Valobashar Golpo Bangla – দি লস্ট প্রোফাইল – গভীর ভালোবাসার গল্প
গত মাসে ফেসবুকে সার্চ করে, ‘প্রতীক দত্ত’ নামের আকাঙ্ক্ষিত প্রোফাইল’টা চোখের
সামনে পেয়েছিলো,গৃহবধু অন্তরা।
সামনে পেয়েছিলো,গৃহবধু অন্তরা।
তবে সাহস পায়নি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানোর।
তারপর থেকে রোজ সময় বের করে,সে দুচোখ ভরে দেখতো প্রতীকের ফেসবুক প্রোফাইলটা।
ক্লান্ত দুপুরটা একচিলতে স্বস্তি এনে দিতো অন্তরার দেহমনে…
ক্লান্ত দুপুরটা একচিলতে স্বস্তি এনে দিতো অন্তরার দেহমনে…
যখন প্রতীকের প্রোফাইল খুলে,পোস্ট করা জীবনমুখী লেখাগুলি বারংবার আত্মস্থ করতো
সে।
সে।
পরিচিত মাঝরাতে,মদ্যপ স্বামীকে খুশি করার পর,মুঠোফোন ঘাঁটতে-ঘাঁটতে ঢুকে পড়তো
সে একান্ত ভাবে নিজেকে ভালো রাখার নেটলোকে।
সে একান্ত ভাবে নিজেকে ভালো রাখার নেটলোকে।
প্রবেশ করতো প্রতীকের প্রোফাইলে। ভেজা চোখে দেখতো,বহু আগে পোস্ট করা কিছু
ছবি ও লেখা। এক বর্ণনাতীত প্রসন্নতা গ্রাস করতো অন্তরাকে ।
ছবি ও লেখা। এক বর্ণনাতীত প্রসন্নতা গ্রাস করতো অন্তরাকে ।
ঘ্রাণ পেতো সে প্রতীকের ঘেমো শরীরটার I স্পষ্ট দেখতে পেতো যুবকটির
অশ্রুসজল চোখদুটি।
অশ্রুসজল চোখদুটি।
তারপর অফলাইন হয়ে চোখবন্ধ করতো পাগল করা প্রত্যাশায়…
স্বপ্নদেশে নিশ্চয়ই দেখা হবে তার,না ভোলা মানুষটার সাথে।
_______________________________________________________________________
আবেগি ভালোবাসার গল্প
মনের সাথে দ্বন্দ্ব করে ঠিক-বেঠিকের দ্বিধা উপেক্ষা করে সেদিন
দুপুরবেলা,অন্তরার হাতের কম্পিত আঙুলটা প্রতীকের প্রোফাইলের ‘এ্যাড ফ্রেন্ড’
বাটনটা স্পর্শ করলো I
দুপুরবেলা,অন্তরার হাতের কম্পিত আঙুলটা প্রতীকের প্রোফাইলের ‘এ্যাড ফ্রেন্ড’
বাটনটা স্পর্শ করলো I
একটা নিবিড় উত্তেজনায় আচ্ছন্ন ছিলো অন্তরা। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলো সে
অন্য প্রান্ত থেকে উত্তর পাওয়ার আশায়।
অন্য প্রান্ত থেকে উত্তর পাওয়ার আশায়।
পরেরদিন দুপুরে,খাওয়া দাওয়া সেরে বিছানায় গা দিয়ে ফেসবুক খুলতেই বেশকয়েকটা
নোটিফিকেশন জ্বলজ্বল করে উঠলো স্ক্রিনে।
নোটিফিকেশন জ্বলজ্বল করে উঠলো স্ক্রিনে।
টানটান হয়ে গেল অন্তরার শরীরটা। তার হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি পেলো বেশ
কয়েকগুণ।
কয়েকগুণ।
দেখলো,রিকোয়েস্ট আ্যকসেপ্ট করেছে প্রতীক।
কত কথাই যে জমাট বেঁধে আছে তার অন্তরে!
কি ভাবে যে শুরু করবে,কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলোনা সে।
প্রাচুর্যের সিন্দুকে বন্দী সে।
তবে বন্ধুহারা,যতন হারা I এই জীবন সে তো চায়নি। অন্যায় সে করেছে। তার মাশুল
গুণে চলেছে বেশকিছু বছর।
গুণে চলেছে বেশকিছু বছর।
আরো পড়ুন,
রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প
রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প
______________________________________________________________________
ইতিমধ্যেই ম্যাসেঞ্জারে ভয়েস ম্যাসেজ এলো I
-নারীকন্ঠ I
-“যদি কিছু মনে না করেন.. আপনি কি তিতলি?”
আকস্মিকতায় ভেসে যাচ্ছিলো অন্তরা I তারই ডাকনাম তিতলি। কিন্তু এটাতো
প্রতীকের প্রোফাইল..’তাহলে?’
প্রতীকের প্রোফাইল..’তাহলে?’
অন্তরা টাইপ করে জানালো : ‘হুম !’
আগাম কোনোকিছু চিন্তাভাবনা করার আগেই,ম্যাসেঞ্জারে ভয়েস কল এলো, প্রতীকের
প্রোফাইল থেকে।
প্রোফাইল থেকে।
চারপাশটা একবার দেখে নিয়ে,চটপট ঘরের দরজা বন্ধ করে মনের প্রকোপনকে কোনোভাবে
সংযত করে,কল রিসিভ করলো অন্তরা I
সংযত করে,কল রিসিভ করলো অন্তরা I
_______________________________________________________________________
সেরা ভালোবাসার ছোট গল্প
নারীকন্ঠটা যেনো নাড়িয়ে দিলো তাকে
আপাদমস্তক I ক্ষুদ্র কুশল বিনিময়ের পর,
অপর প্রান্তের মহিলাটি বললেন:
-“ওনার দৃঢ় বিশ্বাস ছিলো,আপনি কোনো এক দিন ওনাকে এভাবেই খুঁজে নেওয়ার
চেষ্টা করবেন। তাইতো যাওয়ার আগে শেষ বেলায় উনি আমাকে,ওনার ফেসবুকের
পাসওয়ার্ড’টা দিয়ে গেলেন।”
চেষ্টা করবেন। তাইতো যাওয়ার আগে শেষ বেলায় উনি আমাকে,ওনার ফেসবুকের
পাসওয়ার্ড’টা দিয়ে গেলেন।”
সবকিছু তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছিলো অন্তরারI
একটা ঢোঁক গিলে শান্ত স্বরে প্রশ্ন করলো সে:
-“প্রতীক কোথায়?”
কয়েক মুহুর্ত শব্দহীন থাকার পর জবাব এলো: -“মাস তিনেক হলো বিদায় নিয়েছে সে,চলে
গেছে না ফেরার দেশে। ব্লাড-ক্যান্সারে চলে গেলো মানুষটা।”
গেছে না ফেরার দেশে। ব্লাড-ক্যান্সারে চলে গেলো মানুষটা।”
ফোনের দুই প্রান্ত এক্কেবারে নিস্তব্ধ হলো।
একটা চাপা আর্তনাদ অন্তরার অস্তিত্ব ভেদ করে বেরিয়ে আসতে চাইছিলো।
কাঁদতে কাঁদতে প্রশ্ন করলো সে:
-“কে আপনি?”
জবাব এসেছিলো:
-“আমি ওনার অর্ধাঙ্গী হয়েও ওনার প্রতীক্ষা হতে পারিনি। আমি মিতালি,ওনার
স্ত্রী।”
স্ত্রী।”
_______________________________________________________________________