জামাই ষষ্ঠী তারিখ, ব্রতকথা – জামাই ষষ্ঠী কেন পালন করা হয় ? Jamai Sasthi Date, Reason

Bongconnection Original Published
3 Min Read

 জামাই ষষ্ঠী তারিখ, ব্রতকথা – জামাই ষষ্ঠী কেন পালন করা হয় ? Jamai Sasthi
Date, Reason 

জামাই ষষ্ঠী তারিখ, ব্রতকথা - জামাই ষষ্ঠী কেন পালন করা হয় ? Jamai Sasthi Date, Reason
Loading...

জামাই ষষ্ঠী তারিখ 2023


আসছে, আগামী ২৫ মে, ১০ জ্যৈষ্ঠ, বৃহস্পতিবার, জামাইষষ্ঠী।
জামাই ষষ্ঠী কীভাবে চালু হয়? আপনি কি নিজে জামাই ষষ্ঠীতে শশুর বাড়ি যান?

Jamai Sasthi Date 2023

Loading...
প্রাচীন কালে সমাজে একটা রীতি ছিল যে, কন্যার বিবাহের পর কন্যা যতদিন না
সন্তানবতী হয় ততদিন পিতা-মাতা কন্যাগহে যেতে পারবেন না। কিন্তু শিশু মৃত্যু
জনিত বা অন্যান্য কারনেকন্যা দীর্ঘদিন সন্তানবতী না হলে পিতা-মাতা কন্যার
মুখদর্শনে বঞ্চিত হত। এই সমস্যার সমাধানে তৎকালীন সমাজ পরিচালকরা ঠিক করলেন যে,
জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লা ষষ্ঠীর দিনে মেয়ে-জামাই নিমন্ত্রিত হয়ে বাবার বাড়ি
যাবে ও সেই সঙ্গে সন্তান কামনায় ষষ্ঠী পূজা হবে। এর দুটি উদ্দেশ্য ছিল-
প্রথমত, এর মধ্য দিয়ে জামাই-কন্যা নিমন্ত্রিত হয়ে বাবার বাড়িতে আসবে। ফলে
কন্যার মুখ দর্শন হবে। দ্বিতীয়ত, মা ষষ্ঠীর পুজো করে তাকে খুশি করা যাতে কন্যা
শীঘ্রই সন্তানবতী হয়। এই কারনে জামাই-কন্যা বাবার বাড়িতে নিমন্ত্রিত হয়ে এলে
মেয়ের চেয়ে নতুন জামাই প্রচুর সমাদর পেল। অনুষ্ঠানের সব আলাে জামাই এর উপর
গিয়ে পড়ল। অন্যদিকে একই সাথে ষষ্ঠী পূজা হাতে। এই দু’য়ে মিলে হয়ে গেল জামাই
ষষ্ঠী। মেয়ের মুখদর্শন প্রকৃত উদ্দেশ্য হলেও অনুষ্ঠানটি ‘জামাই ষষ্ঠী’ নামে
জামাইদের হেফাজতে চলে গেল।


জামাই ষষ্ঠী কেন পালন করা হয় ?

বর্তমানে এই সংস্কার অনেক বিবর্তিত হয়েছে। এখন আর বিবাহিত কন্যা সন্তানবতী না
হওয়া পর্যন্ত পিতা-মাতার মুখদর্শন করার বিষয়টি কঠোর নিয়মে আবদ্ধ নেই। এখন যে
ব্যক্তি কন্যা সম্প্রদান করবেন, তিনি কেবল এক বৎসর কন্যার বাড়ি যাবেন। না বা
গেলেও কন্যার বাড়ির অন্ন গ্রহণ করবেন না। যদিও আধুনিকতার এই সংস্কার ও
বিলুপ্তপ্রায়।

জামাই ষষ্ঠী পূজা, ব্রতকথা 

লােককথা- জামাই ষষ্ঠীর সাথে ষষ্ঠী পূজার সম্পর্ক—-লোককথায় আছে, এক পরিবারের
দুটি মেয়ের মধ্যে ছোট বউখুব লোভী ছিল। সে ভাল খাবার লুকিয়ে খেয়ে নিত, আর।
শাশুড়ির কাছে বেড়ালে খেয়ে নিয়েছে বলে অভিযােগ করত। বিড়াল যেহেতু মা ষষ্ঠীর
বাহন, তাই বিড়াল মা ষষ্ঠীর কাছে। অভিযোগ জানাল। মা ষষ্ঠী রেগে গিয়ে অভিশাপ
দিলেন। ছোট বউয়ের এক এক করে সাত পুত্র ও এক কন্যা মারা যায়। ফলে পরিবারের
লোকেরা তাকে ‘অলক্ষণা’ বলে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। ছােট বউ মনের দুঃখে বনে
চলে যায়। সেখানে কাঁদতে থাকে। শেষে মা ষষ্ঠী বদ্ধার ছদ্মবেশে তার কাছে এসে
কান্নার কারণ জানতে চাই। ছোট বউ তার দুঃখের কথা বলি এবং মাফ চাইল। তখন মা ষষ্ঠী
তাকে ভক্তিভরে তার (ষষ্ঠীর) পুজো করতে বললেন। তখন ছোট বউ সংসারে ফিরে এসে ঘটা
করে। মা ষষ্ঠীর পুজো করে ও এক এক করে তার পুত্র কন্যাদের ফিরে পায়। এর পর
থেকেই চতুর্দিকে সন্তান মঙ্গল কামনায় ষষ্ঠী পুজোর মাহাত্ম্য ছড়িয়ে পড়ে। তাই
মেয়ের মুখদর্শনের নিমিত্ত এবং মেয়ে সন্তানবতী হোক ও সন্তান সুখে থাকুক- এই
মঙ্গল কামনায় জামাই ষষ্ঠী দিন শাশুড়িরা ষষ্ঠী ব্রত করে সেটা জামাই ষষ্ঠী
কেন্দ্রিক ষষ্ঠী ব্রত লোককথা।
আরো পড়ুন,

Share This Article