30+ Best LOVE KOBITA BANGLA LOVE POEM | Bangla Romantic Kobita
Love Kobita প্রতিটা মানুষের জীবনের কোন না কোন এক সময়ে প্রেম আসে । যাকে দেখে মনে হয় পাথুরে হৃদয় , তার জীবনেও কখনো না কখনো প্রেম এসেছিলো । আমরা যখন পপরই, তখন সেই প্রিয় মানুষটির জন্য এক আলাদাই অনুভূতি হয় । আর এই অনুভূতি কে কেন্দ্র করেই হয়তো Rabindranath Tagore থেকে Wiilam Shakespeare ভালোবাসায় মাখানো এত সুন্দর সুন্দর কবিতা লিখেছেন ।
আপনিও কি বাংলা রোমান্টিক প্রেমের কবিতা (Bangla love Kobita) বা Premer Kobita খুঁজছেন ? তাহলে আপনি একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন। আমাদের ওয়েবসাইটে রয়েছে প্রায় ১০০০০ এরও বেশি Bangla Kobita র এক বিশাল ভান্ডার । তো, চলুন প্রেমের বন্যায় বয়ে যেতে, প্রেমের কবিতা শুরু করা যাক….
Love Kobita In Bengali
প্রতীক্ষা
একদিন শান্ত সকালে
স্কুলের কোলাহলে
নিতান্তই খেলাচ্ছলে
দিয়েছিলো সে প্রস্তাব
অবাক নয়নে চেয়ে থাকলাম
ক্রোধে ফেটে পড়লাম
নিজেকে বললাম
আমি কি প্রেমে পড়লাম
অবশেষে বুঝলাম
মনে মনে হাসলাম
নিজেকে বোঝালাম
তারই মাঝে হারালাম
আজ আমি চেয়ে থাকি
মনে মনে শুধু ভাবি
সে আবার আসবে নাকি
বলতে আমায় ভালোবাসি ।
প্রেম
যেদিন তুমি ধরেছিলে হাত, কেঁদেছিলে কোন সুখে
চোখের ভাষায় বুঝিয়েছিলে সব, এসেছিলো যা মুখে-
গভীর সুখে রেখেছিলে মাথা আমার ব্যথার বুকে
ভেবেছিনু হায়, এই বুঝি প্রেম, মরিব দুজন ধুকে।
কোথাকার নদী কোথায় মিশেছে, সাগরে মুক্তি তার
তব মুখখানি না দেখিলে মোর হইতো হ্রদয় ভার-
সেই চিঠি পেয়ে ছুটে আসিতে আমার বক্ষ দ্বার
ভেবেছিনু হায়, এই বুঝি প্রেম, কাঙালের কারবার।
চোখ ভাসায়ে কাঁদিতে তুমি, যত দুঃখে আমার
তোমারে হাসায়ে ধরেছি যে সুখ, হয়েছে কবে কার-
হারাতে চেয়েছি যে ওপারের দেশে, পৃথিবী যে কোন ছার
ভেবেছিনু হায়, এই বুঝি প্রেম; সাধ জাগে মরিবার।
হেটেছি কত দুরের পথ দুজনে ধরিয়া হাত
চোখের পরে চোখ রেখে যে, কেটেছে কতনা রাত-
ভেবেছি এভাবে যাক যুগ যুগ, এভাবে আসুক নিপাত
ভেবেছিনু হায়, এই বুঝি প্রেম; সুখেরই ঝঞ্ঝাপাত।
সব নদী হায় বয়ে বয়ে যায়,তবু কভু হয় ক্ষয়
তেমনি করিয়া ছাড়িয়া গিয়েছো, শুন্য করে হ্রদয়-
দু’হাত শুধু শুন্যে তুলেছি আনবো তোমারে ফিরায়
ভেবেছিনু হায়, এই বুঝি প্রেম; হ্রদয়ের দুঃসময়।
আমারে লুকায়ে যাবে কতদুর, দেখা যে হবে আবার
আমি যে কোথাও আবার হারাবো চোখে চোখ রেখে তোমার-
আসিতেছি আমি তোমার কাছে, খুলে রাখো তব দ্বার
বুঝেছিযে হায় এরে কয় প্রেম, ‘আশা, পুনঃমিলিবার’।
ভালোবাসো
আমি জানি,
তুমি ভালোবাসো তেমন করে
মরুর বুকে যে তৃষ্ণার্ত খুঁজে পায় কাঙ্ক্ষিত পানির দেখা
আমি জানি, আমি জানি তুমি ভালোবাসো।
কিন্তু আবার ভাবি,
যদি সবগুলো তারা খসে পড়ে,
কিংবা মনে কর সব শুকিয়ে গেল,
পথিক হারাল না তার পথ।
তারপর…???
তারপরও আমি জানি,
আমি জানি তুমি ভালোবাসো
তেমন করে,
আমি ভালবাসি তোমায় যেমন করে।
love Kobita Bangla Photo
ব্যাস এইটুকু
ভালোবাসবো বলেই বেসেছি..
কোনোকিছু না ভেবেই বেসেছি..
কিছু চাই না..
তুমি যেমন আছ সেইরকম-ই থেকো..
ব্যস এইটুকু..
রোজ সকালে ঘুম ভাঙানোর এস.এম.এস..
কলেজ ক্যাম্পাসের খুনসুটি..
আর সেই রাগ দেখানো তুমি..
ব্যস এইটুকু..
সত্যি বলছি আর কিছু চাই না..
অতীতের কালো মুছে আলোকিত করেছ আমার জীবন…
সর্বত্র তোমার আলোয় দৃশ্যমান হচ্ছে কিছু মুহূর্ত..
ওই মুহূ্র্ত গুলো একটু একটু করে উপভোগ করছি..
শেষ হতে দিতে চাই না..
কোনো আবদার, কোনো commitment, কোনো কিছুই তুমি চাওনি..
শুধু চেয়েছিলে আমায়…
ব্যস এইটুকু..
বিকেলে রাস্তায় তোমার সাথে কাটানো সময়..
তখনো তুমি কিছু চাওনি..
শুধুই হেসেছিলে…
আর চেয়েছিলে আমায়, তোমার পাশে..
ব্যস এইটুকু…
একান্ত ব্যক্তিগত
তখন নীল ধ্রুবতারা জাগেনি
ঘুমন্ত ঘড়ির পানে চেয়ে বসে
অন্ধকারের প্রতীক্ষায়
দিন পেরোনোর অগোছালোতা
সন্ধ্যার স্তব্ধতাটাকে গ্রাস করছে |
একে একে সবাই চলে গেছে-
ঘুম ভাঙানো সাইরেন,
নীল পাড়ের শাড়ির তুমি |
এই সময়টা আমার
একান্ত ব্যক্তিগত..
তুমি মুখ বাড়িও না প্লিজ..
ভয় লাগে |
এখানে আসা তোমার বারণ ||
Love Kobita Bangla
দু টাকার গোলাপ
প্রতি নিয়ত শিখছি..
বেঁচে থাকার কায়দা..
কখনো জানলাতে চোখ রেখে..
কখনো বা মেঘটা কে দেখে..
তোমার রূপকে আড়াল করার ক্ষমতা আমার নেই…
কিছুক্ষণের জন্যও তুমি শুধু আমার…
তোমার কথার চার দেওয়ালে বন্দী..
ফোনের প্রেমালাপ চলত..
মাঝরাতে তোমার টানে আমি মিথ্যুক সেজেছি…
সব কথা বলা হয়নি…
ওগুলো না বলাই থাক…
পাপড়ি গুলো শুকিয়ে গেছে..
মূল্য হারিয়েছে দু টাকার গোলাপ ।
Love Poem In Bengali For Girlfriend
একটু উষ্ণতার জন্য
একটু উষ্ণতার জন্য
কত শত দিনের অপেক্ষা
অবশেষে সেই মাহেন্দ্রখন,
এতোটুকু স্পর্শে
তুমি এতোটা জ্বলে উঠবে
তা সত্যিই আমার বোধগম্য ছিল না।
সে যেন এক উত্তাল তরঙ্গ,
এদিক থেকে ওদিকে ভেসে বেড়ানো
তরঙ্গের সেই অভিনব রুপ
আমায় যেন অন্ধ করে দিয়েছে।
উত্তাল তরঙ্গ যখন আরো বেশী উত্তাল
তখন আমার অস্তিত্ব খুঁজে পাইনি,
এই মাতাল কে আরো বেশী মাতাল
করেছিল তোমার স্পর্শ।
তুমি যে অবর্ননীয় ছিলে
তাতে কোন সন্দেহ ছিলনা,
তারপরেও তোমাকে এতোটা
কাছ থেকে না দেখলে
তোমাকে আবিষ্কার করা
এতোটা সহজ হতো না।
তুমি সুন্দর, তুমি ভ..
তুমি ধনুকের তীর।
তুমি অগ্নি, তুমি অগ্নি মশাল
চাইলেই আমায় জ্বালিয়ে দিতে পারে।
আজব দুনিয়া
এ এক আজব দুনিয়া
বড্ড আজব মনে হয় মাঝে মাঝে।
এখনে মেঘের ঘনঘটা ছাড়াই বৃষ্টির দেখা মেলে
এখানে গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ হেমন্তের কোন ভেদাভেদ নেই
এখানে কখনো শীতের হিম সকাল আবার
কখনো বসন্তের কোকিল ডাকা ভোর।
এখানে,
এদিকে ওদিকে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য পথ
এ পথে হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে গেলেও
গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে না।
তারপরেও , সকাল সন্ধা এ পথেই হাঁটছে মানুষ,
বড্ড আজব এ দুনিয়া আজব এ দুনিয়ার মানুষ।
এখানের আকাশে তারা জ্বলে না
এখানে জোসনা বলে কিছু নেই
এখানে অমাবশ্যা আর পূর্নিমা যেন সমার্থক শব্দ।
এখানে চব্বিশ ঘণ্টাই দিন আবার চব্বিশ ঘণ্টাই রাত
আজব এই দুনিয়া বেহুঁশ এই দুনিয়ার মানুষ।
Bangla Romantic Kobita
যেদিন
যেদিন আমার
জীবন নামাক কলমের কালি হয়ে যাবে শেষ
বাড়ীতে পরিবে কান্নার রোল,
আত্নীয় স্বজন পাইবে খবর
আসিবে দেখিতে আমায়।
মা আমার কাঁদিবে সেদিন
বলে হায় হায়।
সেদিন,
কেউ আনিবে কাফনের কাপড়
কেউ গরম করিবে জল.
কেউ কাঁটিবে ঝাড়ের বাঁশ
কেউ আসিয়া খুঁজিবে আমার লাশ।
কেউ খুড়িবে কবর,
মা আমার সেদিন
কান্নার থাকিবে বিভোর।
গোসল দিয়ে সাদা কাপড়ে জড়াবে
কাঠের পালকি সাজাবে
প্রার্থনা শেষে কাঁধে তুলিবে লাশ
সবাই জানাবে আমায় বিদায়,
মা আমার কাঁদিবে সেদিন
বলে হায় হায়।
Love Poem In Bengali
গত রাতে
গত রাতে আমি ঘুমাইনি
বসে বসে দেখিছি চাঁদের হাসি
তাঁরাদের মেলা,
বসেই ছিলাম জানালার পাশে
একটুও ঘুমাইনি।
আমি শুনেছি পুরানো দিনের গান
হারিয়ে গিয়েছিলাম গানের মাঝে
মনে হচ্ছিল,
কোন পরিচিত একজন
আমায় গান শুনাচ্ছে।
তবে কে সে?
এখনো জানা হয়নি।
গত রাতে আমার একটু ঘুম হয়নি।
গত রাতে,
মনের ডানা মেলে উড়েছি
দেশ হতে দেশান্তর,
তবে কোথাও কারো দেখা পাইনি।
পরিশেষে আমি শূন্য হাতেই ফিরেছি।
আমি জেগে ছিলাম
গত রাত, তার আগের রাত
তারও আগের রাত
তবে তা কাউকে বলা হয়নি।
গত রাতে আমি একটুও ঘুমাইনি।
তোমার প্রতীক্ষায়
আজ সমুদ্র সৈকতে বসেছিলাম
তোমাকে দেখার প্রতীক্ষায়,
ভেবেছিলাম তুমি আসবে
সাগরের কুল ঘেষে ঢেউরের সাথে মিশে
ভিজাবে আমার তোমার ভালবাসার জলে।
কিন্তু তুমি আসোনি,
প্রত্যাশা আমার প্রত্যাশা ই রয়ে গেছে
তোমার দেখা মিলেনে।
ভেবে ছিলাম পড়ন্ত বিকেলে
গোধূলির রঙ্গে তোমায় পাবে।
আজ সব নীল ছিল, তোমায় দেখিনি,
প্রত্যাশা আমার প্রত্যাশাই রয়ে গেছে
বাস্তব আর হয়নি।
ভেবে ছিলাম সন্ধ্যা তারাদের মাঝে তোমায় খুঁজে পাবো
দেখবো তোমার হাস্য উজ্জ্বল মায়াবী মুখ,
তুমি এসেছিলে ঠিকই, কিন্তু হাসোনি।
ভাবনা আমার ভাবনাই রয়ে গেছে।
বাস্তব আর হয়নি।
ছায়া তুমি
একা একা হেটে চলেছি
হাটছি তো হাটছিই,
নিঃসঙ্গ এই পথ চলা।
আমার এই পথ চলায় হঠাৎ
রোদের আলো।
মনে হচ্ছে,
কে জানি হাটছে আমার পিছু পিছু
ও যে ছায়া আমার।
আজ আমি নির্ভিক
ও হেটে চলছে আমার
হাতে রেখে হাত ।
প্রভাত শেষে রোদলা দুপুরেও
আমি অনুভব করছি ওকে
দিনের শেষে রাতের আগমনে
ও কি থাকবে আমার হাতে রেখে হাত?
তুমি
তুমি শব্দের ব্যবহার
আমি জানতাম না
তুমিই আমাকে শিখিয়েছো
তুমি করে বলতে।
লজ্জা হতো কাউকে
তুমি বলে সম্ভোধনে।
তুমি শুধুই তুমি
আমায় শিখিয়েছো সব।
আমার হাসি আমার কথা
কারো ভাল লাগতো না
তুমিই বলেছিলে
আমার হাসি আমার কথা
তোমার ভাললাগে,
সেই তুমি আজ কোথায়?
কোথায় হারিয়ে গেলে
কোথায় লুকালো তোমার ভাল লাগা?
আমি জানতাম না এই হাসি
তোমার কাছে হবে
রোদ আর মেঘের খেলা।
অন্য কারে হাসির কাছে
হার মানবে আমার হাসি
তাহলে আমি হাসতাম না ।
তবে তোমার হাসি
চিরদিন আমার কাছে মিষ্টি ছিল
আছে থাকবে।
Bangla Lobe Kobita
তোমারা যাকে
তোমরা যাকে “ভালবাসা” বলো
আমি বলি দুঃখের পাহাড়।
তোমরা যাকে “বন্ধুত্ব” বলো
আমি বলি অর্থহীন কোন শব্দ।
তোমরা যাকে “চাওয়া-পাওয়া” বলো
আমি বলি অরন্য রোদন।
তোমরা যাকে “সুখ” বলো
আমি বলি অপেক্ষার প্রহর।
তোমরা যাকে “কষ্ট” বলো
আমি বলি সঙ্গী আমার।
তোমরা যাকে “মন” বলো
আমি বলি কষ্ট বাহক।
মন খারাপ
যখনি শুনি তোমার মন খারাপ
কেমন জানি,
একটা ভয় কাজ করে হৃদয় আঙ্গিনায়,
মনে হয়,
এই বুঝি এলো কাল বৈশাখী ঝড়
সব বুঝি করে দিবে উল্টা পাল্টা,
হারাতে হবে বুঝি আমাকে সব?
আর তখনি তোমার সাথে সাথে
আমারো মনটা অনেক অনেক খারাপ হয়।
মাঝে মাঝে থমকে দাড়াতে হয়
হারাতে হয় ভাবনা নামক মেঘের আড়ালে
খুজে বের করতে ইচ্ছে হয়
তোমার মন খারাপ হবার কারন।
তবে আমি যে এক নারাধম,
আমার মাঝে নেই সেই জ্ঞান,
তবে মাঝে মাঝে চেষ্টা করি,
জানিনা পারি কি না।
আমি কি তোমার মনটা খারাপ করে দিয়েছি?
আমিই কি তোমার মন খারাপ করে দেবার কারণ?
যদি আমি তোমার মন খারাপ করে
দেবার কারন হয়।
তবে বলি…
মন খারাপ করে থেকো না,
বন্ধুর সাথে বন্ধুর মন খারাপ করে
থাকতে নেই।
আর যদি মন খারাপ করেই থাকো
তবে বন্ধুত্বের সার্থকতা রইল কই_?
তোমায় দেখবো বলে
অনেক দিনের ইচ্ছে চাঁদের মুখ দেখবো।
শুনেছি চাঁদের মায়াবী মুখ নাকি
আকাশ কে করে উজ্জ্বল।
তাই অনেক ইচ্ছে নিয়ে
প্রতীক্ষার প্রহর গুণে সেদিন
গিয়েছিলাম কোন এক মাঠে
চাঁদ তোমাকে দেখবো বলে।
ইচ্ছে ছিল তোমার কাছে বলবো
না বলা কিছু কথা,
তুমি শিখাবে আমার তোমার হাসির রহস্য।
কিন্তু সেই সৌভাগ্য আমার হলো না
আমি যেদিন তোমার দেখতে গিয়েছিলাম
সেদিন যে ছিল অমাবশ্যার রাত
আর তাইতো সেদিন তুমি ছিলেনা
ছিল আঁধারে ঘেরা এই আকাশ।
তবে আজ দেখতে পারিনা
কাল দেখবো,
তবুও চাঁদ আমি তোমায় দেখবো।
তোমাকে বলবো মনের না বলা কিছু কথা।
ওরা যেন
ওরা যেন ঊষার আলো
ভোর সকালে দেখা মিলে
ঘন্টা দুয়েক পরেই উধাও।
ওরা যেন মানব ছায়া
রোদলা দুপরে দেখা মিলে
সন্ধা ঘনিয়ে এলেই উধাও।
ওরা যেন মেঘের আড়ালে
ঢাকা পড়া চাঁদ
কখনো কখনো উঁকি দেয়
ক্ষানিক বাদেই উধাও।
ওরা যেন অদৃশ্য মানাবী
ওদের দেখা যায় না,
মিশে থাকে স্মৃতির পাতায়
আর মাঝে মাঝেই কাঁদায়।
ওরা যেন কাল বৈশাখী ঝড়
চৈতের শেষই এসেই
সব কিছু তছনছ করে দিয়ে যায়।
আমি ও আমার সুখ
সেদিন প্রভাত ফেরীতে তোমার সাথে দেখা
সেদিন দেখেছিলাম তোমার হাসি মাখা মুখ।
শুনেছিলাম তোমার কথার গাঁথুনী।
তারপর অনেকটা পথ তোমার সাথে হাঁটলাম
ঘুরলাম, কথা বললাম ঘন্টার পর ঘন্টা।
এখন তোমাকে দেখিনা আগের অবয়বে
যেন শূণ্যতা ঘিরেছে তোমায়,
এখন তোমার মুখে আর হাসি ফুটেনা।
বিষন্ন লাগে তোমায় সারাটি ক্ষণ।
আজ সেদিনের কথা ভেবে
অশ্রু সিক্ত আখি,
এখন তুমি আর প্রভাভ ফেরীতে আসোনা
আমিও এখন আজ যাই না প্রভাত ফেরীতে।
আজ যেন সব কিছু এলোমেলো মনে হয়
যেন কিছুই আগের মতো নেই,
এখন আর কারো উপর রাগ অভিমান হয়না,
এখন যেন ভাল লাগা বলতে কিছুই নেই।
সুখেন নিশান উড়ে ছিল হৃদয় আকাশে
সে সময় দিনগুলো ভাল কেটে ছিল।
আমার আকাশে সুখের পতাকা শোভা পায়না
তাই তো সেদিন প্রবল বাতাসে
ছিড়ে গেছে সেই সুখের নিশানটি।
তুমি পাশে নেই বলে
এখন অনেক রাত,
কোথাও কেউ জেগে নেই
আখি যুগলে নেই ঘুমের ছায়া,
ঘুম যেন অভিমান করেছে
আজ আর দেখা মিলবে না,
র্নিঘুমে কেটে যাবে সারাটি রাত।
কারন শুধু একটাই,
আজ তুমি পাশে নেই।
তাই বসে পরলাম, ডায়েরীটা নিয়ে
তোমাকে নিয়ে লিখবো কবিতা
গান আর ছন্দের কল্পকথা।
কলমটা একটুও কালি দিচ্ছেনা আমায়,
ও যেন আজ রেগে আছে ।
কারন শুধু একটাই
তুমি পাশে নেই বলে।
দক্ষিনের জানালা খুলে দিয়েছি
দেখবো চাঁদের মায়বী মুখ।
চাঁদটা যেন বারবার
তোমার রুপের কাছে হার মানছে
আর লজ্জায় লুকাচ্ছে মেঘের আড়ালে।
এ দৃশ্য দেখে,
আমার হৃদয়ে আনন্দের জোয়ার বইছে
তবে এই জোয়ারের কোনই মূল্য নেই।
কারন শুধু একটাই
আজ তুমি পাশে নেই।
তোমাকে নিয়েই ভাবছি
তোমাকে নিয়েই ভাবছি
তোমাকে নিয়ে যে ভাবতে হবে
তা কিন্তু, প্রথম দেখায় ভাবিনি
আর এখন…
আমার ভাবনার আকাশটি দখলে তোমার
আজ আবার অনেক দিন পরে
তোমায় নিয়ে লিখতে বসলাম
হাজারটা প্রশ্ন ছুড়ে দিওনা আবার
কি লিখছো, কি ভাবছো?
তুমি তো বেশ ভাল করেই জান
এর উত্তর আমি তোমায় দিতে পারবো না
ভাবতে ভাল লাগে তোমায় নিয়ে
লিখতে ভাল লাগে তোমায় ভেবে।
তোমার এটা বেশ ভাল করেই জানা
আমার মনের কথাগুলি আমি কখনোই
তোমাকে গুছিয়ে বলতে পারিনি
আর তুমি ই বলো
ভাবনার কথা গুলি যদি নাই বলি
তবে এতে এমন কিইবা ক্ষতি?
না বলা এই কথাগুলি
এ হৃদয়ে বেশ ভাল আছে
আমি তা বলছি না,
তবে এখনি সুন্দর একথাগুলিকে
আমি বিবস্ত্র করতে চাইনা।
আর ক’টাদিন সময় দাও
আমি ঠিকই এইদিন
না বলা এ কথাগুলি
তোমার হাতে রেখে হাত
কোন এক পূর্নিমা রাতে
তোমার পাশে বসে
গান বা কবিতার সুরে
নয়তো বা খোকাদের মতো
এক দমেই সব শুনিয়ে দিবো।
তুমি কি শুনবে
তোমরা কি শুনবে কেউ
আমার কিছু কথা?
আমার ভাল-মন্দ লাগা
কিংবা দুঃখ ব্যথা?
মাঝে মাঝে নিজেকে
লাগে বড় একা,
মনের মত বন্ধুর দেখা
পাবো আমি কোথা?
চুপচাপ বসে থাকি
কিছুই লাগে না ভাল,
অবচেতন মন বলে ওঠে,
কিছু একটা কর।
কিন্তু কি করবো আমি
পাই না কোন কাজ,
কখন যে পার হয়
সকাল-দুপুর-সাঁঝ!
একা একা কোন কিছুতেই
সময় আর না কাটে,
ইশ একটা কাজ এখন যদি
থাকতো আমার হাতে!
ভাল কিছু যখন আর
করার না থাকে,
উদ্ভট কিছু চিন্তা ভাবনা
মাথায় চলে আসে।
সেইসব চিন্তা ভাবনার
আগা মাথা নাই,
চিন্তার সাগরে কখনো ডুবে
হাবুডুবু খাই!
মাঝে মাঝে বিরক্ত হয়ে
বই নিয়ে বসি,
কি আর পড়বো? এখন তো
লাগছে সবই বাসি।
কখনো কখনো মনে হয়
কিছু একটা লেখি,
কখনো বা জানালা দিয়ে
দূরে তাকায়ে দেখি।
চোখের দৃষ্টি মাঝে মাঝে
সুদূরে হারিয়ে যায়,
মনের গভীর কল্পনা ছেড়ে
অনন্ত নীলিমায়।
কখনো আমি বন্ধুর কাছে
লিখতে বসি চিঠি,
উত্তরের প্রতিক্ষায় থাকে
আমার নয়ন দিঠি।
চোখের সামনে ভাসে যে
কত রঙ্গীন স্বপ্ন,
মনের মাঝে জাগে কত
হাজারো জটিল প্রশ্ন।
মাঝে মধ্যে লিখে ফেলি
ছড়া কিংবা কবিতা,
কখনো পড়তে ভাল লাগে
রূপকথার গল্প কথিকা।
বিনা দোষে পেলাম এত্ত সাজা
বিনা দোষে কেউবা আমার
করেছে আমায় পর,
হায়রে তোমারা বুঝলে না
কে বা আপন পর!
নির্দোষ আমি, কেন আমায়
দূরে ঠেলে দিলে?
কি অপরাধে তোমারা আমায়
ছেড়ে চলে গেলে?
কার ভুল ছিল বেশী
বুঝবে একদিন বুঝবে!
সময় নিশ্চই আসবে একদিন
খুঁজবে আমায় খুঁজবে!
একদিন সব ছেড়ে আমি
চলে যাব দূরে,
তখন খুঁজে পাবে না আমায়
সারা জগৎ ঘুরে।
যখন আমি থাকবো না
কার চোখের সামনে,
তখন কি পড়বে কারো
আমার কথা মনে?
জানি তখন সবাই তোমরা
ভুলেই আমায় যাবে,
একবার ডেকে দেখো আমায়
নিশ্চই সাড়া পাবে!
বেঁচে থাকতে কেউ আমায়
দিল না একটু স্নেহ,
একটু ভালবাসলো না কেউ
আদর করলো না কেহ।
যখন এই দুনিয়া ছেড়ে
মরণ আমার হবে,
তখন কারো মনে কি
আমার জায়গা হবে?
সত্যি বলছি কারো কথা
ভুলতে পারিনি আমি,
বিশ্বাস কর আমার কথা
সাক্ষী অন্তর্যামী!
যদিও তোমরা খুব সহজে
গিয়েছো আমায় ভুলে,
তবুও আমি ক্ষণিকের তরেও
যাইনা তোমাদের ভুলে।
কখনো আমায় সইতে হয়েছে
অনেক কথা তিরস্কার,
মনে করেছি এটাই ছিল
মোর পাওনা পুরস্কার।
যদিও কভু মোর অন্তরে
লেগেছে কিছুটা ব্যথা,
কই কেই তো শুনতে চাইলো না
আমার দুঃখের অব্যক্ত কথা।
কি লাভ হবে আর
শুনে এইসব কথা?
সব কিছুই আমার মনে
একই সূত্রে গাঁথা।
তোমার কাছে এসে
যখন তুমি টেনে নিয়েছ তোমার বাহুবন্ধনে-
তুমি মিশে ছিলে আমার প্রতি হৃৎস্পন্দনে!
কিছুদিন আগেও আমি পাইনি যার সাড়া,
আজকে তাই নাড়া দিল আমার মনের কড়া!
বিধ্বস্ত মনের আস্তাকুড়ে যা ছিলো চাপা পড়ে,
তোমার ভালবাসায় আজ তা যেন পেয়েছে জীবন,
আর তাই ক্ষণে ক্ষণে অনুভুতিতে উঠছে নড়ে!
তোমার বিহনে প্রতিপলে কেন সইছি এই মরণ?
এরই নাম যদি ভালবাসা হয় তবে কেন এই দহন?
কি অদ্ভুত এই ভালবাসা আর কি অদ্ভুত এ উপলব্ধি,
যার কাছে পরাজিত হয়েছি আমি, স্তন্ধ হয়েছে সব বুদ্ধি!
সর্বনাশা এই ভালবাসায় যে ছিল এত সুখ-
আজ আমি তা জেনে গিয়েছি,
আর কখনও তোমাকে করবোনা বিমুখ।
ভালবাসার কাছে পরাজিত হয়ে আমি
দিয়েছি যখন ধরা-
পরওয়া করি না দুঃখ যাতনা,
ক্ষোভ, হতাশা কিংবা জীর্ণজরা!
এতিদিন শুধু উপলব্ধিতেই ছিল যে ভালবাসা,
বাস্তবে তার দেখা পেয়ে মিটেছে মনের আশা।
এটা কি ভালবাসার উপলব্ধি নাকি উপলব্ধির ভালবাসা?
কেন দূরে চলে গেলে, বাড়িয়ে দিলে মনের হতাশা?
শত বাঁধা পেরিয়ে তুমি-
আমার হৃদয় যখন করেছ দখল,
তোমাকে জড়িয়ে রাখবো আমি,
দিয়ে আমার ভালবাসা সকল।
আমাদের জীবনে এটাই বয়ে আনুক সুখ সমৃদ্ধি-
এইত আমাদের ভালবাসা আর এইত তার উপলব্ধি
Love Kobita Photo Download
বন্ধু তোমায়
বন্ধু তোমার কি মনে আছে পুরানো সেই কথা?
বলেছিলে তুমি, “বন্ধু তুমি ছাড়া এই জীবনটাই বৃথা”
সেদিনের সেই বিপদের কালে, তুমি এসে ধরেছিলে হাত,
আজও আমি ভুলতে পারিনি সেই ভয়াল কাল রাত!
তোমার পানে তাকিয়ে ভুলেছিলাম আমার যত ভয়,
আমার স্মৃতির কোঠা থেকে এতটুকু হয়নি ক্ষয়!
জানি না কি অপরাধে তুমি ফিরায়ে নিয়েছো মুখ,
একবারও কি ভাব্লে না, আমি কতখানি পেলাম দুখ?
কি করে ভুলে গেলে আমাদের সেই পরিকল্পনা?
বন্ধু তোমার সাথেই তো এঁকেছিলাম এক স্বপ্নের আল্পনা।
জানতে কি ইচ্ছে হয় না তোমার, কেমন আছি আমি?
কখনোও কি ভাবলে না যে বন্ধুত্ব কতখানি দামী?
আজকে কোথায় তুমি? রয়েছ তুমি দূরে বহুদূর-
কিভাবে তাহলে বাজিছে আজ, পুরানো সেই সুর?
বন্ধুত্ব সদা অম্লান থাকে, কখনও কি পুরানো হয়?
পোষাক পাল্টে কি কখনও মানুষটাও পাল্টে যায়?
একবার দেখ পিছন ফিরে, এরপর না হয় যেও তুমি,
আমার মনের কোথায় তোমায় সযতনে রেখেছি আমি!
তুমি হয়ত মনে করছো আমি করছি যত অভিযোগ,
নতুন পুরানো সব কথা তুলে করছি যোগ আর বিয়োগ।
না বন্ধু না! এটা নয় আমার কোন আক্ষেপ অভিমান,
যদি তুমি চাও তবে আমি দিতে পারি তার প্রমাণ!
বন্ধুত্বের মধ্যে পাঁচিল তুলে করা যায় না ব্যবধান-
বন্ধুকে কখনও যায় না ভোলা হোক না তা তিরধান!
কিছু ভালো লাগা, মন্দ লাগা আর প্রতিজ্ঞা নিয়েই বন্ধুত্ব,
আত্মত্যাগের মহিমায় প্রস্ফুটিত হয়ে ওঠে তার মহত্ব।
অনন্তকাল ধরেও যদি আমায় অপেক্ষায় রাখ তুমি,
এক মুহুর্তের জন্যও তোমায় ভুলতে পারবোনা আমি।
জীবনের শেষ প্রান্তে গিয়ে যখন থমকে যাবে সময়,
তখনও ভুলতে পারবোনা আমি বন্ধু শুধু তোমায়!
ভুল বুঝো না আমায়
হাসো! হাসো না কেন? আমিই তো হাসির পাত্র!
যত খুশি হেসে ছুড়ে ফেলে দিও যত্র-তত্র!
যেথায় খুশি ফেলে দিও, কি বা যায় আসে তাতে?
আর আমি বিরক্ত করবনা দিনে কিংবা রাতে।
মানুষ হিসাবে যেটুকু ছিল প্রাপ্প মুল্যায়ন-
অনেক পেয়েছি, তাতেই আমার ভরে গেছে দুনয়ন!
কি নির্বধ আমি! অধিকারের সীমা করে অতিক্রম-
কি পেলাম আমি? পরিশেষে হল আমার মতিভ্রম!
ভুলেই গেছিলাম, চাওয়া-পাওয়া কিছু থাকতে নেই আমার,
তাই তো মাত্রা ছাড়িয়ে চলে গিয়েছি বারংবার!
“কি বলছো! এতে আমার হয়ে কিছু বদনাম?
হাসালে! আমার ছিল এক্টা কাগজের থেকেও কমদাম!”
ভুল! ভুল! কিছুই যে আমি বুঝতে পারিনি তখন,
বড় দেরি হয়ে গেল, ভুল্টা বুঝতে পারলাম যখন!
না না! ভয় নেই! আজ এর কাউকে দোষ দেব না আমি,
কতখানি কষ্ট পেয়েছি তা হানি আমি এর অন্তর্যামি!
কি হল? হাসছো না? আমি তো রয়েছি বহুদূরে,
ভয় নেই! তোমাদের জ্বালাতে আমি আসবনা এর ফিরে!
এক্টু তো হাসো! যাবার আগে দেখি তোমের হাসি মুখ,
আমার কপালে হয়ত তা জমা রবে হয়ে কিছুটা শুখ!
খুব ভাল লাগ্লো যখন জান্লাম তুমিও নও ব্যতিক্রম,
আগেই যদি বুঝতাম তবে হয়ত হত না এই বৃথাশ্রম!
দাড়াও, এক্টু হেসে নেই! এটুকু সময় তো অন্তত দেবে?
আমি কষ্ট পাই না পাই, তুমি তো নিশ্চই আনন্দ পাবে!
আজ বুঝলাম আমি আমার সীমা করেছিলাম লঙ্ঘন,
তাই তো চলে যাচ্ছি ছিন্ন করে সকল বাঁধন!
ভেবনা! আজ এর আমার মনে জমা নেই কোন ক্ষোভ,
কন পরিতাপ নেই, দুঃখ নেই, এর নেই কোন লোভ! অনেক চেষ্টা করেও যখন বঝাতে পারলাম না তোমায়, এক্টু এক্টু করে তখন পার হয়ে গিয়েছে সময়! পোড়া কপাল! হতভাগা আমি! বুঝতে পারিনি কিছুই, অহেতুক আস্ফালন করে করে কষ্ট দিয়েছি শুধুই! তাও ভাল, দেরি হলেও ভেঙ্গে গেছে আমার ভুল, কি আসে যায়, কন্টা হল অনুকূল অথবা প্রতিকূল? আজ কেন পরছে মনে তোমার কথা ক্ষনে ক্ষনে? এতটুকু জায়গা যখন করতে পারলাম না তোমার মনে! দেখ তো কান্ড! শুধু শুধু সময় করছি নষ্ট- ব্যবধানের দেয়াল গড়ে উঠেছে দেখতে পেলাম স্পষ্ট! একদিন আমি ঘুমিয়ে যাব উঠব না আর জেগে, ভালই হবে, তখন তুমি মুখ কালো করবেনা রেগে! অনেক বেশি চেয়েছিলাম সীমা গিয়েছিলাম ছাড়িয়ে, আজ তাই চলে যাচ্ছি তোমার জীবন থেকে হারিয়ে! বিদায় কালে এক্টা কথা বলে দিতে চাই তোমায়, শেষ অনুরোধ টা রেখ, ভুল বুঝ না আমায়!
মেঘ তোমাকে নিয়ে লিখতে চাই
‘মেঘ’ নামে কবিতা লিখেছি
এইত কিছুদিন আগে,
মাঝে মাঝে কবিতা লিখতে
বেশ ভালই তো লাগে।
ক্লাসের মাঝে কবিতাটা আমি
দিলাম বন্ধুর হাতে,
কেউ আবার জানতে চাইল,
‘কি লিখেছিস ওতে?’
লেখাটুকু পড়া হলে পরে
বন্ধু আমাকে শুধায়,
‘লেখার মধ্যে কেমন যেন
দুখী লাগলো তোমায়?’
আমি বলি, ‘হঠাৎ কেন
এরূপ মনে হল তোমার?
সত্যি বলছি এখন আর
কোন দুঃখ নেই আমার’।
অতীতে আমি করেছিলাম
ভীষণ একটা ভুল,
চড়া মুল্যে আজো দিচ্ছি
সেই ভুলের মাশুল।
কি হয়েছিল যদিও তোমারা
সকলেই তা জানো,
এরপরও দু’একটা কথা
বলছি তবে শোনো।
বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়ে
করে ফেলেছিলাম পাপ,
বিবেককে আজ দংশন করে
সেই মহা অভিশাপ।
শুধুই বন্ধু হতে চেয়েছিলাম
স্বার্থ ছিলনা কোন,
সে তো ভেবেছিল, আমি এক
প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলাম যেন!
মিথ্যার আড়ালে বাস করে সে
নিদারুণ স্বার্থপর,
স্বার্থের মোহে আজ সে
আপনকেই করেছে পর।
একদিন যাকে না দেখলে
কিছুই লাগতোনা ভাল,
আজ আমার তাকে দেখলেই
মুখ হয়ে যায় কালো।
বন্ধুত্বের মধুর সম্পর্ক সে
করেছে কলঙ্কিত,
বিষাক্ত ছোবলে সে করেছে
বন্ধুত্ব প্রশমিত।
ছদ্মবেশের আড়ালে সে
খুঁজে নিয়েছে স্বজন,
আমাদের মাঝে তৈরি করেছে
দূরত্ব হাজার যোজন।
কত দক্ষতায় করেছে সে
হিসাব লাভ আর ক্ষতি,
সে কি ভেবেছে তাকে ছাড়া
নাই আমাদের গতি?
সে ভেবেছে করে ফেলেছে
দারুণ বাজিমাত,
নিজের কাজে একদিন সে
হবেই কুপোকাত।
বহুদিন থেকে সে আমাকে
দিয়ে এসেছে ধোঁকা,
তখন বুঝিনি, আজ বুঝেছি
আমিএ ছিলাম বোকা।
তোরা ভেবেছিস হয়ত আমি
কিছুটা বদলে গিয়েছি,
আগেও যেমন ছিলাম আমি
এখনও তেমনি আছি!
জীবনে যখন ঘনিয়ে এল
দুঃখের কালো রাত,
তোরাই তখন বাড়িয়ে দিলি
বন্ধুত্বের সেই হাত।
বর্তমানকে সাথে করে
অতীত গিয়েছি ভুলে,
মনে করতে চাই না কিছু,
এত ভাবলে কি আর চলে?
উলটা-পালটা প্যাঁচাল পেড়ে
নষ্ট করলাম সময়,
লেখাটা পড়া হলে পরে
মারবি না তো আমায়?
আমাকে তোরা বন্ধু করে
তোদের কাছেই রাখিস,
তোরাই আমার বন্ধু ছিলি
তোরাই বন্ধু থাকিস।
এখন ভালোবাসি তোমায়
কালো মেঘ ছেয়ে গেছে
নীল আকাশটা জুড়ে,
আঁধার যেন গ্রাস করেছে
শূন্যের বুকটা ছিঁড়ে।
নিস্তব্ধ হয়েছে কেন
বিষন্ন এই পৃথিবী?
কেন আজ হারিয়েছে
তার মাধুর্য সবই?
বাতাস যেন ভুলেছে তার
অবিরাম পথ চলা,
কঠোর হাতে কে করছে
এই নিষ্ঠুর লীলাখেলা?
ক্লান্ত পথিক হেঁটে যেতে
বিমর্ষ চোখে চায়-
একটু আশার আলো যদি
কোথাও খুঁজে পায়!
থেমে গেছে কেন আজ
পাখিদের কলরব?
আকাশ কেন হয়েছে আজ
কেবলি নিশ্চুপ নীরব?
পথিক ভাবে হঠাৎ আজ
কে করলো দ্রোহ?
উত্তর না পেয়ে তার
ভেঙ্গে গিয়েছে মোহ।
নিরব রাস্তা একাকী রয়
এতটুকু নাই প্রাণ-
দেখে তাই পথিকের মন
করে ওঠে আনচান।
সূর্য্য অভিমান করে কেন
লুকিয়ে ফেলেছে মুখ?
কিসের এত ব্যথা বেদনা,
কিসের এত দুখ?
চলতে চায় না যে আর
থমকে গিয়েছে সময়,
বারবার কেন যেন
মনে পড়ছে সময়!
মনের আকাশেও আজ তাই
কালো মেঘ গেছে ছেয়ে,
শূন্য হৃদয় হাহাকার করে
শুধু তোমায় না পেয়ে…
মন বলে একবার তোমায় দেখতে পাই যদি
অবাক হবার মতই ব্যাপার
ছিলাম মোরা অচেনা,
কেমন করে হল মোদের
এমন জানা শোনা?
কোন এক শুভক্ষণে
পেলাম তোমার ঠিকানা,
আমার মনের তৈরি হল
তোমার জন্য আস্তানা।
বিস্ময়ের সব ঘোর কাঁটিয়ে
লিখলাম তোমায় চিঠি,
তোমার পত্র হাতে পেলেই
আবদ্ধ হয় দিঠি।
এরপর থেকে হয়েছি যে
বন্ধুত্বের বাঁধনে বন্দী,
প্রত্যেক মাসেই পত্র লিখি
চলে আপস সন্ধি!
সত্যিই বলছি তুমি আমার
মন নিয়েছ কেড়ে।
ভীষণ কষ্ট পাবো যদি
যাও আমার ছেড়ে।
মন বলে একবার তোমায়
দেখতে পাই যদি,
তোমার সাথে মিলবে কি
আমার মনে আঁকা ছবি?
অবশেষে করতে পারলাম
তোমার সাথে দেখা,
তোমার কাছে পাঁঠানো পত্র
সার্থক হয়েছে লেখা।
নির্জনতার মাঝেই আমি নিজেকে খুঁজে পাই
রাত্রি যখন নিঝুম হয়
নিস্তব্ধ হয় পৃথিবী,
ঘুমিয়ে পড়েছে সকল কিছু
নিশ্চুপ রয়েছে সবই।
মাঝে মাঝে নিস্তব্ধতা ভাঙ্গে
ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাকে,
বাঁকা চাঁক উঁকি মারে
মেঘের ভেলার ফাঁকে।
বনের মধ্যে চলছে যখন
আলো আঁধারির খেলা,
আকাশজুড়ে বসেছে তখন
সহস্র তারার মেলা।
রূপালী জোছনা প্লাবিত করেছে
সুপ্ত এই প্রকৃতিকে,
তারার আলো সাজিয়ে দিয়েছে
রাতের নিস্তব্ধতাকে।
এরই সাথে যুক্ত হয়েছে
ক্ষুদ্র জোনাকীর আলো,
কে বলবে আঁধারের রূপ
লাগে বড় কালো?
নিশাচর পশুরা বেরিয়ে পড়েছে
খাবারের সন্ধানে,
নদীর পানি ফুলে উঠেছে
জোয়ারের প্লাবনে।
বাতাস যখন বয়ে চলে
বনের ভিতর দিয়ে,
বনের বৃক্ষ শামিল হয়
মর্মর ধ্বনি দিয়ে।
এরই মাঝে একাকী আমি
উদ্দেশ্যহীন হেঁটে যাই,
নির্জনতার মাঝেই আমি
নিজেকেই খুঁজে পাই।
তোমার কোথায় যে মনে পরে
শ্রাবনে ঝর ঝর বর্ষা নামে,
মাঠ ঘাট ভেসে জায় জলে,
ঝিলের শাপলারা সব হেসে ওঠে,
তখন তোমার কথাই যে মনে পড়ে!
গ্রীষ্মের খরাতপ্ত উদাস দুপুরে,
একাকী পান্থ হেঁটে যায় দূরে,
বিস্তীর্ন দিগন্তে পাখিরা যায় উড়ে,
তখন তোমার কথাই যে মনে পড়ে!
একদিন সন ধ্বংস হবে লয়ে,
অশান্ত বিশ্ব আসবে শান্ত হয়ে,
সমূদ্র নাচবে ঢেউ এর প্রলয়ে,
তখন তোমার কথাই যে মনে পড়ে!
ফসলের মাঠে বাতাস বয়ে চলে,
গাছগুলো সব একাধারে হেলে পড়ে,
অবসন্ন কৃষক মাঠে থাকে বসে,
তখন তোমার কথাই যে মনে পড়ে!
শীতের ঢেকে যাওয়া কুয়াশার চাদরে,
ঠান্ডা হিমেল বাতাসের পরশে,
প্রকৃতি মেতে ওঠে উৎসব পার্বণে,
তখন তোমার কথাই যে মনে পড়ে!
প্রকৃতিতে যখন মোহনীয় বসন্ত আসে,
চারিদিক শোভিত হয় ফুলের সৌরভে,
মৌমাছিরা ফুলে মধু খুঁজে ফেরে,
তখন তোমার কথাই যে মনে পড়ে!
পূর্ব দিগন্তে যখন সূর্য্য ওঠে হেসে,
গাছে গাছে পাখিরা মাতে কূজনে,
প্রকৃতি সজ্জিত হয় অপূর্ব সাজে,
তখন তোমার কথাই যে মনে পড়ে!
হৃদয় যখন হয়ে ওঠে অশান্ত,
তোমার স্মৃতি মনকে করে শান্ত,
রাত্রি যখন আসে চুপিসারে,
তখন তোমার কথাই যে মনে পড়ে!
রঙের পসরা নিয়ে রংধনু ওঠে,
হৃদয় মাতে যখন আপন খেয়ালে,
ভরে যায় সব বর্ণিল ছবিতে,
তখন তোমার কথাই যে মনে পড়ে!
মন উদাস হয় বাঁশির করুণ সুরে,
বারবার মনে হয় নও তুমি দূরে,
যখন এলে তুমি এই মনের গভীরে,
তখন তোমার কথাই যে মনে পড়ে!
আমায় খুঁজে পাবে না
আমাকে দূরে চলে যেতে হবে, দূরে অনেক দূরে;
এই লোকালয় থেকে নির্জনে অজানা কোন অন্তপুরে!
যেখানে কেউ কোন ভাবেই পাবে না আমার দেখা,
যেখানের দিন ক্ষন তারিখ কিছুই রবে না লেখা!
জানি না আমি এমন জায়গার মিল্বে কি সন্ধান?
যদি পেতাম তাহলে অবিলম্বেই করতাম প্রস্থান!
এমন জায়গা যেটা কিনা হবে সমুদ্রের কাছাকাছি,
যেখানে আকাশ ছুঁয়েছে মাটিকে পানির পাশাপাশি!
বাতাসে দোলা যেথা আনে পাতায় পাতায় আলোড়ন,
আমি একা সেই সব দৃশ্য করতে চাই অবলোকন!
মর্মর ধ্বনি যেথা মনে এনে দেবে এক চাঞ্চলতা,
সমুদ্রের সাথে যেথা হবে আকাশের কথকতা!
পাখিরা উড়ে যাবে যেথা শুন্যে রঙ্গিন ডানা মেলে,
সেখানেই যেতে চাই আমি সবকিছুকে পিছনে ফেলে।
যেখানে থাকবে না কোন দুঃখ হতাশার দৈন্য দশা,
থাকবে না কোন জরা, ব্যাধি, শোক আর নিরাশা!
একা একা থাকবো, যেখানে কেউ পাবে না খুঁজে,
যেথায় থাকতে হবে না আমার দুঃখে মুখটি গুজে!
তাইত আমাকে চলে যেতে হবে দূরে, অনেক দূরে-
যেখানে তুমি পাবে না আমায় সারা পৃথিবী ঘুরে
অতুলনীয় তুমি
তোমার চেয়ে কোন কিছুই বেশী দামী নয় ভাই-
তোমার সাথে কেউ তুলনীয় নয় যে তাই!
তুমি একই রকম আছো, আমাদের হৃদয়ে সর্বদা.
কোন ভাষা দিয়েই বর্ণিতে পারিনা তোমার কথা।
যখন তুমি জড়িয়ে ধর আমায় তোমার আলিঙ্গনে,
সেইসব কথা মিশে আছে মনের স্মৃতির প্রাঙ্গনে।
আমাদের সাথে তুমি নাই ভাবতেই পারি না এ কথা,
তোমার ভাস্বর স্মৃতি নিয়ে বুকে জমে আছে কত ব্যথা।
আমার জীবনে তুমি হয়ে আছ অমূল্য যে সম্পদ-
তোমার মুখের দিকে তাকায়ে লড়তে পারি সব বিপদ।
অতুলনীয় তুমি, সকলের চাইতে অসাধারণ সুনিশ্চয়,
হতেই হবে! আমার ভাই যে! তাইতো সকলে কয়।
কুমার জীবন
একজন পুরুষের জীবনে রয়ে গেছে কিছু ভাগ,
যার মধ্যে কোনটার জন্য মনে থাকে অনুরাগ!
যখন সেটা পার হয়ে যায়, মনে থাকে কষ্ট;
কভু ফেরানো যাবে না সেটা, তা তো সুস্পষ্ট!
মাত্র একবারই জীবনে আসে সেই সুবর্ণ সময়,
কুমার জীবনই সেটা, যদি কেউ তার নাগাল পায়!
এটা সেই জীবন যেথা মানুষ পায় কিছু উত্তালতা,
এটাই সেই সময় যখন সে পায় ‘না’ বলার স্বাধীনতা।
কুমার জীবন উপভোগ্য কিন্তু যে ভোগ করতে পারে,
বিয়ের পরে যা হারিয়ে যেতে পারে কিন্তু চিরতরে!
জীবনের সুবর্ণ সময়গুলো তো আসে না বারবার,
তাই চেষ্টা কর এর পরিপূর্ণ সদ্ব্যবহার করার!
বৈবাহিক জীবনে অনেক সময় এসে যায় জটিলতা,
নিজের দিকে নজর দেবার তখন আর সময় কোথা?
অনেক ছেলেই আগে ভাগে বুঝতে পারে না এটা,
বুঝে তখনই যখন জটিল আকার ধারণ করে সেটা!
বিয়ের পরে একটা ছেলের জীবনে আসে পরিবর্তন,
কিন্তু সেটা সে বোঝে না যখন সময়ের হয় সংক্ষেপন!
নিজের আবেগ অনুভুতিগুলোর দিও না অকাল সমাধি,
মুল্যায়ন করতে শেখ কুমার জীবনের সংক্ষিপ্ত কালবিধি।
পুরোনো চিঠি
বাসার গেটে এসে থামলো
নীল রঙের একটা গাড়ী,
দেরী হয়নি মোটেও
আসতে তার বাড়ী!
একজন মানুষ নেলে এল
হাতে ব্যাগের বোঝা,
মাঝবয়সী মানুষ উনি,
দেখতে সরল সোজা!
ধীর পায়ে হেটে চলেন
সামনে বন্ধ দুয়ার-
নিঃশব্দে এগিয়ে যান,
লোক আসবে খোলার।
মৃদু চাপে উনি যখন
বাজিয়ে দিলেন ঘন্টা,
রহস্যময় এক ঘটনা
যা চঞ্চল করবে মনটা!
বয়স্কা এক মহিলে বলেন,
‘কে আছে ওখানে?’
লোকটা তখন বলে ওঠে,
‘মা! আমিই দাঁড়িয়ে এখানে’।
আনন্দের আতিশয্যে মা তখন
হয়ে যান বোকা,
খুশি হয়ে বলে ওঠেন,
‘আয় রে আমার খোকা!
অশ্রুসজল নয়নে মা বলে,
‘এতদিন পর এলি খোকা?
এতদিন কোথায় ছিলি তুই?
দিয়ে আমায় ধোঁকা?’
মাকে জড়িয়ে ধরে লোকটি,
কপালে দেয় চুম!
‘তোমাকে ছেড়ে মা আমার
চোখে ছিলনা ঘুম’।
‘বাবা, রিশ্রাম নে’।
মা ওঠেন বলে,
ঠিক যেন ছোট্ট পাখি
সাঝেঁ নীড়ে ফেরে।
গোসল সেরে উনি
হয়ে ওঠেন সতেজ,
সারা বাড়ীজুড়ে যেন
ফুলের সুরভী আমেজ!
এরপর উনি যখন
সেরে ওঠেন প্রার্থনা,
মা তখন নিয়ে আসেন
খাবার ভর্তি খাঞ্ছা।
মা তো বানিয়েছেন
অনেক রকম খাদ্য,
অতুলনীয় সেগুলো যে
সবকিছুই অনবদ্য!
মা বলেন, ‘২০ বছর আগের
চিঠি একটা আছে পুরান,
তুই হয়ত বুঝবি,
জানবি কার নাম’।
‘বহু বছর হয়ে গেল
যখন আমি গেলাম,
অনেক বছর পার করে
ঠিকি ফিরে এলাম’।
‘ঠিক’, মা বললেন
দিয়ে একটু হাসি।
‘চিঠি টা দাও তো,
খুলে তবে দেখি!’
হলুদ খামে মোড়া চিঠি
লেখাগুলো ঝাপ্সা-
মনে পড়ছে না কিছু
ক্লান্তিতে সব আবসা!
বালিসে হেলান দিয়ে ওটা
চেষ্টা করেন দেখা-
লেখা দেখে মনে হয় যেন
কোন কাঁচা হাতের লেখা!
ভাল করে দেখার পরেও
ঠাহর হল না কিছুই,
স্মৃতির পাতা হাতড়ে গিয়ে
হতাশ হলেন শুধুই!
এক ঝটকা আলোর মত
কি যেন এল মনে,
দুঃখে ছেয়ে গেল মুখ
চিঠির পানে চেয়ে।
কেউ তো জানে না
কি ছিল লেখা,
জানে শুধুই সে-
যে পেয়েছে দেখা।
এরপর যে কি হল
তা নেই কারো জানা,
কবিতায় যে সব কথা
বলতে আছে মানা।
তোমার তরে হাসিমুখে
একদিন দেখেছিলাম সুন্দর এক স্বপ্ন,
নদীর তীরে আমরা বসেছিলাম মগ্ন!
যখন তুমি ধরেছিলে আমার হাত-
পুষ্পসম প্রস্ফুটিত হয়েছিল প্রভাত!
কানে কানে বলেছিলে চুপি চুপি-
মৃদু বাতাস করেনি কোন কারচুপি!
আমার হৃদয়ে লেগেছিল এক সাড়া-
তুমিই আমার অন্তরে দিয়েছিলে নাড়া!
তোমার জন্য ফুল তুলতে চাইলাম একটি,
তখন শুরু হয়ে গেল মুশল ধারে বৃষ্টি!
আমি তোমাকে বলেছিলাম, ‘এস প্রিয়তম!’
লজ্জা পেয়ে তুমি হয়েছিলে অবনত!
আমার জীবনে তুমি দিয়ে দিয়েছো দোলা
আমার জীবনে যদিও ছিল কত ঝামেলা!
তোমাকে কত ভালবাসি, এটা রেখ স্মরণ,
তোমার তরে হাসিমুখে মৃত্যু করবো বরণ।
আশা করছি আমাদের এই কবিতার বিশাল কালেকশনটি আপনার ভালো লেগেছে ? ভালো লাগলে নিজের প্রিয়জন আর বন্ধুদের সঙ্গে শেয়রকরতে ভুলবেন না। ..
ভালো থাকুন, কবিতায় থাকুন,…..
Thank You, Visit Again…
Tags – Bangla Kobita, Bengali poem, Love poem