একটি প্রেমের গল্প – Ekti Premer Golpo – Love Story Bengali
একটি প্রেমের গল্প
সহেলির বিয়ে হয়েছে আজ দু বছর। প্রেম করে বিয়ে। দিব্যর সাথে কলেজেই আলাপ হয়েছিল
ওর। তারপর একটু একটু করে ভালো লাগা। আর সেই ভালো লাগা থেকে প্রেম। এরপর ওদের
প্রেম এগিয়েছিল তরতর করে। সেইসব দিনগুলোকে এখন স্বপ্নের মতো মনে হয় সহেলির।
টানা সাতটা বছর ধরে চলেছিল ওদের প্রেমপর্ব। তারপর একদিন বিয়ে করবে ঠিক করেছিল
দিব্য আর সহেলি। তখন জানতো সহেলি যে তার বাবা, মা আর দাদা কোনোদিনও মেনে নেবে
না এই সম্পর্ককে। কারণ সহেলির বাবার ব্যবসা বেশ ভালোই চলে। পয়সা অঢেল না থাকলেও
বেশ ভালোই আছে। দাদা ওকালতি পাশ করে বড়ো উকিলের নীচে প্র্যাকটিস করে। সবাই বলে
একদিন অনেক নাম করবে সে। সেই বাড়ির মেয়ে যদি সামান্য চাকরীর একটা ছেলের গলায়
মালা দেয় তখন বাড়ি কি আর মেনে নেয় ? তবে সহেলি জানতো যে দিব্য যেরকম কর্মঠ তাতে
সে সহেলিকে ভালোই রাখবে। আর হয়েছেও তাই। বিয়ের পর থেকে সহেলির এতোটুকুও
অসুবিধে হতে দেয়নি দিব্য। চাকরীর সাথে সাথে ব্যবসা শুরু করে সেটাকে মোটামুটি
দাঁড় করিয়েই ফেলেছে সে। এবার চাকরী ছেড়ে দেবে ভাবছে সে। কিন্তু এইসব করতে গিয়ে
আর সহেলিকে সময় দেওয়া হয়ে ওঠে না দিব্যর। যখনি এই নিয়ে সহেলি অনুযোগ করেছে
দিব্যকে তখনি দিব্য বলেছে ‘আর একটু সামলে নিতে দাও সহেলি তারপর ফুরফুরে জীবন
কাটাবো তুমি আর আমি’।
ওর। তারপর একটু একটু করে ভালো লাগা। আর সেই ভালো লাগা থেকে প্রেম। এরপর ওদের
প্রেম এগিয়েছিল তরতর করে। সেইসব দিনগুলোকে এখন স্বপ্নের মতো মনে হয় সহেলির।
টানা সাতটা বছর ধরে চলেছিল ওদের প্রেমপর্ব। তারপর একদিন বিয়ে করবে ঠিক করেছিল
দিব্য আর সহেলি। তখন জানতো সহেলি যে তার বাবা, মা আর দাদা কোনোদিনও মেনে নেবে
না এই সম্পর্ককে। কারণ সহেলির বাবার ব্যবসা বেশ ভালোই চলে। পয়সা অঢেল না থাকলেও
বেশ ভালোই আছে। দাদা ওকালতি পাশ করে বড়ো উকিলের নীচে প্র্যাকটিস করে। সবাই বলে
একদিন অনেক নাম করবে সে। সেই বাড়ির মেয়ে যদি সামান্য চাকরীর একটা ছেলের গলায়
মালা দেয় তখন বাড়ি কি আর মেনে নেয় ? তবে সহেলি জানতো যে দিব্য যেরকম কর্মঠ তাতে
সে সহেলিকে ভালোই রাখবে। আর হয়েছেও তাই। বিয়ের পর থেকে সহেলির এতোটুকুও
অসুবিধে হতে দেয়নি দিব্য। চাকরীর সাথে সাথে ব্যবসা শুরু করে সেটাকে মোটামুটি
দাঁড় করিয়েই ফেলেছে সে। এবার চাকরী ছেড়ে দেবে ভাবছে সে। কিন্তু এইসব করতে গিয়ে
আর সহেলিকে সময় দেওয়া হয়ে ওঠে না দিব্যর। যখনি এই নিয়ে সহেলি অনুযোগ করেছে
দিব্যকে তখনি দিব্য বলেছে ‘আর একটু সামলে নিতে দাও সহেলি তারপর ফুরফুরে জীবন
কাটাবো তুমি আর আমি’।
Bangla Premer Golpo
সহেলি মেনে নিয়েছে। ভেবেছে তার সুখ সুবিধের জন্যেই তো দিব্য এতো খাটছে। কিন্তু
এই ভ্যালেন্টাইন্স ডে এলেই ভীষণ কষ্ট হয় সহেলির। কারণ বিয়ের আগে দিব্য কতো
কিছুই না প্ল্যান করতো এই দিনটার জন্যে। এদিক সেদিক ঘুরতে যেতো ওরা। সিনেমা
দেখতো, ভালো কোনো জায়গায় খেতে যেতো। আর সব শেষে সহেলির জন্যে থাকতো একটা সুন্দর
উপহার।
এই ভ্যালেন্টাইন্স ডে এলেই ভীষণ কষ্ট হয় সহেলির। কারণ বিয়ের আগে দিব্য কতো
কিছুই না প্ল্যান করতো এই দিনটার জন্যে। এদিক সেদিক ঘুরতে যেতো ওরা। সিনেমা
দেখতো, ভালো কোনো জায়গায় খেতে যেতো। আর সব শেষে সহেলির জন্যে থাকতো একটা সুন্দর
উপহার।
Bangla Short Premer Golpo
গতবছর ওদের বিয়ের পর প্রথম ভ্যালেন্টাইন্স ডে ছিল। সেদিন সারাটা দিন সহেলির
সাথে দিব্য কাটাতে পারেনি ঠিকই কিন্তু সন্ধ্যে বেলায় কাজ থেকে ফিরে ওকে নিয়ে
গিয়েছিল রেস্টুরেন্টে। তারপর একটা সুন্দর শাড়িও দিয়েছিল ওকে। কিন্তু আজ ওদের
বিয়ের পর দ্বিতীয় ভ্যালেন্টাইন্স ডে। আজ কিন্তু দিব্য সকালে উঠে ওকে উইশ
টুকুনিও করেনি। কোনোমতে কিছু মুখে গুজে বেরিয়ে গেছে কাজে। তাই সহেলির মনটা বেশ
খারাপ হয়ে গেছে। বারবার মনে হচ্ছে ওর যে ওদের মধ্যে কি তাহলে আর কিছুই অবশিষ্ট
নেই। দিব্য কি আর কোনো টানই অনুভব করে না ওর প্রতি। সেই মনখারাপ নিয়েই
রান্নাবান্না শেষ করে শাশুড়িকে খেতে দিয়ে সহেলি এসে বসলো বারান্দাটায়। বসতেই
দেখতে পেল ও কয়েক জোড়া ছেলেমেয়েকে। কোনো জোড়া সাজগোজ করে বাইকে করে বেরিয়েছে
আবার কোনো জোড়া সুন্দর সেজে পাশাপাশি হাঁটতে হাঁটতে যাচ্ছে কোথাও। দেখে সহেলির
মনটা হু হু করে উঠলো। ও হয়তো ভাবেওনি যে এতো তাড়াতাড়ি ওদের মধ্যে সবকিছু এতো
রসকষহীন হয়ে উঠবে। দিব্য যে ওর কথা ভাবা একেবারে ছেড়ে দেবে এটা ভাবতেও পারেনি
সহেলি। যাহোক এইসব মনে হতেই সহেলির ওর মা আরতির কথা খুব মনে পড়লো। ওর মা বারবার
বলেছিল যে এই বিয়ে না করতে। বলেছিল যে বিয়ের আগে যেই ছেলে চোখে হারাচ্ছে সেই
ছেলে যখন বিয়ের পর ভালো করে তাকিয়েও দেখবে না তখন মনে কিন্তু ভীষণভাবে বাজবে।
তারচেয়ে সম্বন্ধ করে বিয়ে করাই ভালো সহেলির। অন্তত কিছু প্রত্যাশা তো থাকবে না
তার কাছ থেকে। তাই ভালোই থাকবে সহেলি।
সাথে দিব্য কাটাতে পারেনি ঠিকই কিন্তু সন্ধ্যে বেলায় কাজ থেকে ফিরে ওকে নিয়ে
গিয়েছিল রেস্টুরেন্টে। তারপর একটা সুন্দর শাড়িও দিয়েছিল ওকে। কিন্তু আজ ওদের
বিয়ের পর দ্বিতীয় ভ্যালেন্টাইন্স ডে। আজ কিন্তু দিব্য সকালে উঠে ওকে উইশ
টুকুনিও করেনি। কোনোমতে কিছু মুখে গুজে বেরিয়ে গেছে কাজে। তাই সহেলির মনটা বেশ
খারাপ হয়ে গেছে। বারবার মনে হচ্ছে ওর যে ওদের মধ্যে কি তাহলে আর কিছুই অবশিষ্ট
নেই। দিব্য কি আর কোনো টানই অনুভব করে না ওর প্রতি। সেই মনখারাপ নিয়েই
রান্নাবান্না শেষ করে শাশুড়িকে খেতে দিয়ে সহেলি এসে বসলো বারান্দাটায়। বসতেই
দেখতে পেল ও কয়েক জোড়া ছেলেমেয়েকে। কোনো জোড়া সাজগোজ করে বাইকে করে বেরিয়েছে
আবার কোনো জোড়া সুন্দর সেজে পাশাপাশি হাঁটতে হাঁটতে যাচ্ছে কোথাও। দেখে সহেলির
মনটা হু হু করে উঠলো। ও হয়তো ভাবেওনি যে এতো তাড়াতাড়ি ওদের মধ্যে সবকিছু এতো
রসকষহীন হয়ে উঠবে। দিব্য যে ওর কথা ভাবা একেবারে ছেড়ে দেবে এটা ভাবতেও পারেনি
সহেলি। যাহোক এইসব মনে হতেই সহেলির ওর মা আরতির কথা খুব মনে পড়লো। ওর মা বারবার
বলেছিল যে এই বিয়ে না করতে। বলেছিল যে বিয়ের আগে যেই ছেলে চোখে হারাচ্ছে সেই
ছেলে যখন বিয়ের পর ভালো করে তাকিয়েও দেখবে না তখন মনে কিন্তু ভীষণভাবে বাজবে।
তারচেয়ে সম্বন্ধ করে বিয়ে করাই ভালো সহেলির। অন্তত কিছু প্রত্যাশা তো থাকবে না
তার কাছ থেকে। তাই ভালোই থাকবে সহেলি।
Bangla Romantic Premer Golpo
মায়ের কথাটা মনে পড়তেই ওই বরান্দায় দাঁড়িয়েই হু হু করে কেঁদে ফেলল সহেলি। মনে
হল ওর যে কতদিন দেখেনি ও ওর মা, বাবা আর দাদাকে। তাই ওর মনটা ছটফট করতে লাগলো।
মনে মনে ভাবলো যে বাবা মা কি কখনো ওকে মেনে নেবে ? প্রশ্নটা মনের মধ্যে আসতেই ও
বিড়বিড় করে উঠল ‘নাহ…কোনোদিনও মেনে নেবে না আমাকে’।
হল ওর যে কতদিন দেখেনি ও ওর মা, বাবা আর দাদাকে। তাই ওর মনটা ছটফট করতে লাগলো।
মনে মনে ভাবলো যে বাবা মা কি কখনো ওকে মেনে নেবে ? প্রশ্নটা মনের মধ্যে আসতেই ও
বিড়বিড় করে উঠল ‘নাহ…কোনোদিনও মেনে নেবে না আমাকে’।
আসলে সহেলি যখন জেদ করে দিব্যর সাথে বেরিয়ে এসেছিল বাড়ি থেকে তখনি ওর বাবা
সদানন্দ বলে দিয়েছিল যে আর কখনো যেন সে ফিরে না আসে। সাথে এও বলেছিল সদানন্দ যে
সে ভাববে তার শুধু এক ছেলেই আছে। এই কথাগুলো শুনে চোখে জল নিয়ে সহেলি বেরিয়ে
এসেছিল দিব্যর সাথে। তারপর অবশ্য সে আর দিব্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছিল
সদানন্দ, আরতি আর সজলকে মানানোর। বাড়িতে গিয়ে বাবা মাকে অনেক অনুরোধ করেছিল
সহেলি কিন্তু কিছুতেই রাজি হয়নি ওরা। সদানন্দ বারবারই বলেছে যে সে সহেলিকে চেনে
না। তারপর একসময় চেষ্টা করা ছেড়ে দিয়েছে সহেলি আর দিব্য। নিজেদের মতো করে দিন
কাটাতে শুরু করেছে।
সদানন্দ বলে দিয়েছিল যে আর কখনো যেন সে ফিরে না আসে। সাথে এও বলেছিল সদানন্দ যে
সে ভাববে তার শুধু এক ছেলেই আছে। এই কথাগুলো শুনে চোখে জল নিয়ে সহেলি বেরিয়ে
এসেছিল দিব্যর সাথে। তারপর অবশ্য সে আর দিব্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছিল
সদানন্দ, আরতি আর সজলকে মানানোর। বাড়িতে গিয়ে বাবা মাকে অনেক অনুরোধ করেছিল
সহেলি কিন্তু কিছুতেই রাজি হয়নি ওরা। সদানন্দ বারবারই বলেছে যে সে সহেলিকে চেনে
না। তারপর একসময় চেষ্টা করা ছেড়ে দিয়েছে সহেলি আর দিব্য। নিজেদের মতো করে দিন
কাটাতে শুরু করেছে।
এদিকে এইসব কথা ভাবতে ভাবতে কখন যেন বিকাল হয়ে এলো। আর বিকাল হতেই সামনের
রাস্তায় ভিড় আরো বাড়লো। আরও অনেক জোড়া দেখতে পেল সহেলি। সবাই যেন আনন্দে ঝকঝক
করছিল। দেখে আর দাঁড়ালো না ও ওখানে। ঘরে ঢুকে এলো। সেইসময়ই ওর সেল ফোনটা বেজে
উঠল। সাথে সাথে দেখলো সহেলি যে দিব্যর ফোন। দেখেই ওর মনটা ভালো হয়ে গেল। মনে হল
যে এতক্ষণে তাহলে বাবুর মনে পড়েছে। এবার হয়তো বলবে যে সন্ধ্যেবেলায় তৈরি থেকো।
বাইরে খেতে যাবো। কথাটা মনে হতেই ঠিক করে নিল সহেলি যে এতো তাড়াতাড়ি ও রাজি হবে
না। প্রথমে একটু রাগ দেখাবে তারপর রাজি হবে। কথাটা ভেবেই ফোন তুলল সহেলি। তারপর
গম্ভীর গলায় বলল, “হ্যালো”।
রাস্তায় ভিড় আরো বাড়লো। আরও অনেক জোড়া দেখতে পেল সহেলি। সবাই যেন আনন্দে ঝকঝক
করছিল। দেখে আর দাঁড়ালো না ও ওখানে। ঘরে ঢুকে এলো। সেইসময়ই ওর সেল ফোনটা বেজে
উঠল। সাথে সাথে দেখলো সহেলি যে দিব্যর ফোন। দেখেই ওর মনটা ভালো হয়ে গেল। মনে হল
যে এতক্ষণে তাহলে বাবুর মনে পড়েছে। এবার হয়তো বলবে যে সন্ধ্যেবেলায় তৈরি থেকো।
বাইরে খেতে যাবো। কথাটা মনে হতেই ঠিক করে নিল সহেলি যে এতো তাড়াতাড়ি ও রাজি হবে
না। প্রথমে একটু রাগ দেখাবে তারপর রাজি হবে। কথাটা ভেবেই ফোন তুলল সহেলি। তারপর
গম্ভীর গলায় বলল, “হ্যালো”।
“হ্যাঁ, সহেলি…আজ আমার ফিরতে একটু লেট হবে।”
“কেন…কি…”
দিব্যর কথা শুনে সহেলি হাঁকপাক করে প্রশ্ন করতে গেল। কিন্তু সেই প্রশ্ন শেষ
করতে পারলো না ও। তার আগেই ফোন কেটে দিল দিব্য। সাথে সাথে একরাশ কান্না এসে যেন
ভিড় করলো সহেলির গলার কাছে। আর সেটাকে কিছুতেই চাপতে পারলো না ও। হাউহাউ করে
কেঁদে ফেলল। সেই কাঁদতে কাঁদতেই ও ফোন করলো আরতিকে। কিন্তু ফোন বেজে বেজে একসময়
থেমে গেল। আরতি ফোন ধরলো না। তাই ও যেন মরিয়া হয়ে উঠল। চটপট নম্বর টিপে লাগালো
সদানন্দকে। কিন্তু এখানেও সেই এক কাণ্ড ঘটলো। ফোন বেজে বেজে থেমে গেল। কিন্তু
আজ ও আর থামবে না ঠিক করলো। তাই নম্বর টিপে ধরলো সজলকে। তারপর কিছুক্ষণ ফোন
বাজার পর যখন তুলল সজল তখন সহেলি প্রায় এক নিশ্বাসে বলে গেল, “দাদা, আমি বাড়ি
যেতে চাই। এখানে আর থাকবো না।”
করতে পারলো না ও। তার আগেই ফোন কেটে দিল দিব্য। সাথে সাথে একরাশ কান্না এসে যেন
ভিড় করলো সহেলির গলার কাছে। আর সেটাকে কিছুতেই চাপতে পারলো না ও। হাউহাউ করে
কেঁদে ফেলল। সেই কাঁদতে কাঁদতেই ও ফোন করলো আরতিকে। কিন্তু ফোন বেজে বেজে একসময়
থেমে গেল। আরতি ফোন ধরলো না। তাই ও যেন মরিয়া হয়ে উঠল। চটপট নম্বর টিপে লাগালো
সদানন্দকে। কিন্তু এখানেও সেই এক কাণ্ড ঘটলো। ফোন বেজে বেজে থেমে গেল। কিন্তু
আজ ও আর থামবে না ঠিক করলো। তাই নম্বর টিপে ধরলো সজলকে। তারপর কিছুক্ষণ ফোন
বাজার পর যখন তুলল সজল তখন সহেলি প্রায় এক নিশ্বাসে বলে গেল, “দাদা, আমি বাড়ি
যেতে চাই। এখানে আর থাকবো না।”
“আমি ক্ল্যায়েন্টের সাথে মিটিং করছি সহেলি। এখন ভীষণ বিজি। বাড়ি গিয়ে তোকে ফোন
করছি।”
করছি।”
প্রেমের গল্প
কথাগুলো বলেই সজলও ফোন কেটে দিল। এবার আর সহেলি কাঁদলো না। চুপ করে গিয়ে শুয়ে
পড়লো বিছানায়। সেই শুয়ে শুয়েই জানলা দিয়ে দেখলো সহেলি যে একসময় বিকালের আলো
নিভে গেল। আস্তে আস্তে অন্ধকার নেমে এলো। দেখে বিড়বিড় করে উঠল সহেলি, “আজ
ভ্যালেন্টাইন্স ডের খুব সুন্দর উপহার দিলে আমাকে তুমি দিব্য। সবকিছু এতো
তাড়াতাড়ি ভুলে গেলে তুমি।”
পড়লো বিছানায়। সেই শুয়ে শুয়েই জানলা দিয়ে দেখলো সহেলি যে একসময় বিকালের আলো
নিভে গেল। আস্তে আস্তে অন্ধকার নেমে এলো। দেখে বিড়বিড় করে উঠল সহেলি, “আজ
ভ্যালেন্টাইন্স ডের খুব সুন্দর উপহার দিলে আমাকে তুমি দিব্য। সবকিছু এতো
তাড়াতাড়ি ভুলে গেলে তুমি।”
এদিকে সহেলির ঘর অন্ধকার দেখে ওর শাশুড়ি বনানী এসে ঢুকলো ঘরে। তারপর আলো জ্বেলে
দিয়ে প্রশ্ন করলো, “কি হলো মা, তোমার কি শরীর খারাপ ?”
দিয়ে প্রশ্ন করলো, “কি হলো মা, তোমার কি শরীর খারাপ ?”
শাশুড়ির কথা শুনে সহেলি কোনোমতে নিজেকে সামলে বলে উঠল, “হ্যাঁ মা, মাথাটা বড়ো
ধরেছে আজ।”
ধরেছে আজ।”
“ইশ…আজ আর তাহলে উঠো না মা। আমি তোমার রাতের খাবার নাহয় গরম করে দিয়ে যাবো
এখানে, কেমন।”
এখানে, কেমন।”
শাশুড়ির এই কথার আর কোনো উত্তর দিল না সহেলি। চুপচাপই শুয়ে রইল। দেখে আর
দাঁড়ালো না বনানী। চলে গেল। তার একটু পরেই শুনতে পেল সহেলি টিভির আওয়াজ। রোজ যে
সিরিয়ালটা চলে এই সময় সেটার গানই শুনতে পেল ও। শুনে পাশ ফিরে শুলো সহেলি।
তারপর শুয়ে থাকতে থাকতে কখন যেন ওর চোখ ঘুমে জুড়িয়ে এলো। আর তন্দ্রা আসতেই
সহেলি দেখলো যে দিব্য এক পায়ে হাঁটু গেড়ে বসে ওর দিকে একটা চকমকে কাগজে মোড়া
উপহার এগিয়ে দিতে দিতে বলছে ‘হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন্স ডে’। ঠিক এইরকম একটা সময়
গালে কারুর স্পর্শ পেয়েই ধড়মড়িয়ে উঠে বসলো সহেলি। আর বসেই দেখলো ওর সামনে হাসি
হাসি মুখে দাঁড়িয়ে আছে দিব্য। তাই ফ্যালফ্যাল করে তাকালো ও দিব্যর দিকে। দেখে
দিব্য বলে উঠল, “হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন্স ডে সহেলি। চলো তোমার গিফ্টটা দেখবে
চলো।”
দাঁড়ালো না বনানী। চলে গেল। তার একটু পরেই শুনতে পেল সহেলি টিভির আওয়াজ। রোজ যে
সিরিয়ালটা চলে এই সময় সেটার গানই শুনতে পেল ও। শুনে পাশ ফিরে শুলো সহেলি।
তারপর শুয়ে থাকতে থাকতে কখন যেন ওর চোখ ঘুমে জুড়িয়ে এলো। আর তন্দ্রা আসতেই
সহেলি দেখলো যে দিব্য এক পায়ে হাঁটু গেড়ে বসে ওর দিকে একটা চকমকে কাগজে মোড়া
উপহার এগিয়ে দিতে দিতে বলছে ‘হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন্স ডে’। ঠিক এইরকম একটা সময়
গালে কারুর স্পর্শ পেয়েই ধড়মড়িয়ে উঠে বসলো সহেলি। আর বসেই দেখলো ওর সামনে হাসি
হাসি মুখে দাঁড়িয়ে আছে দিব্য। তাই ফ্যালফ্যাল করে তাকালো ও দিব্যর দিকে। দেখে
দিব্য বলে উঠল, “হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন্স ডে সহেলি। চলো তোমার গিফ্টটা দেখবে
চলো।”
আরো পড়ুন, টুকরো প্রেমের অনুগল্প
কথাটা বলেই দিব্য ওর হাত ধরে ওকে টেনে নামালো খাট থেকে। তারপর একপ্রকার টেনেই
নিয়ে গেল পাশের ঘরে। সহেলিও ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে ওর সাথে গিয়ে পৌঁছালো পাশের ঘরে।
আর গিয়েই থতমত খেয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো। ভাবলো স্বপ্ন দেখছে না তো ও। তাই চোখ কচলে
আবার তাকালো। তারপরেই দৌড়ে গিয়ে বসলো বাবার পাশে। কিন্তু উত্তেজনায় কিছুই বলতে
পারলো না ও। ওর অবস্থা দেখে শেষে দিব্যই বলতে শুরু করলো, “আজ তোমাকে সারপ্রাইজ
দেবো বলে সকাল থেকে অভিনয় করে গেছি। ভেবেছিলাম বিকালের আগেই সবাইকে নিয়ে ঢুকে
পড়বো বড়িতে। কিন্তু সজলদার একটা মিটিং চলছিল তাই দেরী হয়ে গেল। যাকগে বলো এই
গিফ্টটা কেমন লাগলো।”
নিয়ে গেল পাশের ঘরে। সহেলিও ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে ওর সাথে গিয়ে পৌঁছালো পাশের ঘরে।
আর গিয়েই থতমত খেয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো। ভাবলো স্বপ্ন দেখছে না তো ও। তাই চোখ কচলে
আবার তাকালো। তারপরেই দৌড়ে গিয়ে বসলো বাবার পাশে। কিন্তু উত্তেজনায় কিছুই বলতে
পারলো না ও। ওর অবস্থা দেখে শেষে দিব্যই বলতে শুরু করলো, “আজ তোমাকে সারপ্রাইজ
দেবো বলে সকাল থেকে অভিনয় করে গেছি। ভেবেছিলাম বিকালের আগেই সবাইকে নিয়ে ঢুকে
পড়বো বড়িতে। কিন্তু সজলদার একটা মিটিং চলছিল তাই দেরী হয়ে গেল। যাকগে বলো এই
গিফ্টটা কেমন লাগলো।”
“দা…রুণ। কিন্তু কিভাবে এইসব…”
সহেলি ওর কথা শেষ করতে পারলো না। তার আগেই আরতি বলতে শুরু করলো, “আজ প্রায় দিন
পঁচিশ হল দিব্য রোজ এসেছে আমাদের বাড়িতে। ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থেকেছে। আমরা
দেখা করিনি তবুও এসেছে। একটা কথাও বলিনি ওর সাথে তবুও এসেছে। শুধু একটাই চাহিদা
যে তোকে যেন আমরা ক্ষমা করে দিই। শেষে দিন চারেক আগে তোর বাবা রাজি হয়ে যায়।
কিন্তু ও বলে যে এই ভ্যালেন্টাইন্স ডের দিন আমাদেরকে নিয়ে আসবে তোর কাছে। এটাই
নাকি ওর গিফ্ট হবে। আমি ভুল বলেছিলাম রে তোকে সহেলি। দেখাশোনা করেই বিয়ে হোক আর
প্রেম করেই বিয়ে হোক আসল যাকে বিয়ে করছিস তার মনটাই সব। তুই একটা ভালো মনের
মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছিস। এভাবেই সারাটা জীবন থাকিস তোরা।”
পঁচিশ হল দিব্য রোজ এসেছে আমাদের বাড়িতে। ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থেকেছে। আমরা
দেখা করিনি তবুও এসেছে। একটা কথাও বলিনি ওর সাথে তবুও এসেছে। শুধু একটাই চাহিদা
যে তোকে যেন আমরা ক্ষমা করে দিই। শেষে দিন চারেক আগে তোর বাবা রাজি হয়ে যায়।
কিন্তু ও বলে যে এই ভ্যালেন্টাইন্স ডের দিন আমাদেরকে নিয়ে আসবে তোর কাছে। এটাই
নাকি ওর গিফ্ট হবে। আমি ভুল বলেছিলাম রে তোকে সহেলি। দেখাশোনা করেই বিয়ে হোক আর
প্রেম করেই বিয়ে হোক আসল যাকে বিয়ে করছিস তার মনটাই সব। তুই একটা ভালো মনের
মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছিস। এভাবেই সারাটা জীবন থাকিস তোরা।”
মায়ের কথা শুনে সহেলির মনটা যেন খুশিতে ভরে উঠল। দিব্যকে যে কতোটা ভুল বুঝেছিল
ও সেটা বারবার মনে হতে লাগলো ওর। এর মাঝেই যখন সদানন্দ, আরতি, দিব্যর মা বনানী
আর দিব্য নিজেদের মধ্যেই কথা শুরু করলো তখন সজল একটু ঝুঁকে বোনের কানের কাছে
এসে বলল, “কি রে থাকবি এখানে নাকি চলে যাবি ?”
ও সেটা বারবার মনে হতে লাগলো ওর। এর মাঝেই যখন সদানন্দ, আরতি, দিব্যর মা বনানী
আর দিব্য নিজেদের মধ্যেই কথা শুরু করলো তখন সজল একটু ঝুঁকে বোনের কানের কাছে
এসে বলল, “কি রে থাকবি এখানে নাকি চলে যাবি ?”
দাদার কথা শুনে সহেলি হাসি হাসি মুখে তাকালো তার দিকে। তারপর বলে উঠল, “যা
গিফ্ট দিলো ভ্যালেন্টাইন্স ডে তে আর ছেড়ে যাই কি করে বলো।”
গিফ্ট দিলো ভ্যালেন্টাইন্স ডে তে আর ছেড়ে যাই কি করে বলো।”
সমাপ্ত
আরো পড়ুন,