Republic Day Bengali Speech 2024
আমাদের জীবনে বছরের বেশ কিছু তারিখ কিন্তু বেশ গুরুত্বপূর্ণ । এই যেমন 23 শে জানুয়ারি নেতাজি জন্মজয়ন্তীর পরপরই ক্যালেন্ডারে যে দিনটাকে ঘিরে আমাদের সকলের দেশাত্মবোধক আবেগ জাগ্রত হয় প্রত্যেক ভারতীয়র মনে, সেটি হল ২৬ শে জানুয়ারি। বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান, কুচকাওয়াজের মাধ্যমে দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাসের ছবি ভেসে আসে। নয়াদিল্লি থেকে কলকাতা-প্রজাতন্ত্র দিবস (Republic Day) ঘিরে সেজে ওঠে দেশের সকল প্রান্ত। কিন্তু , এই দিনটার গুরুত্ব কী? এই দিনটির নেপথ্যে কী ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে? সেই বিষয়ে আমাদের সকলের একটা পূর্ণাঙ্গ ধারণা
থাকা কিন্তু বিশেষ প্রয়োজন । খুব সংক্ষেপে আলোচনা করা যাক প্রজাতন্ত্র দিবসের ব্যাপারে ।
থাকা কিন্তু বিশেষ প্রয়োজন । খুব সংক্ষেপে আলোচনা করা যাক প্রজাতন্ত্র দিবসের ব্যাপারে ।
Republic Day Speech In Bengali
এই দিনটিকে জাতীর জনক মহাত্মা গান্ধী নাম দিয়েছিলেন, ‘স্বতন্ত্রতা সংকল্প দিবস’। পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বে ১৯২৯ সালের বর্ষশেষে পূর্ণ স্বরাজ আনার শপথের পরই ১৯৩০ সালের ২৬ জানুয়ারিকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরে, প্রায় দুশো বছরের ব্রিটিশ শাসনের পরাধীনতা ঘুচিয়ে ভারত যখন ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা
অর্জন করল, তখন সে দিনটিই স্বাধীনতা দিবসের মর্যাদা পেয়ে গেল।
অর্জন করল, তখন সে দিনটিই স্বাধীনতা দিবসের মর্যাদা পেয়ে গেল।
প্রজাতন্ত্র দিবসের ভাষণ
এরফলে ২৬ জানুয়ারি তারিখের অভিধাও বদলে গেল। স্বাধীনতার প্রায় আড়াই বছর পর তৈরি হল দেশের সংবিধান। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি কার্যকর করা হল দেশের সংবিধান। সেই সূত্র ধরেই ২৬ জানুয়ারিকে প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হল।
২৬ জানুয়ারি মানেই ভারতের রাজধানী দিল্লির রাজপথে কুচকাওয়াজ, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। দিল্লির পাশাপাশি কলকাতার রেড রোডেও সেই আড়ম্বর চোখে পড়ে। প্রজাতন্ত্র দিবসের আগের দিন সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন দেশের রাষ্ট্রপতি।
প্রজাতন্ত্র দিবস সম্পর্কে দুটি বাক্য
প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানী দিল্লিতে পা রাখেন বিভিন্ন বিদেশের অতিথি অভ্যাগতরা। এ বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি শৌনককে ।
প্রজাতন্ত্র দিবসের তাৎপর্য
অন্যদিকে, করোনাকালে এই প্রথম ঐতিহ্যে বদল হল রেড রোডে। প্রজাতন্ত্র দিবসের কর্মসূচিতে বেশ কিছু কাঁটছাট করা হচ্ছে। এ বছর সেনা জওয়ানদের কুচকাওয়াজ দেখার অনুমতি নেই দর্শকদের। রেড রোড চত্বরে আমজনতার প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। VIP দর্শকের সংখ্যাও এবারে থাকছে হাতে গোনা। তবে এই বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে বেশ কিছুটা রদবদল হয়েছে । এর আগে প্রতি বছর 24 শে জানুয়ারি থেকে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হতো । তবে চলতি বছরে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ঘোষণা
করেছিলেন যে 23 শে জানুয়ারি নেতাজি জন্মজয়ন্তী থেকেই শুরু হবে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান । মূলত ভারতীয় জাতীয় রাজনীতি ও স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর অপরিসীম অবদান কে সন্মান জানাতেই করতেই এই প্রচেষ্টা ।
করেছিলেন যে 23 শে জানুয়ারি নেতাজি জন্মজয়ন্তী থেকেই শুরু হবে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান । মূলত ভারতীয় জাতীয় রাজনীতি ও স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর অপরিসীম অবদান কে সন্মান জানাতেই করতেই এই প্রচেষ্টা ।
প্রতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান দেখতে রেড রোড চত্বরে ভিড় জমান অসংখ্য মানুষ। দর্শকদের প্রবেশের জন্য একাধিক গেট তৈরি করা হয়। গ্যালারিতে বসেও অনুষ্ঠান দেখার ব্যবস্থা থাকে। নজরদারির জন্য মোতায়েন করা হয় বাড়তি পুলিশ। ওড়ানো হয় ড্রোন ক্যামেরা। এবারে তার বহর অনেকটাই কম। যদিও নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাটই থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছে প্রশাসন। থাকবে পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা বলয় এবং ড্রোন ক্যামেরা। বাড়তি সতর্ক থাকছে রাজ্য প্রশাসন। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া দর্শকদের নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে আসনে বসতে হবে।ভিভিআইপিদের বসার জায়গায় নির্দিষ্ট দূরত্ব রাখা হচ্ছে।