Raksha Bandhan Bengali Kobita
রাখির মিলন মেলায়
– মানিক চন্দ্র গুঁই
রাখি বন্ধনের এই মিলন মেলায়
এসো মোরা হাত ধরি,
হিংসা, বিদ্বেষ, হানাহানি ভুলে গিয়ে
প্রীতির সমাজ গড়ি।
রাখি পূর্ণিমার এই পুণ্য লগ্নে
এসো মানববন্ধন গড়ে তুলি,
সৌহার্দ্য সম্প্রীতির ভারত গড়তে
সো ভেদাভেদ সব ভুলি।
বহিঃশত্রুরা হানছে আঘাত
দেশটাকে করতে চায় চুরি,
দেব না তাদের এক বিন্দুও মাটি
দেব না তাদের ছাড়ি।
মোদের মনুষ্যত্ব, মানবিকতা জাগ্রত হোক
অন্তরের কালিমা সব যাক হয়ে ধুয়ে যাক;
এসো ঝলমলে নতুন ভারত গড়ি।
আরো পড়ুন,
Rakhi Bandhan Bengali Poem
“” রাখি বন্ধন “”
রাখি বন্ধনের হৃদ্যতায়——
প্রতিশ্রুতিহীন প্রতিশ্রুতিতে,
পরস্পরে থাকে ভালবাসায়।
প্রাণের পরশে মায়া-মমতার ডোরে,
চেনে পরস্পরে।
মানবিক আবেদনে মানবপ্রীতি,
হৃদস্পন্দনে সৌভ্রাতৃত্ব বাঁধি,
প্রীতি ডোরে হিংসা দ্বেষ ভুলি,
বিভেদের মূল ছিন্ন করি,
হৃদ্যতার রাখি, হৃদয়ে রাখি।
ইতিহাস সাক্ষী– রাখি বন্ধন,
নিষ্পেষিত দানব দলন,
ভারতমাতা ও পাঞ্চালীর লজ্জা নিবারণ,
ভাই-বোনের আত্মিক টান,
জাতি ও জাতের রক্ষিত সম্মান,
রাখির সুতোয় বাঁধা ঐক্যতার বন্ধন।
সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে মহামিলনের গান,
পরম আত্মীয়তায় মিলি বিকাশ সাধন,
বঙ্গভঙ্গ রদে প্রতিবাদী উচ্চারণ,
দেশের হিতসাধন, স্বদেশী আন্দোলন,
মুক্তির দাবিতে পারস্পরিক সম্প্রীতির বন্ধন,
বিশ্ববরেণ্য রবীন্দ্রনাথের হাতে শোভা রাখি বন্ধন।
কালের হাতে নিয়মের বেড়াজালে আবদ্ধ রাখি বন্ধন,
লৌকিকতার ভীড়ে ঠাসাঠাসি, বিপুল আয়োজন।
সত্যি কি এসেছে পারস্পরিক সহযোগিতার আশ্বাস ?
নাকি নিয়ম মেনে নিয়মিত উপহার দেবার উচ্ছ্বাস ?
অঙ্গীকারবদ্ধ হোক প্রেম প্রীতির স্বাক্ষর –রাখি বন্ধন,
সাম্যবাদের চেতনায় উজ্জীবিত হোক মানবিকতা বন্ধন।
রাখি বন্ধন কবিতা
1. পাগলী বলে ডাকি আমি
আমার ছোট বোন,
মুচকি হেসে আমার দিকে
তাকায় সে তখন ।
খানিক পরে একটু হেসে
বলি আমি তাকে,
একটু খানি জল খাওয়াতে
পারিস নাকি আমাকে।
2. রাখীর বন্ধন নয় তো, শুধু সাত রঙের সুতোর সমাহার,
রাখীর বন্ধন, ভাই বোনের সম্পর্কের অটুট বাঁধনের অঙ্গীকার।
3. রাখীর বন্ধন নয় তো,নতুন ফ্যাশনের ভাষা,
রাখীর বন্ধন হলো, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নতুন আশা।
4. রাখীর বন্ধন নয় শুধু, উপহারের বিনিময়,
রাখীর বন্ধন কাছে টানে,সম্পর্কের দূরত্বের হৃদয়।
5. রাখীর বন্ধন হলো ,মিলনের অকৃত্রিম সেতু,
রাখীর বন্ধন হলো,ভাই বোনের সবসময় পাশে থাকবে ,কোনো কারন হেতু।
6. মেঘের ফাঁকে ফাঁকে,সূর্য দেয় উঁকি
ভাইয়ের আগমনে,মনে আসে প্রীতি
রক্ত ও নাড়ির টান ,হৃদয়ের স্পন্দন
যুগ যুগে থেকে যাবে,ভাইয়ের বন্ধন
ছোটবেলার দুস্টুমি আর ফেলে আশা স্মৃতি
কপালে দেব চুয়া-চন্দন,ফুল রাশি রাশি
ভাইয়ের স্নেহ ,বোনের ভালোবাসা
রাখীর বন্ধন হলো, চাওয়া পাওয়ার আবদার,
রাখীর বাঁধন হলো,দিদি ভাইয়ের ভালোবাসার।
রাখী বন্ধন নিয়ে কবিতা
রাখি বন্ধন
7. রাখীর বন্ধন আনে, পরিবারে খুশির হাওয়া,
রাখীর বন্ধন হলো, দিদির হাতের তৈরি সুস্বাদু খাবার খাওয়া।
8. রাখীর বন্ধন হলো, অনেক দুস্টুমির পর,
কুছ মিঠা হো যায়,
রাখীর বন্ধন হলো, আমার মতো তোকে কে ভালোবাসবে ভাই?
9. ”চিরদিন টানবে পিছে, চিরদিন রাখবে নীচে-
এত বল নাই রে তোমার, সবে না সেই টান।
আমাদের শক্তি মেরে তোরাও বাঁচবি নে রে,
বোঝা তোর ভারী হলেই ডুববে তরীখান।”
Rakhi Bandhan Kobita
শুভ রাখি বন্ধন
শ্রাবণী পূর্ণিমাতে রাখির উৎসব শুরু হয়,
ভাই বোনদের স্নেহ ভালবাসা অক্ষয় রয়।
এই উৎসব আনে বয়ে অটুট প্রীতি ও ভালোবাসা,
রক্ষা করো ভাইদের প্রভু, এইটুকু বোনেদের আশা।
আঘাত পেয়ে শ্রীকৃষ্ণের রক্ত ঝরে হাতে,
দ্রোপদী তাঁর আঁচল ছিঁড়ে বাঁধেন সাথে সাথে।
অভিভূত স্বয়ং কৃষ্ণ মানেন তাঁকে বোন,
রক্ষা করিবো দুঃসময়ে হে পাঞ্চালি দিলাম বচন।
সেই থেকেই রাখি বন্ধনের হলো প্রচলন,
রাখি পরায় ভাইয়েদের হাতে আজকে যতো বোন।
রেশমী সুতোয় বন্ধন হয় নির্মল দুটি মন,
ইতিহাস হয়ে গেছে কবি গুরুর রক্ষা বন্ধন।
বোনেদের সাজাই ভায়েরা নানাবিধ উপহারে,
বোনেরা হাতে রাখি বেঁধে আরতি করে সমাদরে।
যুগ যুগ ধরে আসছে চলে এই চিরন্তন প্রথা,
সারাজীবন ভালো থাকুক ভাই বোনদের মনের কথা।
পূর্ণিমার চাঁদ নীলাকাশে জ্যোৎস্নার চাদর বিছায়,
সেইদিনই বোনরা ভাইয়েদের হাতে রাখি পরায়।
রাখি বন্ধন নয়তো শুধুই রেশমী সুতোর সমাহার,
পরস্পরকে রক্ষা করার শপথ হয় সেরা উপহার।
আরো পড়ুন,