কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা পদ্ধতি, সামগ্রী PDF 2023 – Kojagori Lakshmi Puja Paddhati, Samogri

Bongconnection Original Published
6 Min Read

কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা পদ্ধতি, সামগ্রী PDF 2022 – Kojagori Lakshmi Puja
Paddhati, Samogri </span >

কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা পদ্ধতি, সামগ্রী PDF 2023 - Kojagori Lakshmi Puja Paddhati, Samogri
Loading...

কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা পদ্ধতি

ধন, সম্পদ ও প্রাচুর্যের দেবী মা লক্ষীর আজ পূজা। প্রতিটি হিন্দু বাড়িতেই সঠিক
রীতি মেনে এই পূজা করা হয় । সকাল থেকেই উপোস করে, নতুন পোশাকে সঠিক মন্ত্র
উচ্চারণে মা লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয় ।
কিন্তু লক্ষ্মী পূজার সঠিক পদ্ধতি কি ? সেটা কি আপনি সঠিক ভাবে জানেন ?
শুধুমাত্র আপনার জন্য রইলো লক্ষ্মী পূজার সঠিক পদ্ধতি নিয়ে সম্পুর্ন তথ্য।


কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা সামগ্রী

Loading...
নিয়মাবলী:-
 লক্ষ্মীপূজায় ঘণ্টা বাঁজাতে নেই। লক্ষ্মীকে তুলসীপাতা দিতে নেই। কিন্তু
লক্ষ্মীপূজার পর একটি ফুল ও দুটি তুলসীপাতা দিয়ে নারায়ণকে পূজা করতে হয়।
লক্ষ্মীপূজা সাধারণত সন্ধ্যাবেলা করে, তবে অনেকে সকালেও করে থাকেন। সকালে করলে
সকাল ন-টার মধ্যে করে নেওয়াই ভাল। পূজার পর ব্রতকথা পাঠ করতে হয়।
লক্ষ্মীপূজায় লোহা বা স্টিলের বাসন-কোসন ব্যবহার করবে না। লোহা দিয়ে অলক্ষ্মী
পূজা হয়। তাই লোহা দেখলে লক্ষ্মী সে গৃহ ত্যাগ করে চলে যান। যার যে প্রতিমায়
পূজা করার নিয়ম সে সেই নিয়মেই পূজা করবে। পূজার পূর্বে পূজাস্থান পরিষ্কার
পরিচ্ছন্ন করে ধূপ দীপ জ্বালিয়ে দেবে। পূজাস্থানে লক্ষ্মীর পা-সহ আলপনা আঁকবে।
ঘটের পাশে একটি লক্ষ্মীর পা অবশ্যই আঁকবে। পূজার সময় অন্য মনস্ক হবে না। মনকে
লক্ষ্মীতে স্থির রাখবে।


আরো পড়ুন,

কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা পদ্ধতি PDF

**
:> মা লক্ষী দেবীর গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য:-
*
>  মা লক্ষ্মীর চারটি হাত। ধর্ম, কর্ম, অর্থ ও মোক্ষ— হিন্দুশাস্ত্রে
এই চার হাতের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করা হয়েছে এভাবেই। যাঁরা মনে করেন মা লক্ষ্মী
শুধুমাত্র ধনের দেবী, তাঁরা সম্ভবত দেবীর এই ব্যাখ্যা সম্পর্কে অবহিত নন।
সমুদ্রমন্থন থেকে উদ্ভব মা লক্ষ্মীর। কিন্তু সবার আগে জানা প্রয়োজন তিনি কে?
কীভাবে আবির্ভূত হলেন তিনি। এই নিয়ে নানা মত রয়েছে। কখনও বলা হয় তিনি ছিলেন ঋষি
ভৃগুর সন্তান এবং সমুদ্রমন্থনে তাঁর পুনর্জন্ম হয়। আবার অন্য একটি মত অনুযায়ী,
তিনি সমুদ্রদেব বরুণের কন্যা। মা লক্ষ্মীরও আগে আবির্ভূত হয়েছিলেন দেবী
সরস্বতী। একটি পৌরাণিক গল্পে বলা হয়েছে, ব্রহ্মার সাত সন্তান, সপ্তঋষির মধ্যে ৬
জনই দেবী সরস্বতীর আরাধনা করে দৈবজ্ঞান লাভ করেন। কিন্তু প্রশ্ন তোলেন মহর্ষি
ভৃগু। মানবশরীরের ক্ষুধা নিবারণ কীভাবে ঘটে, সেই খোঁজে তিনি বেরিয়ে পড়েন। শেষ
পর্যন্ত উত্তরটি পান সমুদ্রদেব বরুণের কাছে। মহর্ষি ভৃগু তার পরেই উপলব্ধি করেন
যে, মগজের বা মননের পুষ্টিলাভ যেমন হয় দেবী সরস্বতীর আরাধনায় তেমনই নশ্বর
শরীরের পুষ্টির জন্য মা লক্ষ্মীর আবাহন ও পূজা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই মা
লক্ষ্মীকে শুধুমাত্র ধনদেবী হিসেবে দেখলে তাঁর মহিমার সম্পূর্ণটা দেখা হয় না।
তাঁর আশীর্বাদ মানুষের ক্ষুধা নিবারণের জন্য, গৃহস্থের সার্বিক কল্যাণের জন্য।
আর এই দুয়ের জন্যই প্রয়োজন অর্থের। কিন্তু সেই অর্থ পাওয়ার পরে মানুষ তার
প্রয়োগ কীভাবে করছে, সেদিকে তাঁর কড়া নজর। অপচয় বা অন্যায় প্রয়োগ তিনি সইতে
পারেন না, তাই তিনি চঞ্চলা।

Laxmi Puja paddhati in Bengali PDF

পুজোর আগে কিছু সাধারণ নিয়ম:-
সাধারণত কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে সারা রাত জেগে থাকার বিধি আছে। এই পূজার সঙ্গে
কৃষকদের একটা বড় সম্পর্ক রয়েছে। তাই শোনা যায় সারারাত জেগে তারা ওইদিন শস্য
পাহারা দেয়। সঙ্গে মার কাছে আশীর্বাদ চেয়ে নেওয়া হয়। আবার অনেকে মনে করেন,
লক্ষ্মী দেবী চঞ্চলা তাই সারারাত জেগে তাকে পাহারা দেওয়া হয়, যাতে তিনি পালিয়ে
না যান। এই কথা মা ঠাকুমাদের মুখে প্রায়ই শোনা যায়। লক্ষ্মীদেবী ধনসম্পদ তাকেই
দেন, যে তার পুরো মর্যাদা দেয়। যে সেই ধনসম্পদ সমাজের কল্যাণে কাজে লাগায়। তাই
লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা অত্যন্ত শুদ্ধ মনে করতে হয়। মা লক্ষ্মী অল্পেই খুশী হন।
তাই এই পূজায় খুব একটা বাহুল্য নেই। যে যার সাধ্যমতো পূজা করে। তবে পূজার আগে
পূজার স্থান একদম পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর সুন্দর করে আলপনা দিতে হবে।
প্রতি ঘরের দরজায়, পূজার স্থানে লক্ষ্মীর পা অবশ্যই আঁকবে। সেইদিন আলপনা মুছবে
না। তারপর পূজার জায়গা সুন্দর করে ফুল দিয়ে সাজিয়ে, ধূপ, ধুনো, প্রদীপ জ্বালিয়ে
দিতে হয়।

কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা পদ্ধতি ও মন্ত্র

পুজো শুরু করার নিয়ম:-
 সব আয়োজন পূর্ণ এবার পূজা শুরু। শুরুর আগে গঙ্গা জল ছিটিয়ে দিতে হবে
নিজের ও সকলের মাথায় ও পূজার স্থানে। তারপর ভগবান নারায়ণকে মনে মনে স্মরণ করে
পূজা শুরু করবে। পূজার স্থানে একটি তামার পাত্রে জল রাখবে। এই জল সূর্য দেবতাকে
অর্পণ করার জন্য। তিনি সকল শক্তির উৎস। তাঁকে ছাড়া পৃথিবী অন্ধকার। তাই তাঁকে
জল দেওয়া বাঞ্ছনীয়। তামার পাত্রে জল ঢালতে ঢালতেই সূর্যদেবতাকে স্মরণ করুবে।
এরপর ঘট স্থাপনের পালা। মাটির একটি গোল ডেলা মত করে নিন, সমান করে নিতে হবে।
তার ওপর ঘট বসাবে। এবং ঘটের সামনে একটু ধান ছড়িয়ে দিববে। ঘটে স্বস্তিক চিহ্ন
আঁকবে সিঁদুর দিয়ে। ঘটের ওপর আমের পাতা রাখববে। পাতার সংখ্যা যেনো বিজোড় হয়। আর
পাতার ওপর তেল ও সিঁদুরের ফোঁটা দেবে। ঘটে গঙ্গাজল দিয়ে তার ওপর আমের পাতা
রাখবে। পাতার ওপর একটা হরিতকী, ফুল, দুব্বো, সব দিয়ে ঘট সাজাবে।
আরো পড়ুন,
 

Share This Article