ধর্ষনের গল্প – Dhorshoner Golpo – Bengali Story
১
“আদর করছি তোকে “। শ্রেয়া হাসতে থাকলো । সায়নের ঠোঁট ছুঁয়ে যাচ্ছে শ্রেয়ার গলা
, বুক কোমর হয়ে নিচের দিকে । শ্রেয়া তার প্রিয় দাদাকে জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে
আছে । দাদাভাই তাকে আদর করছে । পুরো বাড়ি ফাঁকা । শ্রেয়ার মা অর্থাৎ সায়নের
কাকিমা দিয়ে গেছে তার মেয়েকে সায়নের সাথে খেলা করার জন্য । সায়ন গরমের ছুটিতে
বাড়ি এসেছে হোস্টেল থেকে ।
বুজতে না পেরে বললো -“কি “সায়ন জানে এবার কি করতে হবে । সে শ্রেয়াকে কোলে বসিয়ে
বললো -“এই যে আমি তোকে আদর করি রোজ , এগুলো কাউকে বলবি না বললে আর আদর করবো না
“।শ্রেয়া সায়নের গালে হামি দিয়ে বলল “না আমি কাউকে বলবো না “। সায়ন চোখ
রাঙিয়ে বললো -” মনে থাকে যেন , না হলে আমি আর আদর করবো না ” । শ্রেয়ার চোখে জল
এসে গেল সায়ন তার সবচেয়ে প্রিয় দাদাভাই , ও যদি রাগ করে খুব খারাপ হবে তাই
শ্রেয়া সায়নকে আবার জড়িয়ে ধরে বলে “না আমি কাউকে বলবো না “। সায়ন হেসে শ্রেয়ার
বুক ও পেটে হাত বোলাতে বোলাতে বলে “সোনা মামনি আমার “।
সায়নের বয়স পনেরো শ্রেয়ার পাঁচ । সায়নের মাঝে মাঝে কেমন একটা অনুভূতি হয়
মেয়েদের শরীরে হাত দিলে এক অদ্ভুত শান্তি আসে মন খুশি হয়ে যায় ছেলেদের গায়ে
ছুলে তো হয় না । ম্যাডাম সেদিন পড়াচ্ছিলেন এই বয়সে নাকি বিপরীত লিঙ্গের দিকে
ঝোঁক বাড়ে এটা নাকি বয়ঃসন্ধির লক্ষণ । শ্রেয়া তার এই দাদাভাই কে ভীষণ ভালোবাসে
। সবসময় সায়নের কোলে থাকতে চায় ।দাদাভাই কি সুন্দর গল্প বলে আদর করে । মাঝে
মাঝে কোমরের নীচে একটু লাগে দাদাভাই বলেছে জল খেলে ঠিক হয়ে যাবে । সবচেয়ে ভালো
এই দাদাভাই । ও ঠিক করে নেই এই আদরের কথা ও কাউকে বলবে না যদি সায়ন রাগ করে ও
সেটা চায় না ।
ধর্ষণের মজার গল্প
২
দাদা-দিদিরা এই স্কুলে পরে । ওরা রোজ চার -পাঁচ জন একসাথে স্কুলে যায় । ফেরার
সময় শুধু পাশের পাড়ার এক দিদি থাকে । বাকি দাদা দিদিরা হয় আগে চলে আসে নয় পরে
আসে ।
ব্যাপার আছে দীপের মধ্যে । অদিতি ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশোনা করে আগের বছর এই
স্কুলে ভর্তি হয়েছে । দীপ ওর পাশের পাড়ায় থাকে রাস্তায় দেখেছে কয়েকবার কিন্তু
কথা হয়নি ওই মুখ চেনা গোছের । তারা একসাথে স্কুল থেকে ফেরে । অনেক গল্প হয় দীপ
বেশ গুছিয়ে কথা বলতে পারে ।ক্রমশ অদিতি আরও বেশি আকৃষ্ট হয়ে পরে দীপের দিকে ।
এখন বিকালের দিকেও দীপের পাড়ায় যায় দীপের বাড়িতেও গেছে কয়েকবার । দীপ বেশিরভাগ
সময় একাই থাকে ।
হচ্ছে শরীরে অদিতির । দীপের সাথে কথা বলতে খুব ইচ্ছা করছিল তাই দীপকে নিজের
বাড়িতে ডাকলো অদিতি ।আগেও কয়েকবার ডেকেছে । দীপের প্রচুর বই পড়ার নেশা । তাই বই
দেবে বলেই ডাকে আজও তাই । দীপ স্নান সেরে একটা টিশার্ট গায়ে দিয়ে অদিতিদির বাড়ি
গেল । অদিতিদি কেমন একটা করে । দীপের ঠিক ভালো লাগে না তা নয় তবে কিছুটা
অস্বস্তি হয় । কিছু বলতে পারে না ওদের বাড়িতে বিশাল লাইব্রেরি আছে । কত বই !!ওই
সব ছাড়া যায় নাকি । অদিতিদি মাঝে মাঝেই ওদের বাড়ি ডেকে দীপকে জড়িয়ে ধরে । দীপের
গলায় , মাথায় হাত বোলায় । পা দিয়ে পা ঘষে । কয়েকবার দীপের হাফ প্যান্টের
ওপর দিয়ে দাবনাতেও হাত দিয়েছে সঙ্গে সঙ্গে দীপ সরে গেছে ওখান থেকে বেরিয়ে যেতে
পারেনি । অদিতিদি এসে ওর গালটিপে বলে “ওরে আমার ভাই আবার লজ্জা পেয়েছে “। মাথা
নিচু করে হাসে দীপ । কিছু বলতে পারে না দিদি হয় কি বলবে ওকে ।
হয়ে গেল অদিতিকে দেখে । অদিতির শরীরের অধিকাংশ অংশই উলঙ্গ । দীপ মাথা নিচু করে
রইলো , অদিতি ওর হাতটা ধরে দোতলায় নিয়ে চলে গেল । এজ অদিতির বাড়ি ফাঁকা ।দোতলায়
তার বেডরুমে নিয়ে গিয়ে বসালো দীপকে । দীপের অস্বস্তি বেড়ে গেল । অদিতি
সবসময় দীপের গা ঘেঁসেই বসে । আজও তাই । দীপের হাত অদিতির স্তন স্পর্শ করলো
কিংবা অদিতি ইচ্ছা করেই করালো বলা যেতে পারে । অদিতি দীপের কাঁধে হাত রেখে বললো
-“আজ বাড়িতে একা একা বিরক্ত হচ্ছিলাম রে তাই তোকে ডাকলাম একটু গল্প করবো বলে
তোর তাড়া নেই তো ?”দীপ আমতা আমতা করতে করতে বললো -“না ওই প্রজেক্ট লিখবো
..”অদিতি থামিয়ে দিয়ে বলল -“আমায় দিস করে দেব “।দীপ একটু হাসার চেষ্টা করে বলল
-“না ঠিক আছে “।দীপ নিজের হাতটা সরিয়ে নিলো কিন্তু অদিতি ওর হাতটা নিয়ে নিজের
উন্মুক্ত দাবনায় রেখে হেসে বললো -“তুই ওতো ভয় পাচ্ছিস কেন ?””না মানে ..”ইতস্তত
বোধ করছে দীপ । “এই দেখ আমি তোকে ছুঁয়ে আছি কিছু হচ্ছে তুইও আমায় ছুঁয়ে আছিস
আমি কিছু বলেছি তোকে ?।কিছু বলে না দীপ । অদিতি বলে চলে -“আধুনিক হ এখন এইসব
নিয়ে কেউ ভাবে না , পড়াশোনা করছিস দেখবি কলেজে উঠলে এসব কোনো ব্যাপার না ” ।
দীপ তবুও সরে যেতে চায় ওখান থেকে । অদিতি নিজের হাতটা সরিয়ে নিয়ে বলে -“আমি তোর
দিদি হই তো আমাকে ছুঁতে তোর অসুবিধা কোথায় ?”। দীপ অসস্বস্তিতে ভোগে । সে কথা
ঘোরানোর চেষ্টা করে । কিন্তু আজ অদিতি বদ্ধ পরিকর । সে নানান কথা বলে নানান
ভাবে দীপকে ছুঁতে চায় । দীপ শেষে ভালো না লাগা সত্বেও অদিতির শরীর ছুঁয়ে ফেলে ।
অদিতি নিজের যৌন চাহিদা মেটায় ।
টিশার্টটা পড়তে পড়তে অদিতি বলে -“কাউকে বলবি না তো ?”দীপ মাথা নারে ।
অদিতি দীপের গাল টিপে বলে -“যা বই পছন্দ নিয়ে যাস না পেলে বলিস আমি কিনে আনবো
“দীপ কিছু বলে না । সে এখন একটা ঘোরের মধ্যে আছে । এসব কি হলো সে জানে না ।
অদিতিদি নিশ্চই খারাপ মেয়ে নয় , না হলে প্রত্যেক বছর কি করে প্রথম
পাঁচজনের মধ্যে থাকে ।
পারিনা ।এইসব ধর্ষণ হিসাবে ধরা হয় না কোনোদিনই । কখনো বা ভয়ে আবার কখনো
পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে চেপে যাওয়া হয় এই সব ঘটনা ।যে সব ছেলে মেয়েরা এই
ঘটনার সাক্ষী হয় তাদের মধ্যে খুব কম বয়সেই দেখা দেয় মানসিক অবসাদ । আর তার
ক্ষতি পূরণ দিতে হয় নিজেদের জীবন দিয়ে ।