পৌষ পার্বন কবিতা | পৌষ সংক্রান্তি | Poush Parbon Kobita
পৌষ পার্বন কবিতা
পৌষ এল, পৌষ এল
খুশি খুশি রব তাই ,
পৌষ-পার্বণের দিনে পিঠে
পেট ভরে খাওয়া চাই ।
মকর-সংক্রান্তির স্নান সেরে
তুষু পূজা করে,
সূর্যোদয়ের আগে রাখি আঙ্গিনা
আল্পনাতে ভরে ।
রাতের তৈরী পিঠা দিয়ে
সূর্যদেবকে পূজা,
তারপর সারাদিন
করবো খুব মজা ।
সেদ্ধ পিঠে, কুলি পিঠে, অন্নদা,
রাঙা-আলুর পিঠে, পাটি-সাপটা, ছাঁচ,
চন্দ্র পুলি, দুধ পুলি, তেলেভাজা –
ভিন্ন স্বাদে রান্নার কাজ ।
গ্রামাঞ্চলে পূজার রীতি
পালিত হয় বেশ ।
শহরেতে শুধু পিঠা খাওয়া
রীতি পালনে নেই ক্লেশ ।
ভেজানো ছাঁচের পিঠে
খাওয়ার আলাদাই মজা,
এই পিঠে হলো যেন
রাজার চেয়েও রাজা ।
যুগ যুগ পৌষ-পার্বণ থাকুক
করি এই কামনা ,
সকলকে করি আমন্ত্রণ
না খেয়ে কেউ যাবেন না ।
পৌষ সংক্রান্তি কবিতা
পৌষ পার্বণের সেদিন গুলো
হারিয়ে গেল কই,
ন্যাড়ার ঘরে রাতটি জেগে
কতইনা হৈচৈ!?
মা পিসি আর কাকী,জেঠী”র
নেইযে চোখে ঘুম,
নানান রকম পিঠে পুলি’র
লেগেছে যে ধুম!
কার বাড়ীতে কেমন পিঠে
কোন পিঠেটা স্বাদ,
হরেক রকম পিঠে খেয়েও
মিঠতো না যে সাধ!
ভোর বেলাতে সিনান করে
কাঁপতো গা থরথর,
শরীরটাকে করতে গরম
পুড়িয়ে ন্যাড়ার ঘর!
নাটাই সুতোয় উড়তো ঘুড়ি
দুর আকাশের গায়ে,
সারা টা দিন কাটতো সময়
পাড়ায় পাড়ায় গাঁয়ে!
পুরোনো সে দিন গুলো সব
এখন শুধুই স্মৃতি,
হারিয়ে গেছে আজ যেনো সব
সৌহার্দ্য সম্প্রীতি!!
মকর সংক্রান্তি কবিতা
নদীর ঘাটে বসেছে আজ,
মকর সংক্রান্তির মেলা,
বসেছে দোকান সারি সারি,
আর সার্কাসের খেলা।
দু আনার কেনা মাটির পুতুল,
তিন আনার বাঁশি,
হরেক মাল পাঁচ সিকে দাম,
সেথায় ভিড় বেশি।
ময়রা ভোলা বসেছে দোকানে,
টাঙায়েছে সামিয়ানা।
রসগোল্লা আর পানতোয়া,
সব পাবে আনা আনা।
আলুর চপ ও তেলেভাজা,
পাবে তার দোকানে,
চায়ের ও পানের দোকান,
বসেছে এক কোণে।
মনিহারীর দোকান কত,
বসেছে সারি সারি,
পুঁতির মালা ও কানের দুল,
দেখতে সুন্দর ভারি।
চুড়ি, মালা, খোপার বল,
কিনতে ইচ্ছে হয়,
দাম শুনে মাথায় হাত,
কিনতে লাগে ভয়।
মেলার মাঝে খোকন সোনা,
কাঁদছে বসে একা।
হারিয়ে গেছে বাবা মা তার,
পায় না কেন দেখা ?
হাসির চেয়ে কান্না দামী,
আজকে মেলার ভিড়ে,
বসেছে মকর-সংক্রান্তির মেলা,