একটি শিক্ষণীয় গল্প (বাস্তব) Ekti Sikkhonio Golpo – বাস্তব শিক্ষনীয়
গল্প
একটি শিক্ষণীয় গল্প
(প্রাপ্তমনস্কদের জন্য)
এই গল্পটি আমাদের সমাজে ঘটে যাওয়া বেশ কিছু ঘটনার আঙ্গিকে লেখা। সমস্ত
চরিত্র, নাম সবটাই কাল্পনিক।
চরিত্র, নাম সবটাই কাল্পনিক।
লেখার মধ্য দিয়ে আমরা পাঠকদের একটি সামাজিক বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
-“ওহ ভাইই! তিতলি বৌদির ভিডিওটা দেখলি? বাথরুম রিল্স!”
-উফ্ফ বলিসনা দোস্ত ! শরীর গরম করা পুরো..ব্যাপকক! দাঁড়া আর একটা দেখাই।”
বাস-স্ট্যান্ডের বেঞ্চে বসা ছোকরাগুলোর মন্তব্য্ শুনে মনটা মোচড় দিয়ে উঠলো
অতনুর। মুঠোফোনটা কানে দিয়ে অন্যত্র কথা বলার অছিলায় কিছুটা সরে এসে ছেলেগুলির
হ্যান্ডসেটের স্ক্রিনে তির্যক দৃষ্টিতে দেখার চেষ্টা করলো চলমান
দৃশ্যগুলি।
অতনুর। মুঠোফোনটা কানে দিয়ে অন্যত্র কথা বলার অছিলায় কিছুটা সরে এসে ছেলেগুলির
হ্যান্ডসেটের স্ক্রিনে তির্যক দৃষ্টিতে দেখার চেষ্টা করলো চলমান
দৃশ্যগুলি।
বাস্তব শিক্ষনীয় গল্প
-পাতলা ভিজে তোয়ালেটা আঁকড়ে আছে এক উজ্জ্বল শ্যামবর্ণার দেহের লক্ষণীয়
ওঠানামা’গুলিকে। পায়ের বুড়ো আঙুল থেকে অনাবৃত সানুনয় উরু যেনো বাড়াতে
চাইছিলো,অসংখ্য সাব্সক্রাইবারদের কামুক তৃষ্ণাকে। ভেছা চুলের গোছটা ঘাড়ের
একপাশে সরিয়ে একচোখ টিপে উষ্ণতা ছড়ালো ‘তিতলি বৌদি’। তারপর পুষ্ট বক্ষদেশ
থেকে তোয়ালেটা স্বল্প নামিয়ে, নির্ভেজাল নির্লজ্জ হাসিতে যেনো মাতাল করে বেঁধে
ফেললো তার অনুরাগীদের ।
ওঠানামা’গুলিকে। পায়ের বুড়ো আঙুল থেকে অনাবৃত সানুনয় উরু যেনো বাড়াতে
চাইছিলো,অসংখ্য সাব্সক্রাইবারদের কামুক তৃষ্ণাকে। ভেছা চুলের গোছটা ঘাড়ের
একপাশে সরিয়ে একচোখ টিপে উষ্ণতা ছড়ালো ‘তিতলি বৌদি’। তারপর পুষ্ট বক্ষদেশ
থেকে তোয়ালেটা স্বল্প নামিয়ে, নির্ভেজাল নির্লজ্জ হাসিতে যেনো মাতাল করে বেঁধে
ফেললো তার অনুরাগীদের ।
গা’টা গুলিয়ে উঠলো অতনুর।
———————————–
সুন্দর শিক্ষনীয় গল্প
বাড়ি ফিরে পাগলের মতো স্নানকক্ষের শাওয়ারের তলায় ভিজে, কাঁদলো অতনু।
শীততাপ-নিয়ন্ত্রিত ঘরে ক্লান্ত দেহটা সোফায় এলিয়ে দিয়ে চোখদুটি বন্ধ করে
সে পড়েছিলো,একান্তে কিছুক্ষণ ।
সে পড়েছিলো,একান্তে কিছুক্ষণ ।
অর্ধাঙ্গির ডাকে হুঁশ ফিরলো তার।
-“কিগো কি হয়েছে? শরীর ঠিক আছে’তো?” স্ত্রীর উদ্বিগ্ন স্বরে উঠে পড়লো
অতনু।
অতনু।
তারপর তার কোমল হাতদুটি ধরে ঝুঁকে পড়ে অতনু ভগ্ন-হৃদয়ে বলে ওঠে:
-“তিতলিই..হ! এসব বন্ধ করো এবার। আমি পারছিনা আর সহ্য করতে!”
অতনুর দিকে অপলক তাকিয়ে মেয়েটি বলে: -“এসব তোমার মুখে একদম বেমানান ডার্লিং!
…এ নেশা যে তোমারই ধরানো..
…এ নেশা যে তোমারই ধরানো..
বেশ’তো ছিলাম কিছুটা পাওয়া আর কিছুটা না পাওয়ার স্বস্তি নিয়ে,সাদাকালো
জীবনে।
জীবনে।
‘কত আতি-পাতি লোকজন কয়েক মিনিটের শর্ট ভিডিও করে হাজার হাজার কামাচ্ছে ইজিলি..
আর তুমি পারবেনা?’ -মনে পড়ে কথাগুলি ??”
আর তুমি পারবেনা?’ -মনে পড়ে কথাগুলি ??”
মাথা নিচু করে ফেলে অতনু।
আরো পড়ুন,
-“লাক্জারিয়াশ লাইফের নেশায় ভুলেছিলে সেদিন সব..। আর আমি একটু-একটু করে নিজেকে
তোমার কথায় নামিয়েছিলাম জনসমক্ষে। আস্তে-আস্তে আমারও জড়তা দূর হলো। ব্যাঙ্ক
এ্যাকাউন্টটা ফুলতে লাগলো…ভুললে তুমি সব। আমার ভালোলাগা মন্দলাগা সব।
তোমার কথায় নামিয়েছিলাম জনসমক্ষে। আস্তে-আস্তে আমারও জড়তা দূর হলো। ব্যাঙ্ক
এ্যাকাউন্টটা ফুলতে লাগলো…ভুললে তুমি সব। আমার ভালোলাগা মন্দলাগা সব।
-পারবে? দু-দুটো বড় এ্যমাউন্টের ই’এম’আই নিজের ক্ষমতায় মেটাতে? ফিরে আসতে পারবে
সেই অভাবের পচাগলা জীবনে?” অতনুর চোখের কোনে জল যেনো সবকিছুর উত্তর দিচ্ছিলো
নীরবে।
সেই অভাবের পচাগলা জীবনে?” অতনুর চোখের কোনে জল যেনো সবকিছুর উত্তর দিচ্ছিলো
নীরবে।
বাস্তব জীবনের কষ্টের গল্প
-“আমাকে আর নতুন করে বাধা দিওনা প্লিজ! ঘরে বসে সহজেই যখন নিজের সাফল্য দেখি,
তখন এসব নীতিবচন অসহ্য লাগে! আর তাছাড়া কোথাও যেন আমিও এনজয় করি এসব এখন।”
তখন এসব নীতিবচন অসহ্য লাগে! আর তাছাড়া কোথাও যেন আমিও এনজয় করি এসব এখন।”
তিতলির কথাগুলি থামলো মোবাইল ফোনে আসা নোটিফিকেশনের মনভালো করা টোনে ।
-তার সম্প্রতি প্রকাশ করা একটি শর্ট ভিডিও সোশ্যাল সাইটে আগের রেকর্ডগুলি
ক্র্যাক করে অসংখ্য ভিউজ ও লাইক পেয়েছে।
ক্র্যাক করে অসংখ্য ভিউজ ও লাইক পেয়েছে।
ফোনের স্ক্রিনটা অতনুর দিকে ঘুরিয়ে তিতলি বলে ওঠে:
-“আমাদের জয়েন্ট এ্যাকাউন্টে এবার আরও বেশি টাকা ঢুকতে চলেছে সোনা..সুস্থ হয়ে
ওঠো”
ওঠো”
তিতলির দিকে ফ্যাল’ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে, অ-তনু।
————————————
চলমান সমাজে আমাদের চারপাশে এমন ঘটনা ঘটে চলেছে। ফেসবুক, ইউটিউবে কিংবা ইন্সটার সাসক্রাবইবার আর ফলোয়ার বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় অনেকেই শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে অশ্লীল কন্টেন্ট বানানোর দিকে ঝুকে পড়ে। এর ফলেই বেড়ে চলেছে নানা রকম ক্রাইম, বিভিন্ন সমীক্ষার তথ্য অন্তন্ত সেটাই বলে।
ফলোয়াড় বাড়ানোর এই বাড়তি প্রতিযোতায় অনেকেই ধীরে ধীরে নিজের অজান্তেই ঢুকে পড়ছেন অশ্লীল অন্ধকার জগতে, সেটা কতটা ঠিক বা ভুল সেটা নাহয় আপনি নিজেই ডিসাইড করুন। আর ছড়িয়ে দিন এই লেখাটি আপনার প্রিয়জন ও বন্ধুদের মাঝে যাতে এই ফাঁদে পা দেওয়ার আগে একটু ভেবে দেখে।
ধন্যবাদ।
আরো পড়ুন,