গৃহবধূর পরকীয়া কাহিনী – পর্ব ২ – Bengali Choto Golpo

Bongconnection Original Published
3 Min Read


 গৃহবধূর পরকীয়া কাহিনী – পর্ব ২ – Bengali Choto Golpo

গৃহবধূর পরকীয়া কাহিনী - পর্ব ২ - Bengali Choto Golpo
Loading...

গৃহবধূর পরকীয়া কাহিনী

Loading...
গোপন পরকীয়া
“অহনের বউ পালিয়ে গেছে শুনেছিস” -এই কথাটা আশেপাশে চর্তুদিকে ঝড়ের মত যেন ছড়িয়ে
পড়তে লাগলো।যারা সুবিনয়কে মুখের চেনায় চেনে তারা আড়ালে গুজুর ফুসুর করতে লাগলো-


-‘ওই বউটা?ও,ওই ছেলেটার বউ?আরে বউটাকেতো দেখলে মনেই হবেনা ওর মেয়েও ছিলো।যা
ফিগার ছিলো এখনও.. এক সন্তানের মা দেখলে কী হবে,যে পাবে সে-ই তুলে নেবে।’
পাড়া প্রতিবেশী মেয়ে বউগুলোর মুখে আবার কিছু আটকায় না।তাদের এক একজনতো বলেই
বসলো-
-‘ওই মাগিটার পেটে পেটে এই ছিলো!!শেষে কি না স্বামী,মেয়ে,সংসার ফেলে রেখে
পালিয়ে যাবে কেউ ভাবতে পেরেছে গা?’



গৃহবধূর পরকীয়া গল্প 

ঘটনা ঘটেছে যখন রটনা তো রটবেই।কিন্তু,কেউ যে একবার অহনের খোঁজ করবে,সেটা নেওয়ার
মত কেউ ছিলোনা।কাছের বন্ধু বলতে যে দুজন তারাও সব বাইরে থাকে।ফোনে জানতে পেরে
খোঁজ খবর নিয়েছে।অহনকে তারা সান্ত্বনা দেওয়ার সাথে সাথে মনের জোর আনবার কথাও
বলেছে।কিন্তু,যার যায় যায়তো তারই।একমাত্র সে-ই জানে তার কী চলছে।


অহনের শ্বশুরবাড়িতে আছে বলতে শ্বশুর শাশুড়ি আর একমাত্র শালা।তাদের মাথা লজ্জায়
হেঁট করে ভিয়েছে তাদের মেয়ে।কোন মুখেতে আর অহনকে ফোন করতে পারে তারা!



পরকীয়া কাহিনী

ওদিকে কুহেলীর জীবনে তখন তো নতুন বসন্তেরই ছোঁয়া।সে অতীতের সব কিছুটা কে ফুঁ
দিয়ে দূরে ছুঁড়ে ফেলে নীলাঞ্জনের সাথে সংসার পাতলো।এটা যাকে বলে ঠিক সংসার
নয়।একরকমের বিনিময়।কুহেলী রূপ দিয়ে ভুলিয়েছিলো নীলাঞ্জনকে,আর বিনিময়ে কুহেলী
ভোগ করতে পেয়েছিলো অর্থসুখ।
বছর ঘুরতে না ঘুরতেই কুহেলী সন্তান সম্ভবা হয়ে উঠলো।এমনই একদিন তার প্রথম
সন্তান পরীর কথা হঠাৎ তার মনে পড়লো।পরীর জন্মের আগের সময়গুলোর স্মৃতি তার চোখে
ভেসে উঠলো।কিন্তু তাতে আর কী?সে যে কাজটা ঘটিয়ে এসেছে যে তার সেই মুখটা নেই তার
প্রথম সন্তানের কাছে একবার যাওয়ার।কিন্তু,নীলাঞ্জন এত শিগ্রি সন্তান নিতে
প্রস্তুত ছিলোনা।কী করে যে এমনটা এত দ্রুত ঘটে গেলো,সে বুঝতে পারেনি।

দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর কুহেলী র আগের রূপে অনেকটাই ভাটা পড়তে শুরু
করলো।এমনটাই হওয়া স্বাভাবিক।সাধারন বাড়ির ব’য়েদের দ্বিতীয় সন্তান নেওয়ার পর পর
আগের তুলনার শারীরিক উৎকর্ষতা খানিকটা হলেও কমে যায়।কুহেলীর শ্রী রুপের
পরিবর্তনটা ধীরে ধীরে নীলাঞ্জনের ভেতরটায় নানান প্রশ্নের জন্ম দিলো।সে মালদার
ছেলে,আগেও এমন বহু মেয়ের সাথে খেলা করেছে শুধুই অর্থবলে।কিন্তু,শেষমেষ বিয়ে
করেছিলো রূপবতী কুহেলীকে।কিন্তু,সেই রূপের মাধুর্যই যখন পশ্চিমগামী হতে শুরু
করেছে তখন তার আর কুহেলীর প্রতি সেই আকর্ষনটা রইলো
না পূর্বের মতন।তাই তার ধীরে ধীরে কুহেলীর প্রতিও মোহটা কমে যেতে
লাগলো।পরিবর্তে
বিজলি নামের একজন মেয়ের প্রতি তার লোলুপ চোখদুটো ফের আকর্ষিত হলো।তবে সবটা সে
কুহেলীকে আড়ালে রেখেই আবার যাকে বলে খেলা আরম্ভ করেছিলো।


টাকাই জগতের আসল মোহ-না না,এসত্যি সম্পূর্ণ ভাবে অস্বীকার করার জায়গা
নেই।চুম্বকের ক্ষমতা তুখর হলে,সে যে কোনো লোহাকেই টানতে জানে।তাই দোষ কেবলই
চুম্বকের নয়,লোহাও সমান দোষী যে চুম্বক দেখলেই দুর্বল হয়ে যায়।
কুহেলী নীলাঞ্জনের পরকীয়ার ব্যাপারটা বিন্দুমাত্র টের পেলোনা।সে আচ্ছন্ন ছিলো
নীলাঞ্জনের ঐশ্বর্য ভোগে।নীলাঞ্জন ওদিকে সেই ঐশ্বর্যের বলেই এক দিকে কুহেলীকে
ভুলিয়ে রেখে অন্যদিকে ভ্রম সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিলো বিজলির মনে।

Share This Article