তোলা অ্যাকশন সিকোয়েন্স ও
ব্যাকগ্রাউন্ড সিন বেশ ভালই লাগে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক খুব একটা মনে রাখার মত
নয়। অল্প সময়ের মধ্যে হারিশ পাটেল দুর্দান্ত। তবে এটা আমার একটু বাড়াবাড়ি
মনে হয়েছে যে, ইকারিস কে দেখে ফাস্টোসের ছেলে সুপারম্যান বলে উল্লেখ করে। এটা
মার্ভেলের ই একটা টেকনিক নাকি অনিচ্ছাকৃত তা আমি বুঝতে পারিনি। তবে হ্যাঁ, মানব
সভ্যতার বিকাশের পিছনে মার্ভেল কমিকস অনুযায়ী ইটারনালস দের প্রচুর ভূমিকা আছে,
এবং তা কেমন তা জানতে গেলে আপনাকে সিনেমাটা দেখতে হবে। অন্তত একবার লজ্জা
ঘেন্না করে দেখে নিন।