Bengali ভূতের গল্প Stories – শ্রেষ্ঠ ভূতের গল্প – Bangla Bhuter
Golpo
Bengali ভূতের গল্প Stories
কে নিয়ে গাড়িতে রওনা হয়েছিল এয়ারপোর্ট এর পথে। গন্তব্য আন্দামান। 5-40 এর
ফ্লাইট। তাই ভোর তিনটেয় রওনা দিয়েছিলো ওরা। দিনের কলকাতা দেখেছে অরুণা। কিন্তু
উৎসবের রাতে এমন আলো ঝলমলে শহর কে প্রত্যক্ষ করলো এই প্রথম।তখনো রাস্তায়
মানুষের ঢল।
হোল। যেন পাহাড় জঙ্গল সমুদ্র সক্কলে অভ্যার্থনা জানালো তাদের।পাহাড় জঙ্গল আর
সমুদ্রে ঘেরা প্রকৃতি। এতো রকমের নীল অরুণা আগে কোনোদিন দেখেনি। মুগ্ধ হয়ে
তাকিয়ে রইল সে। নোলক ও মহা খুশি।
ওদের। সরাসরি হোটেল না গিয়ে ড্রাইভার ওদের নিয়ে গেল সাইট সিয়িং এ।
নেচারাল ব্রিজ আরও কিছু জায়গা দেখে ওরা এলো হোটেলে।
ওরা একটা প্লেট রেখে সব ফেরত দিল।নোলক বলল -এতো কে খাবে মা। ফ্লাইটে তো অনেক
কিছু খেয়েছি।
সাউন্ড।
ক্যানসেল করতে হোল।
নীল দ্বীপ যাওয়ার কথা। অরুনাদের হ্যাভলক।
বিশ্বের সেরা ভূতের গল্প
গেছে।
ওদের হোটেল। সমুদ্রের পাড় ধরে ডান দিকে এগিয়ে গেলে ই একদম সমুদ্রের পাড়ে হোটেল
টা। খুব ভালো লেগে গেল ওদের। কি সুন্দর দোলনা টাঙানো, সমুদ্রের জল এসে আছড়ে
পড়ছে রাস্তার গায়ে। আবার জল নেমে গেলেই সেখানে হেঁটে চলে যাওয়া যায় অনেক দূর।
দূরে ছোট ছোট ডিঙি বাঁধা। মাছ ধরা নৌকা। কোনটা লাল, কোনটা গোলাপী
কোনো টা কমলা।
এর খুব মজা। সেতো পারলে দোলনা তেই কাটিয়ে দেয় সারাদিন রাত। অরুণা কুন্তল ও বসে
থাকে সকাল সন্ধে। চা পকোড়া ওখানেই দিয়ে যায় রান্না ঘরের ছেলেটি।
Bhayankar Bangla Bhuter Golpo
অনেক ছবি ও তুলল নোলক। সূর্যাস্ত দেখে হোটেলে ফিরল সন্ধ্যায়। আবার সেই দোলনায়।
বাগানের রান্না ঘর কাম ডাইনিং টা বেশ সুন্দর। সব রকমের আধুনিক ব্যবস্থা ই
সেখানে আছে। তবে চারদিকে বাগান আর জঙ্গল রাত্রে বেলা কেমন একটা গা ছমছমে
ব্যাপার।
দেরী হয় তার। কিন্তু আজ ঘুমিয়ে পড়লো ক্লান্তিতে।
দ্বীপ। নোলক স্কুবা করল রাধা নগর বিচে। গ্লাস বোট এ কোরাল দেখা ও হোল।
আর
নেই। তাড়াতাড়ি খেয়ে নেবেন। আপনারা খেয়ে নিলে আমরা বাড়ী চলে যাব।অরুণা দের কাল
সকালে যাওয়া। আগে থেকে বুক করা তাই পেমেন্ট ও হয়ে আছে। সকালে বেরিয়ে গেলেই হবে।
তাড়াতাড়ি খেয়ে শুয়ে পড়লো। আজ যেন কেমন মায়াবী লাগছে হোটেল টা। চারিদিক
নিস্তব্ধ। গাছের সনসন শব্দ আর সমুদ্রের গর্জন। শুয়ে পড়েও ঘুম নেই অরুণা র
চোখে দুপাশে মেয়ে আর তার বাবা ঘুমে অচেতন।উশপাশ করছিলো অরুণা। হঠাৎ দরজায় চোখ
পড়তেই দেখলো একজন দীর্ঘাঙ্গী বিদেশিনী মহিলা দরজায় দাঁড়িয়ে। পরনে গোলাপী
রঙের ড্রেস। হাতছানি দিয়ে ডাকছে অরুণা কে। অরুণা স্বপ্নাবিষ্ঠে র মতো নেমে পড়লো
মেঝেতে। যেন নিশিতে পেয়েছে। হাঁটতে হাঁটতে এগোতে লাগলো মহিলাকে অনুসরণ করে। সেই
মহিলা এগিয়ে যাচ্ছে সমুদ্রে বাঁধা নৌকার দিকে। অরুণা ও গিয়ে বসলো নৌকায়। এবার
সেই মহিলা নৌকার দড়ি খুলে দিল। নৌকা ভেসে চলল মাঝ দরিয়ায়।একটা ঠান্ডা হওয়ার
ঝাপটা এসে লাগলো অরুনার চোখে মুখে। কে যেন কপাল স্পর্শ করল তার। ধড়মড় করে উঠে
বসল অরুণা। কুন্তল আর মেয়ে সামনে দাঁড়িয়ে। আর অরুণা দোলনাতে শুয়ে। ওদের
চোখে জিজ্ঞাসা কখন এসেছো এখানে? অরুনার চোখে শূন্য দৃষ্টি। দু চোখ খুঁজে
বেড়াচ্ছে কাকে যেন।ভোরের আলো তখন ফুটিফুটি।
ব্লেয়ার। আগের হোটেলেই।হ্যাভালক এর হোটেলের রান্নীদিদি বা ছেলেটার সঙ্গে দেখা
হয় নি সকালে। ম্যানেজার বাবুকে ও জিজ্ঞাসা করেনি কিছু।
শ্রেষ্ঠ ভূতের গল্প
ছিলেন হ্যাভলকে।
ছেলেমেয়ে রা সে রাতে ঘুমাতে পারেনি। শেষে বাবা মায়ের ঘরে এসে একসাথে ঘুমিয়েছিল।
মহিলা কি শুধুই স্বপনোচারিণী? তার কোন উত্তর অরুনার কাছে নেই।