প্রচন্ড হাসির গল্প – Prochondo Hasir Golpo – Bengali Funny Story
প্রচন্ড হাসির গল্প
বিয়েবাড়ির নেমতন্ন
সত্যি বলতে কী বিয়েবাড়ি র নেমন্তন্ন খেতে কার না ভালো লাগে, আমার কেনো
জানি না একটু বেশি ই ভালো লাগে। স্টার্টার এ কফি, চিকেন পাকোড়া, ললিপপ, পাপড়ি
চাট উফফ!! ভেবেই আমার জিভে জল চলে এল। তো যা বলছিলাম, সেদিন ছিল আমার বাবার
বন্ধুর মেয়ের বিয়ে, আমি পড়তে গেছিলাম, বাড়ি এসে হাত পা ধুয়ে বসে চা আর
রাস্ক বিস্কুট খেলাম। তারপর ভালো একটা শার্ট আর জিন্স পরে, চুলে স্টাইল
মেরে, ফোন বাঁকিয়ে বুকিয়ে ছবি তুলে স্ট্যাটাস এ দিয়ে চললাম
বিয়েবাড়ির উদ্দেশ্যে।
কমেডি হাসির গল্প
পৌঁছলাম বিয়েবাড়িতে, কনে কে গিফ্ট দিয়েই অমি আমার দাদাকে নিয়ে চললাম ফুড
কর্ণার এ। কিন্তু যেতে গিয়েই হঠাৎ পেট টা কেমন করে উঠলো, আমি থমকে গেছি, হয়ে
গেল ভাবলাম সকাল থেকে তো আমি একবারও বাথরুম যাইনি , সেরেছে রে! আমি দাঁড়িয়ে
আছি দেখে দাদা তাড়া দিচ্ছে যাওয়ার জন্য, অগত্যা আস্তে আস্তে করে গেলাম ওখানে,
আমার চোখের সামনে আছে চা, কফি, কোল্ড ড্রিঙ্কস, আইসক্রিম, ডাই করে রাখা চিকেন,
পনীর পাকোড়া, মোমো, পাঁপড়ি চাট, চাউমিন আর আমি চুপ করে অতিকষ্টে দাড়িয়ে
আছি। আর আমার দাদা একটু একটু করে সব খাবার আনছে আর আমার মুখে তুলে দিচ্ছে, মোমো
টা খাবার পর যেন পেট এর বেগ টা আরো কয়েকগুণ বেড়ে গেল।
কর্ণার এ। কিন্তু যেতে গিয়েই হঠাৎ পেট টা কেমন করে উঠলো, আমি থমকে গেছি, হয়ে
গেল ভাবলাম সকাল থেকে তো আমি একবারও বাথরুম যাইনি , সেরেছে রে! আমি দাঁড়িয়ে
আছি দেখে দাদা তাড়া দিচ্ছে যাওয়ার জন্য, অগত্যা আস্তে আস্তে করে গেলাম ওখানে,
আমার চোখের সামনে আছে চা, কফি, কোল্ড ড্রিঙ্কস, আইসক্রিম, ডাই করে রাখা চিকেন,
পনীর পাকোড়া, মোমো, পাঁপড়ি চাট, চাউমিন আর আমি চুপ করে অতিকষ্টে দাড়িয়ে
আছি। আর আমার দাদা একটু একটু করে সব খাবার আনছে আর আমার মুখে তুলে দিচ্ছে, মোমো
টা খাবার পর যেন পেট এর বেগ টা আরো কয়েকগুণ বেড়ে গেল।
বাস্তব হাসির গল্প
আমি একটা সোফায় চেপেচুপে বসেছিলাম, মনে হলো যেনো পেট ব্যাথা টা একটু কমেছে, মা
এসে ডাকলেন খেতে যাওয়ার জন্য। আমি পেট ব্যথা কমার শান্তিতে গেলাম খেতে। বসলাম,
প্রথমে দিল একটা কুলচা আর চিকেন তড়কা, কিন্তু তারপরেই বুঝ তে পারলাম আগেরটা তো
ট্রেলার ছিল , এরপর যদি আমি বাথরুম এ না যাই তাহলে আর!!! ভাবতে ভাবতেই
গ্রীলড চিকেন আর ফিশ ফ্রাই চলে এলো। হঠাৎ করে কাকু এসে হাজির হলেন, যিনি সার্ভ
করছিলেন তার থেকে কেড়ে নিয়ে আমার পাতে দিয়ে দিলেন দুটো ফিশ ফ্রাই আমি
তো একটাই শেষ করতে পারছি না আর দুটো!!!! অতি কষ্টে বাবা মা এর পাতে দিলাম। এরপর
এলো হলুদ পোলাও আর খাসির মাংসের কারি, এবারও হঠাৎ করে প্রায় মাটি ফুঁড়ে আবার
কাকু এলেন, যথারীতি আমার পাতেই বেশি বেশি করে খাসির মাংস এর টুকরো তুলে দিতে
বললেন। একদিকে আমার প্রাণ যায় যায় অবস্থা , শেষ পাতে রসগোল্লা, এবারও টার্গেট
আমি, তিনখানা রসগোল্লা, ভগবান কী আজ আমার সমস্ত ভুলের শাস্তি আমাকে
দিচ্ছেন!!!
এসে ডাকলেন খেতে যাওয়ার জন্য। আমি পেট ব্যথা কমার শান্তিতে গেলাম খেতে। বসলাম,
প্রথমে দিল একটা কুলচা আর চিকেন তড়কা, কিন্তু তারপরেই বুঝ তে পারলাম আগেরটা তো
ট্রেলার ছিল , এরপর যদি আমি বাথরুম এ না যাই তাহলে আর!!! ভাবতে ভাবতেই
গ্রীলড চিকেন আর ফিশ ফ্রাই চলে এলো। হঠাৎ করে কাকু এসে হাজির হলেন, যিনি সার্ভ
করছিলেন তার থেকে কেড়ে নিয়ে আমার পাতে দিয়ে দিলেন দুটো ফিশ ফ্রাই আমি
তো একটাই শেষ করতে পারছি না আর দুটো!!!! অতি কষ্টে বাবা মা এর পাতে দিলাম। এরপর
এলো হলুদ পোলাও আর খাসির মাংসের কারি, এবারও হঠাৎ করে প্রায় মাটি ফুঁড়ে আবার
কাকু এলেন, যথারীতি আমার পাতেই বেশি বেশি করে খাসির মাংস এর টুকরো তুলে দিতে
বললেন। একদিকে আমার প্রাণ যায় যায় অবস্থা , শেষ পাতে রসগোল্লা, এবারও টার্গেট
আমি, তিনখানা রসগোল্লা, ভগবান কী আজ আমার সমস্ত ভুলের শাস্তি আমাকে
দিচ্ছেন!!!
দমফাটা হাসির গল্প
যাই হোক খাওয়া শেষ হতেই ভাবলাম এবার শুধু বাড়ি ফিরি!! কিন্তু আমার সেই ভাবনা
ভাবনাই থেকে গেল, সেলফি তোলার বায়না শুরু হল আমার মায়ের, একে তো আমার বোধহয়
মলাশয়ে ফ্লো শুরু হয়ে গেছে তার ওপর মায়ের এই আবদার মেটাতে গিয়ে এখানেই হয়ে
যাবে লোকদের মাঝখানে, অতিকষ্টে কাজ সেরে দাদাকে নিয়েই বাড়ি চম্পট, বললাম, ”
দাদা তুই প্লিজ যত জোরে পারিস, পারলে গাড়ি উড়িয়ে নিয়ে বাড়ি চল” । দাদা
হয়তো বুঝে ছিল কোনো কারন আছে, বাড়ি পৌঁছে , চাবি খুলছি , কিছুতেই খুলছে না
হতচ্ছাড়া তালা টা, যাই হোক তালা খোলা মাত্র আমি দে দৌড় আমার ঘরে। কোনরকমে
জামা change করে ই ছুটলাম বাথরুম এ।
ভাবনাই থেকে গেল, সেলফি তোলার বায়না শুরু হল আমার মায়ের, একে তো আমার বোধহয়
মলাশয়ে ফ্লো শুরু হয়ে গেছে তার ওপর মায়ের এই আবদার মেটাতে গিয়ে এখানেই হয়ে
যাবে লোকদের মাঝখানে, অতিকষ্টে কাজ সেরে দাদাকে নিয়েই বাড়ি চম্পট, বললাম, ”
দাদা তুই প্লিজ যত জোরে পারিস, পারলে গাড়ি উড়িয়ে নিয়ে বাড়ি চল” । দাদা
হয়তো বুঝে ছিল কোনো কারন আছে, বাড়ি পৌঁছে , চাবি খুলছি , কিছুতেই খুলছে না
হতচ্ছাড়া তালা টা, যাই হোক তালা খোলা মাত্র আমি দে দৌড় আমার ঘরে। কোনরকমে
জামা change করে ই ছুটলাম বাথরুম এ।
আরো পড়ুন,
এরপর থেকে পণ করে নিলাম , এবার থেকে যেখানেই যাই না কেনো পেট পরিষ্কার করে তবেই
যাবো , জোর করেই যাবো। বলা তো যায় না কখন প্রকৃতির ডাক কোথায় চলে আসে।
যাবো , জোর করেই যাবো। বলা তো যায় না কখন প্রকৃতির ডাক কোথায় চলে আসে।
আরো পড়ুন,