Bangla Hot Golpo (বড়দের গল্প) সন্দেহ – Bengali Hot Choti Story
Bangla Hot Golpo
বলবো বুঝতে পারছিনা আমার এতোটুকু মেয়েকে। আমি জিজ্ঞেস করলাম,,,
তখন আমার এই রুমে একা থাকতে খুব ভয় করে, জানো?
Bangla Choti Golpo
চুপচুপ করছে। মনে হচ্ছে কোন পঁচা ডোবা থেকে এই মাত্র একটা ডুব দিয়ে আসলাম।
টেবিলে থাকা গ্লাসটা থেকে ডগডগ করে পুরো গ্লাসের পানি পান করলাম। তবুও কপাল
থেকে চুইয়ে চুইয়ে ঘাম বেয়ে পরছে। আমার পাঁচ বছরের মেয়ে মুক্তা হঠাৎই আমার এ
অবস্থা দেখে ভয় পেয়ে গেল,,,
ঠিক হতে পারছিনা। ভাবছি ওর মতো নিষ্পাপ বাচ্চা চারিপাশে যা দেখবে তাইতো বলবে।
আর তাছারা ছোটবেলা থেকে ওকে কখনো মিথ্যা শিক্ষা দেইওনি আর বলেওনি।আমার স্ত্রী
শারমিনকে বাবা মায়ের পছন্দেই বিয়ে করেছি। বিয়ের সাত বছরে আজ পর্যন্ত অন্যান্য
মেয়েদের মতো কোন খারাপ অভ্যাস বা খারাপ চরিত্র পরিলক্ষিত হয়নি আমার নিকট।
কিন্তু ইদানিং আমার সাথে কীরকম যেনো এড়িয়ে চলা ভাব দেখছি। আমি এতে তেমন কিছু
মনে করিনা ভাবি হয়তো সংসারের কাজের চাপে এরকম করে। কিন্তু আজ আমার মেয়ে মুক্তার
কথা শুনে আমার মাথা কীরকম যেন ভন ভন করছে। শারমিনের প্রতি আমার সন্দেহের তীর
ক্রমেই ছুটে চলছে।
সুবাধে আমার এখানে পোস্টিং হয়। হঠাৎই একদিন বাল্যবন্ধু রাকিবের সাথে আমার দেখা
হয়। বন্ধুত্বের জন্য মাঝে মাঝেই বাসায় আসে। আমি ভেবেছিলাম শারমিন এতে রাগান্বিত
হয়। কিন্তু শারমিনের সেরকম কোন ভাবভঙ্গি আজ পর্যন্ত দেখিনি। বরং রাকিব বাসায়
আসলে কীভাবে আপ্যায়ন করবে তার জন্য ব্যস্ত হয়ে যায়। একারণে শারমিনকে নিয়ে আমি
এতোদিন গর্ববোধ করতাম যে সে অন্যান্য মেয়েদের মতো না।
দিয়ে দেখি শারমিন কী যেন রান্না করছে। ঘামে কাপর শরীরের সাথে লেপ্টে
রয়েছে।অন্যান্য দিন হলে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরতাম কিন্তু এখন কীরকম যেনো ওর দিকে
তাকাতেই ঘৃণা লাগছে।
Bengali Choti Golpo
ঠান্ডা মাথায় করতে হবে এসব ভাবতে ভাবতে গোসল করতে চলে গেলাম। গোসল থেকে ফিরেই
দেখলাম টেবিলে আমার প্রিয় গরুর মাংস। আগের চিন্তা বাদ দিয়ে খেতে বসলাম। ছুটির
দিন সাধারণত আমার মেয়ে আমি হাত দিয়ে না খাইয়ে দিলে খায়না। তাই ওকে কোলে করে
খাইয়ে দিলাম। খাবার পর্ব শেষেই দুপুরে আমি আবার ভাত ঘুম দেই। আমার মেয়ে এতক্ষনে
ঘুমিয়ে গেছে। শারমিন থালা বাসন পরিষ্কার করে আমার পাশে এসে শুতেই আমি জড়িয়ে
ধরলাম। শারমিন আস্তে করে আমার হাতটা সরিয়ে দিলো,,,
খেয়াল আছে? তুমিতো অফিস থেকে এসেই খাবারের জন্য বসে পরো। খাবার তৈরি করতে কত
কস্ট সেটাতো ভাবোনা।
চটি গল্প
ভয়ে আর কিছু বললাম না।এসব ভাবতে ভাবতে কখন ঘুমিয়ে গেলাম টের পেলামনা। আসরের
আজান কানে আসার সাথে সাথেই উঠে পরলাম। শারমিন আর মুক্তা এখনো ঘুমাচ্ছে। আমি আর
ওদের না জাগিয়ে বাহিরে একটু হাটতে বের হলাম। চায়ের দোকানে বসতেই পেপারটা হাতে
নিলাম, হঠাৎই মাঝের দিকে একটা শিরোনামে চোখ আটকে গেল “”স্ত্রী আর স্ত্রীর
প্রেমিক মিলে স্বামীকে গলা কেটে হত্যা””। শিরোনামটা পড়ার সাথে সাথেই শারমিন আর
রাকিবের বিষয়টা আমার মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো। নাহ আর সন্দেহ পুষে রাখা ঠিক হবেনা
কালকের মধ্যেই সবকিছু তদন্ত করে মূল রহস্য উদঘাটন করতে হবে।
কিন্তু কীভাবে আসল ঘটনা বের করবো? ভাবতে ভাবতে হঠাৎই মাথায় একটা বুদ্ধি চলে
আসলো। সিসি ক্যামেরাই পারে আমার সকল সন্দেহ দুর করে দিতে। যেই বলা সেই কাজ।
দুটো সিসি ক্যামেরা কিনে ব্যাগের ভিতর লুকিয়ে বাড়িতে চলে আসলাম। এর মাঝেই অফিস
থেকে কালকের জন্য ছুটি নিলাম।
সারাদিন বিশ্রাম নেবো।
Choto Golpo
দুটো বের করে একটি মেইন দরজার অপর পাশে আরেকটি বেডরুমে সেট করে দিলাম। এমনভাবে
সেট করলাম যাতে কেউ বুঝতে না পারে।পরবর্তী পর্ব সবার আগে পড়তে ভিজিট করুন “কথা
কাব্য” পেজ। এগুলো ওয়েব ক্যাম হওয়ায় অফিসে থেকেও আমি সবকিছু দেখতে পাবো।
থেকে ক্যামেরা অন করলাম। এই সময়ে মুক্তা স্কুলে থাকে। দেখলাম বেডরুমে বসে
শারমিন কার সাথে যেনো ফোনে কথা বলছে খুব উৎফুল্লভাবে। ধুর তার মানে শারমিনের
উপর শুধু শুধুই সন্দেহ করলাম? হঠাৎ বেডরুম থেকে উঠে শারমিন মেইন গেট টা খুলে
দিলো। কৌতুহলবসত ভালোভাবে তাকাতেই দেখি রাকিব। শারমিনকে দেখার সাথে সাথেই ওকে
কোলে তুলে নিয়ে ঘুরাচ্ছে। অতঃপর বেডরুমের ভিতর ঢুকেই শারমিনকে খাটে ফেলে দিলো
অতঃপর শারমিনের উপর উঠে বসলো।
বুঝতে পারছিনা কী করবো। মনে হচ্ছে জানালার গ্লিলগুলোকে চিবিয়ে খাই…..