শীতকাল নিয়ে কবিতা
শীতকাল
– অশোক রায়
শীতের সন্ধ্যে গরম হয়
চা কফি সিঙ্গাড়া তে,
শরীর গরম করতে বা কেউ
চলেন অন্য ঠিকানাতে।
পিঠে, পুলি, পায়েস, মোয়ায়
নলেন গুড়ের স্বাদে মজে,
কেউবা আবার মিষ্টি ছেড়ে
এই শীতে তে ভাজা খোঁজে।
মিষ্টি রোদের দুষ্টু ছোঁয়ায়
শীতের আমেজে ভরপুর,
উড়ু উড়ু মনটা বলে
বেড়িয়ে পড়ি বহু দূর।
শীতে বাড়ে কাঁপুনি বেজায়
যদি হাওয়া ছাড়ে উত্তুরে,
কষ্ট বেজায় গরীব গুলোর
আর বুড়ো যারা থুরথুরে।
কষ্ট আছে তাদের জন্যও
ভোরে যারা লেপ ছাড়ে,
ঠাণ্ডা জলে করলে স্নান
কাঁপুনি টা ধরায় হাড়ে।
দাঁতে দাঁতে ঠোকাঠুকি
অবশ হাত পা জমে,
আগুন জ্বেলে সেঁকে নিলে
ঠান্ডাটা যদি কমে।
তবু লেপ কাঁথা কম্বল
আর মোজা টুপি সোয়েটারে,
শীতকালের মজা নিতে
সহজে কি মনটা ছাড়ে।
শীতের কুয়াশা নিয়ে কবিতা
শীতকাল
– মৃন্ময় সমাদ্দার
শীত মানেই লেপ কম্বল
শীত মানেই সবজির দল।
মটর শাক সর্ষে শাক
সবাই মিলে পেট পুরে খাক।
দুঃখ হয় ভোর বেলাতে
কম্বল ফেলে বিছানা ছাড়তে।
ঠান্ডা এসে চেপে ধরে
হাড় কাঁপিয়ে যায় ঘুরে।
শীত মানেই পৌষ পার্বণ
বাঙালি ঘরে পিঠের প্লাবন।
শীত মানেই বনভোজন
সকলে মিলে আনন্দক্ষন।
শীত মানেই ঘোরাফেরা
ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়া।
সকাল সন্ধ্যা নিয়ম করে
বনফায়ার ঘরে ঘরে।
দীন দরিদ্র লোকের কাছে
শীত ঋতু বড়ই বাজে।
শীত কালটা তাদের জন্য
নিদারুণ কষ্ট শীতবস্ত্রের জন্য।
শীতের আগমন নিয়ে কবিতা
শীত আসে এই বাংলায়
– রানা টাইগেরিনা
শীত আসে সাথে নিয়ে উত্তুরে হাওয়া
হিমহিম ঠাণ্ডা তাই না চেয়েই পাওয়া।
কাকডাকা ভোরবেলা কুয়াশার খেলা
সূর্যের দেখা পেতে বয়ে যায় বেলা।
শীত এসে মেলে ধরে শুষ্কের ছাতা
বনে বনে বাতাসেই ঝরে পড়ে পাতা।
মাঠে মাঠে ধান কাটা নবান্নের ধুম
মউ মউ গন্ধে নেই কারও ঘুম।
খুব ভোরে শীতকালে গরম ভাপাপিঠা
পাটালি গুড়ে আহা লাগে বড় মিঠা।
শীতে হয় রকমারি ফল আর ফুল
শিমুল গাঁদা জলপাই টকমিষ্টি কুল।
লকলকে লাউ ডগা শজিনার ডাঁটা
মজা লাগে যদি হয় মসলাটা বাটা।
শীত আনে ফুলকপি আম গাছে বোল
রান্না হয় কুমড়োবড়ি কই মাছের ঝোল।
শীত আনে অমর একুশ নিয়ে বইমেলা
উৎসবে শুরু হয় পড়া পড়া খেলা।
শীত এলে উড়ে আসে ভিনদেশি পাখি
জলাশয়ে মেতে ওঠে কুহু কুহু ডাকি।
প্রতিবছর শীত এসে কত কথা কয়
চোখ গেল পাখি তাই পথ চেয়ে রয়।