শুভ নববর্ষের গল্প – পহেলা বৈশাখের গল্প 1430 – Noboborsho Bangla
Golpo
শুভ নববর্ষের গল্প
শখ করে একটা নতুন মোবাইল কিনেই ফেললেন প্রসাদ কর্মকার। বাড়িতে স্ত্রী ছেলে
পুত্রবধূ নাতি সবাই বারবার জোর করেছে প্রসাদবাবুকে একটা স্মার্টফোন কেনার জন্য।
এতদিন গড়িমসি করছিলেন, কিন্তু এবার একরকম পরিবারের কাছে হার মেনে একটা
স্মার্টফোন কিনতেই হল। প্রসাদবাবুর এইসব আধুনিক প্রযুক্তিকে বেশ ভয়। তাই
ব্যাপারটা ঠেকিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু বাংলা নববর্ষের দিনে এবার ফোনটা কিনেই
নিলেন। ফোনটা কিনে শো-রুমের রিপ্রেজেন্টেটিভ ছেলেটির কাছ থেকে ভালো করে সব বুঝে
নিচ্ছেন এমন সময় পেছন থেকে একটা ডাক কানে এল, ‘আরে প্রসাদ না?’
পুত্রবধূ নাতি সবাই বারবার জোর করেছে প্রসাদবাবুকে একটা স্মার্টফোন কেনার জন্য।
এতদিন গড়িমসি করছিলেন, কিন্তু এবার একরকম পরিবারের কাছে হার মেনে একটা
স্মার্টফোন কিনতেই হল। প্রসাদবাবুর এইসব আধুনিক প্রযুক্তিকে বেশ ভয়। তাই
ব্যাপারটা ঠেকিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু বাংলা নববর্ষের দিনে এবার ফোনটা কিনেই
নিলেন। ফোনটা কিনে শো-রুমের রিপ্রেজেন্টেটিভ ছেলেটির কাছ থেকে ভালো করে সব বুঝে
নিচ্ছেন এমন সময় পেছন থেকে একটা ডাক কানে এল, ‘আরে প্রসাদ না?’
প্রসাদবাবু পিছন ফিরে প্রায় তারই বয়সী এক ভদ্রলোককে দেখতে পেলেন। প্রথমটা ঠিক
চিনতে পারলেন না তারপরই স্মৃতির পাতায় বিদ্যুৎ ঝলক দিয়ে গেল আর তার দিকে
একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা ভদ্রলোকের মুখের দিকে তাকিয়ে সারা মুখ ছড়ানো একটা হাসি
হেসে প্রসাদবাবু বলে উঠলেন, ‘আরে অজিত না? আরে অজিত যে। আমি তো নিজের চোখকেই
বিশ্বাস করতে পারছি না। তুমি এখানে?’
চিনতে পারলেন না তারপরই স্মৃতির পাতায় বিদ্যুৎ ঝলক দিয়ে গেল আর তার দিকে
একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা ভদ্রলোকের মুখের দিকে তাকিয়ে সারা মুখ ছড়ানো একটা হাসি
হেসে প্রসাদবাবু বলে উঠলেন, ‘আরে অজিত না? আরে অজিত যে। আমি তো নিজের চোখকেই
বিশ্বাস করতে পারছি না। তুমি এখানে?’
অজিত সান্যাল-ও একমুখ হাসি হেসে এগিয়ে এসে বললেন, ‘যাক চিনতে পেরেছ তাহলে। এখনও
মনে রেখেছ দেখছি’।
মনে রেখেছ দেখছি’।
শুভ নববর্ষ গল্প
প্রসাদবাবুও উত্তর দিলেন, ‘কি যে বল অজিত। তোমাকে ভুলে যাব? সবসময় তোমার কথা
মনে পড়ত। বেলতলার সেই ভাড়া বাড়িতে কত স্মৃতি বলত আমাদের। আমাদের দুই পরিবারের
একসাথে এই শহরে শিকর তৈরির চেষ্টা। ঐ কটা বছর আমরা একসাথে কিভাবে কাটিয়েছি ভুলে
যাব? কত বছর বাদে আবার দেখা হল। প্রায় পঁচিশ বছর বাদে। তাও কিন্তু কেউ কাউকে
চিনতে ভুল করিনি’।
মনে পড়ত। বেলতলার সেই ভাড়া বাড়িতে কত স্মৃতি বলত আমাদের। আমাদের দুই পরিবারের
একসাথে এই শহরে শিকর তৈরির চেষ্টা। ঐ কটা বছর আমরা একসাথে কিভাবে কাটিয়েছি ভুলে
যাব? কত বছর বাদে আবার দেখা হল। প্রায় পঁচিশ বছর বাদে। তাও কিন্তু কেউ কাউকে
চিনতে ভুল করিনি’।
অজিতবাবুও একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন, ‘কত স্মৃতি জমে রয়েছে বল তো। তোমার
সঙ্গে এর আগে আমার শেষ দেখাও কিন্তু এক নববর্ষের সকালে। মনে পড়ে?’
সঙ্গে এর আগে আমার শেষ দেখাও কিন্তু এক নববর্ষের সকালে। মনে পড়ে?’
আরো পড়ুন,
এবারে মুখটা একটু গোমড়া হয়ে গেল প্রসাদবাবুর, ‘তা আর মনে পড়বে না? কি যে বল।
নববর্ষের ঠিক আগের সপ্তাহে বৌদি চলে গেল। তুমি তখন ঐ দুধের শিশুকে নিয়ে একা।
আমরা সবাই বললাম তুমি আমাদের সাথে থাক। কিন্তু তুমি কোনও কথাই শুনলে না। সেই
নববর্ষের সকালেই ভাড়া বাড়ি ছেড়ে মেয়েকে নিয়ে চলে গেলে। কোথায় গেলে কিছুই আর
জানতে পারলাম না। আর তারপর তোমার সঙ্গে আজ আবার এখানে এভাবে দেখা’।
নববর্ষের ঠিক আগের সপ্তাহে বৌদি চলে গেল। তুমি তখন ঐ দুধের শিশুকে নিয়ে একা।
আমরা সবাই বললাম তুমি আমাদের সাথে থাক। কিন্তু তুমি কোনও কথাই শুনলে না। সেই
নববর্ষের সকালেই ভাড়া বাড়ি ছেড়ে মেয়েকে নিয়ে চলে গেলে। কোথায় গেলে কিছুই আর
জানতে পারলাম না। আর তারপর তোমার সঙ্গে আজ আবার এখানে এভাবে দেখা’।
অজিতবাবুরও সেই স্মৃতি মনে উস্কে উঠল, একটু ছলছল চোখে বললেন, ‘সুমিত্রা চলে
যাওয়ার পর ঐ বাড়িতে আর থাকতে পারছিলাম না। তোমার স্ত্রী মন্দিরা বৌদি আর
সুমিত্রা দুজনেই তো খুব বন্ধু ছিল। মনে আছে ঐ ভাড়াবাড়িতে আমরা যখন এসেছিলাম তখন
আমরা সদ্য বিবাহিত। একসাথে চারজনে ঘুরতে বেরিয়েছিলাম দীঘায়। তোমার ছেলে হওয়ার
দু’মাস পরেই আমার মেয়ে এল। কত আনন্দ করেছি আমরা একসাথে। কিন্তু সুমিত্রা যখন
মাত্র দু’দিনের জ্বরে আমাকে একদম একলা করে দিয়ে চলে গেল তখন দিগ্বিদিক জ্ঞান
শূন্য হয়ে গিয়েছিলাম। তোমাকে আর মন্দিরা বৌদিকে একসাথে দেখলে কেমন যেন ভেতর
থেকে একটা হিংসা উঠে আসছিল। আমার সুমিত্রাকেই এভাবে চলে যেতে হল? কিন্তু এটাও
ভাবলাম আমার মনের এইসব কুচিন্তায় তোমাদের না আবার কোনও অনিষ্ট হয়। তাই মেয়েকে
নিয়ে ঐ নববর্ষের দিনেই বাড়ি ছেড়ে চলে গেলাম’।
যাওয়ার পর ঐ বাড়িতে আর থাকতে পারছিলাম না। তোমার স্ত্রী মন্দিরা বৌদি আর
সুমিত্রা দুজনেই তো খুব বন্ধু ছিল। মনে আছে ঐ ভাড়াবাড়িতে আমরা যখন এসেছিলাম তখন
আমরা সদ্য বিবাহিত। একসাথে চারজনে ঘুরতে বেরিয়েছিলাম দীঘায়। তোমার ছেলে হওয়ার
দু’মাস পরেই আমার মেয়ে এল। কত আনন্দ করেছি আমরা একসাথে। কিন্তু সুমিত্রা যখন
মাত্র দু’দিনের জ্বরে আমাকে একদম একলা করে দিয়ে চলে গেল তখন দিগ্বিদিক জ্ঞান
শূন্য হয়ে গিয়েছিলাম। তোমাকে আর মন্দিরা বৌদিকে একসাথে দেখলে কেমন যেন ভেতর
থেকে একটা হিংসা উঠে আসছিল। আমার সুমিত্রাকেই এভাবে চলে যেতে হল? কিন্তু এটাও
ভাবলাম আমার মনের এইসব কুচিন্তায় তোমাদের না আবার কোনও অনিষ্ট হয়। তাই মেয়েকে
নিয়ে ঐ নববর্ষের দিনেই বাড়ি ছেড়ে চলে গেলাম’।
Noboborsho Romantic Golpo
কথার মাঝেই বাধা পড়ল যখন একটি মেয়েলি কন্ঠস্বর হঠাত করে পাশ থেকে ডেকে উঠল,
‘বাপি, আমাদের শপিং হয়ে গেছে। চল এবার বেরোই’।
‘বাপি, আমাদের শপিং হয়ে গেছে। চল এবার বেরোই’।
প্রসাদবাবু তাকিয়ে দেখলেন একটা বছর সাতাশ আঠাশের মেয়ে অজিতবাবুকে কথাগুলো বলল,
সঙ্গে একটি বছর তিরিশের সুঠাম চেহারার ছেলে’।
সঙ্গে একটি বছর তিরিশের সুঠাম চেহারার ছেলে’।
অজিতবাবু মেয়েটিকে দেখিয়ে প্রসাদবাবুকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘কি? চিনতে পারলে?
সুমনা, আমার মেয়ে। সেই নববর্ষের সকালে আড়াই বছরের এই ছোট্ট মেয়েটাকেই ঘুমন্ত
অবস্থায় কাঁধে ফেলে ঐ বেলতলার ভাড়াবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম। তারপর ওকে নিয়েই
জীবনের লড়াইটা চালিয়েছি। সুমনা এখন দিল্লীতে চাকরী করছে। আর এটি হল আমার জামাই
নয়ন, নয়ন ভাদুড়ী। দুজনেই একই অফিসে চাকরী করে। নয়নও ছোট বেলা থেকেই অনাথ। অনেক
কষ্ট করে বড় হয়েছে। মাস ছয়েক হল ওরা বিয়ে করেছে। তা দুজনকেই চাকরী সূত্রে
দিল্লীতে থাকতে হয়। আমি এখানে একা। মাসদুয়েক আগে একটা স্ট্রোক হয়ে গেছে। তা এরা
জেদ করছে আমি যেন এদের সঙ্গে দিল্লী পাড়ি দিই। তা এখানে আমারও আর কোনও পিছু টান
নেই। একটা ছোট ফ্ল্যাট করেছিলাম, সেটা একটা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে ওদের অফিস
করার জন্য দিয়ে দিলাম। ছোটখাটো কিছু কেনাকাটা ছিল সেগুলো সেরে নিলাম। আজ রাতের
ফ্লাইটেই মেয়ে-জামাইয়ের সাথে দিল্লী চলে যাচ্ছি’। তারপর মেয়ের দিকে তাকিয়ে
অজিতবাবু বললেন, ‘সুমনা, ইনি তোমার প্রসাদকাকু। তোমার জন্ম আর তোমার মায়ের
মৃত্যু বেলতলার যে ভাড়াবাড়িতে সেই বাড়িতে এই কাকুরাও ভাড়া থাকতেন। তুমি তখন খুব
ছোট, তোমার মনে না থাকারই কথা’।
সুমনা, আমার মেয়ে। সেই নববর্ষের সকালে আড়াই বছরের এই ছোট্ট মেয়েটাকেই ঘুমন্ত
অবস্থায় কাঁধে ফেলে ঐ বেলতলার ভাড়াবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম। তারপর ওকে নিয়েই
জীবনের লড়াইটা চালিয়েছি। সুমনা এখন দিল্লীতে চাকরী করছে। আর এটি হল আমার জামাই
নয়ন, নয়ন ভাদুড়ী। দুজনেই একই অফিসে চাকরী করে। নয়নও ছোট বেলা থেকেই অনাথ। অনেক
কষ্ট করে বড় হয়েছে। মাস ছয়েক হল ওরা বিয়ে করেছে। তা দুজনকেই চাকরী সূত্রে
দিল্লীতে থাকতে হয়। আমি এখানে একা। মাসদুয়েক আগে একটা স্ট্রোক হয়ে গেছে। তা এরা
জেদ করছে আমি যেন এদের সঙ্গে দিল্লী পাড়ি দিই। তা এখানে আমারও আর কোনও পিছু টান
নেই। একটা ছোট ফ্ল্যাট করেছিলাম, সেটা একটা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে ওদের অফিস
করার জন্য দিয়ে দিলাম। ছোটখাটো কিছু কেনাকাটা ছিল সেগুলো সেরে নিলাম। আজ রাতের
ফ্লাইটেই মেয়ে-জামাইয়ের সাথে দিল্লী চলে যাচ্ছি’। তারপর মেয়ের দিকে তাকিয়ে
অজিতবাবু বললেন, ‘সুমনা, ইনি তোমার প্রসাদকাকু। তোমার জন্ম আর তোমার মায়ের
মৃত্যু বেলতলার যে ভাড়াবাড়িতে সেই বাড়িতে এই কাকুরাও ভাড়া থাকতেন। তুমি তখন খুব
ছোট, তোমার মনে না থাকারই কথা’।
সুমনার সঙ্গে নয়নও এগিয়ে এসে প্রসাদবাবুকে প্রণাম করল। প্রসাদবাবু প্রসন্ন
চিত্তে দুজনকেই অনেক আশীর্বাদ করলেন।
Noboborsho In Bengali
অজিতবাবু এবার জিজ্ঞেস করলেন, ‘তা তোমার পরিবারের খবর কি? সবাই ভালো আছে তো?’
প্রসাদবাবু সম্মতিসূচক ঘাড় নেড়ে জানালেন, ‘মন্দিরা ভালোই আছে। শুধু আজকাল একটু
বাতে ধরছে। এছাড়া ছেলে-ছেলের বৌ আর নাতিকে নিয়ে বেশ চলে যাচ্ছে’।
বাতে ধরছে। এছাড়া ছেলে-ছেলের বৌ আর নাতিকে নিয়ে বেশ চলে যাচ্ছে’।
‘ভালো ভালো’, বলে প্রসাদবাবুর হাতের সদ্য কেনা স্মার্ট ফোনটা দেখে অজিতবাবু
বললেন, ‘যাক নববর্ষের দিনে নতুন প্রযুক্তিকে যে গ্রহণ করেছ সেটা দেখে ভালো
লাগল। যন্ত্রপাতিকে যে তোমার কি ভয় ছিল তা তো আমি বিলক্ষণ জানি। সামান্য একটা
রেডিওর নবগুলো পর্যন্ত ঠিকঠাক ঘোরাতে পারতে না। বারেবারে আমাকে ডাকতে, এই নিয়ে
একটা সময় মন্দিরা বৌদি আর তোমার কম ঝগড়া হয়েছে। বৌদি তো ঝগড়া করেই আমাদের ঘরে
এসে বসতেন আর সুমিত্রার সঙ্গে গল্পটল্প করে আবার ফিরে গেলে তোমার ঐ যন্ত্রভীতি
নিয়ে আমি আর সুমিত্রা খুব হাসাহাসি করতাম’।
বললেন, ‘যাক নববর্ষের দিনে নতুন প্রযুক্তিকে যে গ্রহণ করেছ সেটা দেখে ভালো
লাগল। যন্ত্রপাতিকে যে তোমার কি ভয় ছিল তা তো আমি বিলক্ষণ জানি। সামান্য একটা
রেডিওর নবগুলো পর্যন্ত ঠিকঠাক ঘোরাতে পারতে না। বারেবারে আমাকে ডাকতে, এই নিয়ে
একটা সময় মন্দিরা বৌদি আর তোমার কম ঝগড়া হয়েছে। বৌদি তো ঝগড়া করেই আমাদের ঘরে
এসে বসতেন আর সুমিত্রার সঙ্গে গল্পটল্প করে আবার ফিরে গেলে তোমার ঐ যন্ত্রভীতি
নিয়ে আমি আর সুমিত্রা খুব হাসাহাসি করতাম’।
প্রসাদবাবুও একগাল হেসে বললেন, ‘তুমি সেসব এখনও মনে রেখেছ। বৌ-ছেলের কথায়
কর্ণপাত করিনি, কিন্তু নাতিটার কাছে হার মেনে গেলাম। একরকম তার জেদেই এই ফোনটা
কিনলাম। ঐটুকু একরত্তি ছেলে আমাকে বলে কিনা, ‘ঠাকুরদাদা তুমি ফোন কিনে আনো আমি
তোমাকে ফোন ব্যবহার করা শিখিয়ে দেব’।
কর্ণপাত করিনি, কিন্তু নাতিটার কাছে হার মেনে গেলাম। একরকম তার জেদেই এই ফোনটা
কিনলাম। ঐটুকু একরত্তি ছেলে আমাকে বলে কিনা, ‘ঠাকুরদাদা তুমি ফোন কিনে আনো আমি
তোমাকে ফোন ব্যবহার করা শিখিয়ে দেব’।
উপস্থিত চারজনেই এইকথায় একসঙ্গে হেসে উঠল।
প্রসাদবাবু আবার বললেন, ‘লিভারে একটা সমস্যা হয়েছে আমার। খাওয়ার খুব
রেস্ট্রিকশন রয়েছে। বয়সও বাড়ছে, কবে আছি কবে নেই; বলা তো যায় না, তাই ভাবলাম এই
নববর্ষে বাড়ির সবার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করে একটা স্মার্ট ফোন কিনেই ফেলি’।
রেস্ট্রিকশন রয়েছে। বয়সও বাড়ছে, কবে আছি কবে নেই; বলা তো যায় না, তাই ভাবলাম এই
নববর্ষে বাড়ির সবার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করে একটা স্মার্ট ফোন কিনেই ফেলি’।
অজিতবাবু এগিয়ে এসে প্রসাদবাবুর কাঁধে হাত রেখে বললেন, ‘ভালো করেছ। নতুন বছরেই
নতুন কিছু নতুন করে শুরু করতে হয়। পঁচিশ বছর আগে সুমনাকে নিয়ে আমি একটা নতুন
লড়াই শুরু করেছিলাম। আজ আবার ওদের সাথে দিল্লী গিয়ে জীবনের শেষ অধ্যায়টা আবার
নতুনভাবে শুরু করতে চলেছি। তুমিও এই ফোনটাকে নিয়ে নাতির সাথে জীবনের এই শেষ
ইনিংসটা আবার নতুনভাবে শুরু কর। জানিনা আর কোনওদিন দেখা হবে কি না, তাই বলছি
ভালো থেকো, শুভ নববর্ষ’।
নতুন কিছু নতুন করে শুরু করতে হয়। পঁচিশ বছর আগে সুমনাকে নিয়ে আমি একটা নতুন
লড়াই শুরু করেছিলাম। আজ আবার ওদের সাথে দিল্লী গিয়ে জীবনের শেষ অধ্যায়টা আবার
নতুনভাবে শুরু করতে চলেছি। তুমিও এই ফোনটাকে নিয়ে নাতির সাথে জীবনের এই শেষ
ইনিংসটা আবার নতুনভাবে শুরু কর। জানিনা আর কোনওদিন দেখা হবে কি না, তাই বলছি
ভালো থেকো, শুভ নববর্ষ’।
প্রসাদবাবুও ছলছল চোখে অজিতবাবুর দুহাত চেপে ধরে বললেন, ‘শুভ নববর্ষ’।
আরো পড়ুন,