বাইশে শ্রাবণ কবিতা – আমার রবি
বাইশে শ্রাবণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আমার রবি
শ্রাবণের ঘন মেঘ হঠাৎ পৃথিবীকে অন্ধকার করে দিলো।
আমার সে মেঘ দেখে মনে হলো, এই তো সেই!
ময়নাপাড়ার মাঠের কৃষ্ণকলি!
তারপর ঝমঝম করে দৃষ্টি প্লাবিত করে নেমে এলো
বৃষ্টি। ঠিক বিরাট এক কান্নার মতো।
আমার মনে পড়লো ঠাকুরের সেই গান… শ্রাবণের ধারার মত পড়ুক ঝরে…
তারপর ঘাস, বাস ধুয়ে গেলো। তরতাজা হয়ে উঠলো শাখা।
ফুলে ফুলে দোল লাগলো। পথের ধুলোয় সোঁদা সুখ
এলো খেলতে। এক অমলিন আলো ফুটে উঠলো
রবিহীন আকাশেও।
এক বাইশে শ্রাবণে কেঁদেছিল পৃথিবী। ঠাকুর সেজেছিল
মৃত্যুর সাজ। যেতে যেতে বাতাসের কানে কানে বলেছিল,
…বৃষ্টির পর ধুয়ে যায় মেঘ। আবার সূর্য ওঠে।
রবিহীন হয়না পৃথিবী।
বাতাস বললো আমায়,
…শোনো! মেঘের নিচেই রবি আছে!
আমাদের রবি আছে! হারিয়ে গেলে, ফিরে পেলে, দৃষ্টি নিভলে, অথবা প্রেমে পড়লে, আমাদের
রবি আছে!
একদম ঠিক বলেছো বাতাস!
তাইতো প্রত্যেক বাইশে শ্রাবণ,
বালিশের নিচে রাখা রবি ঠাকুর ছুঁয়ে আমার একলা
জাগার রাতকে আমি বলি, হ্যাঁ গো! আমার রবি গেলেন কবে, যে তাকে স্মরণ করবো কান্নায়!
আরো পড়ুন, বাইশে শ্রাবণ ও রবীন্দ্রনাথ
ভালো লাগলে নিজের প্রিয়জন ও বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ..
ভালো থাকুন, কবিতায় থাকুন।…
Thank You, Visit Again…
Tags –
Rabindranath Thakur,
Baishe srabon Kobita