সেরা ভৌতিক গল্প – সেদিন রাতে – Bhoutik Golpo
– চণ্ডীচরণ দাস
গ্রামের বাড়ীতে যেতাম, দু’দিন ঘরে কাটিয়ে সোমবার সকালে কলকাতায় ফিরতাম। কিন্তু
সেদিনের মত বিপদে আমি কোনোদিন পড়িনি। ভাবতে গেলে এখনো ভয়ে শিউরে উঠি। সেদিন প্রাণ
নিয়ে যে ফিরতে পেরেছিলাম সেই আমার অনেক জন্মের পুণ্যফল।
জয়ার বাপের বাড়ী হরিরামপুরে, আমাদের বাড়ী থেকে মাইল কয়েক দূরে। সেখানে তাকে
রেখে এসেছি আগের সপ্তাহে। শরীরটা তেমন ভাল নেই, যে কোনদিন কোলে নতুন অতিথি এসে
পড়বে। বারবার করে বলে দিয়েছে যাতে এ সপ্তাহে আমি ওখানেই চলে আসি। তাই একটু
তাড়াতাড়ি করে বেরিয়ে পড়েছি। জানি জয়া আমার আসার পথ চেয়ে বসে থাকবে।
কিন্তু কপালের ফের। এক তো ট্রেনের গণ্ডগোলে হাওড়া থেকে পাঁশকুড়ায়
এসে নামতে নামতে বেজে গেল রাত সাড়ে ন’টা। তারপরে যদিও বা ঘাটালের লাস্ট বাসটা
পেলাম, প্রায় আধ ঘণ্টাটাক চলার পর খুকুড়দা পেরিয়ে বাসের সামনের একটা চাকা হয়ে গেল
পাংচার। ভাগ্যিস তখন গাড়ির স্পিড বেশী ছিল না, নাহলে সেইখানেই একটা বড় এক্সিডেন্ট
হয়ে যেত। চাকা পাল্টে বাস ছাড়তে আরো আধ ঘণ্টা লেগে গেল। তার ঘণ্টাখানিক পরে বাস
বকুলতলায় এল, কিন্তু নামতে গিয়েও নামলাম না। এত রাতে ওখান থেকে রিক্সা-টিক্সা
কিছুই পাওয়া যাবে না, প্রায় মিনিট পঁয়তাল্লিশ পথ হেঁটেই যেতে হবে।। তার চেয়ে পরের
স্টপেজ দাসপুরে নামলে ভিতর দিয়ে হাঁটাপথ একটু কম হবে। তাই দাসপুরেই নামলাম।
সেরা ভূতের গল্প
দাসপুরে নেমে দেখি রাস্তাঘাট প্রায় জনশূন্য, দু’একটা চা খাবারের দোকান ছাড়া
বাজারের সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে। বাতাসে কেমন যেন একটা গুমোট ভাব। আকাশের দিকে
মুখ তুলে দেখলাম একটাও তারা নেই। বুঝলাম লক্ষ্মন ভাল নয়, যে কোন মুহূর্তে
ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়ে যেতে পারে। তাড়াতাড়ি করে বাজারের দখিনধার থেকে নেমে যাওয়া
মোরাম রাস্তাটা ধরে টর্চের আলোয় পথ দেখে দেখে জোরে হাঁটা দিলাম। এ রাস্তায় আমি
আগে কখনো আসিনি। তবে শুনেছি রাস্তাটা সোজা গিয়ে উঠেছে হরিরামপুরের কাছে তেমাথানি
বলে একটা জায়গায়। তারপর পাকা রাস্তা ধরে মিনিট পাঁচেক এগোলেই আমার
শ্বশুরবাড়ী।
মোরাম রাস্তাটা চলেছে নির্জন মাঠের মাঝখান দিয়ে, পাশাপাশি কোনো ঘরবাড়ী
নেই। চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার, রাস্তায় জনমানবের চিহ্ন নেই। খালি চক্রবালে আকাশের
গায়ে মাঝেমাঝে বিদ্যুতের ঝলকানি, অন্ধকারের বুক চিরে আসা গৃহস্থবাড়ীর ক্ষীণ
হ্যারিকেনের আলো, রাস্তার ধারে ঝোপেঝাড়ে চিকমিক করা জোনাকি, মাঠের মাঝে শেয়ালের
হুক্কা-হুয়া, আর রাতপোকার ‘টরর-টরর’, ‘চিঁ-চিঁ’ আওয়াজ। কেমন একটা ভূতুড়ে শিহরণ
জাগানো পরিবেশ। হঠাৎ কিছু একটা যেন লাফিয়ে রাস্তা পার হয়ে গেল। চমকে উঠলাম, কী
ওটা? ভয়ে রামনাম জপ করতে লাগলাম। পরক্ষণে ভাবলাম শেয়াল টেয়াল হবে হয়তো।
কিছুটা গিয়ে একটা বাঁকের কাছে হঠাৎ উঁচু পাথরে হোঁচট খেয়ে গেলাম পড়ে। হাত
থেকে টর্চটা ছিটকে পড়ে গেল। কোনোরকমে উঠে বসে টর্চটা হাতড়াতে লাগলাম। কিন্তু এদিক
ওদিক অনেক খুঁজেও টর্চটা পেলাম না। বুক ঢিপ-ঢিপ করতে লাগল, এই অন্ধকারে রাস্তা
চিনে যাব কী করে? ওদিকে ডান পায়ের বুড়ো আঙুলটায় খুব জ্বালা করছে। হাত দিয়ে
দেখলাম, ভিজে ভিজে লাগছে, বোধ হয় রক্ত ঝরছে। রাস্তার ধারে এদিক ওদিক হাতড়ে হাতড়ে
আবার টর্চটা খুঁজতে লাগলাম। হঠাৎ পিছলে গিয়ে পড়লাম বাঁধের গায়ে নালায়, হাতে পায়ে
জলকাদা মত কিছু লাগছে বলে মনে হল। টর্চ আর পেলাম না, বোধ হয় জলকাদায় কোথাও ঢুকে
গেছে। কান্না পেতে লাগল, এ কী বিপদে ফেললে ভগবান?
ভৌতিক গল্প সমগ্র
কাদা হাত প্যান্টে মুছে ব্যাগটা নিয়ে রাস্তায় উঠে দাঁড়ালাম। সামনে
তাকালাম, ঘুটঘুটে অন্ধকারে কিচ্ছু দেখা যাচ্ছে না। হঠাৎ বিদ্যুৎ চমকে উঠল।
রাস্তাটা একটু দেখা গেল, আবার অন্ধকার। মাঝে মাঝে চমকানো বিদ্যুতের আলোয় ঠাওর করে
করে কোনোরকমে এগোতে লাগলাম।
হঠাৎ পিছন থেকে আলোর ঝলকানিতে চমকে উঠলাম। পিছন ফিরে দেখি টর্চ জ্বালিয়ে
কেউ যেন এই দিকেই আসছে। বুকে একটু বল পেলাম। কাছে এসে আলোটা আমার মুখে এক ঝলক
মেরে লোকটি দাঁড়িয়ে পড়ল। জিজ্ঞেস করল, “কোত্থেকে আসছেন দাদা, কোথায় যাবেন?”
গলার স্বরে আর আবছা আলো-আঁধারিতে বুঝলাম পুরুষ মানুষ। বললাম, “আমি কলকাতা থেকে
আসছি দাদা, হরিরামপুর যাব৷”
“হরিরামপুরে কাদের বাড়ী?”
“গোপাল দাসের বাড়ী৷”
“ও, গোপালবাবুর বাড়ী? তাকে তো আমি ভালরকম চিনি৷ উনি আপনার কে হন?”
“আমার শ্বশুরমশাই৷”
“আচ্ছা!”
আমি কৌতূহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, “আপনারও কি ওই গ্রামেই বাড়ী?”
“না না, আমার বাড়ী এই পাশেই ধরমপুরে। উনি এখানকার হাইস্কুলে শিক্ষক ছিলেন তো, তাই
চিনি৷”
আমার মনে ভরষা এল। অনুনয় করে বললাম, “আমায় একটু হরিরামপুরে পৌঁছে দেবেন দাদা?
আমার টর্চটা কোথায় পড়ে গেল খুঁজে পাচ্ছি না৷”
“ঠিক আছে, আসুন৷” লোকটি আগে আগে, আর আমি পিছন পিছন চলতে লাগলাম।
কিছুটা যাবার পর লোকটি বলল, “এই পাশেই আমার বাড়ী। আমার ছেলের খুব শরীর
খারাপ, দাসপুরে ওষুধ আনতে গিয়েছিলাম। একটু দাঁড়ান, ওষুধটা দিয়ে আসি৷” বলে দু’পা
গিয়েই ঘুরে দাঁড়িয়ে বলে উঠল, “আপনি গোপালবাবুর জামাই। একটু আমার বাড়ীতে পায়ের
ধূলো দিয়ে যেতেই হবে৷ না বলতে পারবেন না, আসুন৷”
লোকটির হিমশীতল কণ্ঠস্বরে কী যে যাদু ছিল কে জানে, আমি না বলতে পারলাম না।
তাকে অনুসরণ করে পায়ে এগিয়ে চললাম।
খানিকটা গিয়ে লোকটি একটি মাটির ঘরের সামনে দাঁড়াল। চাবি দিয়ে দরজার তালা
খুলে ভিতরে যেতে যেতে বলল, “ঘরে তো আর কেউ নেই, খালি ছেলেটা, অসুস্থ্য হয়ে ভিতরে
শুয়ে। তাই বন্ধ করে যেতে হল৷”
ভিতরে গিয়ে দেখলাম দুয়ারে একটা লণ্ঠন টিমটিম করে জ্বলছে। পাশে একটা কাঠের
টুল পড়ে, ছিটে বেড়ায় কয়েকটা ছেঁড়া পুরোণো জামা-কাপড় ঝুলছে। লণ্ঠনের ক্ষীণ আলোয়
লোকটাকে দেখে কেমন যেন লাগল। রোগা কালো চেহারা, মাথায় গামছা, পরনে ধুতি, আর এই
গরমেও গায়ে চাদর জড়ানো। চোখ মুখ স্পষ্ট দেখা গেল না। মনে হল মাঝবয়সী হবে। আমাকে
টুলটায় বসতে বলে লোকটি ঘরের ভিতরে ঢুকে গেল।
বাংলা ভূতের বই
বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকার পরেও লোকটি ফিরে না আসায় আমি একবার ডাক দিলাম,
“দাদা, কোথায় গেলেন? এবার চলুন, রাত হচ্ছে৷”
লোকটির কোনো সাড়াশব্দ নেই। একটু পরে আবার ডাকলাম, কিন্তু এবারও কোনো উত্তর
নেই। আমার কেমন যেন সন্দেহ হল, লোকটা গেল কোথায়? ঘরের দরজাটা ঠেলে একটু মুখ
বাড়িয়ে দেখার চেষ্টা করলাম। কিন্তু একি, ভিতরে তো অন্ধকার? আশ্চর্য হলাম।
অসুস্থ্য ছেলে অন্ধকারে শুয়ে আছে নাকি? লণ্ঠনটা নিয়ে এসে ঘরের মধ্যে গিয়ে দেখলাম
কোথায় কী, ঘরে তো কেউ নেই? ভাঙা ঘর, জিনিসপত্র লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়ে রয়েছে। এক কোণে
একটা তক্তাপোষ, তাতে শতছিন্ন কাঁথা পাতা, আর মাথাগোড়ায় দু’টো ছেঁড়া বালিশ পড়ে।
ভিতরে ঢুকতেই মুখে মাকড়সার জাল জড়িয়ে গেল, কয়েকটা চামচিকে উড়ে পালাল। বুকটা ধড়াস
ধড়াস করে উঠল। কোথায় গেল লোকটা আর তার ছেলে? এ তো পোড়ো বাড়ী, অনেকদিন থেকেই এখানে
কেউ ঢোকেনি বলে মনে হচ্ছে! আবার একবার ডেকে উঠলাম, “দাদা, কোথায় আপনি?”
কোনো উত্তর নেই। হঠাৎ নজরে পড়ল ঘরের উল্টোদিকে একটা বাঁশের রেলিঙের কপাট,
তাতে একটা ছেঁড়া চট ঝোলানো। চটের ফাঁক দিয়ে কিছু আলো চকচক করছে। ওটা বোধ হয়
রান্নাঘর। তবে কি লোকটা ওদিকে গেল? আস্তে আস্তে গিয়ে কপাটটা ঠেলতেই কোঁচ কোঁচ
আওয়াজ করে খুলে গেল। গা ছমছম করে উঠল। কিন্তু একি? লণ্ঠন তুলে দেখলাম চারদিকে
কাঠ-কঞ্চির কুচো ছড়িয়ে, একধারে একটা মাটির উনুন, তাতে একটা কালো কড়াইতে কিছু
তরকারির মত পড়ে। কয়েকটা ডিশের বাসনপত্র এদিক ওদিক ছড়ানো। ধূলো ভর্তি মেঝে,
মাকড়সার ফাঁদের জালে গটা ঘর সাদা হয়ে রয়েছে। একদিকের বাঁশের বেড়া ভাঙা, তার ফাঁক
দিয়ে দূর থেকে কারো বাড়ীর হ্যারিকেনের আলো দেখা যাচ্ছে।
হঠাৎ কতগুলো আরশোলা উড়ে এসে আমার গায়ে মুখে বসল। “মাগো” বলে গা হাত ঝাড়তে
ঝাড়তে ভয়ে ছিটকে পিছিয়ে এলাম। কিন্তু ঘরটায় আসতেই হঠাৎ উপর থেকে একটা টিন ঢপাং
করে সামনে পড়ে গেল, আর কয়েকটা কৌটো পড়ল আমার মাথায়। গা মাথা চাল আটার গুঁড়োয় ভরে
গেল। চমকে উঠলাম। আর একটু হলে টিনটা আমার মাথায় পড়ত। মুখ চোখ ঝাড়তে ঝাড়তে
আমি পিছিয়ে দুয়ারে চলে এলাম। বুকটা ভয়ে ঢিপ ঢিপ করছে। লোকটা নিশ্চয় মানুষ নয়,
ভূত। নাহলে হট করে চোখের সামনে কোথায় মিলিয়ে গেল? আর এই সব অদ্ভুত কাণ্ডই বা
হচ্ছে কেন? নিশ্চয় আমাকে কোনো মতলবে এখানে এনেছে। নাঃ এখানে আর এক মুহূর্তও
নয়।
নীচে রাখা ব্যাগটা তুলতে যাব কী হঠাৎ কানে এল ফোঁস-ফোঁস আওয়াজ। মুখ ঘুরিয়ে দেখি
পিছনে একটা বড় কালো সাপ, বিরাট ফণা তুলে দাঁড়িয়ে। চমকে উঠে ছিটকে সরে গেলাম।
লণ্ঠন হাতে খোলা দরজা দিয়ে বাইরে এসে “বাঁচাও বাঁচাও” বলে চিৎকার করতে করতে দৌড়ে
পালাতে লাগলাম। বাইরে তখন একটু একটু ঝড় উঠতে শুরু করেছিল। ঝড়ের হাওয়ায় আর দৌড়ের
চোটে লণ্ঠনটা গেল নিভে। মৃত্যু নিশ্চিত জেনে বাঁচার শেষ চেষ্টায় উর্ধ্বশ্বাসে
অন্ধের মত ছুটতে লাগলাম। হঠাৎ কিছুতে হোঁচট খেয়ে হলাম ভূপতিত। তারপরে আর হুঁশ
নেই। যখন চোখ খুলল, দেখলাম রাত কেটে সকাল হয়ে গেছে, শ্বশুরবাড়ীতে নরম বিছানায়
শুয়ে আছি, সামনে চিন্তিত মুখে দাঁড়িয়ে আমার অর্ধাঙ্গিনী আর শাশুড়ীমা।
(২)
মাঝখানের সময়টুকুর বিবরণ পরে জয়ার কাছে জেনেছিলাম। সেদিন রাতে ওই সময় আমার
শ্বশুরদের পাশের বাড়ীর পরেশ মণ্ডল তার ভ্যানে করে দাসপুর হাসপাতালে একটা
এমার্জেন্সি রুগী পৌঁছে দিয়ে ওই রাস্তায় ফিরে আসছিল। হঠাৎ আমার ‘বাঁচাও’ ‘বাঁচাও’
চিৎকার শুনে সে ভ্যান থামিয়ে কাছে গিয়ে আমাকে দেখে চিনতে পারে। তারপর আমাকে তার
ভ্যানে তুলে ঘরে নিয়ে আসে।
আরও জানতে পারলাম, যে ঘরটার সামনে আমাকে পাওয়া গিয়েছিল ওটা ছিল নারান মণ্ডল
বলে একজনের ঘর। ও ছেলে বউ নিয়ে ওখানে থাকত। খুবই গরীব, জনমজুরি করে সংসার চালাত।
ছেলেটা পড়ত ধরমপুর স্কুলেই ক্লাশ সিক্সে। কিন্তু ছিল মহা দুষ্টু আর বদমায়েশ
টাইপের। ক্লাশে সবার সঙ্গে লড়াই মারপিট করে বেড়াত। একবার ক্লাশে মারামারি করতে
করতে পড়ে গিয়ে মাথায় বেঞ্চের ধাক্কা লেগে অজ্ঞান হয়ে যায়। আমার শ্বশুরমশাই তখন
ক্লাশে ঢুকছিলেন। দেখতে পেয়ে তিনি উদযোগী হয়ে সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে
যান। ওর বাবা মাও হাসপাতালে দৌড়ে আসে। কিন্তু ছেলেটির জ্ঞান আর ফেরেনি, দু’দিন
পরে মারা যায়। ছেলের শোকে বাবা মায়ের পাগলের মত অবস্থা। স্কুলে এসে নারান মণ্ডল
বেশ কয়েকবার হেডমাষ্টারের সঙ্গে ঝগড়া করে গেছে। তার সন্দেহ দুষ্টু বলে মাষ্টাররাই
তার ছেলেকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। আমার শ্বশুরমশাইকে সে বেশী করে সন্দেহ করত। সে
ভাবত সেই নাকি মারধর করে অবস্থা খারাপ দেখে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। এইজন্যে সে
একবার শ্বশুরমশাইকে রাস্তায় ধরে, আর একবার বাড়ী বয়ে এসে ঝগড়া করে গিয়েছিল। পরে
ছেলে মারা যাওয়ার কয়েকদিন পরে তার বউ গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। আর তার মাস
খানিকের মধ্যে নারানও কীটনাশক খেয়ে মারা যায়। সেই থেকে প্রায় বছর খানিক হল বাড়ীটা
পরিত্যক্ত ভাঙাচোরা হয়ে পড়ে আছে।
নারানের কাহিনী শুনে আমার খুবই খারাপ লেগেছিল। কিন্তু আারও বেশী আশ্চর্য ও
আতঙ্কিত হয়েছিলাম সেদিনের ঘটনায়। বড় ভা্গ্যজোরে বেঁচে গিয়েছি। আজও মাঝে মাঝে
ভাবি, কেন সেদিন নারান মণ্ডল আমাকে মরণ ফাঁদে ফেলেছিল?
*****
প্রিয় গল্প পড়তে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইটে।
ভালো থাকুন, ভালোবাসায় থাকুন। ..
Thank You, Visit Again…
Bhuter Golpo,
Bengali Horror Story, Bhoutik Golpo