গৃহবধূর পরকীয়া কাহিনী – পর্ব ২ – Bengali Choto Golpo
গৃহবধূর পরকীয়া কাহিনী
পড়তে লাগলো।যারা সুবিনয়কে মুখের চেনায় চেনে তারা আড়ালে গুজুর ফুসুর করতে লাগলো-
ফিগার ছিলো এখনও.. এক সন্তানের মা দেখলে কী হবে,যে পাবে সে-ই তুলে নেবে।’
বসলো-
পালিয়ে যাবে কেউ ভাবতে পেরেছে গা?’
গৃহবধূর পরকীয়া গল্প
ঘটনা ঘটেছে যখন রটনা তো রটবেই।কিন্তু,কেউ যে একবার অহনের খোঁজ করবে,সেটা নেওয়ার
মত কেউ ছিলোনা।কাছের বন্ধু বলতে যে দুজন তারাও সব বাইরে থাকে।ফোনে জানতে পেরে
খোঁজ খবর নিয়েছে।অহনকে তারা সান্ত্বনা দেওয়ার সাথে সাথে মনের জোর আনবার কথাও
বলেছে।কিন্তু,যার যায় যায়তো তারই।একমাত্র সে-ই জানে তার কী চলছে।
অহনের শ্বশুরবাড়িতে আছে বলতে শ্বশুর শাশুড়ি আর একমাত্র শালা।তাদের মাথা লজ্জায়
হেঁট করে ভিয়েছে তাদের মেয়ে।কোন মুখেতে আর অহনকে ফোন করতে পারে তারা!
পরকীয়া কাহিনী
দিয়ে দূরে ছুঁড়ে ফেলে নীলাঞ্জনের সাথে সংসার পাতলো।এটা যাকে বলে ঠিক সংসার
নয়।একরকমের বিনিময়।কুহেলী রূপ দিয়ে ভুলিয়েছিলো নীলাঞ্জনকে,আর বিনিময়ে কুহেলী
ভোগ করতে পেয়েছিলো অর্থসুখ।
সন্তান পরীর কথা হঠাৎ তার মনে পড়লো।পরীর জন্মের আগের সময়গুলোর স্মৃতি তার চোখে
ভেসে উঠলো।কিন্তু তাতে আর কী?সে যে কাজটা ঘটিয়ে এসেছে যে তার সেই মুখটা নেই তার
প্রথম সন্তানের কাছে একবার যাওয়ার।কিন্তু,নীলাঞ্জন এত শিগ্রি সন্তান নিতে
প্রস্তুত ছিলোনা।কী করে যে এমনটা এত দ্রুত ঘটে গেলো,সে বুঝতে পারেনি।
করলো।এমনটাই হওয়া স্বাভাবিক।সাধারন বাড়ির ব’য়েদের দ্বিতীয় সন্তান নেওয়ার পর পর
আগের তুলনার শারীরিক উৎকর্ষতা খানিকটা হলেও কমে যায়।কুহেলীর শ্রী রুপের
পরিবর্তনটা ধীরে ধীরে নীলাঞ্জনের ভেতরটায় নানান প্রশ্নের জন্ম দিলো।সে মালদার
ছেলে,আগেও এমন বহু মেয়ের সাথে খেলা করেছে শুধুই অর্থবলে।কিন্তু,শেষমেষ বিয়ে
করেছিলো রূপবতী কুহেলীকে।কিন্তু,সেই রূপের মাধুর্যই যখন পশ্চিমগামী হতে শুরু
করেছে তখন তার আর কুহেলীর প্রতি সেই আকর্ষনটা রইলো
লাগলো।পরিবর্তে
কুহেলীকে আড়ালে রেখেই আবার যাকে বলে খেলা আরম্ভ করেছিলো।
নেই।চুম্বকের ক্ষমতা তুখর হলে,সে যে কোনো লোহাকেই টানতে জানে।তাই দোষ কেবলই
চুম্বকের নয়,লোহাও সমান দোষী যে চুম্বক দেখলেই দুর্বল হয়ে যায়।
নীলাঞ্জনের ঐশ্বর্য ভোগে।নীলাঞ্জন ওদিকে সেই ঐশ্বর্যের বলেই এক দিকে কুহেলীকে
ভুলিয়ে রেখে অন্যদিকে ভ্রম সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিলো বিজলির মনে।