বাস্তব জীবনে নিয়ে কিছু কথা – জীবন নিয়ে কথা (Jibon Niye Kichu
Kotha)
বাস্তব জীবনে নিয়ে কিছু কথা
The Family Man এর সিজন টু-র এই দৃশ্যটা খুব মনে ধরে গিয়েছিল।
দৃশ্যে শ্রীকান্ত নিজের চারপাশে ঘটে চলা ঘটনাগুলোর চাপ নিতে না পেরে মানসিক
ভাবে সম্পূর্নরূপে বিধ্বস্ত হয়ে একটা মুহূর্তের জন্যে হতবাক হয়ে যায়। কী
করবে কিছুই বুঝতে পারেনা। স্তব্ধ শ্রীকান্ত সেই মুহূর্তে কেবল একটা মানুষকে ফোন
করে, একটু কথা বলে হালকা হওয়ার জন্যে। মানুষটি কে? সুচিত্রা। শ্রীকান্তের
সবচাইতে কাছের মানুষ। কিন্তু ফোন করেও কোনো কথাই সেইভাবে বলতে পারে না। ফোনটা
কেটে কেঁদে ফেলে। ভেঙে পড়ে…
ভাবে সম্পূর্নরূপে বিধ্বস্ত হয়ে একটা মুহূর্তের জন্যে হতবাক হয়ে যায়। কী
করবে কিছুই বুঝতে পারেনা। স্তব্ধ শ্রীকান্ত সেই মুহূর্তে কেবল একটা মানুষকে ফোন
করে, একটু কথা বলে হালকা হওয়ার জন্যে। মানুষটি কে? সুচিত্রা। শ্রীকান্তের
সবচাইতে কাছের মানুষ। কিন্তু ফোন করেও কোনো কথাই সেইভাবে বলতে পারে না। ফোনটা
কেটে কেঁদে ফেলে। ভেঙে পড়ে…
জীবনের বাস্তবতা নিয়ে কিছু কথা
দৃশ্যটি কোথাও না কোথাও আমাদের প্রত্যেকেরই গল্প বলে যায়। একটু ভাবলেই বোঝা
যায়, দৃশ্যটির সঙ্গে আমরা সবাই একটু হলেও রিলেট করতে পারি। শ্রীকান্ত আর
সুচিত্রার সম্পর্কের গতি সেই মুহূর্তে খুব একটা সরলরৈখিক ছিল না। সাংসারিক বহু
বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যেই ভীড় করেছিল তিক্ততা। তবু, এক এমন মুহূর্ত যেখানে
শ্রীকান্ত দিকশুন্য, টালমাটাল তখন সবার আগে যার কথা তার মাথায় আসে, সেই
মানুষটির নাম সুচিত্রা। সময়বিশেষে মানুষের মন জট পাকিয়ে যায়, তালগোল পাকিয়ে
যায় সমস্ত চিন্তা, অনুভূতি— তখন মানুষ ফিরতে চায়— ক্লান্ত পথিক ঘরে ফিরতে
চায়। শ্রীকান্তও আর পাঁচটা মানুষের মতোই সাধারণ একটা লোক। সেও তাই করেছিল।
নিজের মনের ভেতরের ঝড়ের তাড়নায় ছুটতে চেয়েছিল ঘরের পানে— সূচির
পানেই…
যায়, দৃশ্যটির সঙ্গে আমরা সবাই একটু হলেও রিলেট করতে পারি। শ্রীকান্ত আর
সুচিত্রার সম্পর্কের গতি সেই মুহূর্তে খুব একটা সরলরৈখিক ছিল না। সাংসারিক বহু
বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যেই ভীড় করেছিল তিক্ততা। তবু, এক এমন মুহূর্ত যেখানে
শ্রীকান্ত দিকশুন্য, টালমাটাল তখন সবার আগে যার কথা তার মাথায় আসে, সেই
মানুষটির নাম সুচিত্রা। সময়বিশেষে মানুষের মন জট পাকিয়ে যায়, তালগোল পাকিয়ে
যায় সমস্ত চিন্তা, অনুভূতি— তখন মানুষ ফিরতে চায়— ক্লান্ত পথিক ঘরে ফিরতে
চায়। শ্রীকান্তও আর পাঁচটা মানুষের মতোই সাধারণ একটা লোক। সেও তাই করেছিল।
নিজের মনের ভেতরের ঝড়ের তাড়নায় ছুটতে চেয়েছিল ঘরের পানে— সূচির
পানেই…
আরো পড়ুন,
প্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া
প্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া
জীবনের বাস্তবতা নিয়ে কিছু উক্তি
জীবনে অনেকসময় এমন বহু মুহূর্ত আসে যখন পরিস্থিতির চাপে আমরা বিধ্বস্ত, দুর্বল
হয়ে যাই। দায়িত্ব, কর্তব্য, ব্যর্থতা মিলিয়ে জমে যাওয়া কথার বোঝা বইতে বইতে
হাঁফিয়ে উঠি। সেই মুহূর্তে যেটা আমরা সবাই খুঁজি সেটা হলো একটা আশ্রয়। নিজের
কাছের মানুষটার কাছে একটা সুরক্ষিত আশ্রয়— ঘর বলি আমরা সেটাকে! কিন্তু
পরিস্থিতি হয়তো এমনই থাকে, এতোগুলো আবেগ ভীড় করে আসে মনের ভেতর যে, সেই
কথাগুলো আর বেরিয়ে আসতে পারেনা। সব মিলেমিশে জট পাকিয়ে জড়তা হয়ে যায়। জমা
কথার পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে শব্দেরা হারিয়ে যায়। ক্ষণিকের নিস্তব্ধতা এবং
তারপরেই আমরা কেবল, ভেঙে পড়ি। ঘরে ফেরা আর হয় কই? নিজেদের অজান্তেই হয়তো
ভেতরে ভেতরে আমরা এতখানি ভেঙে যাই যে, নিজের কাছের মানুষটার কাছেও আমরা নিজেকে
আর মেলে ধরতে পারিনা, কথার বোঝার ভার লাঘব করতে পারিনা। সেই ভার, সেই স্তব্ধতা
তখন হয়ে যায় কেবল আমাদের নিজের, একার। ফেরা আর হয় না। আমরা ভেঙে পড়ি।
কিন্তু পরমুহূর্তেই আবার একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে, বেঁচে থাকার লড়াইতে সামিল
হয়ে যেতে হয়…
হয়ে যাই। দায়িত্ব, কর্তব্য, ব্যর্থতা মিলিয়ে জমে যাওয়া কথার বোঝা বইতে বইতে
হাঁফিয়ে উঠি। সেই মুহূর্তে যেটা আমরা সবাই খুঁজি সেটা হলো একটা আশ্রয়। নিজের
কাছের মানুষটার কাছে একটা সুরক্ষিত আশ্রয়— ঘর বলি আমরা সেটাকে! কিন্তু
পরিস্থিতি হয়তো এমনই থাকে, এতোগুলো আবেগ ভীড় করে আসে মনের ভেতর যে, সেই
কথাগুলো আর বেরিয়ে আসতে পারেনা। সব মিলেমিশে জট পাকিয়ে জড়তা হয়ে যায়। জমা
কথার পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে শব্দেরা হারিয়ে যায়। ক্ষণিকের নিস্তব্ধতা এবং
তারপরেই আমরা কেবল, ভেঙে পড়ি। ঘরে ফেরা আর হয় কই? নিজেদের অজান্তেই হয়তো
ভেতরে ভেতরে আমরা এতখানি ভেঙে যাই যে, নিজের কাছের মানুষটার কাছেও আমরা নিজেকে
আর মেলে ধরতে পারিনা, কথার বোঝার ভার লাঘব করতে পারিনা। সেই ভার, সেই স্তব্ধতা
তখন হয়ে যায় কেবল আমাদের নিজের, একার। ফেরা আর হয় না। আমরা ভেঙে পড়ি।
কিন্তু পরমুহূর্তেই আবার একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে, বেঁচে থাকার লড়াইতে সামিল
হয়ে যেতে হয়…
জীবন নিয়ে কিছু কথা
আসলে, কিছু যন্ত্রণা, মানুষের একারই। কিছু বোঝা মানুষকে একাই বইতে হয়। তবে
মানুষের চাহিদা বড্ড সামান্য, মানুষ কেবল চায় একটা নিজের মানুষ,
মানুষের চাহিদা বড্ড সামান্য, মানুষ কেবল চায় একটা নিজের মানুষ,
যার কাছে নিঃশব্দে, শান্তিতে ভেঙে পড়া যায়। যার কাছে, ফিরে আসা যায়…