Mahalaya Poem In Bengali
মহালয়ার মহাপ্রাতে
ভোরবেলায় মহালয়া শুনবো
তাই ; বসলুম রেডিওর নিকট,
হঠাৎ শুনি বেসুরো আওয়াজ
শব্দ বিকট !!!!!
লাটে উঠল বীরেন্দ্র কৃষ্ণের মহালয়া শ্রবণ
প্রবল বেগে চলছে পিতৃদেবের নাসিকা গর্জন!
কি করি ? কি করি ?
অবস্থা অতি করুণ
রক্ষা করো দেবতাগণ !
হে ইন্দ্র অগ্নি বরুণ !
এমন সময়ে হঠাৎ হলো বুদ্ধির আগমন_
মায়ে ঝিয়ে তরতরিয়ে
চা -চাটাই -রেডিও নিয়ে
করলুম ছাদে পলায়ন।
Mahalaya Bengali Poem
‘মহালয়া’
– অনীশ ব্যানার্জ্জী
শারদ আকাশে আজি এ প্রভাতে
এলো একী শুভক্ষণ
শিশিরে শিশিরে কাশেরও বনেতে
হারাল সবার মন।
সারাবছর ঘরছাড়া এবার হবে গৃহে ফেরা
আত্মীয়দের আসা যাওয়া,
অবসানে পিতৃপক্ষ আবির্ভাবে মাতৃপক্ষ
আজিকে মহালয়া।
সারাবছর পথচেয়ে আগমনীর বার্তা পেয়ে
আনন্দ আজ মন জুরে,
আনন্দে আজ আত্মহারা বন কাশফুলে ভরা
ভাসা মেঘের মতই ভবঘুরে।
সবাই হোক খুশি মুখে ফুটুক হাসি
মিটুক চাওয়া পাওয়া,
আগমনীর বার্তা বহে আনন্দেরও সমারহে
আজিকে মহালয়া।
চলে গেছেন মোদের ছেড়ে যেপূর্বপুরুষ চিরতরে
নিজের জীবন করে অর্পন ,
একবুক জলে দাড়িয়ে তাদের কথা স্মরন করে
জলাশয়ে চলে তর্পণ।
অশুভ শক্তি এসেছে যখন করেছ বিনাশ হয়েছে নিধন
তোমার হাতে মহামায়া,
নারীশক্তির আগুন চোখে সাহস থাকুক পূর্ন বুকে
আজিকে মহালয়া।
আরো পড়ুন, Mahalaya Bangla Kobita (মহালয়ার কবিতা)
শুভ মহালয়ার কবিতা
মহালয়া
– মধুরিমা মুখোপাধ্যায় রায়
********
নবরাত্রির প্রথম দিন-
আজকে মহালয়া।
তোমাকে পুজি মনে প্রাণে-
বৃদ্ধ থেকে শিশুজায়া।
এল মা আজ মনের দ্বারে,
প্রাণে খুশির কলরোল।
বছর পরে আসছে মা-
মনে খুশির হিল্লোল।
বাজলো মায়ের আলোর বেণু,
খুশিতে মাখা আমাদের হৃদয়ের অণু-পরমাণু।
সাজাবো মা তোমাকে দিয়ে ফুলের রেণু।
বীরেণ ভদ্রের কন্ঠস্বর, টি ভির অনুষ্ঠান,
ভক্ত মনে মহামায়ার চির অধিষ্ঠান।
শিশির মাখা শিউলি ফুল, দুলছে কাশের মাথা,
শাপলা শালুকে ভরেছে পুকুর,
আগমণীর আজ প্রথম বারতা।
কৈলাশে শিব হলেন একা,
কটি দিনের তরে,
বাপের বাড়ি রওনা হলেন মা-
ঠিক একটি বছর পরে।
প্রার্থনা মা তোমার কাছে-
দাও পাপের তিমিরনাশি,
পাপী আতুর সবার বুকেও –
জাগাও বিবেক রাশি।
সকল ভক্তকে কর ক্ষমা-
ফোটাও মুখে হাসি।
আসুরিক শক্তি হোক দমণ-
সকল বিপদ ত্রাসি।
আরো পড়ুন,