Christmas Poem In Bengali – শুভ বড়দিনের কবিতা
Christmas Poem In Bengali
রাত পোহালেই বড়দিন, সারা পৃথিবী জুড়ে এই দিনকে বিশেষভাবে পালন করা হয় । বছর শেষের
এই December মাসে পালিত হয় Christmas । অবাঙালি এই উৎসবে প্রভু
যীশুর জন্মদিনে বাঙালি একাত্ম হতে কিন্তু একদম ভোলে না ।
Facebook,
Whats app এ চলে বড়দিনের শুভেচ্ছা আদান প্রদান । কেক কাটা থেকে গিফট কোন কিছুই বাদ যায়না
এই উৎসবে ।
এই December মাসে পালিত হয় Christmas । অবাঙালি এই উৎসবে প্রভু
যীশুর জন্মদিনে বাঙালি একাত্ম হতে কিন্তু একদম ভোলে না ।
Facebook,
Whats app এ চলে বড়দিনের শুভেচ্ছা আদান প্রদান । কেক কাটা থেকে গিফট কোন কিছুই বাদ যায়না
এই উৎসবে ।
এই বিশেষ উৎসবে বড়দিন উপলক্ষে রইলো খ্রিস্টমাস নিয়ে আমাদের বিশেষ কবিতার আয়োজন ।
শুভ বড়দিনের কবিতা
প্রভু যীশু ফিরে এসো,
আমাদের ভালবাসো,
প্রভু তোমারই হউক জয়,
প্রভু তোমারই হউক জয়।
ভালবাসার বিনিময়ে,
সবাকার পাপ লয়ে,
ক্রুশেতে বিদ্ধ হয়ে প্রাণ
দিলে ওগো জোতির্ময়,
প্রভু তোমারই হউক জয়,
প্রভু তোমারই হউক জয়।
সবারে বেসেছো ভালো,
তুমি জগতের আলো,
তোমার অপার মহিমা।
মানুষকে ভালবেসে,
মানুষের কাছে এসে,
শিখাইলে করিতে ক্ষমা।
প্রভু যীশু ফিরে এসো,
আমাদের ভালবাসো,
প্রভু তোমারই হউক জয়,
প্রভু তোমারই হউক জয়।
হিংসা দিয়ে নয়,
ভালবাসা দিয়ে তুমি
করেছো জয় সবাকার হৃদয়।
প্রভু তোমারই হউক জয়,
ওগো প্রভু, তোমারই হউক জয়।
তুমি অন্তর্যামী,
মোর জীবনস্বামী,
পরম পিতা তুমি যে মহান।
তব ভালবাসায়,
তব স্নেহছায়ায়,
তব করুণায় পাপী পায় পরিত্রাণ।
হে প্রভু তুমি যে মহান।
মৃতজনে কর জীবন দান।
পাপীরে করহ পরিত্রাণ।
আমাদের ভালবাসো,
প্রভু তোমারই হউক জয়,
প্রভু তোমারই হউক জয়।
ভালবাসার বিনিময়ে,
সবাকার পাপ লয়ে,
ক্রুশেতে বিদ্ধ হয়ে প্রাণ
দিলে ওগো জোতির্ময়,
প্রভু তোমারই হউক জয়,
প্রভু তোমারই হউক জয়।
সবারে বেসেছো ভালো,
তুমি জগতের আলো,
তোমার অপার মহিমা।
মানুষকে ভালবেসে,
মানুষের কাছে এসে,
শিখাইলে করিতে ক্ষমা।
প্রভু যীশু ফিরে এসো,
আমাদের ভালবাসো,
প্রভু তোমারই হউক জয়,
প্রভু তোমারই হউক জয়।
হিংসা দিয়ে নয়,
ভালবাসা দিয়ে তুমি
করেছো জয় সবাকার হৃদয়।
প্রভু তোমারই হউক জয়,
ওগো প্রভু, তোমারই হউক জয়।
তুমি অন্তর্যামী,
মোর জীবনস্বামী,
পরম পিতা তুমি যে মহান।
তব ভালবাসায়,
তব স্নেহছায়ায়,
তব করুণায় পাপী পায় পরিত্রাণ।
হে প্রভু তুমি যে মহান।
মৃতজনে কর জীবন দান।
পাপীরে করহ পরিত্রাণ।
যীশুর কবিতা
হে ঈশ্বর! পিতা পরমেশ্বর প্রভু যীশু
আমি হিন্দু, সিন্ধুর মতো হৃদয় মোর বড়ো,
জ্ঞানত আমি কভু কোন ধর্মে না করি ম্লান
আবার নিজ সনাতন ধর্মে না করিয়া জড়।
প্রভু! তুমি মোর শতকোটি দেবতার মাঝ
কখনো না দেখি তোমায় আলাদা করে,
আমি জানি যিনি যীশু, তিঁনি কৃষ্ণ, আল্লাহ্
মর্তে আবির্ভাব তিঁনি ভিন্ন ভিন্ন রূপ ধরে।
তুমি যে সবার প্রাণের আত্মা হৃদয় দাতা
সে মানি,তাতে আমি অবিশ্বাসী নই কভু,
আমি মন্দিরে দেবতা পূজি,তোমায় গীর্জায়
খুঁজি, না করি অপমান, ক্ষমা করো প্রভু।
আমি নির্জনে কৃষ্ণ ভজেছি, তোমায় করেছি
স্মরণ, মুক্তি পেতে সদা এক ধ্যানে এক মনে,
কর্তব্য বিমূঢ় নই,মোর দোষ নিওনা তুমি প্রভু
তোমার প্রেমে আমি কখন মজিনু অজ্ঞানে।
তুমি যা কিছু ভালো সব কিছু দিয়াছ মোরে
যা কিছু মন্দ সবকিছু তুমি তায় নিয়েছ হরণ করে,
মোর হিতাকাঙ্ক্ষায় আমি চাইনি তো হাত পেতে
না ডাকতেই এসেছ তুমি হিতের লাগি মোর সংসারে।
যা কিছু দিয়াছ তুমি আর যা কিছু নিয়েছি আমি
সব কিছুর লাগি প্রভু! নত করি শির জানাই ধন্যবাদ।
প্রভু আজ তোমার জন্মদিন প্রণাম লহো মোর
শুভ প্রাতে সবার হৃদয়ে বিরাজিত হয়ে ঝরাও সুপ্রভাত।
——— রঞ্জন গিরি।
বড়দিনের শুভেচ্ছাবার্তা মেসেজ
কলকাতার যীশু
– নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
লালবাতির নিষেধ ছিল না,
তবুও ঝড়ের বেগে ধাবমান কলকাতা শহর
অতর্কিতে থেমে গেল;
ভয়ঙ্করভাবে টাল সামলে নিয়ে দাঁড়িয়ে রইল
ট্যাক্সি ও প্রাইভেট, টেমপো, বাঘমার্কা ডবল-ডেকার।
‘গেল গেল’ আর্তনাদে রাস্তার দুদিক থেকে যারা
ছুটে এসেছিল—
ঝাঁকামুটে, ফিরিওয়ালা, দোকানি ও খরিদ্দার—
এখন তারাও যেন স্থির চিত্রটির মতো শিল্পীর ইজেলে
লগ্ন হয়ে আছে।
স্তব্ধ হয়ে সবাই দেখছে,
টালমাটাল পায়ে
রাস্তার এক-পার থেকে অন্য পারে হেঁটে চলে যায়
সম্পূর্ণ উলঙ্গ এক শিশু।
খানিক আগেই বৃষ্টি হয়ে গেছে চৌরঙ্গিপাড়ায়।
এখন রোদ্দুর ফের অতিদীর্ঘ বল্লমের মতো
মেঘের হৃৎপিণ্ড ফুঁড়ে
নেমে আসছে;
মায়াবী আলোয় ভাসছে কলকাতা শহর।
স্টেটবাসের জানালায় মুখ রেখে
একবার আকাশ দেখি, একবার তোমাকে।
ভিখারি-মায়ের শিশু,
কলকাতার যিশু,
সমস্ত ট্রাফিক তুমি মন্ত্রবলে থামিয়ে দিয়েছ।
জনতার আর্তনাদ, অসহিষ্ণু ড্রাইভারের দাঁতের ঘষটানি,
কিছুতে ভ্রুক্ষেপ নেই;
দু’দিকে উদ্যত মৃত্যু, তুমি তার মাঝখান দিয়ে
টলতে টলতে হেঁটে যাও।
যেন মূর্ত মানবতা, সদ্য হাঁটতে শেখার আনন্দে
সমগ্র বিশ্বকে তুমি পেয়ে চাও
হাতের মুঠোয়। যেন তাই
টাল্মাটাল পায়ে তুমি
পৃথিবীর এক-কিনার থেকে অন্য-কিনারে চলেছ।