ঈদ নিয়ে কবিতা ২০২৩ – Eid Niye Kobita (ঈদের চাঁদ, আনন্দ, ছন্দ কবিতা)
কোরবানির ঈদ নিয়ে চারিদিকে আনন্দের কোন শেষ নেই। কেনাকাটা থেকে হৈ হুল্লোড় চলছে
পুরোদমে। এই আনন্দ উৎসবের মাঝে বাংলা কবিতা থাকবে না, তা কি হয় ?
পুরোদমে। এই আনন্দ উৎসবের মাঝে বাংলা কবিতা থাকবে না, তা কি হয় ?
তাই আপনার এই আনন্দ উৎসবের মাত্রা আরেকটু বাড়িয়ে দিতে আপনার জন্য রইলো কোরবানি ঈদ
উপলক্ষে বিশেষ কিছু কবিতা।
উপলক্ষে বিশেষ কিছু কবিতা।
কোরবানির ঈদ নিয়ে কবিতা
Loading...
ঈদ মোবারক
***************************
ঈদ আসছে বছর ঘুরে
সবার মনে খুশির জোয়ার।
সব শিশুরাই আনন্দে আছে
নতুন পোশাকে সাজের বাহার।।
ধনী গরীব সবারই ঈদ
সামর্থ্য অনুযায়ী পালন করে।
সবার সাথে একে অপরে
শুভেচ্ছা আদাব বিনিময় করে।।
আল্লাহ রহমানের নিকট সবে
সুখে থাকার দোয়া চায়।
ঈদের দিনে নেই ভেদাভেদ
বৈষম্য সকলে ভুলে যায়।।
ঈদের এই খুশির দিনে
সবাই যেন থাকে সুখে।
ঈদ মোবারক সবার প্রতি
সুস্থ্য ভাবে থাকুন প্রত্যেকে।।
আরো পড়ুন,
ঈদের চাঁদ কবিতা
এক ফালিচাঁদ উঠে
নিয়ে এলো ঈদ
রাতভর তাই চোখে
ছিলনাতো নিদ ।
ছোট বড় তাই আজ
নেই রেষারেষি
মিলেমিশে থাকি সব
পাড়া প্রতিবেশী ।
হাসি ☺ গান ♩ নিয়ে
থাকি শুধু আজ
ছুটি আজ খুশি ☺ লুটি
নেই কোনো কাজ ।
এই ঈদ নিয়ে এলো
প্রেম প্রীতি ডোর
মলিনতা দুর করে
নয়া এক ভোর ।
ঈদ আনন্দ কবিতা
ঈদ এবং টাকা
ঈদের মানে আনন্দ
সবাই জানে ভাই,
সবাই জানে ভাই,
আনন্দ টা কার জন্য জানা
থাকা চাই ।
থাকা চাই ।
সাধ আর
সাধ্যের ঘটে যদি সমহ্নয়,
সাধ্যের ঘটে যদি সমহ্নয়,
তবেই তো সকলের
আ-ন-ন্দ টা হয় ।
আ-ন-ন্দ টা হয় ।
ঈদ এসেছে খুব নিকটে রুজি-রোজগার নাই,
ছোট্ট ছেলের বায়না আছে ক্যামনে তা’ মিটাই ।
মনটা তাই তো খুব বিষহ্ন কি করি
উপায়,
উপায়,
ছেলে খুশী ক্যামনে রাখি আমি
নি-রু-পা-য় ।
নি-রু-পা-য় ।
ঈদ মানে – তো আনন্দ টাকা
থাকা চাই,
থাকা চাই,
তবে ই ঈদের সার্থকথা কোনো
চিন্তা নাই ।
চিন্তা নাই ।
টাকা ছাড়া ঈদ আনন্দ হয় কি কভু
কারও,
কারও,
টাকা দিয়েও সবহয়না,তাই নীতি-কথা ছাড়ও ।
সন্তান যখন চেয়ে থাকে ঈদ
আ-ন-ন্দ চায়,
আ-ন-ন্দ চায়,
“মা” তখনই শান্তনা দেয় আনবে তোর
বাবায় ।
বাবায় ।
বাবা যখন শুন্য হাতে
ফিরে আসে বাড়ি,
ফিরে আসে বাড়ি,
সন্তানের মুখ গুমরো থাকে বাবার সাথে আড়ি
।
।
টাকা ছাড়া হয়না রে ‘ঈদ’ হয়না
ঈদের খুশী,
ঈদের খুশী,
টাকা ছাড়া কেউ খুশী নয় খুশী নয়,মাসি-পিসি
।
।
বাবা তখন ‘গুমরে’ কাঁদে সয়না
ক-লি-জা-য়,
ক-লি-জা-য়,
টাকা – ঈদে খুশী থাকুক স-ক-ল
“মা-বাবায়”।
“মা-বাবায়”।
।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
গরীবের ঈদ কবিতা
এতিম ছেলের ঈদ
এইতো কদিন বাদেই হবে
কোরবানির ঈদ,
এই ভেবে টোকাই কালুর
চোখে নাইরে নিদ।
চিন্তার ভাঁজ কপালে তার
দিন গুণে গুণে,
নতুন পোশাক পরবে কালু
ভাবছে মনে মনে।
ভাবছে কালু কি লাভ হবে
মিছে স্বপ্ন বুনে?
নতুন প্যান্ট নতুন জামা
কে দেবে তার কিনে।
যাহার আছে পিতা মাতা
যাহার আছে মামা,
হয়তো তারা কিনবে এবার
নতুন প্যান্ট জামা।
আমার কোনো পিতা মাতা
মামা খালু নাই,
এবার ঈদে নতুন পোশাক
কাহার কাছে চাই?
থাকগে থাক যাগগে যাক
পোশাক নাইবা হোক,
ছেঁড়া জামায় পড়বো নামাজ
মন্দ বলুক লোক।
কোর্মা পোলাও খাওয়া হলে
যেটুকু খাবার বাঁচে,
ফেলে না দিয়ে খাবার
আমায় দিও শেষে।
এতিম আমি এই কপালে
লেখা হলো চোখের জলে
এই অভাগার ভাগ্য,
কেমন করে হবো বলো?
আমি সবার যোগ্য।
কোরবানি ঈদের কবিতা
কোরবানি ঈদ
দারুণ খবর টাটকা জবর
এক ফোঁটা নয় বাসি,
কারও নজর গরুর দিকে
কেউবা খোঁজেন খাসি |
কেউবা আবার ভোর না হতেই
দিচ্ছে জোরে ছুট,
কোথায় খুঁজে যাবে পাওয়া
আরব দেশের উট |
কদিন আগেও ছিল যেটা
সবার খেলার মাঠ,
রাতারাতি পাল্টে হলো
বিরাট পশুর হাট |
চতুর্দিকে এসব কথা
কদিন ধরেই শুনি ,
কারণ হলো ঈদ এসেছে
ত্যাগের এ কোরবানি |
ঈদের বিখ্যাত কবিতা
ঈদ আনন্দ
–
হাফেজ রফিকুল ইসলাম
হাফেজ রফিকুল ইসলাম
======================
ঈদ এসেছে ঈদ এসেছে
লাগছে মনে খুশি,
পেট পুরে খাবো গোস্তো
গরু কিনবো দেশি।
আত্মীয় বাড়ি বেড়াতে গিয়ে
খাবার খাবো বেশি,
গরুর গোস্তো না হয়ে
যদিও হয় খাসি।
ছাড় নেই যে খাবারের সময়
পরলে একটু কম,
চেয়ে খাবো তাদের কাছে
করতে হয় না সরম।
সরমে ভাই ব্যারাম বাড়ে
পেট থেকে যায় খালি,
লজ্জা ভরা দুলা পেলে
হাসবে যে শালা-শালি।
লজ্জা ছেড়ে ঈদুল আযহা
হাসি-খুশিতে কাটাও সবে,
গরিব দুঃখীর মাঝে গোস্তো
সঠিক ভাবে বিলাবে।
মাপ ঝোপেতে কম করিয়া
করিওনা বড় ভুল,
এতো আশার কুরবানি কিন্তু
খোদা করবে না কবুল।
আরো পড়ুন,