গৃহবধূর পরকীয়া কাহিনী – পর্ব ৩ – Bangla Choto Golpo
গৃহবধূর পরকীয়া কাহিনী
নীলাঞ্জনকে নেশাগ্রস্ত করে রাখতে বারবার তারই দিকে ইশারা করতো।আর বিজলির সেই
মায়াময় ইশারায় প্রলুদ্ধ মৌমাছির মতই নীলাঞ্জন নতুন একখানি মৌচাক গড়বে বলে
মনস্থির করে ফেললো।
উঠেছিলো।কিন্তু,কুহেলী ভেবেছিলো-ধনীদের নিয়ে যে কেউই কারোর সাথে গসিপ বানাতে
পছন্দ করে।ওটাও জাস্ট গসিপ ছাড়া আর কিছু নয়।তবে,কোনো এক পার্টিতে ওদের দুজনের
ঘনিষ্ট এক দৃশ্য যেদিন ওর হোয়াটসঅ্যাপে
অচেনা এক নাম্বার থেকে ফরওয়ার্ড হয়ে এলো,ঠিক সেদিন থেকে কুহেলীর মনে ধরে গেলো
একটা কথাই চিন্তা করে-যদি নীলাঞ্জন তাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে সে
এসেছিলো নীলাঞ্জনের কাছে।তার প্রতি কোনো টান বা গভীর ভালোবাসা এই সব তো
ছিলোনা।শুধুমাত্র
কী আর অহনকে ছেড়ে, পরীকে ছেড়ে সহজেই চলে আসে!
গৃহবধূর পরকীয়া গল্প
নিশ্চই?কুহেলী সেটাই লক্ষ্য করে যে,নীলাঞ্জন আর আগের মত আছে কিনা?তাকে সে আগের
মতই ভালোবাসছে কি না?কিন্তু,নীলাঞ্জনের
ক্রমেই নীলাঞ্জনের নামে যে হাওয়াটা চর্তুদিকে ছড়িয়েছিলো সেই হাওয়া মিথ্যে
নয়।তাই কুহেলী একদিন নীলাঞ্জনের কাছেতে সরাসরি জানতে চাইলো-
কুহেলীর মুখের ওপর বলে দিলো-
করবো দুজনে।’
করেছো।’
নীলাঞ্জন,কুহেলীর কথায় চমকে না গিয়ে বরং তার দিকে তাকিয়ে একবার হেসেই
ফেললো।তারপর সে হাসতে হাসতেই বললো-
দেখিওনা তো।আমি যদি সত্যিটা খুলে দিই যে তুমি এক সন্তানের
বাঁচবে কীকরে যদি নীলাঞ্জন তার নামে ঘুরে পুলিশকে জানিয়ে দেয় তার ব্যাপারে।তাই
সে অবস্থা বেগতিক বুঝে গলার স্বর বদলে ফেলে নরম সুরে নীলাঞ্জনকে বললো-
পরকীয়া কাহিনী
আমাদের এই মেয়েটার কথাটা একবার ভাবো।এতো তোমারই মেয়ে।’
গলানো যাবে না।তাছাড়া,ও মেয়ের প্রতিও তার টানটুন নেই।সেও কী আর চেয়েছিলো কুহেলী
এত জলদি বাচ্চাকাচ্চার মা হয়ে যাক।অতএব,সে কুহেলীর ছলনায় পা গলালো না।সে
কুহেলীকে জানিয়ে দিলো-
-‘আমি তোমাকে ডিভোর্স করতে চাই।আর যতই বুদ্ধি ধরো যে আমার সম্পত্তিতে হাত
মারবে।ওটা চলবেনা জানেমান।সো,তুমি যাবার প্রস্তুতি নিতে আরম্ভ করে দাও আমি
ওদিকে ডিভোর্সের পেপার রেডি করছি লইয়ারকে দিয়ে।’