গৃহবধূর পরকীয়া কাহিনী – পর্ব ৪ – Bangla Choto Golpo
গৃহবধূর পরকীয়া কাহিনী
গোপন পরকীয়া
-শুভঙ্কর সাউ
নীলাঞ্জনের সাথে কয়েক মাসের মধ্যেই কুহেলীর ডিভোর্স সম্পন্ন হয়।ডিভোর্সের পর
কুহেলীকে তার ছোট্ট কণ্যাসন্তানকে নিয়ে নীলাঞ্জনের বাসস্থান ছেড়ে চলে যেতে
হয়।নীলাঞ্জনেরতো অর্থের অভাব ছিলোনা,
কুহেলীকে তার ছোট্ট কণ্যাসন্তানকে নিয়ে নীলাঞ্জনের বাসস্থান ছেড়ে চলে যেতে
হয়।নীলাঞ্জনেরতো অর্থের অভাব ছিলোনা,
তাই ডিভোর্সের জন্য কুহেলী যে পরিমান সম্পত্তি দাবি রেখেছিলো,নীলাঞ্জন দামী
উকিল হায়ার করে কুহেলীর সে আশায় জল ঢেলে দেয়।সামান্য কিছু পরিমান গায়ের গয়না ও
অর্থ হাতে নিয়ে কুহেলীকে
উকিল হায়ার করে কুহেলীর সে আশায় জল ঢেলে দেয়।সামান্য কিছু পরিমান গায়ের গয়না ও
অর্থ হাতে নিয়ে কুহেলীকে
যাকে বলে,মহলের সুখ ত্যাগ করে নামতে হয় পথে।
হঠাৎ সুখের সিংহাসন চলে যাওয়ার মতই অবস্থার সম্মুখীন হয় কুহেলী।হাতের সামান্য
টাকায় মাস দুই একটা ছোটো ঘরভাড়া নিয়ে টেনেটুনে দিন চললেও
টাকায় মাস দুই একটা ছোটো ঘরভাড়া নিয়ে টেনেটুনে দিন চললেও
সে ভুলতে পারছিলোনা তার আয়েসের জীবন।এত বড় শিক্ষা পাওয়ার পরেও তার ভেতর
এতটুকুনও অনুশোচনার জন্ম নিলোনা।তখনও তার কোলের সন্তানের চেয়ে প্রিয় হয়ে
দাঁড়িয়েছিলো গায়ের গহনা।
এতটুকুনও অনুশোচনার জন্ম নিলোনা।তখনও তার কোলের সন্তানের চেয়ে প্রিয় হয়ে
দাঁড়িয়েছিলো গায়ের গহনা।
গহনাগুলো তার হাতছাড়া করার ইচ্ছে হলোনা এক বারের জন্য।
গৃহবধূর পরকীয়া গল্প
এমনই একদিন আচমকা নীলাঞ্জনের সাথে কুহেলীর দেখা হলো।এবং দেখাটা হলো এমনই ভাবে
যখন নীলাঞ্জন বিজলি নয়, অন্য একটা মেয়ের সাথে বেশ মাখামাখি অবস্থায় তার গাড়ির
মধ্যে বসে আছে।নীলাঞ্জনও কাঁচের ওদিকে কুহেলীকে দেখতে পেয়ে ছিলো।তাকে
দেখা মাত্র চিনতে না পারার ভান করে ড্রাইভারকে বললো-
যখন নীলাঞ্জন বিজলি নয়, অন্য একটা মেয়ের সাথে বেশ মাখামাখি অবস্থায় তার গাড়ির
মধ্যে বসে আছে।নীলাঞ্জনও কাঁচের ওদিকে কুহেলীকে দেখতে পেয়ে ছিলো।তাকে
দেখা মাত্র চিনতে না পারার ভান করে ড্রাইভারকে বললো-
-‘চলো এখান থেকে।’
সময়টা ছিলো সন্ধ্যে।জায়গাটা ছিলো কুহেলী শহর থেকে খানিক দূরে অনেক কম বসতি
সম্পন্ন এলাকাতে কম পয়সায় ঘর ভাড়া নিয়ে থাকছে,সেই জায়গা।
সম্পন্ন এলাকাতে কম পয়সায় ঘর ভাড়া নিয়ে থাকছে,সেই জায়গা।
কুহেলী নীলাঞ্জনের সাথে মেয়েটার গোপন ঘনিষ্ঠতা দেখে মাথায় ফন্দি আঁটলো,যে এই
খবরটা বিজলির কানে সে পৌছে দিয়ে সে নীলাঞ্জনের জীবন তছনছ করে দেবে।বিজলিকে সে
ব্যবহার করবে তুরুপের
খবরটা বিজলির কানে সে পৌছে দিয়ে সে নীলাঞ্জনের জীবন তছনছ করে দেবে।বিজলিকে সে
ব্যবহার করবে তুরুপের
তাসের মত।
কিন্তু,তার এই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরুর পূর্বেই,অচম্বিতভাবে নীলাঞ্জন
কুহেলীর ঠিকানা বের করে কুহেলীর সাথে নীলাঞ্জন সাক্ষাৎ করতে এলো।নীলাঞ্জন
বুদ্ধিমান।সে বুঝেছিলো,কুহেলী যেহেতু
কুহেলীর ঠিকানা বের করে কুহেলীর সাথে নীলাঞ্জন সাক্ষাৎ করতে এলো।নীলাঞ্জন
বুদ্ধিমান।সে বুঝেছিলো,কুহেলী যেহেতু
অন্য একটা মেয়ের সাথে নীলাঞ্জনকে ঘনিষ্ঠভাবে দেখেছে,নিশ্চই ভেতরে ভেতরে ছক কষবে
আমার ক্ষতি করার।আর,সে কুহেলীকে ছিনিয়ে এনেছিলো অহনের থেকে,তারপর আবার কুহেলী
সরিয়ে দিয়ে
আমার ক্ষতি করার।আর,সে কুহেলীকে ছিনিয়ে এনেছিলো অহনের থেকে,তারপর আবার কুহেলী
সরিয়ে দিয়ে
বিজলিকে এনেছে।অর্থবলে বারবার সব গল্প চাপা দিলেও মার্কেটে তার চরিত্রে এমনিতেই
যে কয়েক বার কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি হয়েছে,সেটা এবার ভয়ংকর রূপ নিতে পারে।অতএব,কুহেলীর
মুখটা তাকে বন্ধ
যে কয়েক বার কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি হয়েছে,সেটা এবার ভয়ংকর রূপ নিতে পারে।অতএব,কুহেলীর
মুখটা তাকে বন্ধ
করাতে হবে।
পরকীয়ার কাহিনী
কুহেলী দুটো শর্তে রাজি হলো মুখ বন্ধ রাখার।এক,তাদের দুজনের যে ছোট্ট সন্তান,সে
কণ্যা সন্তানের দায়িত্ব নীলাঞ্জনকে নিতে হবে।দুই,তার নিজের জন্য আলাদা ফ্ল্যাট
এবং মোটা অঙ্কের ব্যাঙ্ক ব্যলান্স করে দিতে হবে।আর তা নাহলে,সত্যিটা বিজলির
কানে গিয়ে সে উগরে দেবে।অর্থাৎ,ব্ল্যাকমেলিং আরাম্ভ করলো নীলাঞ্জনকে।নীলাঞ্জন
তখনের মত তার চাহিদা মেটানোর জন্য রাজি হলো।কিন্তু,মনে মনে স্থির করলো,কিছুদিন
ওকে মাথায় চড়তে দিই।তার পর সুযোগ বুঝে ছেঁটে ফেলে দেবো।আসলে,নীলাঞ্জন পারলে
পারতো সেইমুহুর্তেই কুহেলীকে
কণ্যা সন্তানের দায়িত্ব নীলাঞ্জনকে নিতে হবে।দুই,তার নিজের জন্য আলাদা ফ্ল্যাট
এবং মোটা অঙ্কের ব্যাঙ্ক ব্যলান্স করে দিতে হবে।আর তা নাহলে,সত্যিটা বিজলির
কানে গিয়ে সে উগরে দেবে।অর্থাৎ,ব্ল্যাকমেলিং আরাম্ভ করলো নীলাঞ্জনকে।নীলাঞ্জন
তখনের মত তার চাহিদা মেটানোর জন্য রাজি হলো।কিন্তু,মনে মনে স্থির করলো,কিছুদিন
ওকে মাথায় চড়তে দিই।তার পর সুযোগ বুঝে ছেঁটে ফেলে দেবো।আসলে,নীলাঞ্জন পারলে
পারতো সেইমুহুর্তেই কুহেলীকে
উপড়ে ফেলতে কিন্তু,সেদিনের সন্ধ্যের সেই দৃশ্য ফোনে বন্দি করে নিয়েছিলো কুহেলী।
কুহেলী ফের বিলাসিতার জীবনে মত্ত হলো তার অতীতকে পিছনে
ফেলে।অহন,পরী,নীলাঞ্জন,এবং তার শেষ কণ্যাসন্তান যার নাম পর্যন্ত ঠিক হয়নি- এই
এদেরকে সে ভাবলোই না যে এরাও তার জীবনে কোনো না কোনো সময়ের গল্প
ছিলো।নীলাঞ্জনের টাকায় তার মনের মাদকতা বাড়লো এমনই একটা পর্যায়ে,যে সে মনস্থির
করলো এবার
ফেলে।অহন,পরী,নীলাঞ্জন,এবং তার শেষ কণ্যাসন্তান যার নাম পর্যন্ত ঠিক হয়নি- এই
এদেরকে সে ভাবলোই না যে এরাও তার জীবনে কোনো না কোনো সময়ের গল্প
ছিলো।নীলাঞ্জনের টাকায় তার মনের মাদকতা বাড়লো এমনই একটা পর্যায়ে,যে সে মনস্থির
করলো এবার
আর কোনো রিলেশন না।ধনীর ছেলেদের টোপে শিকার করবে।আর তাদের সর্বস্ব লুট করে
ছাড়বে।আর কারোর যদি ফনা ওঠে তো ব্ল্যাকমেলিং।
ছাড়বে।আর কারোর যদি ফনা ওঠে তো ব্ল্যাকমেলিং।