কোরবানি ঈদ নিয়ে কিছু কথা ২০২৩ – Eid UL Adha ঈদুল আযহা নিয়ে কিছু কথা
কোরবানি ঈদ নিয়ে কিছু কথা
লিখেছেন – ইয়াকুব আলী
ঈদ উল আযহা বা কুরবানীর ঈদ নিয়ে আমি কিছু কথা বলতে চাই আপনাদের
তাই সম্পূর্ণ পড়ার অনুরোধ রইলো…..
যেকোন ঈদ মানেই মুসলিমদের জন্য আনন্দ এবং খুশির দিন তাতে কোন সন্দেহ নেই।
কুরবানীর ঈদে যেমন রয়েছে আনন্দ, তেমনি রয়েছে ত্যাগের বহিঃপ্রকাশ।
কুরবানীর ঈদে যেমন রয়েছে আনন্দ, তেমনি রয়েছে ত্যাগের বহিঃপ্রকাশ।
এই ঈদ কিভাবে এলো তা আমরা সকলেই জানি। হযরত ইব্রাহীম আঃ কে বলা হয়েছিল তার
সবচেয়ে প্রিয় জিনিস কুরবানী দিতে। তার সবচেয়ে প্রিয় ছিল তার পুত্র হযরত ইসমাইল
আঃ। নিজের সৃষ্টিকর্তার প্রতি আনুগত্যকে সবার উপরে স্থান দিয়ে যখনই তিনি নিজের
পুত্রের গলায় ছুরি চালাতে যান, সেই পুত্রের গলার বদলে সেখানে একটা দুম্বা চলে
আসে সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে। সেখান থেকেই মুসলিমদের জন্য কুরবানির প্রথা চালু
হয়। যে প্রাণী কুরবানীর মাধ্যমে মুসলিমরা ত্যাগের বহিঃপ্রকাশ করে।
সবচেয়ে প্রিয় জিনিস কুরবানী দিতে। তার সবচেয়ে প্রিয় ছিল তার পুত্র হযরত ইসমাইল
আঃ। নিজের সৃষ্টিকর্তার প্রতি আনুগত্যকে সবার উপরে স্থান দিয়ে যখনই তিনি নিজের
পুত্রের গলায় ছুরি চালাতে যান, সেই পুত্রের গলার বদলে সেখানে একটা দুম্বা চলে
আসে সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে। সেখান থেকেই মুসলিমদের জন্য কুরবানির প্রথা চালু
হয়। যে প্রাণী কুরবানীর মাধ্যমে মুসলিমরা ত্যাগের বহিঃপ্রকাশ করে।
ঈদ উল আযহা সম্পর্কে হাদিস
আমি মনে করি…
কুরবানী দেয়ার অন্তত এক মাস আগে আপনি যাই কুরবানী দেন না কেন সেটা কেনা উচিত।
যাতে সেই প্রাণীটিকে আপনি কয়েকদিন আদরযত্ন করতে পারেন, লালনপালন করতে পারেন।
এতে করে আপনার সেই পশুর প্রতি একটা ভালবাসা/মমতা সৃষ্টি হবে। সেই পশুটাকে
কুরবানী দেয়ার সময় আপনার মন একটু হলেও কষ্ট পাবে৷ একেই বলে কুরবানী। কারন এখানে
পশুটাকে ভালোবাসা
যাতে সেই প্রাণীটিকে আপনি কয়েকদিন আদরযত্ন করতে পারেন, লালনপালন করতে পারেন।
এতে করে আপনার সেই পশুর প্রতি একটা ভালবাসা/মমতা সৃষ্টি হবে। সেই পশুটাকে
কুরবানী দেয়ার সময় আপনার মন একটু হলেও কষ্ট পাবে৷ একেই বলে কুরবানী। কারন এখানে
পশুটাকে ভালোবাসা
যদি পশুটার প্রতি আপনার একটুও কষ্ট না হয় তাহলে সেটা হবে শুধু পশুহত্যা।
আরো পড়ুন,
এখন আপনি বলতেই পারেন যে.. এই যান্ত্রিক জীবনে এসবের সময় কোথায়?
হ্যাঁ ,অবশ্যই এটা যুক্তিসঙ্গত কথা। কিন্তু আপনি একমাস আগে না কিনতে পারলেও
অন্ততপক্ষে ১০- ১৫ দিন আগে কিনে সেই প্রানীটাকে পালতে পারেন, ভালোবাসতে পারেন,
আদরযত্ন করতে পারেন। যতটুকু সম্ভব আরকি।
এবার আসা যাক মজা করার বিষয়ে। ঈদ অবশ্যই আনন্দের ব্যাপার। মজা হবে নিজের
পরিবারের সাথে, বন্ধুদের সাথে, প্রতিবেশীদের সাথে।
পরিবারের সাথে, বন্ধুদের সাথে, প্রতিবেশীদের সাথে।
আগে বলুনতো আপনি কোন ধরনের অমানুষ হলে কুরবানির পশু নিয়ে মজা নেন?
কার পশু ছুটে যাচ্ছে, দৌড়াচ্ছে এসব ভিডিও করে আপনি শেয়ার দেন? একটা প্রাণী
মৃত্যুর ভয়ে দৌড়াচ্ছে সেটা কিভাবে মজা করার ব্যাপার হয় কিছুতেই আমার মাথায় আসে
না।
মৃত্যুর ভয়ে দৌড়াচ্ছে সেটা কিভাবে মজা করার ব্যাপার হয় কিছুতেই আমার মাথায় আসে
না।
ঈদ নিয়ে কিছু কথা ২০২৩
এবার আসি আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে।
পশুটাকে নিয়ে মজা, ঠাট্টা করা, এমনও শুনতে পায় যে তোমার টা থেকে আমার অনেক দাম
বেশি এমনকি লেজে টান দেয়া ইত্যাদি ইত্যাদি….
বেশি এমনকি লেজে টান দেয়া ইত্যাদি ইত্যাদি….
এগুলো করে কিভাবে আপনাদের আনন্দ হয়?
আগে বলেন এসব কি কুরবানির ঈদের অংশ কোনোভাবে? কোথায় লেখা আছে এসব?
এসব কিভাবে মজাদার হয় আপনাদের কাছে ?
সবশেষে আমি একটা কথাই বলব যে, কারো বিশ্বাসে আঘাত করার কোনো ইচ্ছা আমার নাই
কিন্তু উপরের কাজগুলি যারা করেন, আমার মনে হয় না.. আপনার বিশ্বাস অনুযায়ী সেটা
‘কুরবানী’ হচ্ছে৷
কিন্তু উপরের কাজগুলি যারা করেন, আমার মনে হয় না.. আপনার বিশ্বাস অনুযায়ী সেটা
‘কুরবানী’ হচ্ছে৷
বরং সেটা হচ্ছে শুধু পশুহত্যা। সুতরাং একটু ভেবেচিন্তে কাজ করবেন। কারণ টাকাও
দিলেন, নিজের পরিশ্রমও দিলেন অথচ আপনার কুরবানী কবুল হলো না সেটা নিশ্চয়ই আপনি
চান না।
দিলেন, নিজের পরিশ্রমও দিলেন অথচ আপনার কুরবানী কবুল হলো না সেটা নিশ্চয়ই আপনি
চান না।
সুম্পূর্ণটা যারা পড়লেন তাদের কাছে একটাই অনুরোধ… Share এর মাধ্যমে সবাইকে
জানিয়ে দিন কুরবানীর আসল মানেটা কী…….-:)🌿🕊️
জানিয়ে দিন কুরবানীর আসল মানেটা কী…….-:)🌿🕊️
আরো পড়ুন,