যৌনতার গল্প (নিষিদ্ধ পরকীয়া) Bangla Choti Porokiya – Porokiya Choti Golpo

Bongconnection Original Published
13 Min Read

যৌনতার গল্প (নিষিদ্ধ পরকীয়া) Bangla Choti Porokiya – Porokiya Choti
Golpo 

যৌনতার গল্প (নিষিদ্ধ পরকীয়া) Bangla Choti Porokiya - Porokiya Choti Golpo
Loading...

যৌনতার গল্প

নিষিদ্ধ পরকীয়া
( কঠোরভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য …) 

ঠোঁটের ভাঁজে ঠোঁটের বন্ধনী ক্রমশ যেন আরও শক্ত হয়ে উঠছে। শরীর জুড়ে দুটো
পুরুষালি হাতের অবাধ বিচলন; দ্রুত গতিতে রেশমীকে তার পোশাক হতে উন্মুক্ত করছে।
পুরু নিকোটিনে পোড়া ঠোঁট দুটো, নরম ভেজা ঠোঁট ছেড়ে এবার রেশমীর গলা,কাঁধ, বক্ষ
বিভাজিকা হয়ে তার বাঁকময়ী তন্বী ফর্সা শরীরের ভাঁজে ভাঁজে রেখে চলেছে আদিমতম
রিপুর ছাপ। নগ্ন দুটো শরীর ধীরে ধীরে একে অপরের যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে মেতে
উঠেছে যৌবনের উন্মাদনায়। পুরুষালি চওড়া প্রশস্ত বুকের নিচে নিষ্পেষিত হতে হতে
প্রাপ্তিসুখ ছড়িয়ে পড়ছে রেশমীর রন্ধ্রে রন্ধ্রে। আগুনে ঘৃতাহুতির মতো ওই
পুরুষটির প্রতিটি ছোঁয়া ঝিমধরা মাতুনি তুলছে তার সমগ্র শরীরে। প্রবল উত্তেজনার
ঢেউ পাগল করে তুলেছে রেশমীকে। বাইরে তুমুল কালবৈশাখীর দাপটের সাথে তাল মিলিয়ে
ঘরের ভেতর চলছে তাদের পারদর্শিতার বহিঃপ্রকাশ। মাঝে মাঝেই বন্যতায় ভরা তৃপ্তির
শীৎকার ছড়ি পড়ছে দক্ষিণ কলকাতায় অবস্থিত 3bhk বিলাসবহুল ফ্ল্যাটির বেডরুমের
কোনায় কোনায়। প্রায় দুই ঘন্টা যাবৎ চলতে থাকা এই শরীরী যুদ্ধের সুসমাপ্তিতে
প্রশান্তির হাসি ছড়িয়ে পড়ে রেশমীর ঠোঁটের কোণে। 

আমার যৌনতার গল্প 

Loading...

শিথিল দুটো নগ্ন শরীর রমন ক্রিয়া শেষে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে। তৃপ্তি ও
পূর্ণতার হাসি চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ছে তাদের ঠোঁটের কোণ বেয়ে। রেশমী ছেলেটির চোখের
দিকে তাকিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ হাসি হেসে ওর বুকে তর্জনী দিয়ে আঁকিবুকি কাটতে কাটতে,
কন্ঠস্বরে মাদকতা মিশিয়ে বলে, ” ইউ আর জাস্ট ফায়ার অন বেড ডার্লিং! ইউ নো ভেরি
ওয়েল, হাউ টু স্যাটিসফ্যাই ইউওর পার্টনার !” 

ছেলিটির ঠোঁটের কোণে যেন গর্বের হাসি ফুটে ওঠে। কথার প্রত্যুত্তরে ছেলেটি
রেশমীর লালচে ঠোঁট দুটো আবারও নিজের পুরুষালি ঠোঁট দ্বারা নিংড়ে নিয়ে বলে, ” আই
মাস্ট সে, ইউ আর দ্য সেক্সিয়েস্ট উইমেন আই হ্যাভ এভার মিট ইন মাই লাইফ ! এমন বউ
বাড়িতে থাকলে কি আর বাইরে যেতে মন চায় ! সমীর যে কেন ঘর ছেড়ে অফিসের ওই ন্যাকা
মেয়েগুলোকে নিয়ে হোটেলে পড়ে থাকে ! হি ইজ সাচ অ্য ইডিয়ড ! 

পরকীয়া সম্পর্কের গল্প 

” প্লিজ ডার্লিং, এখন সমীরের নাম নিয়ে মুডটা নষ্ট কোরো না ? হি ইজ অ্য
ক্যারেকটারলেস জার্ক ! আজ মোনা তো কাল বৈশাখী। ও কোনোদিনও একজনকে নিয়ে সন্তুষ্ট
হতে পারে না। ওর ধর্মেই নেই সেটা। বৌকে তো কোনোদিনও ভালোবেসে দেখে নি। আবার
পরকীয়াকে ভালোবাসার নাম দিয়ে হাজারটা মেয়েছেলে নিয়ে হোটেলে যায় ! লম্পট একটা !”
– একরাশ ঘৃনা ঝড়ে পড়ে রেশমীর কন্ঠে। 
আরো পড়ুন,
” আচ্ছা বাবা, কুল ডাউন ! আর তো মাত্র কটা দিন। মিলি দেরাদুনের স্কুলে পড়াশোনার
জন্য চলে গেলেই তুমি সমীরের নামে 498 কেস দিয়ে ডিভোর্স ফাইল করবে। আর সোজা বাড়ি
থেকে বেরিয়ে আমার কাছে চলে আসবে। যতদিন ডিভোর্স না হচ্ছে আমরা না হয় লিভ ইনে
থাকব !” 
পিনপতন নীরবতা খেলা করে যায় সমগ্র ঘরটি জুড়ে। রহস্য ঘনিয়ে আসে রেশমীর
কন্ঠস্বরে। 
” আমি তো অতসব ঝামেলায় যেতেই চাইছি না !” 
” তাহলে ? ” – ছেলেটি প্রশ্ন করে। 
” স্লো পয়জন – এর নাম শুনেছো ? ” – রহস্য ঘনীভূত হতে শুরু করে। 
” স্লো পয়জন ! হ্যাঁ কিন্তু কেন ? ” – ছেলেটির কপালে ভাঁজ পড়ে, কন্ঠে বিস্ময়ের
ছোঁয়া। রেশমী ঠিক কি করতে চাইছে ; তা তার কাছে পরিষ্কার নয়।নিয়নের আবছা আলোটা
রেশমীর উন্মুক্ত শরীর, খোলা চুল, নগ্ন শরীরে পড়ে, তার মুখবায়বে ঘনিয়ে আসা
রহস্যের গাঢ়ত্ব যেন শতগুণ বাড়িয়ে তুলছে। তার চক্ষুদুটি লালচে বর্ণ ধারণ
করেছে। 


চটি গল্প 

রেশমী বাঁকা হেসে গলা খাদে নামিয়ে প্রত্যুত্তরে বলে, ” যদি আমার জীবনের
সমস্যাটাই চীরতরে শেষ হয়ে যায় ? আমাদের পথের কাঁটা একেবারে গোড়া থেকে নির্মূল
হয়ে যায়; তাহলে কেমন হয় ? আর তো মোটে একটা মাস! তারপরেই এই অভিশপ্ত জীবন থেকে
আমার মুক্তি !” 
” মানে ? তোমার কথা ঠিক বুঝতে পারলাম না আমি !” – কৌতুহল ছুঁয়ে যায় ছেলেটির
কন্ঠস্বর। 
কথাটা শোনা মাত্রই, ক্ষুধার্ত শ্বাপদের ন্যায় জ্বল জ্বল করে ওঠে রেশমীর
চোখদুখানি। তার চোখের গভীরে যেন মৃত্যুর হাতছানি। কিছুক্ষণের নীরবতা কাটিয়ে
ছেলেটির দিকে তাকিয়ে খসখসে গলায় বলে, ” মানে হল, রোজ সকালে আমাকে অবজ্ঞা করে,
যে কফির কাপ নিয়ে ব্যালকনিতে গিয়ে সমীর বৈশাখীর সাথে হেসে হেসে কথা বলে, সেই
কাপে গত তিনমাস ধরে একটু একটু করে আমি মৃত্যু মেশাই ! যাকে বলে স্লো পয়জনিং !
বুঝলে ? ” বলেই অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে রেশমী। 
হাসির তীব্র ঝংকারে লন্ডভন্ড হয়ে যেতে থাকে সমীরের এই বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের
প্রতিটি মূল্যবান জিনিস; যা তার দম্ভ ও অহংকারের প্রতীক। যেন প্রচন্ড কালবৈশাখী
ঝড় মেতে উঠেছে প্রচন্ড ধ্বংসলীলায়। ধীরে ধীরে কেমন যেন হার হিম করা বীভৎসতা
ছড়িয়ে পড়ছে রেশমীর মুখমন্ডলে। তার মুখের লালিত্য হারিয়ে গিয়ে পিশাচীনির ন্যায়
লকলকে একটা জিভ বেরিয়ে আসছে ছেলেটির দিকে। হঠাৎই রেশমীর এমন পরিবর্তনে স্তব্ধ
হয় সে। অজানা মৃত্যু ভয় নেমে আসে শিরদাঁড়া বেয়ে। 
আরো পড়ুন,
একটু একটু করে বদলে যাচ্ছে রেশমীর সামনে বসে থাকা ছেলেটির মুখবায়ব। ছেলেটি
মেঝের দিকে ঝুঁকে তাকাতেই, মেঝেতে তছনছ হয়ে পড়ে থাকা ভাঙা আয়নায় ভেসে ওঠে
সমীরের প্রতিচ্ছবি। চমকে ওঠে সমীর। সেই চমক কাটতে না কাটতেই, সমীরের নাকে কেমন
ধূপ চন্দনের গন্ধ ভেসে আসছে। কিন্তু তা বেশীক্ষণ স্থায়ী হয় না। ধীরে ধীরে একটা
বিচ্ছিরি পোড়া গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে ঘরময়। তার মস্তিষ্ক কার্যক্ষম হারাচ্ছে । জঘন্য
পোড়া গন্ধের তীব্রতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেমন যেন দম বন্ধ হয়ে আসছে ওর। একি !
এ যে মরা পোড়ার গন্ধ ! আতঙ্কে চিৎকার করে কাউকে ডাকতে চায় সমীর কিন্তু এতটুকু
স্বরও তার কন্ঠনালী হতে নিঃসৃত হচ্ছে না। সে প্রানপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে
কিন্তু সে নিরুপায়। দুটো শক্ত কালো হাত তার গলা টিপে ধরেছে। তার বুকের ওপর বসে
তাকে বড় বড় নখের আঁচড়ে ক্ষতবিক্ষত করতে করতে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ছে বীভৎসা এক
নগ্ন নারী মূর্তি। 

Porokiya Prem

মুখে গো গো শব্দ করতে করতে ঘুম থেকে জেগে ওঠে সমীর। শীততাপ নিয়ন্ত্রণ ঘরেও দরদর
করে ঘেমে চলেছে সে। কপালে জমা হওয়া স্বেদবিন্দু, কপালের সীমানা ছাড়িয়ে ক্রমাগত
গাল বেয়ে নেমে আসছে। দুঃস্বপ্নের ভয়াবহতার ফলস্বরূপ এখনও থরথর করে কেঁপে চলেছে
তার সমস্ত শরীর। হাঁপড়ের মতো বুকের ওঠা নামা জানান দিচ্ছে তার হৃদযন্ত্রের
অস্বাভাবিকতা। হঠাৎ বেড সাইড টেবিলের ওপর রাখা ফোনটা বেজে উঠতেই আমুল কেঁপে ওঠে
সে, এখনও ঐ বীভৎস স্বপ্নের জাল হতে নিজেকে মুক্ত করতে পারে নি সমীর। কাঁপা
কাঁপা হাতে বৈশাখীর ফোনটা কেটে দেয়। গত চার বছর ধরে বৈশাখীর সাথে বিবাহ
বহির্ভূত সম্পর্কে আবদ্ধ হয়ে বেশ আনন্দেই আছে সে। রেশমীর সাথে দীর্ঘ বারো বছরের
সম্পর্ক যখন বড্ড একঘেয়ে ও ম্যাড়মেড়ে মনে হচ্ছিল, ঠিক তখনই তার জীবনে আগমন ঘটে
স্বল্প বয়সী বছর বাইশের বৈশাখীর। তার ম্যাড়মেড়ে সাদা কালো জীবনে উদ্দামতার রঙ
ছড়িয়েছিল সে। জল তরঙ্গের মতো উচ্ছ্বল ও কাটাকাটা সৌন্দর্যে ভরা স্মার্ট মর্ডান
বৈশাখী বেশী দিন সময় নেয় নি সমীরের সাথে ঘনিষ্ঠ হতে। তার শরীরের ভাঁজে ভাঁজে
যেন আবেদন ঝড়ে পড়ে। যত দিন যাচ্ছিল বছর পঁয়ত্রিশের রেশমীকে বড্ড বেশি ফিকে
লাগতে শুরু করেছিল লাবণ্যময়ী বৈশাখীর পাশে। রোহিনী গাছের আকর্ষের মতো বৈশাখী
তাকে তার লাস্যময়ী রুপের জালে আষ্ঠে পৃষ্ঠে বেঁধে ফেলেছে। যে জাল কেটে বেরনোর
চেষ্টা ও ইচ্ছে কোনোটাই নেই সমীরের। বৈশাখী সামনে এসে দাঁড়ালেই নিজেকে ঠিক
রাখতে পারে না সমীর; তাই কখনও অফিস, কখনও হোটেল, কখনও রেশমীর অনুপস্থিতিতে তার
এই ফাঁকা ফ্ল্যাটেই তারা লিপ্ত হয় উদ্দাম শরীরী খেলায়। 
রেশমী যে তাদের এই সম্পর্ক ব্যাপারে সবটাই জানে ; তা নিয়ে কোনো ভ্রুক্ষেপ মাত্র
নেই সমীরের। এতটুকু লজ্জা, কুন্ঠাবোধ, অপরাধ বোধ তাকে ছুঁতে পারে নি। কারণ তার
মতে বৌয়ের কাজই হল সংসার দেখা, বাচ্চা সমলানো আর রাতে স্বামীকে বিছানায় খুশি
করা। এছাড়া স্বামীর জীবনে তাদের কোনো ভূমিকা থাকতে পারে না ! আর রেশমীর মনকষ্ট
নিয়ে তো সে বরাবরই উদাসীন, একটুও খারাপ লাগা দানা বাঁধে না তার কৃতকর্মের
জন্য।বৈশাখী ও সমীরের সম্পর্কটা এখন ওপেন সিকরেট হয়ে গেছে। সকলে সব জেনেও নীরব
থাকে। ভেতর ভেতর গুমরে মরলেও, রেশমী কোনোদিনও সমীর ও বৈশাখীর অবৈধ সম্পর্কের
মাঝে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় নি। ভালোই তো চলছিল সাপ্তাহিক ছুটিতে বৈশাখীকে নিয়ে
রিসর্টে যাওয়া অথবা বছর শেষে বিদেশে ট্যুর, আর তারপর নির্জন হোটেল রুমে বৈশাখীর
যৌবনের সুধা পান করতে করতে শরীরী খেলায় মেতে ওঠা। বৈশাখীর শরীরের ভাঁজে ভাঁজে
খুঁজে নেওয়া তার কামাতুর হৃদয়ের তৃপ্তি। কিন্তু হঠাৎই যেন যমদূতের ন্যায়
ছন্দপতন ঘটালো এই ভোরের স্বপ্ন। সবটা কেমন এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। মস্তিষ্কের ভেতর
থাকা নিউরোনগুলো কেমন যেন জট পাকিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করছে। এই আজই তো তার
বৈশাখীকে নিয়ে সকাল সকাল বেরিয়ে পড়ার কথা। মন্দারমণিতে সেই কবে থেকেই হোটেল বুক
করে রেখেছে সে; তাইতো সকাল সকাল এত ফোনের ঘটা। হাত বাড়িয়ে ফোনটা সুইচ অফ করে
দেয় সমীর। তার বুকের ভেতরটা কেমন খালি খালি লাগছে। প্রচন্ড ঘূর্ণিঝড়ের যেন তার
সবকিছু ওলট পালট করে দিচ্ছে। কিছু মুহূর্ত দিশেহারা অবস্থায় কাটানোর পর, হঠাৎই
খুট করে দরজা খোলার শব্দ শুনে ঘুরে তাকায় সমীর। সামনের দৃশ্য দেখে মাত্রই একটা
ভয়ার্ত স্রোত শিরদাঁড়া বেয়ে নেমে এসে সমীরের সমস্ত দেহে ছড়িয়ে পড়ে। সামনে কফি
কাপ হাতে মূর্তিমান স্বয়ং রেশমীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে থরথর করে কেঁপে ওঠে তার
সমস্ত শরীর। মুখমন্ডল হতে সমস্ত রক্ত কেউ যেন ব্লটিং পেপার দিয়ে শুষে নেওয়ায়
ফ্যাকাশে হয়ে উঠেছে। কফি হাতে ক্রমশ সমীরের দিকে হাসি মুখে এগিয়ে আসছে রেশমী।
নিয়নের হালকা আলোয় বড্ড রহস্যময়ী মনে হচ্ছে তাকে। সমীরের খাটের দিকে আরও একটু
এগিয়ে আসার সাথে সাথেই বুকের ওপর প্রবল চাপ অনুভব করে সমীর। কেউ যেন কয়েক টন
ওজনের প্রকান্ড পাথর চাপিয়ে দিয়েছে তার বুকের ওপর ; যা সে শত চেষ্টা করেও সরাতে
পারছে না।এতটুকু শ্বাসবায়ুর জন্য ফুঁসতে থাকে সমীর। বিছানায় শুয়ে কাঁটা কইমাছের
মতো ছটফট করতে থাকে সে। 

নিষিদ্ধ সম্পর্কের গল্প 

“একী, কি হয়েছে তোমার ? এমন করছো কেন? চোখ খোলো সমীর ! প্লিজ চোখ খোলো !” –
উদ্বিগ্ন কন্ঠে চিৎকার করে ওঠে রেশমী। সমীরের এমন অবস্থা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে
সে। সমীরের কোষে কোষে একটু অক্সিজেনের জন্য ছড়িয়ে পড়ে করুন আর্তি। শরীরের সমস্ত
শক্তি একত্রিত করে নিশ্বাস নেওয়ার জন্য শেষবারের মতো হা করে সমীর, আর ধীরে ধীরে
রেশমীর কান্নামাখা মুখশ্রী ঝাপসা হয়ে আসতে আসতে চীর অন্ধকারে তলিয়ে যায়
সে। 
ফুল চন্দন চর্চিত সমীরের সুবৃহৎ ফটো ফ্রেমটি ফ্ল্যাটের ডাইনিং প্লেসে রাখা
রয়েছে। তাকে ঘিরে আয়োজিত হয়েছে শোক সভা। শুভ্র বসনা রেশমী স্থির দৃষ্টিতে
তাকিয়ে আছে সমীরের ফটোটির দিকে। তার চোখের কোল ছাপিয়ে অনবরত নেমে চলেছে
অশ্রুধারা। ঘর ভর্তি আত্মীয় পরিজন সহানুভূতি জানিয়ে, একে একে বিদায় নিচ্ছে
শোকসভা হতে। 
“আহা গো এত কম বয়সে বিধবা হল, এবার মেয়েটাকে নিয়ে একা একা কি করবে গো !” 
“একদিকে রক্ষে যে অঢেল পয়সা রেখে গেছে, ভাসিয়ে তো আর দিয়ে যায় নি !”
“আরে এরা আজকাল কার মেয়ে, অল্প বয়সে বিধবা হয়েছে, একি আর সতী হয়ে সারা জীবন বসে
থাকবে নাকি !”
” তা যা বলেছ বাপু ! ” 
এমন হাজারো কথার ফিসফিসানি হাওয়ায় ভেসে কানে আসলেও রেশমীর মুখের অভিব্যক্তির
এতটুকুও পরিবর্তন হয় নি। 
এই সুবিশাল ফ্ল্যাটে এখন সে একা। বাঁ চোখ বেয়ে নেমে আসা বারিধারা হাতের উল্টো
পিঠে মুছে নেয় সে। সমীরের ফটোর দিকে আগুন চোখে তাকিয়ে, চাপা হিসহিসে কন্ঠে বলে,
“পরকীয়ার ফল !” তারপর একদলা থুতু সমীরের ফটোর ওপর ফেলে ওখান থেকে প্রস্থান করে
রেশমী। তার চোখের গভীরে সর্বগ্রাসী ঘৃনার আগুন এখনও ধিকিধিকি জ্বলছে !
( সমাপ্ত )
আরো পড়ুন,

Share This Article