বাংলা সিনেমার ইন্ডাস্ট্রির ভবিষ্যৎ
মধ্যে –
” বাংলা ইন্ডাস্ট্রি এখন খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে, এর থেকে ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচাতে
পারে একমাত্র বাঙালি দর্শক ! বাঙালি হয়ে আমারাই যদি বাংলা সিনেমা হলে গিয়ে না
দেখি তবে বাংল সিনেমা তৈরী হবে কীভাবে ? দিনের শেষে একটা ন্যুনতম ব্যবসা তো
করতে হবে সিনেমাটাকে । যেখানে
KGF2, RRR, Pushpa সিনেমাগুলোতে এত ভীড় হচ্ছে অথচ “৮/১২” বা “টনিক” বা “অভিযান” নিয়ে তেমন আগ্রহ
দেখা যায় না বাঙালিদের মধ্যে ! “
বেশ কিছু সিনেমাপ্রেমী দের সাথে কথা বলে দু-রকমের মানসিকতা লক্ষ্য করেছি
।
করবো সেটা আমার প্রত্যাশা পূরণ করবে । জীবনে এমনিতেই খুব চাপ, সিনেমাহলে বসেও
যদি সিনেমা বুঝতে চাপ হয় তবে আমি কেন টাকা খরচ করবো ! আর সিনেমাটা ভাল না
হলে কি আমি টাকা রিফান্ড পাবো ?
থাকি তার কাছাকাছি কোথায় সিনেমাটা দেখার সুযোগ নেই, তাই ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই
।
বা বুদ্ধিদীপ্ত দু-ধরণের সিনেমাই সিনেমাহলে গিয়ে দেখতে পছন্দ করে ।
সবার প্রথমে বাংলার আর্থ-সামাজিক অবস্থান বুঝতে হবে । কলকাতার(অন্যান্য শহরের
কথা ছেড়ে দিলাম, কারণ সেখানে আইনক্স নেই এবং সিঙ্গেল স্ক্রিন ও দিনে দিনে
অবলুপ্ত) বুকে এখন প্রচুর অবাঙ্গালির বসবাস । রাত এগারোটার শো (KGD2) ও হাউজফুল
করে দেখতে যাচ্ছে ! ব্যবসা ভাল হচ্ছে তাই মাল্টিপ্লেক্সের মালিকেরাও এমন
সিনেমার অনেক শো রাখছে ! একবার একজন পুরষ্কারপ্রাপ্ত পরিচালক এক সাক্ষাৎকারে
আক্ষেপ করে বলেছিলেন –
যেটার দিকে বাঙালি ফিল্মমেকাররা তেমন গুরুত্ব দেন না ! ”
দর্শক আসবে কেন ?
সাউথের ব্লকবাস্টার সিনেমাগুলো হিন্দিতে ডাবড হয়ে Pan India রিলিজ করছে, OTT
গুলোতেও রয়েছে, তাই সেই একই সিনেমা জিৎ যদি বাংলায় বানাতে থাকে (ফ্রেম টু ফ্রেম
কপি) ছকের বাইরের দর্শক কজন যাবে দেখতে ?
মারকাটারি আকশন, দুর্দান্ত ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর, ভাল অভিনয় – সব মিলিয়ে দারুণ
বিনোদন । ওরা এমন বড় স্কেলে সিনেমা বানাতে পারছে মুলত দুটো কারণে –
Bengali film industry news today
করছে !
কারণ আমাদের SVF ২৫ বছর ধরে চুটিয়ে ব্যবসা করছে ! কেউ যদি KGF এর মত গ্রান্ড
স্কেল নিয়ে এসে বিশ্বাস জাগাতে পারত এবং বলত যে এই সিনেমা শুধু বাংলায় নয় Pan
India তে সাফল্য পাবে, SVF কি রিস্ক নিতো না ? আমার মনে হয় অরিজনাল স্ক্রিপ্টে
এমন গ্রান্ড স্কেলে কাজ করার মত সাহসী লোকের অভাব রয়েছে । হয়ত আছে তবে সাহসের
অভাব রয়েছে !
হোক না কেন ! Pushpa বা RRR আমি দেখিনি তবে KGF2 দেখলাম ! অসাধারণ লেগেছে
! ১৮০ টাকা টিকিট কেটে এমন মারকাটারি কন্টেন্ট দেখেছি যেটা হিন্দিতেও দেখিনি
কোনদিন ।
“সামসারা” ও দেখেছি, “দুধ পিঠের গাছ” ও দেখেছি ।
হয়ত অন্য পোষ্ট করবো তবে
–
তৈরী করার চেষ্টা করুন, তার সাথে সিনেমাটা যেন সত্যিই ভাল হয় ! নইলে
প্রথম লটের (ওই বাঁধাধরা দর্শকেই শো শেষ হয়ে যাবে), ওয়ার্ড ওফ মাউথে আর চেন
রিয়াকশন হবে না ! আজকের দিনে শুধু বাংলা নয় পুরো ভারত এবং পুরো বিশ্ব
সিনেমার সাথে মাল্টিপ্লেক্সে যুদ্ধ করতে হচ্ছে তাই শুধু স্ক্রিপ্ট নয়, মেকিং এর
প্রত্যেকটা ডিপার্টমেন্ট, প্রচার সবকিছু সেই লেভেলের হতে হবে । কুয়োর ব্যাঙ হয়ে
থাকলে ভারী বর্ষণে শুধু কুয়ো টুকুই ভরবে !
গুলোতে একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক শো বাংলা সিনেমার জন্য বরাদ্দ থাকতে হবে ।
সম্প্রতি খবরে দেখলাম তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রক বিগত ৩ বছরের রিপোর্ট চেয়েছেন
সমস্ত সিনেমাহল মালিকদের থেকে ! অনিয়ম হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে ।
সিমীত কিন্তু যারা বড় বাজেট সিনেমা বানাচ্ছেন তাদেরকে আগে গুড়ে দাঁড়াতে হবে ।
“সব দোষ দর্শকদের” এমন একপেশে অভিযোগ আর বেশিদিন চলবে না !
দেখাবে, তবেই বুঝবেন বাংলা সিনেমা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ! বুঝলেন ?