Bangla Love Story – অপেক্ষার শেষে – বাংলা লাভ স্টোরি

Bongconnection Original Published
15 Min Read


Bangla Love Story – অপেক্ষার শেষে – বাংলা লাভ স্টোরি 

Bangla Love Story - অপেক্ষার শেষে - বাংলা লাভ স্টোরি
Loading...

Bangla Love Story 

Loading...
অপেক্ষার শেষে
– দেবশ্রী
         চিঠিটা হাতে পেয়েই সকাল থেকে বড্ড অন্যমনস্ক
হয়ে পরছি| ইতিমধ্যে সাত আটবার পড়া হয়ে গেছে| রাত তখন এগারোটা, পুরনো ডাইরিটা
আজ খুলে বসেছি| কতো রঙ্গিন দিনের কথা লেখা সেখানে | কতো আনন্দের দিন এসেছিল
জীবনে,আবার সব কোথায় যেন মিলিয়েও গেছে| এখন সব কিছু ভুলে দিব্বি কেটে যাচ্ছে
দিন| সামনে আর একটা মাস বাকি পূজোর, কিন্তু এখন আর তাতে টান হয় না| 


          সবার জীবনে পূজো যে আনন্দ নিয়ে আসে তা নয়|
পূজোর কয়েকদিন অনেকেরই চোখে জল থাকে লুকানো| মনে কষ্ট থাকে যা দেখা যায় না |
আমার জীবনটাও তেমনই একটা জীবন | এখন আমি শহরের একটি স্কুলের দিদিমণি,নতুন
পরিচয়,নতুন ঠিকানা কিন্তু সাত বছর আগে জীবনটা একদম অন্য রকম ছিলো| সোনাপুর নামে
একটা ছোট গ্রামে আমি বাবাকে নিয়ে থাকতাম | বাবা ছিলেন গ্রামের মাষ্টারমশাই |তাই
আমাকে সবাই চিনতো আর ভালোও বাসতো|
          গ্রামে দুইতলা বাড়ি,কয়েক বিঘা জমি ,বাবার
সংস্কার এই ছিল আমার জীবন| মাকে তেমন মনে পরে না| তখন অনেক ছোট মা পৃথিবী ছেড়ে
চলে যায়| বাবাই সব | পূজোর সময় সোনাপুর গ্রামে চৌধুরী বাড়ির পূজো হয় বেশ বড়ো
করে | দূর্গাপূজো বলতে চৌধুরীদের পূজোর গন্ধ ছড়িয়ে পরতো গ্রামে| চৌধুরীরা পাঁচ
ভাই পালা করে পূজোর দায়িত্ব পরতো সবার| যে যেখানেই থাকুক না কেন পূজোর কয়টা দিন
গ্রামের বাড়ীতে সবাই আসতো| শোনা যায় এ পূজো দেড়শোবছর ধরে চলে আসছে|
           বাবা গ্রামের মাষ্টার মশাই তাই
আমাদের প্রতি আতিথেয়তার কোন ত্রুটি হতো না| পাঁচটা দিন চৌধুরী বাড়িতেই খাওয়া
দাওয়া থাকার ব্যবস্হা থাকতো| আমি  অবাক নয়নে চেয়ে থেকে প্রতিমা বানানো
থেকে শুরু করে বিসর্জন পর্যন্ত সব দেখতাম| ছোট থেকে বড়ো হয়ে ওঠা ঐ পূজো দেখেই|
তখন আমার বয়সি সব ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের সাথে আমি খেলায় ব্যস্ত| এই কটাদিন কি
ভাবে যে কেটে যেত সে নিজেও বুঝতে পারতাম না| 
             চৌধুরী বাড়িতে আর একজনও আসতো
এ সময়ে কমলা কাকিমার ছেলে| কমলা কাকিমা চৌধুরী বাড়ীর মেজবৌ| আমেদাবাদে থাকেন
তারা| একটি মাত্র ছেলে অভীক| ছোট থেকেই ওর সাথে পূজোর কয়দিন বেশ আনন্দ করে
খেলতাম| কানামাছি,লুকোচুরি | আনেক বন্ধুদের মধ্যে ও ছিল আমার খুব পছন্দের| কিছু
বলার আগেই ও আমার মনের কথা সব বুঝতে পারতো| আমার ওপর অভীকের একটা অধিকার ছিল যা
না বললেও আমি বুঝতে পারতাম|এই অধিকার দেখানোর মানুষ খুব বেশি ছিলনা আমার জীবনে
তাই হয়তো আমিও তা উপভোগ করতাম| কমলা কাকীমাও আমাকে খুব পছন্দ করতেন ঠিক যেন
মায়ের মতন| মাকে পাইনি তাই একটা দিন তার থেকেই যতোটা আদায় করে নেওয়া যায়| তা
দেখে অভীকের খুব হিংসা হতো| 


Romantic Love Story Bangla

           বছরের পর বছর এমন ভাবেই কেটে গেছে |
এ হারাবার নয় এমনটাই বিশ্বাস ছিল মনের মধ্যে| সারা বছর অপেক্ষা করে থাকতাম
এইকটা দিনের জন্য| একমাস আগে থেকে দিনগোনা| সেবারের পূজোটা সব কিছু বদলে দিলো|
আমি তখন বেশ বড়ো| কলেজে উঠেছি| অভীক কলেজ পাশ করে বাবার সাথে ব্যবসা
সামলাচ্ছে| সেবার অভীককে বেশ অন্যরকম মনে হলো| সপ্তমীর সকালে অঞ্জলি দিচ্ছি
,আমার পাশে দীপা | একটু পেছনে অভীক দাড়িয়ে| আমার হাতে একটা ভাজ করা কাগজ গুজে
দিয়ে কোথায় যেন চলে গেল| অঞ্জলি শেষ হলে কাগজ খুলে দেখি তাতে লেখা কাল বিকেলে
ঠিক পাঁচটায় পুরনো বটগাছের কাছে আসবি ,কথা আছে|আমি একটু অবাকই হয়ে ছিলাম ,ওকে
আমি সেই ছোট থেকে চিনি এমন কান্ডো তো আগে কখন হয়নি| 
          পরের দিন দীপাকে নিয়েই গেলাম পুরনো বটগাছের
কাছে| আমাকে দেখে একগাল হেসে বললো….একা আসতে ভয় করছিলো বুঝি…


আমি বললাম ..তা কেন, বলো কি বলবে?
অভীক~ মনটাকে নিয়ে বড্ড সমস্যায় পরেছি| কিছুতেই কথা শোনে না| বারবার চোখ তোকেই
খোঁজে| তোর কথাই শুধু মাথায় ঘোরে| গেলবার পূজোর পরে ,বাড়ি ফিরে তোর জন্য খুব
মন কেমন করছিল| সারা বছর অপেক্ষা করে থাকি কবে পূজো আসবে,গ্রামের বাড়ীতে আসবো
,তোকে একবার দেখতে পাবো, জানিস আগে এমনটা হতো না| কিন্তু আগের বছর থেকে এমনটা
হচ্ছে ,তোকে হারিয়ে ফেলার একটা ভয় …..কিরে আমিই বলে যাবো?তোর কি কিছু বলার
নেই?তোরও কি এমনটাই মনে হয়| 
           মনে মনে হয় বললেও কিছু বলিনি সে দিন|
বাড়ি ফিরে রাতে ঘুমাতে পারছিলাম না| অভীকের কথাগুলো বারবার মনে পরছিলো| আর
মাত্র দুটো দিন |তার পরেই পূজো শেষ| এই দুই দিনে অনেক বার দেখা হয়েছে অভীকের
সাথে| ওর চোখে একটা প্রশ্ন আমি দেখতে পাচ্ছিলাম | কিন্তু আমি অভীকের বাবাকে
চিনি তিনি কিছুতেই এ সম্পর্ক মেনে নেবেন না| তিনি গরিব মাষ্টার মশাইকে দয়া করতে
পারেন কিন্তু তার একমাত্র ছেলের সাথে আমীর বিয়ে দেবেন না| আমি বাবাকে অপমানিত
হতে দেখতে পারবো না| তাই অভীকের প্রশ্নের কোন উত্তর আমার জানা ছিলোনা| মনে
এসেছিল অনেক কথা শহরের ছেলে…..গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে গেলে সব ভুলে যাবে| 

        মায়ের বিসর্জনের দিন আমরা সবাই ঘাটে| অভীক একদলা
কাঁদা হাতে নিয়ে এসে হঠাৎ মুখে লাগিয়ে দিয়ে বললো বলবিনা তাইতো | আমি কিন্তু আর
সামনের বছর থেকে আসবো না| কাল আমার ফেরার দিন | 

    আমি মুখটা মুছে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম ….কানে ভেসে এলো অভীকের
গলা…..সামনের বছর কিন্তু তোকে কাঁদতে হবে আমার জন্য …..আমি কিন্তু আসবো না|
একটা অসস্তি হচ্ছে ,মনটা খুব খারাপও হয়ে আছে| পূজো শেষ ,আবার এক বছরের অপেক্ষা
…..মনে মনে ভাবলাম অভীককে গিয়ে বলেদি আমিও তোমার মতো দিনগুনি |মন কেমন করে
একবার দেখার জন্য| কিন্তু…….
             হঠাৎ বাবা এসে খবর দিলো
ওবাড়ির মেজছেলের ছেলের খুব জ্বর এসেছে| আমি শোনা মাত্র চৌধুরী বাড়ি গেলাম
কমলা কাকীমা আমাকে দেখে বললেন…..দেখ ছেলের কান্ড,জ্বর বাধিয়ে বসেছে ,কাল যেতে
হবে| আমি অভীকের পাশে গিয়ে বসলাম মাথায় হাত দিতেই বললো….তুই কেন এসেছিস?কি
দেখতে, বেঁচে আছি কি না|
আমি ছলছল চোখে বললাম …এ আবার কেমন কথা| তোমার জ্বর শোনার পর আর নিজেকে আটকে
রাখতে পারিনি ছুটে এসেছি|

Bangla Sad Love Story

……..কিন্তু এলি কেন?
…….কারন আমি তোমায় ভালোবাসি| আমি তোমার ভালো চাই| আর সব কথা সবসময় বলা যায়
না| বুঝে নিতে হয়|
       এই বলে আমি উঠে আসবো ,অভীক বললো…..তুই পড়া শেষ
করেনে | তারপর আমি বাবার সাথে কথা বলবো| আমি চলে এলাম … সকালে অভীক যাবার আগে
প্রতিবছরের মতো দেখা করতে এসেছিল…..অপেক্ষা করিস আমার জন্য| 
      তখন ফোনের চল ছিলোনা চিঠী লেখার প্রচলন ছিলো|প্রিয়
মানুষের চিঠী এলে তা যত্ন করে রেখে দেওয়া হতো,বারবার করে পরা হতো| তাতে একটা
আলাদা ভালোলাগা ছিলো| অভীকরা চলে গেল| মনটা ভীষন খারাপ প্রতি বছরের মতো|
অপেক্ষা ,দিনগোনা শুরু| 
              পরের বছর দেখা হওয়ার ইচ্ছাটা
বেশ প্রবল| না জানি এ বছর দেখা হলে দি বলবে সে| পরের বছর পূজো এলো| সবাই এলো
ধিরে ধিরে কিন্তু অভীকরা এলো না আমেদাবাদ থেকে| চৌধুরী বাড়ির কেয়ারটেকার রতন
কাকুকে ইতিমধ্যে অনেকবার জিজ্ঞাসা করেছি কিন্তু কোন খবর সে দিতে পারেনি| দূরে
ট্রেনের আওয়াজ শুনে অনেকবার ষ্টেশনে ছুটে গেছি | কিন্তু অপেক্ষা অপেক্ষা হয়েই
থেকে গেছে| নবমী পূজোর দিন রতনকাকু জানালো ওবাড়িতে কথা হচ্ছে সামনের বৈশাখে
অভীক দাদাবাবুর বিয়ে| মেয়ে দাদাবাবুর পছন্দের | তাই এবছর তারা আসেননি| সামনের
বার নতুন বৌ নিয়ে আসবে|
            কথাগুলো বলে রতন কাকু চলে গেলো|
কিন্তু আমি সেখানেই দাড়িয়ে রইলাম| নিজের কানকে আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না|
মনের ভেতরটা দুমরে মুচরে শেষ হয়ে যাচ্ছিল| মনকে শক্ত করলাম | বোঝালামও অনেক,
বড়োলোক বাড়ির ছেলের পাশে আমাকে মানাায় না| তাকে দয়া করা যায় ভালোবাসা যায় না|
পূজো শেষে পড়াশোনায় মন দিলাম| নিজের পায়ে দাড়ানোর একটা জেদ চেপে বসলো আমার
মাথায়| এমন সময় বাবার শরীর খুব খারাপ হয়ে গেল| গ্রামে ভালো ডাক্তার নেই শহরে
নিয়ে গেলাম বাবাকে| ডাক্তার সব পরীক্ষা করে জানালেন বাবার ক্যান্সার| খুব বেশি
ছয় মাস| আমি ঠিক করে নিলাম গ্রামের জমি,বাড়ী বিক্রি করে শহরে চলে আসবো| 
        কিছুদিনের মধ্যেই জমি,বাড়ি বিক্রি করে একটি শহরে
চলে এলাম| এখানে একটি ছোট মাথার ছাদ কিনে বাপ মেয়েতে থাকতে শুরু করি| বাবার
চিকিৎসা চলতে থাকে|কিন্তু বাবাকে আর বেশি দিন ধরে রাখতে পারলাম না| সেও আমাকে
ছেড়ে চলে গেল| বড়ো একা হয়ে পরলাম| পড়া শেষ করে একটি স্কুলের চাকরি জোগাড়
করেছি| গ্রাম ছেড়ে আসার আগে রতন কাকুর থেকে জানতে পেরেছিলাম অভীকের বিয়ে হয়ে
গেছে,ওরা ভালো আছে| পূজোতে হয়তো জোড়ায় আসবে| আমার সাথে দেখা হবার কনো
সম্ভাবনাই নেই | শহরের এ ঠিকানর কথা কেউ জানে না| কারো জানার প্রয়োজন ও নেই|সাত
বছর এক প্রকার লুকিয়েই আছি বলা যায়| নিজের কাছেই নিজে লুকিয়ে আছি| 
           এক সময় পূজোর দিনগুলো আনন্দের
হলেও  এখন খুব কষ্টের| এই দিনগুলো ঘর অন্ধকার করে কানে তুলো দিয়ে বসে
থাকি| কতো চেষ্টা করি তবু স্মৃতিগলো চারিদিকে ভেসে বেড়ায়| কিন্তু আজকের এই
চিঠিটা বড্ড ভাবাচ্ছে|লেখা আছে….

হার্ট টাচিং লাভ স্টোরি

   অনেকগুলো দিন কেটে গেছে মাঝখানে| আমি জানি তুমি আজও আমার অপেক্ষায়
আছো| এতো অভিমান আমার ওপর| আমি এখন সোনাপুরে আছি| অনেক কথা বলার আছে| আমি রোজ
তোমার জন্য অপেক্ষা করবো পুরনো বটগাছের তলায় ,দেখবো কতো দিন তুমি না এসে থাকতে
পারো|      
                     
   
                     
  ইতি
            তোমার অভীক
              অভীকের বিয়ে হয়ে গেছে
তারপরেও এমন চিঠি | তবে কি চরিত্র খারাপ হয়ে গেছে? বৌ থাকতেও তোমার অভীক লিখছে|
না কি অন্যকেউ মজা করছে| 
     না গেলে জানাও যাবে না সত্যিটা কি| তাই যেতে যখন হবে আর
দেরি করে কি হবে| কাল সকালেই রওনা দেব সোনাপুর|
সকালে এসে পৌছালাম| সব চেনা মানুষেরা এগিয়ে এলো কথা বলতে| কিছুটা এগোতেই বাবার
স্কুল, তার পরেই আমাদের সেই বাড়ি| বাড়িতে মনে হয় কোন অনুষ্ঠান আছে আজ| পুরো
বাড়ি সুন্দর করে সাজানো| পাশদিয়ে চলে গেলাম|দীপাদের বাড়িতে থাকবো আজ| এমনটাই
ঠিক করে রেখেছি|কাকিমা আমাকে খুব ভালোবাসে| সেখানে গিয়ে কাকিমার সাথে অনেক গল্প
করলাম ,দীপা শ্বশুর বাড়িতে|বিকেল হতে বটগাছটার নিচে গেলাম| একা কিছুক্ষন
দাড়িয়ে আছি| কেউ কোথাও নেই| মনে হলো তবে কি কেউ আমার সাথে ইয়ারকি করলো?কি বোকা
না আমি| এ সব ভেবে ফিরবো বলে পা বাড়িয়েছি হঠাৎ…..
~একই রকম আছিস তুই| দূর থেকে দেকছিলাম| কাছে এলে তো ভালো করে দেখতেও দিবি না|
~কেন আসতে বলেছো| কি বলার আছে তোমার| নিজের বৌ থাকতে এ সব কথা বলছো আমাকে লজ্জা
করে না| নিজেকে আর কতো নিচে নামাবে|
~ বৌয়ের সাথে দেখা করবো তাতে লজ্জা কি|
~এ সব কথা ছারো কি জন্য আসতে বলেছো বলো|
~আর কতো দিন অপেক্ষা করবি| অনেক হলো| এবার তোকে বিয়ে করে ঘরে নিয়ে যাব|
~ তুমি কি বলছো এসব|তুমি কি ভাবছো আমি কিছু জানি না|রতন কাকু আমাকে সব বলেছে|
সাত বছর আগে তোমার বিয়ে হয়ে গেছে|
~ না, হয়নি| বাবাকে আমি তোর নিয়ে সব জানাই |তার ইচ্ছা ছিলো না এ বিয়েতে| তোর
থেকে আমাকে দূরে করার জন্য রতন কাকুকে দিয়ে এ কথা গুলো তোকে বলিয়েছে| তুই যাতে
আমাকে ভুল বুঝে ছেড়ে দিস| বিশ্বাস না হলে রতন কাকুকে জিজ্ঞাসা কর | আমি নিয়ে
এসেছি| ঐ যে দাড়িয়ে আছে| চাকরি চলে যাবার ভয়ে মিথ্যা বলতে বাধ্য হয়েছে|
    এতোগুলো বছর ধরে তোকে পাগলের মতো খুঁজেছি| প্রতিটা পূজো অপেক্ষা
করে থেকেছি সোনাপুরে হয়তো আসবি| কিন্তু…..
~তাহলে সে বার পূজোতে আসনি কেন| তুমি জানতে না আমি অপেক্ষা করবো|
~ সেবার পূজোতে মায়ের ভীষন জ্বর| তাই আমাদের আসা হয়নি|


ভালোবাসার লাভ স্টোরি     

         চল চৌধুরী বাড়িতে তোর জন্য মা অপেক্ষা
করছে| চৌধুরী বাড়ি গেলাম | কাকীমা বলে ডাকতেই …আমাকে বললো….না এখন থেকে মা
বলতে হবে যে|নিজের চোখের জল ধরে রাখতে পারলাম না| এতো ভালো দিনও যে আমার ভাগ্যে
লেখা ছিল বিশ্বাসই হচ্ছিল না|অভীকের বাবার এ বিয়েতে আর কোন আপত্তি নেই| ছেলের
খারাপ সময়টা তিনি দেখেছেন| তাই তিনিও মত দিলেন|
     সামনেই পূজো |পূজোর পরেই বিয়ে| এবার পূজোয় চৌধুরী বাড়ির
ভাবী বৌ |প্রচুর দায়িত্ব| সব সামলে অভীকের সাথে মাঝে মাঝে ছোটবেলার দিনে ফিরে
যাওয়া| পূজোর পরে অঘ্রায়ন মাসে বিয়ের দিন ঠিক হয়েছে|
      অভীকের বাড়ি থেকে বিয়ের সব ব্যবস্হা করেছে| বিয়ে হচ্ছে
আমার সেই পুরনো বাড়ীতে ,যেটা সে দিন সাজানো দেখেছিলাম| অভীক জানায় এ বাড়ী সে
পরে কিনে নিয়েছিল| আমার জন্য মন খারাপ হলে এ বাড়িতে এসে থাকতো| অপেক্ষার শেষে
অভীকের বুকে মাথা রেখে, সকল কষ্ট, চোখের জল হয়ে ভিজে উঠছিল দুইজনের হৃদয়|
     সমাপ্ত

Share This Article