বসন্ত উৎসব নিয়ে লেখা
উৎসবের মাধ্যমে । বাংলা বছর শেষের আগে রঙের উৎসব বসন্ত উৎসব প্রতিটা বাঙালির জীবনে যে আলাদাই এক
রঙিন ছোয়া নিয়ে আসে তা নিশ্চই বলার অপেক্ষা রাখে না ।
বসন্ত উৎসব শান্তিনিকেতন
বসন্ত উৎসব মানেই হাজার হাজার বাঙালির ঠিকানা শান্তিনিকেতন (Santiniketan)। রঙ আর আবিরে যেন রাঙ্গা হয়ে যায় রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতন। সকাল থেকেই যেন উৎসবের চেহারা। বেজে ওঠে সেই চেনা গান- “ওরে গৃহবাসী, খোল দ্বার খোল, লাগল যে দোল” অথবা একেবারে শেষ মুহূর্ত -“রাঙিয়ে দিয়ে যাও যাও যাও গো”।
Basanta Utsav 2024 Santiniketan
কেউ কেউ মনে করেন, ১৯০৭ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি, বসন্ত পঞ্চমীতে, শমীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্যোগে, যে ঋতু উৎসবের সূচনা হয়, তারই পরিবর্তিত ও পরিমার্জিত রূপ শান্তিনিকেতনের আজকের এই বসন্ত উৎসব বা বসন্তোৎসব। সরস্বতীর
পূজার দিন শুরু হলেও পরবর্তী কালে সে অনুষ্ঠান বিভিন্ন বছর ভিন্ন ভিন্ন তারিখ ও তিথিতে হয়েছে। শান্তিনিকেতনের প্রাণপুরুষ রবীন্দ্রনাথের বিদেশযাত্রা বা অন্য আরও দিক মাথায় রেখে কোনও এক নির্দিষ্ট দিনে আশ্রমবাসী মিলিত হতেন বসন্তের আনন্দ অনুষ্ঠানে।
ক্ষিতিমোহন সেন এবং অন্য সঙ্গীদের নিয়ে সে বার রবীন্দ্রনাথ চিন যাত্রা করছেন দোলযাত্রার দিনে। সন্ধ্যায় পূর্ণিমার চাঁদ ও গঙ্গাতীরের গ্রামের কীর্তনের সুর তাঁকে আবেগাপ্লুত করে তুলেছিল। তাই হয়তো, শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসব পূর্ণতা পায় রঙের উৎসব ‘হোলি’ বা ‘হোরী’ খেলার দিনে অর্থাৎ রাধাকৃষ্ণের ‘দোলযাত্রা’ তিথিতে। কিন্তু, শান্তিনিকেতনে কখনওই ধর্মীয় আচার অনুষঙ্গ অনুমোদন পায়নি। অথচ উৎসবের আনন্দে ঘাটতিও পড়েনি।
বসন্ত উৎসব নিয়ে কিছু কথা 2024
বসন্ত বরণ উৎসব