– একটু লেট হয়ে গেল।
– একটু না, অনেকটাই…
– আজ রান্না করতে হবে না। চাউমিন এনেছি। তোমার যেমন ভালোলাগে – ঝাল বেশি, নুন কম, দুটো ডিম দিয়ে…
– বাবাঃ! এত কিছু মনে আছে!
– থাকবে না আবার, একটাই তো বউ! আরেকটা থাকলে না হয় গুলিয়ে ফেলার চান্স ছিল!
– কেলিয়ে পাট করে দেবো।
– আচ্ছা! স্যরি স্যরি। খেয়ে নাও…
– আচ্ছা, আমার যখন ৬০ বছর বয়স হয়ে যাবে, চামরা কুঁচকে যাবে, দাঁত পড়ে যাবে, তখনও এমনই মনে রাখবে সব?
– না না… আমারও তো বয়স হবে। ভুলেই যাবো মনে হয়!
– অসভ্য! মিথ্যে করেও হ্যাঁ বলা যায় তো!
.
.
(চল্লিশ বছর পরে। যখন তারা ষাটের ঘরে…)
.
.
– একটু লেট হয়ে গেল! আজ রান্না করতে হবে না। চাউমিন এনেছি। তোমার যেমন ভালোলাগে – ঝাল বেশি, নুন কম, দুটো ডিম দিয়ে…
– হ্যাঁ, আমার মনে আছে তোমার কেমন ভালোলাগে। একটাই তো বউ। আরেকটা থাকলে গুলিয়ে ফেলার চান্স ছিল!
– আচ্ছা স্যরি! খিস্তি করতে হবে না, এই বয়সে এমনিও অন্য কেউ পটছে না। তুমিই আছো খালি…
.
.
(ডাইনিং টেবিলের উল্টো দিকের চেয়ারটা ফাঁকা। দেওয়ালে একটা ছবি ঝুলছে, গলায় রজনীগন্ধার মালা)
.
.
– মনে রেখেছি কিন্তু ষাট বছরেও… এবার আর খিস্তি করতে পারবে না। বরং নিজেই ভুলে গিয়েছো!
জীবন নামক এই বহমান নদীতে হারিয়ে যায় সব বাঁক , সব মুহূর্ত , ভালোলাগা , ভালোবাসার মানুষগুলো । কিন্তু স্মৃতির ইনবক্সে জমে থাকে নীরব , অব্যক্ত কিছু কথা ….