কয়েকটি ধর্ষনের গল্প – Bengali Hot Story
কয়েকটি ধর্ষণ
– কল্যাণ উবাচ
*ঘটনাটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক, কারোর সাথে মিলে গেলে লেখক দায়ী নয়*
1
======
বাজারের পথে বেরিয়েছিল দুজন .
শহর থেকে এই আধা মফস্বলে রাত বা অবসর কাটাতে কেউ আসে না.
তারাও আসে নি.
শুধু জায়গাটার পাশ দিয়ে যে প্রধান সড়ক যাচ্ছিলো , তার এক পাশে তাদের খারাপ হয়ে
পড়া গাড়ি টা দাঁড়িয়েছিল.
পড়া গাড়ি টা দাঁড়িয়েছিল.
দুই জোড়া পা আধা অন্ধকারে বাজারের টিমটিমে কয়েকটি লাইটের ভরসায় মেকানিক খুঁজতে
যাচ্ছিলো.
যাচ্ছিলো.
ছোটটির বয়স মনে হয় ১৭ বা ১৮.
প্রিন্টেড টপ আর জিন্স পড়া.
বড়ো জন ২২ বা ২৩…
তার পরনে ছিল শাড়ি.
তারা জানতোনা বাজারের আগে ওই আধা অন্ধকার গলির মুখের দ্বিতীয় বাড়িটা
পোড়ো বাড়ি.
পোড়ো বাড়ি.
সেখানেই তাদের টেনে নিয়ে গেছিলো কালু শেখ আর তার তিন জন সহচর.
তারপর কিছুটা ধস্তাধস্তি …
বোতল ভাঙার শব্দ…আর অস্ফুট গোঙানি..
কয়েকজনের চাপা উল্লাস ও শোনা যায়.
দোকানি , বাজার করতে আসা লোক বা অফিস ফেরতা মানুষরা এইসবে মাথা গলায় নি.
পরের দিনের চা এর আড্ডার জন্য টপিক পাওয়া গেল বলে তারা নিশ্চিন্ত ছিল.
তারপর….?
আজও ছড়িয়ে পড়ে বাতাসে গড় নসিমপুরে দুটি মান হারা মানবীর আর্তনাদ.
পরের দিন লাশ দুটি নিয়ে গেছিলো পুলিশ.
আর কয়েক দিন হাজতে থাকার পর ছাড়া পেয়েছিলো কালু আর তার দলের লোকেরা.
দু একটা মোমবাতি হয়তো কোথাও জ্বলেছিল.
ভোট আসছে..
নির্বাচন.
2
=======
” কি হে দেবজিৎ খাড়া , মিস্টার সাব ইন্সপেক্টর অফ থানা হুগলি
নর্থ..
নর্থ..
ক্রাইম টা দেখে , কি বুঝছো ? “
” আজ্ঞে স্যার , মার্ডার হয়েছে কালু শেখ…
কিন্তুউউউ…”
” ওই কিন্তু টাই বড়ো গন্ডগোলের হে….
আচ্ছা , কালু শেখ সম্পর্কে তুমি কি কি জানো ? “
” ওইতো স্যার…
কালু শেখ এর পুরো নাম কামরুল শেখ , বয়স ২৪ বছর…..
হাইট ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি ..
৭০ কেজি…
টকটকে ফরসা, কাটাকাটা চোখমুখ…
বড়ো বড়ো ঠোট …”
” থামো থামো…
সিনেমার নায়কের মতো দেখতে , সে আমি বুঝেছি .
বাকি গুন গুলি বলো . “
” স্যার , এর তো গুন ই গুন.
৫ টা রেপ কেস , ৩ টে ডাকাতি আর গোটা ৪ এক মার্ডার কেস ঝুলছে এর উপর…
নেহাত রুলিং পার্টির হয়ে কাজ করে , নাহলে কবেই ঢুকিয়ে দিতাম.
কয়েক বার তুলেও ছিলাম…
কিন্তু ওই…দাদার ফোন…”
” এরকম নদের চাঁদ মরবে , তাতে আশ্চর্য আর কি বলো .
কিন্তু এইভাবে মরবে কেন ?
লাস্ট কি কেসে তুলেছিলে ফাইল টা দাও দেখি.
আর এক কাপ লাল চা নিয়ে এসো, চিনি বাদ দিয়ে.
ভুঁড়ি হওয়া কোনো কাজের কথা নয়. “
3
=========
” হ্যালো দাদা , কালু বলছি .
লখাই বললো আপনি কল করতে বলেছিলেন “
” কালু সামনে ইলেকশন , আমি আবার টিকিট পেয়েছি.
এখন কোনো কেসে জড়াস না. “
” না দাদা , আপনার জন্য জান কবুল .
কিন্তু কি ব্যাপার দাদা…এইবার দেখছি সব জায়গায় লখাইকে পাঠাচ্ছেন.
টাকাও ও তুলছে…”
” তোর অমনি ফেটে গেল ?
শোন কালু , তোর জন্য এইবার বড়ো কাজ.
শনিবার কলকাতায় যা.
একটা ঠিকানা দিচ্ছি .
কসবার.
ওখানে রাত ৯ টায় চুপচাপ পৌঁছে যাবি একা .
মোবাইল রেখে যাবি , কেউ জানতে যেন না পারে.
বড়ো পার্টি , বড়ো কাজ…
বুঝেছিস ?
একটু এদিক ওদিক হলে লাশ ফেলে দেব .
বুঝলি ? “
” হ্যাঁ দাদা…
তাই বলুন…আমাকে বড়ো কাজের জন্য রেখেছেন.
পৌঁছে যাবো দাদা, চুপচাপ “
” লখাই একটা কাগজে ঠিকানা দিয়ে আসবে.
মেশিন সাঁটাস না কোমরে..
ভোটের সময় , পুলিশ তুললে ছাড়াতে পারবনা . “
আরো পড়ুন, ধর্ষনের গল্প
4
==========
তাহলে আপনি হলেন পরিতোষ চট্টোপাধ্যায় , প্রফেসর অফ অ্যান্ড্রুজ কলেজ
.
.
বয়স ৫৬ বছর ২ মাস “
” হ্যাঁ স্যার . “
” কালু কে আপনি মেরেছেন , তার বডি পৌঁছে দিয়েছেন তার বাড়ির সামনে গড় নসিমপুরে
…”
…”
” আমি কোনো উত্তর দেব না.
প্লিজ কল মাই অ্যাডভোকেট. “
” তার সত্যি কি দরকার আছে ?
এমন ভাবে কাজ টা করলেন যেন আপনি ঠিক করেই রেখেছিলেন আমাদের হাতে ধরা পড়বেন .
তাহলে এখন অ্যাডভোকেট কেন ? “
” আপনি জানেন মিস্টার রায় চৌধুরী , আমার স্ত্রী বছর পাঁচেক আগে অসুস্থ
হয়ে মারা যান .
হয়ে মারা যান .
আমার সম্বল ছিল , সাহারা ছিল দুজন মেয়ে.
একজন এম.এ. পড়ছিলো…
আরেকজন উচ্চমাধ্যমিক দিতো…”
” আপনি একটু জল খাবেন ? “
” না…ধন্যবাদ.
ইটাচুনার রাজবাড়ীতে ঘুরতে গিয়েছিলো , বন্ধুদের সাথে একবেলার জন্য..
ফেরার সময় গাড়ি খারাপ হয় ওইখানে …
কপাল দেখুন আমার..
ওইখানেই গাড়ি খারাপ হলো.
ড্রাইভারও সেদিন ছুটিতে ..
আমার বড়ো মেয়ে খুব ভালো গাড়ি চালাতো..
ওইখানে কালু আর তার ছেলেরা ওদের …
মেরেই ফেললো..জানেন ?
বলুন তো..আমি তো বাবা.
মেয়েদের লাশ নিয়ে…”
” আপনি একটু শান্ত হোন …”
” আর আপনারা…
পুলিশ কেস করলাম…
কালু ৪ দিনের মাথায় ছাড়া পেলো.
তখন ভাবলাম কালুর বোঝা দরকার , কিভাবে আমার মেয়েরা মরেছে.
কিন্তু আমি ৫৫ বছরের বুড়ো লোক , রাজনৈতিক দাদাও কাউকে চিনিনা..
কিভাবে বদলা নেবো ?”
” হমম্…
সেটাই আমার প্রশ্ন কিভাবে করলেন? “
” ভাবলাম কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলি.
আমার সুবিধা ছিল কালু জানতোনা ওকে আমি মারবো , তাই সাবধান হয় নি.
আমার দরকার ছিল টাকা.
অন্তত এক কোটি . “
” অতো টাকা…
জোগাড় করলেন কি করে ? “
” আমার ৫ কাঠা জমি সমেত তিনতলা ব্রড স্ট্রিটের বাড়ী…
স্ত্রীর গয়না…
যা রাখা ছিল ওদের বিয়ের জন্য
জমানো টাকা…”
” এতো তাড়াতাড়ি বাড়ী বিক্রি….”
” কলকাতা শহরে সব হয়…
কালো পথে..”
” কি করলেন অতো টাকা দিয়ে ? “
” কালু জানতো না …
ও যার তাঁবেদারী করে , সে সাপ নয় কুমির.
৫০ লক্ষ টাকার বদলে কালু কে পাঠিয়ে দিলো আমার বলে দেওয়া ঠিকানায়.
তারপর……”
কালুর কথা
===========
“আরে এই ঠিকানাটাই দাদা দিলো ?
কিরকম নির্জন জায়গা মাইরি…
ফ্ল্যাট বাড়ী টাও শালা ভূতিয়া…
না কোনো কেয়ার টেকার…
না রাস্তায় লোক..
হবে না বাল..এতো ভিতরে ফ্ল্যাট হলে লোক কি গাঁড় মারতে আসবে…
তবে অন্ধকার তো আমার নিজের , ভয় কি..
শুধু যদি মেশিন টা থাকতো …
কি বালের কাজ দাদা কিছু বললো না..
এই তো ফ্ল্যাট টা..
৩বি..
দেখি টোকা দিয়ে…”
” চলে এসো …
দরজা টা বন্ধ করে দাও . “
ভিতরে তো ঢুকলাম , অন্ধকারে টেবিলে একটা মোম জ্বলছে.
তার আলোয় দেখলাম একটা শুড্ডা মতো লোক চেয়ারে বসে আছে.
ঘরটা বসার ঘর …
কিন্তু মুখোমুখি দুটো চেয়ার ছাড়া কিছু নেই.
মাঝখানে একটা টেবিল …
” কাজের কথা পরে হবে , আগে একটু গলা ভেজাও .
শুড্ডাটা চেয়ার এর পিছন থেকে একটা হুইস্কির বোতল বের করে টেবিলে রাখলো.
দামী মাল মনে হচ্ছে…
তবু একটা খটকা লাগলো , কাজ টা কি রে বাবা..
” মাল ফাল রাখুন…
কাজের কথা বলুন..”
গলা তুললাম আমি .
” তোমার দাদা রুলিং পার্টির লোক , কিন্তু দলের একজন মন্ত্রী কেই সরাতে হবে .
উপর থেকে সেই কাজের জন্য তোমার দাদার কাছে লোক চাওয়া হয়েছে…
তাই তোমার দাদা তোমাকে পাঠিয়েছে..
কোটি তে খেলবে এইবার তুমি . “
আরো পড়ুন, যৌনতার গল্প
ও…এই কেস…
তার মানে কোনো মন্ত্রী কে ঝেড়ে আন্ডারগ্রাউন্ড হতে হবে.
তাই লখাই কে দিয়ে কাজ করাচ্ছে দাদা.
এইবার সব ক্লিয়ার হলো.
মাল কত পাবো কে জানে…..
” কাকে ওড়াতে হবে? “
” তোমাদের দল ছেড়ে যে সেন্ট্রালে যোগ দিতে চায় …”
লোকটা শান্ত গলায় বললো.
বোঝা গেছে…
বেঁটে মালটা…
এক ঝটকায় বোতল টা তুলে নিলাম .
ছিপি ভাঙ্গা…
লোক টা আগেই মেরেছে…
গন্ধ পাই নি তো…
কাঁচা হুইস্কি গলায় ঢেলে দিলাম…..
বোতল প্রায় হাফ হয়ে গেল…
লোক টাও কি র খাচ্ছিলো ?
ঘরে গ্লাস কই ?
” আমার আন্ডারগ্রাউন্ড এর কি ব্যবস্থা করেছেন ?
মাল কত ?
আর প্লেন…..”
গলা জড়িয়ে এলো….হাত পাও অবশ….
একি ….
চোখে ঘুম নেমে আসছে কেন ?
” তুমি এখনো বোঝোনি কালু , ভাবছো এদের এনেছি তোমাকে মার্ডার করানোর জন্য
?
?
আজকে এক রাতের জন্য এরা কত চার্জ করেছে জানো ?
৫০ লাখ ….
আমার যদি শুধু তোমাকে মারার ইচ্ছা হতো তাহলে তোমার দাদা কেই আরো পাঁচ লাখ বেশী
দিতাম .
দিতাম .
কিন্তু ওই যে বললাম , আমি চেয়েছিলাম তুমি রেপ এর যন্ত্রনা টা বোঝো..
যেমন আমার মেয়েরা বুঝেছে .
এদের বুক করার সাইট আছে জানো…
এরা অস্ট্রেলিয়ান খালাসি..
এদের জরুরি ব্যাপার হলো..এরা গে এবং অপরাধী .
প্রায় ২ মাস জাহাজে…
তোমার সুন্দর নায়কের মতো চেহারাটা এদের কাছে কত লোভনীয় ভাবো …”
কি বলছে শুড্ডা টা …
পাগল নাকি…এরকম হয় ?
আমার গলা শুকিয়ে গেল..
গে মানে তো হোমো ..
ওরা আমাকে..
টের পেলাম আমার প্যান্ট ভিজে যাচ্ছে..
সারা শরীরে ঘাম আর পেচ্ছাপ করে ফেলেছি প্যান্টে …
শুড্ডা টা পাগলের মতো বলে যাচ্ছে…
” দেখো কালু এ হলো ডেভিড ..
১০৫ কেজি , ৭ ফুট ৩ ইঞ্চি…
এ হলো মার্ক….”
আর শুনতে পারছিলাম না ..
আমি …আমি…
চিৎকার করে উঠলাম.
ঠিক চিৎকার নয় …
গোঙানির মতো…
সেদিন মেয়ে দুটো ভয়ে এরকম করছিলো…
” কাম অন বয়েজ “
শুড্ডা টা চিৎকার করলো.
” সারা রাত চালাতে হবে কিন্তু…
দরকার হলে ড্রাগ নেবে..
ইজ নট হি বিউটিফুল? “
” ভেরি মাচ “
সামনের পাহাড়ের মতো লোক টা গোলাপি মাড়ি বের করে হাসলো.
তারপর ওরা এগিয়ে এলো আমার দিকে..
এক টানে ছিঁড়ে দিলো জামা..
যেরকম ভাবে আমি রঙিন টপ টা ছিঁড়েছিলাম বাচ্ছা মেয়ে টার …
পাগলের মতো হাসছে শুড্ডাটা…
চোখ দিয়ে জল গড়াচ্ছে..
আমি…
তারপর…
একসময় আমি অন্ধকারে তলিয়ে গেলাম.
আরো পড়ুন, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য গল্প
5
========
” কি ভয়ঙ্কর…..
এই জন্যই পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট টা পেয়ে আমি চমকে গেছিলাম .
হি ওয়াজ ব্রুটালি
রেপড বাই এ গ্যাং…”
” হ্যাঁ স্যার…
সারা রাত ধরে …
ওরাও আমার মেয়ে দুটোকে মধ্য রাত পর্যন্ত…
ওদের পোস্ট মর্টেম রিপোর্টেও তাই লেখা আছে….
দে আর ব্রুটালি রেপড বাই গ্যাং..”
” বুঝলাম…
কিন্তু পরিতোষ বাবু , আপনি ধরা দিলেন কেন ?”
চশমার আড়ালে হাসলেন বৃদ্ধ..
” কোথায় স্যার ?
আপনারাই তো ধরলেন আমাকে….”
” না পরিতোষ বাবু , আপনি না চাইলে ধরতে পারতাম না .
খালাসি রা জাহাজে করে মাঝ দরিয়ায় যাওয়ার আগেই তাদের তুলে নিলাম , আপনাকে ধরে
নিলাম…
নিলাম…
এতো ক্লু , ফিঙ্গার প্রিন্ট , ফুট প্রিন্ট …
রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ…
কিছু থেকেই তো বাঁচার চেষ্টা করেন নি…”
” আমি জাহাজীদের ইউস করেছি নিজের স্বার্থে , কিন্তু টাকার জন্য অন্যায় করেছে
ওরা …
ওরা …
তাই ওদের শাস্তি হবেই…”
” মেয়েরা মারা গেছে , অপরাধী কে শাস্তি দিয়েছেন….
এইবার আপনিও মরতে চান , তাই না ?
সেই জন্য ধরা দিলেন ? “
” আপনি এখনো বোঝেন নি স্যার…”
পরিতোষ চশমার কাঁচ মুছলেন.
” একজন অপরাধী বাদ রয়ে গেল না ?
কারা বানায় কালুর মতো রেপিস্ট ?
কাদের ভরসায় ওরা এই জঘন্য ক্রাইম করে ?
রাজনৈতিক দাদা টিকে আপনি ভুলে গেলেন ? “
” তাকে আপনি কি করে…..”
” আপনি আমাকে কোর্টে চালান করুন.
হাই রাইজ কেস…হাই কোর্ট যাবেই…
সেখানে সবার সামনে , রিপোর্টার ও জজ…পাবলিক সবার সামনে আমি ফাঁস করব দাদার
কীর্তি.”
কীর্তি.”
কিভাবে ? প্রমান করবেন কি করে ? “
” পথ আছে…
সেদিনের টাকা দেওয়া , আমার মেয়ের মৃত্যু তে নেতার সাপোর্ট..সেটা ওনার মুখ দিয়ে
স্বীকার…
স্বীকার…
সব কিছু রেকর্ডেড ..
জনসমক্ষে আদালতে তুলে দেব আমি .
তারপর কাজ শেষ আমার .
একজন মানুষ , একজন বাবা…
আর কটা দিন বাঁচতে হবে মেয়েদের স্মৃতি নিয়ে….
তারপর….”
যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ /
প্রানপনে সরাবো জঞ্জাল /
তারপর হবো ইতিহাস.